ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

‘পুড়িয়ে মানুষ হত্যাকারীদের জনগণ কেন ভোট দেবে’

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৫৪:৩৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ নভেম্বর ২০১৭
  • / ৪১৫ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বিএনপি-জামায়াত জোটের কঠোর সমালোচনা করে বলেছেন, যারা সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করে, আন্দোলনের নামে পুড়িয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করে, জনগণের টাকা যারা চুরি করে বিদেশে পাচার করে তারা ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখে কিভাবে? জনগণ কেন তাদের ভোট দেবে? গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে জাতীয় সংসদের ১৮তম অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশের মানুষের প্রতি আমার বিশ্বাস আছে, যাদের বিবেক আছে তারা অন্তত ওদের (বিএনপি-জামায়াত) কোনদিন ভোট দেবে না, ভোট দিতে পারে না। তাদের ভোট দিয়ে আর অশান্তি টেনে আনবে না। এই আপদকে ফিরিয়ে আনবে না। তাই ওদের স্বপ্ন দেখে কোন লাভ নেই, বড় বড় কথা বলেও কোন লাভ হবে না।
প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও সমাপনী বক্তব্য রাখেন বিরোধী দলের নেতা বেগম রওশন এরশাদ। প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ শেষে স্পিকার সংসদ অধিবেশন সমাপ্তি সংক্রান্ত রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের আদেশ পাঠ করেন। শেষ হওয়া ১৮তম অধিবেশনে মোট কার্যদিবস ছিল ১০টি। এই অধিবেশনেই ঐতিহাসিক ৭ মার্চ বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্থান পাওয়ায় ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানিয়ে সর্বসম্মতক্রমে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষ শান্তি চায়, উন্নতি চায়। আজ দেশের মানুষের জীবন যাত্রার মান উন্নত হয়েছে, মানুষ শান্তিতে আছে। তাই যারা (খালেদা জিয়া) এতিমের টাকা চুরি করে খায়, দেশকে পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করেছে, অন্তত জনগণ তাদের ভোট দেবে না, দিতে পারে না। এটাই হলো বাস্তবতা। গুম-খুন প্রসঙ্গে বিরোধী দলের নেতার বক্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গুম-খুন নানাভাবেই হচ্ছে, আবার যারা নিখোঁজ হচ্ছে তাদের অনেকে আবার ফেরতও আসছে। এটা কী শুধু বাংলাদেশে হচ্ছে? যুক্তরাজ্যে ২ লাখ ৪৫ হাজার বৃটিশ নাগরিক গুম হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থা আরও ভয়াবহ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ৫৬ হাজার বর্গমাইলের দেশে ১৬ কোটির ওপরে জনগণ বাস করে। আমরা এতো মানুষের সেবা করে যাচ্ছি। কিন্তু উন্নত দেশগুলোর জনসংখ্যা কতো? উন্নতি প্রযুক্তি ব্যবহার করার পরও তাদের দেশে এতো গুম হচ্ছে। আমরা যখনই অভিযোগ পাচ্ছি তা খতিয়ে দেখছি। দেশে একজন স্বনামধন্য আঁতেল (ফরহাদ মাযহার) আছেন তিনি নাকি গুম হয়ে গেলেন। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল তিনি খুলনায় নিউ মার্কেটে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এ ধরণের ঘটনা তো অহরহই ঘটছে।
বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের নাম উল্লেখ না না করে ইঙ্গিতের মাধ্যমে তার কঠোর সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে আরেকটি দল আছে (বিএনপি), তারা নির্বাচনে আসেনি। এখন রাস্তায় রাস্তায় চিৎকার করে বেড়াচ্ছে। বলছে তারা সরকারকে নাকি টেনেই নামাবেন। এটা এমন একজন লোক বললেন তার (মওদুদ) চরিত্র কী? ছাত্রাবস্থায় অন্য একটি দল করতো। ব্যারিস্টারি করে দেশে ফেরার পর দেখলাম আমাদের বাড়ি থেকে নড়েন না। আঁঠার মতো পড়ে থাকেন। তখন জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর পিএ মোহাম্মদ হানিফ ছিলেন, তার পিএ হিসেবেও এই লোকটা কিছুদিন কাজ করেছেন। বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর তিনি বিএনপিতে গেলেন। এরপর গেলেন জাতীয় পার্টিতে। তিনি দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছিলেন। রাষ্ট্রপতির ক্ষমাপ্রাপ্ত হয়ে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন। আবার জেনারেল এরশাদ চলে যাওয়ার পর আবারও গেল বিএনপিতে। তিনি বনানীতে চিটিং করে অবৈধভাবে একটি বাড়ি দখল করেছিলেন। আদালতের রায়ে সেই বাড়িটি হারিয়েছেন। এখন সেই ব্যক্তিটিই ঘোষণা দেন সরকারকে নাকি টেনেই নামাবেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

