ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

প্রণোদনার তালিকায় নাম লিখতে দিতে হচ্ছে টাকা!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:১৯:১০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ এপ্রিল ২০২১
  • / ৫২ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস:
ঝিনাইদহের বিভিন্ন ইউনিয়নে গবাদি পশু পালনকারীদের প্রণোদনার টাকা দেওয়া হচ্ছে। প্রথম দফায় টাকা বিতরণ শেষে এখন দ্বিতীয় দফার তালিকা করা হচ্ছে। এই তালিকায় নাম লেখাতে এখন টাকা দিতে হচ্ছে। প্রকাশ্যে টাকা নেওয়ার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে নেট দুনিয়ায়। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার গান্না ইউনিয়নের এক নারী উদ্যোক্তা আবেদনকারীদের কাছ থেকে ৫০ থেকে ২০ টাকা করে গ্রহণ করছেন।
তবে ওই নারী উদ্যোক্তা জানান, তিনি কারও কাছ থেকে জোর করে টাকা নিচ্ছেন না। খুশি হয়ে ১০-২০ টাকা করে দিচ্ছেন। কারণ একজন খামারির সব কাগজ ঠিক করা হচ্ছে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার থেকে। তাই ভিডিওটি সত্য কোন বার্তা বহন করে না। এদিকে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার দপ্তর থেকে জানা গেছে, গবাদি পশু পালনে বিশ্বব্যাংকের দেওয়া প্রণোদনায় বাদ পড়া ব্যক্তিদের তালিকা করা হচ্ছে। সুষ্ঠ ভাবে তালিকা করতে সকল ইউপি চেয়ারম্যানদের দেখভাল করার দায়িত্ব দিয়েছেন ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম শাহীন। গত বৃহস্পতিবার থেকে সদর উপজেলার ইউনিয়নে ইউনিয়নে প্রণোদনা পেতে আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে। এ খবর শুনে শত শত পশুপালনকারী জড়ো হচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারে। গান্না ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারের জনৈক নারী উদ্যোক্তার টাকা নেওয়ার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে গান্না ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান ওবায়দুল হক রিপন বলেন, আমি ঘটনাটি শোনার পর টাকা নিতে নিষেধ করেছি। ঝিনাইদহ সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সুব্রত কুমার ব্যানার্জী বলেন, খুলনা বিভাগের সব থেকে বেশি গবাদি পশুর ওপর প্রণোদনা পেয়েছে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার লোকজন।
এই সময় বিভিন্ন সমস্যার কারণে বাদ পড়াদের জন্য আবার একটি তালিকা করা হচ্ছে। সরেজমিন তদন্তের পর তথ্য সঠিক থাকলে বাদপড়ারাও পেতে পারেন। কিন্তু আমরা তো এত লোকের তালিকা করতে বলিনি। টাকা গ্রহনের ভিডিও দেখে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বলেন, গবাদি পশু পালনে প্রণোদনা বিতরণে উপজেলা কমিটির সভাপতি ইউএনও। তার কাছে এই ভিডিও আমি দিয়েছি। এই বিষয়ে তিনি সিদ্ধান্ত নিবেন।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম শাহীন বলেন, আমি চেয়ারম্যানকে তালিকা করতে দিয়েছি। তিনি কাকে দিয়ে তালিকা করাবেন বা আবেদন নিবেন সেটার দায়ভার তার। যদি কোন অনিয়ম হয় তাহলে তার জবাব তিনি দিবেন। গান্না ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের ওই নারী উদ্যোক্তা নাসরিন আক্তার জানান, আমরা তো সরকারি কোন বেতন পায় না। অসহায় ভাবে জীবন যাপন করি। ইউনিয়নবাসির কাজ করে দেওয়ার পর তারা যদি ১০-২০ টাকা খুশি হয়ে দেন তবে তা কি দোষের ? আমরা তো জবরদস্তি করে কারো কাছ থেকে টাকা আদায় করি না। নাসরিন যোগ করেন গান্নায় চেয়ারম্যান প্রার্থীদের দলাদলির কারণে আমরা টার্গেট হচ্ছি। এ কারণে মিথ্যা ও অসত্য তথ্য প্রচার করা হচ্ছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

প্রণোদনার তালিকায় নাম লিখতে দিতে হচ্ছে টাকা!

