ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

প্রতারণার পরিণাম

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৫:১৪:৩৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৮ এপ্রিল ২০১৭
  • / ৪৪৩ বার পড়া হয়েছে

ধর্ম ডেস্ক: সব প্রশংসা আল্লাহতায়ালার, যিনি এ প্রশংসার হকদার। যিনি সত্যবাদীকে পুরস্কৃত করবেন এবং প্রতারক ও মিথ্যাবাদীকে শাস্তি দেবেন; যা তাঁর সুচিন্তিত ও ইনসাফপূর্ণ ভিত্তিতে স্থিরকৃত। সাক্ষ্য প্রদান করছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরিক নেই এবং সাক্ষ্য প্রদান করছি মুহাম্মদ (সা.) তাঁর বান্দা ও রসুল। তিনি সৃষ্টির সর্বশ্রেষ্ঠ মানব। তাঁর প্রতি অসংখ্য দরুদ ও সালাম। সর্বোপরি আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতায়ালাকে প্রকাশ্যে ও গোপনে সর্বাবস্থায় ভয় করুন এবং সৎ মানুষের সঙ্গী হোন। সত্গুণ অর্জন করা যেমন জরুরি তেমন অসত্গুণ পরিত্যাগ করাও জরুরি। মানুষের মধ্যে এমন কিছু খারাপ স্বভাব রয়েছে যা নিন্দনীয় ও গর্হিত যেমন প্রতারণা, মিথ্যাচার, ওয়াদা খেলাপ, মুনাফিকি ইত্যাদি। প্রতারণা মানব চরিত্রের একটি মারাত্মক রোগ। প্রতারণা বা কৌশলে অন্যকে ঠকানো কবিরা গুনা তথা হারাম। এ ছাড়া প্রতারণা মূলত মুনাফিকদের স্বভাব যা আল কোরআনে বর্ণিত হয়েছে। ইরশাদ হচ্ছে (মুনাফিকরা মুখে কেবল ইমানের দাবিদার), এরা আল্লাহ ও তাঁর নেক বান্দাদের সঙ্গে প্রতারণা করে যাচ্ছে, (মূলত এ কাজের মাধ্যমে) তারা অন্য কাউকে নয় নিজেদেরই প্রতারিত করছে। অথচ তারা উপলব্ধি করতে পারছে না। (আসলে) এদের কলবে রয়েছে ব্যাধি। (প্রতারণার কারণে) আল্লাহতায়ালা তাদের ব্যাধি বাড়িয়ে দিয়েছেন। তাদের জন্য রয়েছে তাঁর পক্ষ থেকে পীড়াদায়ক শাস্তি কেননা তারা মিথ্যা বলেছিল। সূরা আল বাকারা : ৯ ও ১০। আল্লাহ আরও ইরশাদ করেন। অবশ্যই মুনাফিকরা প্রতারণা করছে আল্লাহর সঙ্গে অথচ তারা নিজেরাই নিজেদের প্রতারিত করছে। আর যখন তারা নামাজে দাঁড়ায় তখন দাঁড়ায় একান্ত শিথিলভাবে লোক দেখানোর জন্য আর তারা আল্লাহকে খুব কমই স্মরণ করে। সূরা আন নিসা : ১৪২। মহান রব্বুল আলামিনের ইবাদত করুন একনিষ্ঠভাবে। ইবাদতের মাঝে যেন কোনো ধরনের প্রতারণা, রিয়া বা নিফাকির লেশমাত্র না থাকে। আর আল্লাহর রসুলের অনুসরণের বিষয়েও কোনো প্রকার প্রতারণার আশ্রয় নেবেন না। লোক দেখানো কোনো কাজ করবেন না। তাঁর শরিয়তের বিষয়ে নতুন কিছু নিজের থেকে বা অন্য কোনো উদ্দেশ্য নতুন সৃষ্টি করবেন না। তাঁর অমিয় বাণী হাদিস, তাঁর প্রদর্শিত পথ ও সত্যের বিরুদ্ধাচরণ করবেন না, এ ছাড়া কোনো অসদুদ্দেশ্যে কোনো বিষয়েই প্রতারণার আশ্রয় নেবেন না। একজন সৎ ও পরহেজগার মানুষের মধ্যে প্রতারণা, ছলনা, ধোঁকা এবং বিশ্বাসঘাতকতার লেশমাত্র থাকতে পারে না। রসুলুল্লাহ (সা.) সততার সুফলের প্রতি ইঙ্গিত করে ইরশাদ করেন, তোমাদের উচিত সততা গ্রহণ করা, নিশ্চয় সততা পুণ্যের দিকে নিয়ে যায় আর পুণ্য জান্নাত পর্যন্ত পৌঁছে দেয়। আর মানুষ সত্যবাদী ও সত্যান্বেষী হয়ে আল্লাহর কাছে সিদ্দিক হিসেবে পরিগণিত হয়। (বুখারি ও মুসলিম)।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

