ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

পোস্টার নিয়ে মুখ খুললেন পরী মনি

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৪:৩৮:৩৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ এপ্রিল ২০১৭
  • / ৫৮৯ বার পড়া হয়েছে

বিনোদন ডেস্ক: বাংলাদেশের সিনেমার পোস্টার নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন ঢালিউড অভিনেত্রী পরী মনি। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোররাতে নিজের ফেসবুক পাতায় এ বিষয়ে বিস্তারিত লেখেন এই নায়িকা। পাঠকদের জন্য সেটি হুবহু তুলে ধরা হলো। ‘সরি টু সে (দুঃখের সঙ্গে বলছি), প্রায় বেশির ভাগ সিনেমা মুক্তির সময় সিনেমাটার পোস্টার ডিরেক্টরের ফেসবুক ওয়ালে দেখে ডিরেক্টরকে আমার কল করতে হয়। যেখানে আমার শুধু ফেসকাটটাই ঠিক থাকে আর বডি পার্টস নিজেই চিনতে পারি না। তাদের ইচ্ছামতো অঙ্গ সোজা করে নেন তারা। পোস্টারে পোস্টার ডিজাইনারের নাম থাকে না। কি করে থাকবে ওই ডিজাইন তো একা করে না। ১০০ জন মিলে করলে তো আর ১০০ জনের নাম পোস্টারে ধরবে না। ওকে, এখন থেকে তাহলে ছবি শুরুর আগে পোস্টার শ্যুট হবে। যেটা বাংলাদেশ ছাড়া প্রায় সব ফিল্মে হয়। আবার কোনো ডিরেক্টর ক্ষেপে যান কে জানে। বয়কট নিয়ম তো এখন। বাই দ্য ওয়ে (যাই হোক), আমি কোনো ডিরেক্টরকে অসম্মান করে বা কষ্ট দিয়ে কিচ্ছু বলিনি। আমি আমার অধিকার থেকে বলছি, কারণ ছবিটা আমারও ছবি।’ ‘একজন ডিরেক্টর একজন প্রডিউসার যেমন চায় তার ছবিটা ভালো হোক, ভালো চলুক, ঠিক আমিও সেটাই চাই। সো, তফাতটা কোথায়? তফাত হলো দর্শকের চাহিদা, রুচিবোধের দৌড় এর সাথে তাদেরও সমান তালে দৌড়াতে হবে।’ ‘আমি একজন দর্শক হিসেবে যদি বলি তাহলে, কেবল একটা স্টেজ এর দর্শক মাথায় রেখে পোস্টার না করে একটা ভালো গল্পের ওই গল্পকে মাথায় নিয়ে পোস্টার করেন। ছবি দেখার দায়িত্ব দর্শকের ওপর ছেড়ে দিতে পারবেন তখন। আপনি শুধু সুন্দর একটা ছবি বানানোর দায়িত্বটা নিন প্লিজ। আর যদি একান্তই আপনার দর্শকের চিন্তা করতেই হয়, তো নিজের ঘর থেকে শুরু করুন।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

পোস্টার নিয়ে মুখ খুললেন পরী মনি

আপলোড টাইম : ০৪:৩৮:৩৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ এপ্রিল ২০১৭

বিনোদন ডেস্ক: বাংলাদেশের সিনেমার পোস্টার নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন ঢালিউড অভিনেত্রী পরী মনি। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোররাতে নিজের ফেসবুক পাতায় এ বিষয়ে বিস্তারিত লেখেন এই নায়িকা। পাঠকদের জন্য সেটি হুবহু তুলে ধরা হলো। ‘সরি টু সে (দুঃখের সঙ্গে বলছি), প্রায় বেশির ভাগ সিনেমা মুক্তির সময় সিনেমাটার পোস্টার ডিরেক্টরের ফেসবুক ওয়ালে দেখে ডিরেক্টরকে আমার কল করতে হয়। যেখানে আমার শুধু ফেসকাটটাই ঠিক থাকে আর বডি পার্টস নিজেই চিনতে পারি না। তাদের ইচ্ছামতো অঙ্গ সোজা করে নেন তারা। পোস্টারে পোস্টার ডিজাইনারের নাম থাকে না। কি করে থাকবে ওই ডিজাইন তো একা করে না। ১০০ জন মিলে করলে তো আর ১০০ জনের নাম পোস্টারে ধরবে না। ওকে, এখন থেকে তাহলে ছবি শুরুর আগে পোস্টার শ্যুট হবে। যেটা বাংলাদেশ ছাড়া প্রায় সব ফিল্মে হয়। আবার কোনো ডিরেক্টর ক্ষেপে যান কে জানে। বয়কট নিয়ম তো এখন। বাই দ্য ওয়ে (যাই হোক), আমি কোনো ডিরেক্টরকে অসম্মান করে বা কষ্ট দিয়ে কিচ্ছু বলিনি। আমি আমার অধিকার থেকে বলছি, কারণ ছবিটা আমারও ছবি।’ ‘একজন ডিরেক্টর একজন প্রডিউসার যেমন চায় তার ছবিটা ভালো হোক, ভালো চলুক, ঠিক আমিও সেটাই চাই। সো, তফাতটা কোথায়? তফাত হলো দর্শকের চাহিদা, রুচিবোধের দৌড় এর সাথে তাদেরও সমান তালে দৌড়াতে হবে।’ ‘আমি একজন দর্শক হিসেবে যদি বলি তাহলে, কেবল একটা স্টেজ এর দর্শক মাথায় রেখে পোস্টার না করে একটা ভালো গল্পের ওই গল্পকে মাথায় নিয়ে পোস্টার করেন। ছবি দেখার দায়িত্ব দর্শকের ওপর ছেড়ে দিতে পারবেন তখন। আপনি শুধু সুন্দর একটা ছবি বানানোর দায়িত্বটা নিন প্লিজ। আর যদি একান্তই আপনার দর্শকের চিন্তা করতেই হয়, তো নিজের ঘর থেকে শুরু করুন।’