আপলোড টাইম : ১০:১৯:১০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ এপ্রিল ২০২১

ঝিনাইদহ অফিস:
ঝিনাইদহের বিভিন্ন ইউনিয়নে গবাদি পশু পালনকারীদের প্রণোদনার টাকা দেওয়া হচ্ছে। প্রথম দফায় টাকা বিতরণ শেষে এখন দ্বিতীয় দফার তালিকা করা হচ্ছে। এই তালিকায় নাম লেখাতে এখন টাকা দিতে হচ্ছে। প্রকাশ্যে টাকা নেওয়ার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে নেট দুনিয়ায়। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার গান্না ইউনিয়নের এক নারী উদ্যোক্তা আবেদনকারীদের কাছ থেকে ৫০ থেকে ২০ টাকা করে গ্রহণ করছেন।
তবে ওই নারী উদ্যোক্তা জানান, তিনি কারও কাছ থেকে জোর করে টাকা নিচ্ছেন না। খুশি হয়ে ১০-২০ টাকা করে দিচ্ছেন। কারণ একজন খামারির সব কাগজ ঠিক করা হচ্ছে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার থেকে। তাই ভিডিওটি সত্য কোন বার্তা বহন করে না। এদিকে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার দপ্তর থেকে জানা গেছে, গবাদি পশু পালনে বিশ্বব্যাংকের দেওয়া প্রণোদনায় বাদ পড়া ব্যক্তিদের তালিকা করা হচ্ছে। সুষ্ঠ ভাবে তালিকা করতে সকল ইউপি চেয়ারম্যানদের দেখভাল করার দায়িত্ব দিয়েছেন ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম শাহীন। গত বৃহস্পতিবার থেকে সদর উপজেলার ইউনিয়নে ইউনিয়নে প্রণোদনা পেতে আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে। এ খবর শুনে শত শত পশুপালনকারী জড়ো হচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারে। গান্না ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারের জনৈক নারী উদ্যোক্তার টাকা নেওয়ার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে গান্না ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান ওবায়দুল হক রিপন বলেন, আমি ঘটনাটি শোনার পর টাকা নিতে নিষেধ করেছি। ঝিনাইদহ সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সুব্রত কুমার ব্যানার্জী বলেন, খুলনা বিভাগের সব থেকে বেশি গবাদি পশুর ওপর প্রণোদনা পেয়েছে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার লোকজন।
এই সময় বিভিন্ন সমস্যার কারণে বাদ পড়াদের জন্য আবার একটি তালিকা করা হচ্ছে। সরেজমিন তদন্তের পর তথ্য সঠিক থাকলে বাদপড়ারাও পেতে পারেন। কিন্তু আমরা তো এত লোকের তালিকা করতে বলিনি। টাকা গ্রহনের ভিডিও দেখে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বলেন, গবাদি পশু পালনে প্রণোদনা বিতরণে উপজেলা কমিটির সভাপতি ইউএনও। তার কাছে এই ভিডিও আমি দিয়েছি। এই বিষয়ে তিনি সিদ্ধান্ত নিবেন।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম শাহীন বলেন, আমি চেয়ারম্যানকে তালিকা করতে দিয়েছি। তিনি কাকে দিয়ে তালিকা করাবেন বা আবেদন নিবেন সেটার দায়ভার তার। যদি কোন অনিয়ম হয় তাহলে তার জবাব তিনি দিবেন। গান্না ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের ওই নারী উদ্যোক্তা নাসরিন আক্তার জানান, আমরা তো সরকারি কোন বেতন পায় না। অসহায় ভাবে জীবন যাপন করি। ইউনিয়নবাসির কাজ করে দেওয়ার পর তারা যদি ১০-২০ টাকা খুশি হয়ে দেন তবে তা কি দোষের ? আমরা তো জবরদস্তি করে কারো কাছ থেকে টাকা আদায় করি না। নাসরিন যোগ করেন গান্নায় চেয়ারম্যান প্রার্থীদের দলাদলির কারণে আমরা টার্গেট হচ্ছি। এ কারণে মিথ্যা ও অসত্য তথ্য প্রচার করা হচ্ছে।