প্রতারণার পরিণাম

আপলোড টাইম : ০৫:১৪:৩৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৮ এপ্রিল ২০১৭

ধর্ম ডেস্ক: সব প্রশংসা আল্লাহতায়ালার, যিনি এ প্রশংসার হকদার। যিনি সত্যবাদীকে পুরস্কৃত করবেন এবং প্রতারক ও মিথ্যাবাদীকে শাস্তি দেবেন; যা তাঁর সুচিন্তিত ও ইনসাফপূর্ণ ভিত্তিতে স্থিরকৃত। সাক্ষ্য প্রদান করছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরিক নেই এবং সাক্ষ্য প্রদান করছি মুহাম্মদ (সা.) তাঁর বান্দা ও রসুল। তিনি সৃষ্টির সর্বশ্রেষ্ঠ মানব। তাঁর প্রতি অসংখ্য দরুদ ও সালাম। সর্বোপরি আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতায়ালাকে প্রকাশ্যে ও গোপনে সর্বাবস্থায় ভয় করুন এবং সৎ মানুষের সঙ্গী হোন। সত্গুণ অর্জন করা যেমন জরুরি তেমন অসত্গুণ পরিত্যাগ করাও জরুরি। মানুষের মধ্যে এমন কিছু খারাপ স্বভাব রয়েছে যা নিন্দনীয় ও গর্হিত যেমন প্রতারণা, মিথ্যাচার, ওয়াদা খেলাপ, মুনাফিকি ইত্যাদি। প্রতারণা মানব চরিত্রের একটি মারাত্মক রোগ। প্রতারণা বা কৌশলে অন্যকে ঠকানো কবিরা গুনা তথা হারাম। এ ছাড়া প্রতারণা মূলত মুনাফিকদের স্বভাব যা আল কোরআনে বর্ণিত হয়েছে। ইরশাদ হচ্ছে (মুনাফিকরা মুখে কেবল ইমানের দাবিদার), এরা আল্লাহ ও তাঁর নেক বান্দাদের সঙ্গে প্রতারণা করে যাচ্ছে, (মূলত এ কাজের মাধ্যমে) তারা অন্য কাউকে নয় নিজেদেরই প্রতারিত করছে। অথচ তারা উপলব্ধি করতে পারছে না। (আসলে) এদের কলবে রয়েছে ব্যাধি। (প্রতারণার কারণে) আল্লাহতায়ালা তাদের ব্যাধি বাড়িয়ে দিয়েছেন। তাদের জন্য রয়েছে তাঁর পক্ষ থেকে পীড়াদায়ক শাস্তি কেননা তারা মিথ্যা বলেছিল। সূরা আল বাকারা : ৯ ও ১০। আল্লাহ আরও ইরশাদ করেন। অবশ্যই মুনাফিকরা প্রতারণা করছে আল্লাহর সঙ্গে অথচ তারা নিজেরাই নিজেদের প্রতারিত করছে। আর যখন তারা নামাজে দাঁড়ায় তখন দাঁড়ায় একান্ত শিথিলভাবে লোক দেখানোর জন্য আর তারা আল্লাহকে খুব কমই স্মরণ করে। সূরা আন নিসা : ১৪২। মহান রব্বুল আলামিনের ইবাদত করুন একনিষ্ঠভাবে। ইবাদতের মাঝে যেন কোনো ধরনের প্রতারণা, রিয়া বা নিফাকির লেশমাত্র না থাকে। আর আল্লাহর রসুলের অনুসরণের বিষয়েও কোনো প্রকার প্রতারণার আশ্রয় নেবেন না। লোক দেখানো কোনো কাজ করবেন না। তাঁর শরিয়তের বিষয়ে নতুন কিছু নিজের থেকে বা অন্য কোনো উদ্দেশ্য নতুন সৃষ্টি করবেন না। তাঁর অমিয় বাণী হাদিস, তাঁর প্রদর্শিত পথ ও সত্যের বিরুদ্ধাচরণ করবেন না, এ ছাড়া কোনো অসদুদ্দেশ্যে কোনো বিষয়েই প্রতারণার আশ্রয় নেবেন না। একজন সৎ ও পরহেজগার মানুষের মধ্যে প্রতারণা, ছলনা, ধোঁকা এবং বিশ্বাসঘাতকতার লেশমাত্র থাকতে পারে না। রসুলুল্লাহ (সা.) সততার সুফলের প্রতি ইঙ্গিত করে ইরশাদ করেন, তোমাদের উচিত সততা গ্রহণ করা, নিশ্চয় সততা পুণ্যের দিকে নিয়ে যায় আর পুণ্য জান্নাত পর্যন্ত পৌঁছে দেয়। আর মানুষ সত্যবাদী ও সত্যান্বেষী হয়ে আল্লাহর কাছে সিদ্দিক হিসেবে পরিগণিত হয়। (বুখারি ও মুসলিম)।