ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

প্রত্যন্ত চার গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র সাঁকোটির বেহালদশা সাঁকো উঠিয়ে ব্রীজ নির্মানের দাবি এলাকাবাসীর

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১২:০৭:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৬
  • / ৪২৪ বার পড়া হয়েছে

IMG_20161230_234425_084তিতুদহ প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকা হিসেবে পরিচিত কলাগাছি- গাবিন্দপুর। চিত্রা নদীর দুই পাশে গ্রাম হওয়ায় চলাচলের কোনো সড়ক/রাস্তা না থাকায় দৈনিন্দন কাজের জন্য প্রায় ৮ বছর আগে স্থানীয় মানুষদের উদ্যোগে নির্মান করা হয় এই ২২৫হাত সাঁকোটি। কিন্তু সাঁকোটি আর চলাচলের উপযোগী নেই। সাঁকোটির মাঝে মাঝে ভেঙে ফাঁকা হয়ে গেছে। এই সাঁকোর উপর দিয়ে কোনো ভারি যানবহন তো দুরে থাক হেঁটে চলায় হয়ে যায় কষ্টকর। বিকল্প কোনো রাস্তা না থাকায় অসুস্থ রোগী এবং ডেলিভারী রোগীকে যথাসময়ে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে না পারায় অনেক সময় দেখা দেয় বড় ধরণের দূর্ঘটনা। অনেক সময় ডেলিভারী রোগীর বাচ্চা কিংবা মাকে বাঁচানো সম্ভব হয় না। বিকল্প কোনো রাস্তা না থাকায় বাধ্য হয়ে এই ভাঙা সাঁকো দিয়েই জীবনের ঝুকি নিয়ে প্রতিদিন স্কুল, কলেজে পড়া ছাত্র-ছাত্রীসহ প্রায় চার গ্রামের ৩হাজার মানুষ চলাচল করে। প্রতিদিনই ঘটে না দূর্ঘটনা। স্কুল পড়ুয়া ছোট শিশু এবং বৃদ্ধ মানুষদের জন্য জীবনের ঝুকি বেড়ে যায় আরো বেশি। আবার বর্ষা মৌসুমে প্রায় তিন মাস পানির নিচে ডুবে থাকে এই সাঁকোটি। তখন বাচ্চাদের বাধ্য হয়েই স্কুল বন্ধ করে দিতে হয়। স্থানীয় মানুষেরা অভিযোগ তুলে, ভোট আসলেই জনপ্রতিনিধিরা দেয় লোভ দেখানো নানা প্রতিশ্রুতি কিন্তু ভোট চলে গেলে তার কোনোটাই আর হয় না বাস্তবায়ন। এলাকার মানুষের দাবি, এই সাঁকোটি উঠায়ে এখানে একটি ব্রীজ নির্মান করা হলে বেঁচে যেতো হাজারও শিশুর প্রাণ, বাচ্চাদের স্কুল ছেড়ে বসে থাকতে হতো না টানা তিন মাস, একটু হলেও স্বস্তি ফিরে আসতো এলাকার মানুষদের মাঝে। সংশি¬ষ্ট সু-নজর কামনা করছে এলাকাবাসী।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

প্রত্যন্ত চার গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র সাঁকোটির বেহালদশা সাঁকো উঠিয়ে ব্রীজ নির্মানের দাবি এলাকাবাসীর

আপলোড টাইম : ১২:০৭:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৬

IMG_20161230_234425_084তিতুদহ প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকা হিসেবে পরিচিত কলাগাছি- গাবিন্দপুর। চিত্রা নদীর দুই পাশে গ্রাম হওয়ায় চলাচলের কোনো সড়ক/রাস্তা না থাকায় দৈনিন্দন কাজের জন্য প্রায় ৮ বছর আগে স্থানীয় মানুষদের উদ্যোগে নির্মান করা হয় এই ২২৫হাত সাঁকোটি। কিন্তু সাঁকোটি আর চলাচলের উপযোগী নেই। সাঁকোটির মাঝে মাঝে ভেঙে ফাঁকা হয়ে গেছে। এই সাঁকোর উপর দিয়ে কোনো ভারি যানবহন তো দুরে থাক হেঁটে চলায় হয়ে যায় কষ্টকর। বিকল্প কোনো রাস্তা না থাকায় অসুস্থ রোগী এবং ডেলিভারী রোগীকে যথাসময়ে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে না পারায় অনেক সময় দেখা দেয় বড় ধরণের দূর্ঘটনা। অনেক সময় ডেলিভারী রোগীর বাচ্চা কিংবা মাকে বাঁচানো সম্ভব হয় না। বিকল্প কোনো রাস্তা না থাকায় বাধ্য হয়ে এই ভাঙা সাঁকো দিয়েই জীবনের ঝুকি নিয়ে প্রতিদিন স্কুল, কলেজে পড়া ছাত্র-ছাত্রীসহ প্রায় চার গ্রামের ৩হাজার মানুষ চলাচল করে। প্রতিদিনই ঘটে না দূর্ঘটনা। স্কুল পড়ুয়া ছোট শিশু এবং বৃদ্ধ মানুষদের জন্য জীবনের ঝুকি বেড়ে যায় আরো বেশি। আবার বর্ষা মৌসুমে প্রায় তিন মাস পানির নিচে ডুবে থাকে এই সাঁকোটি। তখন বাচ্চাদের বাধ্য হয়েই স্কুল বন্ধ করে দিতে হয়। স্থানীয় মানুষেরা অভিযোগ তুলে, ভোট আসলেই জনপ্রতিনিধিরা দেয় লোভ দেখানো নানা প্রতিশ্রুতি কিন্তু ভোট চলে গেলে তার কোনোটাই আর হয় না বাস্তবায়ন। এলাকার মানুষের দাবি, এই সাঁকোটি উঠায়ে এখানে একটি ব্রীজ নির্মান করা হলে বেঁচে যেতো হাজারও শিশুর প্রাণ, বাচ্চাদের স্কুল ছেড়ে বসে থাকতে হতো না টানা তিন মাস, একটু হলেও স্বস্তি ফিরে আসতো এলাকার মানুষদের মাঝে। সংশি¬ষ্ট সু-নজর কামনা করছে এলাকাবাসী।