ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

পৌরসভায় যাচ্ছেন না কাউন্সিলররা : নাগরিক সেবায় ভোগান্তি!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৩৭:১৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অক্টোবর ২০২১
  • / ১২ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গা পৌরসভায় মেয়র ও কাউন্সিলরদের মধ্যে অঘোষিত দূরত্ব : মেয়রের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গা পৌরসভায় মেয়র ও কাউন্সিলরদের মধ্যে তৈরি হয়েছে অঘোষিত দূরত্ব। গত দুদিন ধরে পৌরসভায় যাচ্ছেন না কাউন্সিলরগণ। এতে নাগরিক সেবা পেতে বেগ পোহাচ্ছেন পৌরসভার সেবাপ্রার্থীরা। নাম প্রকাশ না করার শর্ত দিয়ে বেশ কয়েকজন কাউন্সিলর বলছেন, মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক খোকনের স্বেচ্ছাচারিতার কারণেই যাচ্ছেন না তাঁরা। এসব কাউন্সিলরের অভিযোগ পৌরসভার বিভিন্ন সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে নেওয়া হচ্ছে না কাউন্সিলরদের মতামত। এছাড়াও, গত আগস্ট এবং অক্টোবর মাসের পৌর পরিষদের মাসিক সভাও অনুষ্ঠিত হয়নি। তবে, নতুন পৌর পরিষদের দায়িত্ব নেওয়ার মাত্র ৮ মাসের মাথায় এ ধরনের মতভেদকে স্বাভাবিকভাবে দেখছেন না সচেতন মহল। তাঁরা বলছেন, দ্রুতই এ সমস্যার সমাধান প্রয়োজন। যেখানে নাগরিক সেবা ব্যহত, সেখানে সমাধানের জন্য দেরি করা উচিত নয়।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গাসহ সারা দেশেই শিক্ষার্থীদের অনলাইন নিবন্ধনের জন্য কাজ চলছে। সে জন্য বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের জন্মনিবন্ধনসহ বিভিন্ন কাজে পৌরসভায় নাগরিক সেবাপ্রার্থীদের এখন প্রচুর ভিড়। দীর্ঘ লাইনে থেকে নাগরিক সেবা নিতে হচ্ছে। কারো কারো কাজে বেশ কয়েকদিন ধরেই ঘুরতে হচ্ছে পৌরসভা চত্বরে। এরইমধ্যে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভায় গত রোববার ও সোমবার কাউন্সিলররা আসেননি, করেননি অফিসও। এমনিতে সেবাপ্রার্থীদের ভিড়, তারওপর আবার আসছেন না কাউন্সিলররা। এ যেন লেজে-গোবরে অবস্থা।
গত রোববার ও গতকাল সোমবার সরেজমিনে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভায় দেখা গেছে, দ্বিতীয় তলায় কাউন্সিলরদের কক্ষটি খোলা থাকলেও ছিলেন না একজনও কাউন্সিলর। পৌরসভার প্রবেশমুখ থেকেই বোঝা যাচ্ছিল একাধিক ব্যক্তিই আছেন স্ব স্ব ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের সন্ধানে। জন্মনিবন্ধন আবেদন থেকে শুরু করে নাগরিক সনদ, প্রত্যায়নপত্র সবকিছুতেই লাগে কাউন্সিলরদের সিল-স্বাক্ষর।
পৌরসভায় সেবা নিতে আসা এক পৌর নাগরিক রাসেল আলী বলেন, মেয়ে সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে পড়ে। জন্মনিবন্ধনে নামের বানানে আক্ষরিক একটু ভুল আছে। এখন নতুন নিয়মে সেগুলো সংশোধন করাতে হলে, আমার এবং স্ত্রীর জন্মনিবন্ধনও করাতে হবে। সবমিলিয়ে অল্প ভুলে খাটনি অনেক বেশি। তারওপর আবার কাউন্সিলররা আসছেন না। পড়েছি চরম ভোগান্তিতে।
