ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

পৃথিবীর ধ্বংস নিয়ে স্টিফেন হকিং’র ৫ ভবিষ্যদ্বাণী

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৩১:৩৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩১ মার্চ ২০১৮
  • / ৭৪৩ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক: আর বেশিদিন নেই পৃথিবীর অস্তিত্বের। ধ্বংস হয়ে যাবে পৃথিবী। বিশ্ববিখ্যাত পদার্থবিদ ও কসমোলজিস্ট স্টিফেন হকিং মৃত্যুর আগেই সেই ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন। নিজের জীবদ্দশায় বারবার সেকথা জানিয়েছিলেন তিনি। তিনি বলেছিলেন, ধ্বংসের ঘণ্টা বেজে গিয়েছে। আর বেশিদিন নেই। বিপর্যয়ে ধ্বংস হয়ে যাবে পৃথিবী। পৃথিবীর ধ্বংস নিয়ে স্টিফেন হকিংয়ের ৬টি ভবিষ্যদ্বাণী:- ১) উল্কাপাত:- আর ৬০০ বছরের মধ্যেই আমরা পৃথিবীবাসীরা মারা যাব। উল্কাপাত ঘটবে বিশ্বজুড়ে। লাল হয়ে জ্বলবে গ্রহ। নভেম্বরে বেজিংয়ে Tencent WE Summit এ একথা বলেছিলেন স্টিফেন হকিং। তিনি বলেছিলেন, ২৬০০ সালে পৃথিবীর জনসংখ্যা দাঁড়াবে কানায় কানায়। ফলে বৈদ্যুতের খরচ পৃথিবীকে লাল গোলায় পরিণত করবে। ২) রাজত্ব করবে রোবটরা:- মানব সভ্যতার দিন শেষ হবে। পৃথিবীজুড়ে রাজত্ব করবে রোবটরা। একটি সাক্ষাৎকারে প্রফেসর হকিং একথা বলেছিলেন। তিনি জানিয়ে ছিলেন, মানুষের জায়গা নেবে মানুষেরই হাতে তৈরি রোবটরা। মানুষ এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তৈরি করতে চায়। কিন্তু একদিনই এরই হাতের পুতুল বয়ে যাবে মানুষ। ৩) পারমাণবিক শক্তি ও মানুষের আক্রমণ:- অভিব্যক্তির কুপ্রভাব আর কয়েক বছরের মধ্যেই টের পাবে মানুষ। পারমাণবিক শক্তি নিয়ে এখন থেকেই লড়াই শুরু হয়ে গেছে। মানুষ এখন একে অপরকে আক্রমণ করতে চায়। হানাহানি শুরু হয়ে গেছে। এর শেষ পৃথিবীর ধ্বংস। সেখানে প্রযুক্তি একটি বড় অস্ত্র। সেই অস্ত্রগুলির মধ্যে সবচেয়ে বড় পারমাণবিক শক্তি। পৃথিবী ধ্বংস হওয়ার এটি অন্যতম কারণ হতে পারে। ৪) অন্য বাসস্থান খুঁজবে মানুষ:- আর ১০০ বছর৷ তার মধ্যেই অন্য বাসস্থান খুঁজবে মানুষ৷ যদি না খোঁজে, তাহলে আবহাওয়ার পরিবর্তন, জনসংখ্যা বৃদ্ধিসহ একাধিক কারণে ধ্বংস হয়ে যাবে মানবসমাজ। ৫) নতুন পরিকল্পনা হতে পারে ধ্বংসের কারণ:- নতুন পরিকল্পনাকে সবসময়ই স্বাগত। কিন্তু এমন কিছু আইডিয়া আসতে চলেছে যা পৃথিবীর ধ্বংসের কারণ হতে পারে। এমনটাই বলেছিলেন স্টিফেন হকিং। সময় যত এগোবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি তত উন্নত হবে। ফলে পারমাণবিক যুদ্ধ, বিশ্ব উষ্ণায়ন ও জেনেটিকালি ইঞ্জিনিয়ারড ভাইরাস বাড়বে। আর তার ফলে ধ্বংস হতে পারে পৃথিবী।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

