ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

পৌরসভার প্রধান ফটকে তালা!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:১৭:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২০
  • / ২৫৫ বার পড়া হয়েছে

গাংনীতে কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে কর্মচারীকে মারধরের অভিযোগ
গাংনী অফিস:
মেহেরপুরের গাংনী পৌরসভার কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধে অসাদচারণের অভিযোগ তুলে র্কমকর্তা-কর্মচারীরা পৌর ভবনের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়েছেন। গতকাল বুধবার দুপুরে এ তালা ঝোলানোর ঘটনাটি ঘটেছে। এ ঘটনায় পৌর মেয়রকে দায়ী করেছেন কাউন্সিলররা। তাঁদের অভিযোগ মেয়রের কাছে পৌরসভার কাজের উন্নয়ন কাজ ও বিভিন্ন হিসেব চাওয়ায় তিনি কৌশলে কর্মচারী দিয়ে তালা লাগিয়ে দেওয়ার কাজটি করিয়েছেন।
প্যানেল মেয়র নবিরুদ্দীন জানান, সম্প্রতি মেয়র আশরাফুল ইসলাম নিজেই সব কাজ করেন। এমনকি কারও জন্ম নিবন্ধনসহ অন্য সনদ দিতে অতিরিক্ত টাকা নেন। এর প্রতিবাদ ও কাজের অগ্রগতি উন্নয়ন জানতে চাইলে মেয়র পৌর কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়ে পৌরসভার মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ায় কোনো কাউন্সিলর অফিসে ঢুকতে পারেননি। ফলে কাউন্সিলররা মেয়রের বিরুদ্ধে ক্ষেপে গিয়ে পাল্টা তালা লাগিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, একজন কাউন্সিলর পৌর কর্মচারীকে কখনো মারধর করতে পারে না। মিথ্যা অজুহাতে মেয়রের উদ্দেশ্যে বাস্তবায়ন করতে এ কাজ করেছেন।
পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলাম জানান, ‘জন্ম সনদ দেওয়া নিয়ে ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর বাবলু আহম্মেদ পৌরসভার কর্মচারী জাহাঙ্গীর আলমকে মারধর ও তাঁর সঙ্গে অসদাচরণ করেন। এতে রাগান্বিত হয়ে কর্মচারী পরিষদ সিদ্ধান্ত নিয়ে মূল ফটকে তালা লাগিয়ে দেন। তাঁদের আলাদা সংগঠন আছে, তাই তাঁরা তাঁদের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে আমার কী বলার আছে। এ ঘটনায় কাউন্সিলররা আমাকে দায়ী করছে, এতে আমি দায়ী কি করে? আর পৌরসভার উন্নয়ন কাজ কি আমি করি। এখন সব টেন্ডার ইজিপির মাধ্যমে এসে পৌরসভার কারোর হাত থাকে না। ফলে আমার কাছে ইজিপি টাকার ভাগ চাইলে তো আমি দিতে পারিনি।’ তবে বিষয়টি নিয়ে উভয় পক্ষের সঙ্গে বসে সমাধান করতে চাইলে কাউন্সিলররা বসবেন না বলে জানিয়েছেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

পৌরসভার প্রধান ফটকে তালা!

আপলোড টাইম : ১০:১৭:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২০

গাংনীতে কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে কর্মচারীকে মারধরের অভিযোগ
গাংনী অফিস:
মেহেরপুরের গাংনী পৌরসভার কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধে অসাদচারণের অভিযোগ তুলে র্কমকর্তা-কর্মচারীরা পৌর ভবনের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়েছেন। গতকাল বুধবার দুপুরে এ তালা ঝোলানোর ঘটনাটি ঘটেছে। এ ঘটনায় পৌর মেয়রকে দায়ী করেছেন কাউন্সিলররা। তাঁদের অভিযোগ মেয়রের কাছে পৌরসভার কাজের উন্নয়ন কাজ ও বিভিন্ন হিসেব চাওয়ায় তিনি কৌশলে কর্মচারী দিয়ে তালা লাগিয়ে দেওয়ার কাজটি করিয়েছেন।
প্যানেল মেয়র নবিরুদ্দীন জানান, সম্প্রতি মেয়র আশরাফুল ইসলাম নিজেই সব কাজ করেন। এমনকি কারও জন্ম নিবন্ধনসহ অন্য সনদ দিতে অতিরিক্ত টাকা নেন। এর প্রতিবাদ ও কাজের অগ্রগতি উন্নয়ন জানতে চাইলে মেয়র পৌর কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়ে পৌরসভার মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ায় কোনো কাউন্সিলর অফিসে ঢুকতে পারেননি। ফলে কাউন্সিলররা মেয়রের বিরুদ্ধে ক্ষেপে গিয়ে পাল্টা তালা লাগিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, একজন কাউন্সিলর পৌর কর্মচারীকে কখনো মারধর করতে পারে না। মিথ্যা অজুহাতে মেয়রের উদ্দেশ্যে বাস্তবায়ন করতে এ কাজ করেছেন।
পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলাম জানান, ‘জন্ম সনদ দেওয়া নিয়ে ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর বাবলু আহম্মেদ পৌরসভার কর্মচারী জাহাঙ্গীর আলমকে মারধর ও তাঁর সঙ্গে অসদাচরণ করেন। এতে রাগান্বিত হয়ে কর্মচারী পরিষদ সিদ্ধান্ত নিয়ে মূল ফটকে তালা লাগিয়ে দেন। তাঁদের আলাদা সংগঠন আছে, তাই তাঁরা তাঁদের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে আমার কী বলার আছে। এ ঘটনায় কাউন্সিলররা আমাকে দায়ী করছে, এতে আমি দায়ী কি করে? আর পৌরসভার উন্নয়ন কাজ কি আমি করি। এখন সব টেন্ডার ইজিপির মাধ্যমে এসে পৌরসভার কারোর হাত থাকে না। ফলে আমার কাছে ইজিপি টাকার ভাগ চাইলে তো আমি দিতে পারিনি।’ তবে বিষয়টি নিয়ে উভয় পক্ষের সঙ্গে বসে সমাধান করতে চাইলে কাউন্সিলররা বসবেন না বলে জানিয়েছেন।