এদিকে, পৌরসভার বেশ কয়েকজন কাউন্সিলরের সাথে কথা হলে কেউই নাম প্রকাশ করে তাদের বক্তব্য দিতে রাজি হননি। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেশ কয়েকজন কাউন্সিলর জানিয়েছেন, পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক খোকনের স্বেচ্ছাচারিতার প্রতিবাদেই কাউন্সিলররা পৌরসভায় যাচ্ছেন না। তাঁদের অভিযোগ, গত আগস্ট এবং অক্টোবর মাসে পৌর পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়নি। মেয়র পৌরসভার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তেও কাউন্সিলরদের মতামত নেন না। কাউন্সিলররা একাধিকবার বলার পরও গত ৮ মাসে তৈরি হয়নি নতুন পরিষদের নামের অনার বোর্ড।
কাউন্সিলররা আরও জানিয়েছেন, পৌরসভায় এখন নাগরিক সেবার মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে জন্মনিবন্ধন। প্রচুর নাগরিক এ সেবা নিতে আসছেন প্রতিদিন। সেখানে মেয়রের নিজস্ব লোকজন একদিনেই বিভিন্ন কাজ করাচ্ছেন। অথচ কাউন্সিলরদেরকে দেওয়া হচ্ছে না গুরুত্ব। কোনো কাউন্সিলরের সুপারিশ না চললেও, চলছে মেয়রের নিজস্ব লোকের সুপারিশ। এসব কাজে সরাসরি যুক্ত থাকা রাব্বি এবং মানিক নামের দুই ব্যক্তি পৌরসভার কর্মকর্তা বা কর্মচারী কিছুই নন।
কাউন্সিলরদের আরও অভিযোগ, শহরের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে কাউন্সিলরদের কোনো সুপারিশই শোনেন না পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক খোকন। রোড লাইট, পানিসহ বিভিন্ন নাগরিক সেবার ক্ষেত্রেই নানা রকম অভিযোগ প্রথমে কাউন্সিলরদের কাছে করেন পৌরবাসী। তবে, কাউন্সিলররা সংশ্লিষ্ট শাখায় বললেও নেওয়া হয় না ব্যবস্থা। মেয়রের অনুমতি না নিয়ে কোনো কাজই এখন হচ্ছে না পৌরসভায়। মেয়রকে জানালেও কাউন্সিলরদের মতের গুরুত্ব দেওয়া হয় না বলেই অভিযোগ এসব কাউন্সিলরের।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেশ কয়েকজন কাউন্সিলর আরও জানিয়েছেন, গত দুদিনে একান্তই কেউ কেউ পৌরসভা চত্বরে গেছেন বিশেষ কোনো কাজ থাকলে। তাও সেটা খুবই কম সময়ের জন্য। তবে বাইরে থেকেও তাঁরা প্রত্যোকেই নাগরিক সেবা দিচ্ছেন। শুধুমাত্র পৌরসভায় যাচ্ছেন না।
চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার সচিব কাজী শরিফুল ইসলামের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রোববার ও সোমবার কাউন্সিলররা পৌরসভায় কম এসেছেন, এটি ঠিক। তবে কেন আসেননি, তা আমার জানা নেই। কেউ আমাকে এবিষয়ে কিছু বলেননি।
এবিষয়ে চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক খোকন বলেন, ‘পৌরসভায় কাউন্সিলররা আসছেন না, এটা ঠিক নয়। কাউন্সিলররা আসছেন। হয়ত কম আসতে পারে। পৌরসভার স্বাভাবিক কার্যক্রম চলমান আছে। প্যানেল মেয়র-১ ও আমি নিয়মিত অফিস করছি।’ কাউন্সিলরদের মতবিরোধের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এদিকে, সচেতন মহল বলছেন, মাত্র ৮ মাসের মাথায় এ ধরনের মতভেদ দুঃখজনক। চুয়াডাঙ্গা পৌরসভায় নাগরিক সেবাপ্রার্থীদের দাবি, বিষয়টির দ্রুত সমাধান করার।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

পৌরসভায় যাচ্ছেন না কাউন্সিলররা : নাগরিক সেবায় ভোগান্তি!