‘পুড়িয়ে মানুষ হত্যাকারীদের জনগণ কেন ভোট দেবে’

আপলোড টাইম : ০৯:৫৪:৩৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ নভেম্বর ২০১৭

সমীকরণ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বিএনপি-জামায়াত জোটের কঠোর সমালোচনা করে বলেছেন, যারা সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করে, আন্দোলনের নামে পুড়িয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করে, জনগণের টাকা যারা চুরি করে বিদেশে পাচার করে তারা ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখে কিভাবে? জনগণ কেন তাদের ভোট দেবে? গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে জাতীয় সংসদের ১৮তম অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশের মানুষের প্রতি আমার বিশ্বাস আছে, যাদের বিবেক আছে তারা অন্তত ওদের (বিএনপি-জামায়াত) কোনদিন ভোট দেবে না, ভোট দিতে পারে না। তাদের ভোট দিয়ে আর অশান্তি টেনে আনবে না। এই আপদকে ফিরিয়ে আনবে না। তাই ওদের স্বপ্ন দেখে কোন লাভ নেই, বড় বড় কথা বলেও কোন লাভ হবে না।
প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও সমাপনী বক্তব্য রাখেন বিরোধী দলের নেতা বেগম রওশন এরশাদ। প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ শেষে স্পিকার সংসদ অধিবেশন সমাপ্তি সংক্রান্ত রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের আদেশ পাঠ করেন। শেষ হওয়া ১৮তম অধিবেশনে মোট কার্যদিবস ছিল ১০টি। এই অধিবেশনেই ঐতিহাসিক ৭ মার্চ বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্থান পাওয়ায় ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানিয়ে সর্বসম্মতক্রমে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষ শান্তি চায়, উন্নতি চায়। আজ দেশের মানুষের জীবন যাত্রার মান উন্নত হয়েছে, মানুষ শান্তিতে আছে। তাই যারা (খালেদা জিয়া) এতিমের টাকা চুরি করে খায়, দেশকে পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করেছে, অন্তত জনগণ তাদের ভোট দেবে না, দিতে পারে না। এটাই হলো বাস্তবতা। গুম-খুন প্রসঙ্গে বিরোধী দলের নেতার বক্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গুম-খুন নানাভাবেই হচ্ছে, আবার যারা নিখোঁজ হচ্ছে তাদের অনেকে আবার ফেরতও আসছে। এটা কী শুধু বাংলাদেশে হচ্ছে? যুক্তরাজ্যে ২ লাখ ৪৫ হাজার বৃটিশ নাগরিক গুম হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থা আরও ভয়াবহ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ৫৬ হাজার বর্গমাইলের দেশে ১৬ কোটির ওপরে জনগণ বাস করে। আমরা এতো মানুষের সেবা করে যাচ্ছি। কিন্তু উন্নত দেশগুলোর জনসংখ্যা কতো? উন্নতি প্রযুক্তি ব্যবহার করার পরও তাদের দেশে এতো গুম হচ্ছে। আমরা যখনই অভিযোগ পাচ্ছি তা খতিয়ে দেখছি। দেশে একজন স্বনামধন্য আঁতেল (ফরহাদ মাযহার) আছেন তিনি নাকি গুম হয়ে গেলেন। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল তিনি খুলনায় নিউ মার্কেটে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এ ধরণের ঘটনা তো অহরহই ঘটছে।
বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের নাম উল্লেখ না না করে ইঙ্গিতের মাধ্যমে তার কঠোর সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে আরেকটি দল আছে (বিএনপি), তারা নির্বাচনে আসেনি। এখন রাস্তায় রাস্তায় চিৎকার করে বেড়াচ্ছে। বলছে তারা সরকারকে নাকি টেনেই নামাবেন। এটা এমন একজন লোক বললেন তার (মওদুদ) চরিত্র কী? ছাত্রাবস্থায় অন্য একটি দল করতো। ব্যারিস্টারি করে দেশে ফেরার পর দেখলাম আমাদের বাড়ি থেকে নড়েন না। আঁঠার মতো পড়ে থাকেন। তখন জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর পিএ মোহাম্মদ হানিফ ছিলেন, তার পিএ হিসেবেও এই লোকটা কিছুদিন কাজ করেছেন। বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর তিনি বিএনপিতে গেলেন। এরপর গেলেন জাতীয় পার্টিতে। তিনি দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছিলেন। রাষ্ট্রপতির ক্ষমাপ্রাপ্ত হয়ে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন। আবার জেনারেল এরশাদ চলে যাওয়ার পর আবারও গেল বিএনপিতে। তিনি বনানীতে চিটিং করে অবৈধভাবে একটি বাড়ি দখল করেছিলেন। আদালতের রায়ে সেই বাড়িটি হারিয়েছেন। এখন সেই ব্যক্তিটিই ঘোষণা দেন সরকারকে নাকি টেনেই নামাবেন।