পৃথিবীর ধ্বংস নিয়ে স্টিফেন হকিং’র ৫ ভবিষ্যদ্বাণী

আপলোড টাইম : ০৯:৩১:৩৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩১ মার্চ ২০১৮

প্রযুক্তি ডেস্ক: আর বেশিদিন নেই পৃথিবীর অস্তিত্বের। ধ্বংস হয়ে যাবে পৃথিবী। বিশ্ববিখ্যাত পদার্থবিদ ও কসমোলজিস্ট স্টিফেন হকিং মৃত্যুর আগেই সেই ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন। নিজের জীবদ্দশায় বারবার সেকথা জানিয়েছিলেন তিনি। তিনি বলেছিলেন, ধ্বংসের ঘণ্টা বেজে গিয়েছে। আর বেশিদিন নেই। বিপর্যয়ে ধ্বংস হয়ে যাবে পৃথিবী। পৃথিবীর ধ্বংস নিয়ে স্টিফেন হকিংয়ের ৬টি ভবিষ্যদ্বাণী:- ১) উল্কাপাত:- আর ৬০০ বছরের মধ্যেই আমরা পৃথিবীবাসীরা মারা যাব। উল্কাপাত ঘটবে বিশ্বজুড়ে। লাল হয়ে জ্বলবে গ্রহ। নভেম্বরে বেজিংয়ে Tencent WE Summit এ একথা বলেছিলেন স্টিফেন হকিং। তিনি বলেছিলেন, ২৬০০ সালে পৃথিবীর জনসংখ্যা দাঁড়াবে কানায় কানায়। ফলে বৈদ্যুতের খরচ পৃথিবীকে লাল গোলায় পরিণত করবে। ২) রাজত্ব করবে রোবটরা:- মানব সভ্যতার দিন শেষ হবে। পৃথিবীজুড়ে রাজত্ব করবে রোবটরা। একটি সাক্ষাৎকারে প্রফেসর হকিং একথা বলেছিলেন। তিনি জানিয়ে ছিলেন, মানুষের জায়গা নেবে মানুষেরই হাতে তৈরি রোবটরা। মানুষ এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তৈরি করতে চায়। কিন্তু একদিনই এরই হাতের পুতুল বয়ে যাবে মানুষ। ৩) পারমাণবিক শক্তি ও মানুষের আক্রমণ:- অভিব্যক্তির কুপ্রভাব আর কয়েক বছরের মধ্যেই টের পাবে মানুষ। পারমাণবিক শক্তি নিয়ে এখন থেকেই লড়াই শুরু হয়ে গেছে। মানুষ এখন একে অপরকে আক্রমণ করতে চায়। হানাহানি শুরু হয়ে গেছে। এর শেষ পৃথিবীর ধ্বংস। সেখানে প্রযুক্তি একটি বড় অস্ত্র। সেই অস্ত্রগুলির মধ্যে সবচেয়ে বড় পারমাণবিক শক্তি। পৃথিবী ধ্বংস হওয়ার এটি অন্যতম কারণ হতে পারে। ৪) অন্য বাসস্থান খুঁজবে মানুষ:- আর ১০০ বছর৷ তার মধ্যেই অন্য বাসস্থান খুঁজবে মানুষ৷ যদি না খোঁজে, তাহলে আবহাওয়ার পরিবর্তন, জনসংখ্যা বৃদ্ধিসহ একাধিক কারণে ধ্বংস হয়ে যাবে মানবসমাজ। ৫) নতুন পরিকল্পনা হতে পারে ধ্বংসের কারণ:- নতুন পরিকল্পনাকে সবসময়ই স্বাগত। কিন্তু এমন কিছু আইডিয়া আসতে চলেছে যা পৃথিবীর ধ্বংসের কারণ হতে পারে। এমনটাই বলেছিলেন স্টিফেন হকিং। সময় যত এগোবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি তত উন্নত হবে। ফলে পারমাণবিক যুদ্ধ, বিশ্ব উষ্ণায়ন ও জেনেটিকালি ইঞ্জিনিয়ারড ভাইরাস বাড়বে। আর তার ফলে ধ্বংস হতে পারে পৃথিবী।