আপলোড টাইম : ০৯:৩৭:১৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অক্টোবর ২০২১

চুয়াডাঙ্গা পৌরসভায় মেয়র ও কাউন্সিলরদের মধ্যে অঘোষিত দূরত্ব : মেয়রের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গা পৌরসভায় মেয়র ও কাউন্সিলরদের মধ্যে তৈরি হয়েছে অঘোষিত দূরত্ব। গত দুদিন ধরে পৌরসভায় যাচ্ছেন না কাউন্সিলরগণ। এতে নাগরিক সেবা পেতে বেগ পোহাচ্ছেন পৌরসভার সেবাপ্রার্থীরা। নাম প্রকাশ না করার শর্ত দিয়ে বেশ কয়েকজন কাউন্সিলর বলছেন, মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক খোকনের স্বেচ্ছাচারিতার কারণেই যাচ্ছেন না তাঁরা। এসব কাউন্সিলরের অভিযোগ পৌরসভার বিভিন্ন সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে নেওয়া হচ্ছে না কাউন্সিলরদের মতামত। এছাড়াও, গত আগস্ট এবং অক্টোবর মাসের পৌর পরিষদের মাসিক সভাও অনুষ্ঠিত হয়নি। তবে, নতুন পৌর পরিষদের দায়িত্ব নেওয়ার মাত্র ৮ মাসের মাথায় এ ধরনের মতভেদকে স্বাভাবিকভাবে দেখছেন না সচেতন মহল। তাঁরা বলছেন, দ্রুতই এ সমস্যার সমাধান প্রয়োজন। যেখানে নাগরিক সেবা ব্যহত, সেখানে সমাধানের জন্য দেরি করা উচিত নয়।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গাসহ সারা দেশেই শিক্ষার্থীদের অনলাইন নিবন্ধনের জন্য কাজ চলছে। সে জন্য বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের জন্মনিবন্ধনসহ বিভিন্ন কাজে পৌরসভায় নাগরিক সেবাপ্রার্থীদের এখন প্রচুর ভিড়। দীর্ঘ লাইনে থেকে নাগরিক সেবা নিতে হচ্ছে। কারো কারো কাজে বেশ কয়েকদিন ধরেই ঘুরতে হচ্ছে পৌরসভা চত্বরে। এরইমধ্যে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভায় গত রোববার ও সোমবার কাউন্সিলররা আসেননি, করেননি অফিসও। এমনিতে সেবাপ্রার্থীদের ভিড়, তারওপর আবার আসছেন না কাউন্সিলররা। এ যেন লেজে-গোবরে অবস্থা।
গত রোববার ও গতকাল সোমবার সরেজমিনে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভায় দেখা গেছে, দ্বিতীয় তলায় কাউন্সিলরদের কক্ষটি খোলা থাকলেও ছিলেন না একজনও কাউন্সিলর। পৌরসভার প্রবেশমুখ থেকেই বোঝা যাচ্ছিল একাধিক ব্যক্তিই আছেন স্ব স্ব ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের সন্ধানে। জন্মনিবন্ধন আবেদন থেকে শুরু করে নাগরিক সনদ, প্রত্যায়নপত্র সবকিছুতেই লাগে কাউন্সিলরদের সিল-স্বাক্ষর।
পৌরসভায় সেবা নিতে আসা এক পৌর নাগরিক রাসেল আলী বলেন, মেয়ে সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে পড়ে। জন্মনিবন্ধনে নামের বানানে আক্ষরিক একটু ভুল আছে। এখন নতুন নিয়মে সেগুলো সংশোধন করাতে হলে, আমার এবং স্ত্রীর জন্মনিবন্ধনও করাতে হবে। সবমিলিয়ে অল্প ভুলে খাটনি অনেক বেশি। তারওপর আবার কাউন্সিলররা আসছেন না। পড়েছি চরম ভোগান্তিতে।
এদিকে, পৌরসভার বেশ কয়েকজন কাউন্সিলরের সাথে কথা হলে কেউই নাম প্রকাশ করে তাদের বক্তব্য দিতে রাজি হননি। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেশ কয়েকজন কাউন্সিলর জানিয়েছেন, পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক খোকনের স্বেচ্ছাচারিতার প্রতিবাদেই কাউন্সিলররা পৌরসভায় যাচ্ছেন না। তাঁদের অভিযোগ, গত আগস্ট এবং অক্টোবর মাসে পৌর পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়নি। মেয়র পৌরসভার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তেও কাউন্সিলরদের মতামত নেন না। কাউন্সিলররা একাধিকবার বলার পরও গত ৮ মাসে তৈরি হয়নি নতুন পরিষদের নামের অনার বোর্ড।
কাউন্সিলররা আরও জানিয়েছেন, পৌরসভায় এখন নাগরিক সেবার মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে জন্মনিবন্ধন। প্রচুর নাগরিক এ সেবা নিতে আসছেন প্রতিদিন। সেখানে মেয়রের নিজস্ব লোকজন একদিনেই বিভিন্ন কাজ করাচ্ছেন। অথচ কাউন্সিলরদেরকে দেওয়া হচ্ছে না গুরুত্ব। কোনো কাউন্সিলরের সুপারিশ না চললেও, চলছে মেয়রের নিজস্ব লোকের সুপারিশ। এসব কাজে সরাসরি যুক্ত থাকা রাব্বি এবং মানিক নামের দুই ব্যক্তি পৌরসভার কর্মকর্তা বা কর্মচারী কিছুই নন।
কাউন্সিলরদের আরও অভিযোগ, শহরের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে কাউন্সিলরদের কোনো সুপারিশই শোনেন না পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক খোকন। রোড লাইট, পানিসহ বিভিন্ন নাগরিক সেবার ক্ষেত্রেই নানা রকম অভিযোগ প্রথমে কাউন্সিলরদের কাছে করেন পৌরবাসী। তবে, কাউন্সিলররা সংশ্লিষ্ট শাখায় বললেও নেওয়া হয় না ব্যবস্থা। মেয়রের অনুমতি না নিয়ে কোনো কাজই এখন হচ্ছে না পৌরসভায়। মেয়রকে জানালেও কাউন্সিলরদের মতের গুরুত্ব দেওয়া হয় না বলেই অভিযোগ এসব কাউন্সিলরের।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেশ কয়েকজন কাউন্সিলর আরও জানিয়েছেন, গত দুদিনে একান্তই কেউ কেউ পৌরসভা চত্বরে গেছেন বিশেষ কোনো কাজ থাকলে। তাও সেটা খুবই কম সময়ের জন্য। তবে বাইরে থেকেও তাঁরা প্রত্যোকেই নাগরিক সেবা দিচ্ছেন। শুধুমাত্র পৌরসভায় যাচ্ছেন না।
চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার সচিব কাজী শরিফুল ইসলামের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রোববার ও সোমবার কাউন্সিলররা পৌরসভায় কম এসেছেন, এটি ঠিক। তবে কেন আসেননি, তা আমার জানা নেই। কেউ আমাকে এবিষয়ে কিছু বলেননি।
এবিষয়ে চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক খোকন বলেন, ‘পৌরসভায় কাউন্সিলররা আসছেন না, এটা ঠিক নয়। কাউন্সিলররা আসছেন। হয়ত কম আসতে পারে। পৌরসভার স্বাভাবিক কার্যক্রম চলমান আছে। প্যানেল মেয়র-১ ও আমি নিয়মিত অফিস করছি।’ কাউন্সিলরদের মতবিরোধের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এদিকে, সচেতন মহল বলছেন, মাত্র ৮ মাসের মাথায় এ ধরনের মতভেদ দুঃখজনক। চুয়াডাঙ্গা পৌরসভায় নাগরিক সেবাপ্রার্থীদের দাবি, বিষয়টির দ্রুত সমাধান করার।