ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

পুরো জেরুজালেম ইসরাইলের রাজধানী

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:৫১:০৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুলাই ২০১৮
  • / ৩৬২ বার পড়া হয়েছে

বিশ্ব ডেস্ক: বহুল বিতর্কিত একটি বিলকে আইনে পরিণত করেছে ইসরাইলি পার্লামেন্ট। এতে ইসরাইলকে একটি ব্যতিক্রমী ইহুদি রাষ্ট্র বলে বর্ণনা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার পার্লামেন্ট ‘জিউস নেশন স্টেট’ বিলটিকে অনুমোদন করে। এতে সরকারি ভাষা হিসেবে আরবিকে অবনমন করা হয়। এতে আরো বলা হয়, অগ্রগামী ইহুদি বসতি স্থাপন হলো জাতীয় স্বার্থ। শুধু তা-ই নয়, একই সঙ্গে পুরো জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে এই বিলে। এমন ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে ইসরাইলি আরব এমপিদের মধ্যে। তারা এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। কিন্তু তাদের মন্তব্যের কোনো তোয়াক্কাই করেন নি ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি এ সময়টিকে আত্মপরিচয়ের মুহূর্ত বলে অভিহিত করেছেন। এ বিলটিতে সমর্থন দিয়েছে দেশটির ডানপন্থি সরকার। এতে বলা হয়েছে, ইসরাইল হলো ইহুদিদের ঐতিহাসিক জন্মভূমি। এর ভিতরে তাদের আত্মপরিচয় নির্ধারণের বিশেষ অধিকার আছে। ইসরাইলের পার্লামেন্ট নেসেটে এ বিল নিয়ে ঝড়ো বিতর্ক হয়। আট ঘন্টারও বেশি সময় এ বিতর্ক হলেও বিরুদ্ধে যারা ছিলেন তারা বিলটিকে আটকাতে পারেন নি। বিলের পক্ষে ভোট দিয়েছেন ৬২ জন এমপি। আর বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন ৫৫ জন। ফলে বিলটি আইনে পরিণত হয়েছে। তবে ইসরাইলি প্রেসিডেন্ট এবং এটর্নি জেনারেলের আপত্তির কারণে ওই বিল থেকে কিছু অংশ বাদ দেয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, ইসরাইলে মোট জনসংখ্যা প্রায় ৯০ লাখ। এর মধ্যে শতকরা প্রায় ২০ ভাগ হলেন ইসরাইলি আরব। এই আইনের অধীনে তাদেরও আছে সম অধিকার। কিন্তু এ সম্প্রদায়টি দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করছেন যে, তাদের সঙ্গে দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিকের মতো আচরণ করা হয়। তারা বৈষম্যের শিকার। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও গৃহায়নের বেলায় তাদের জন্য সেবার সুযোগ খুবই নাজুক। এ বিলের মধ্যে গণতন্ত্রের মৃত্যু হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আরব এমপি আহমেদ তিবি। আরব অধিকার বিষয়ক বেসরকারি সংগঠন আদালাহ বলেছে, এই আইনের লক্ষ্য হলো বর্ণবাদী নীতিকে অনুমোদন দিয়ে জাতিগত প্রাধান্য বিস্তার। গত সপ্তাহে এ আইনের পক্ষে কথা বলেছেন বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেছেন, ইসরাইলের গণতন্ত্রে আমরা নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করবো।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

পুরো জেরুজালেম ইসরাইলের রাজধানী

আপলোড টাইম : ০৮:৫১:০৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুলাই ২০১৮

বিশ্ব ডেস্ক: বহুল বিতর্কিত একটি বিলকে আইনে পরিণত করেছে ইসরাইলি পার্লামেন্ট। এতে ইসরাইলকে একটি ব্যতিক্রমী ইহুদি রাষ্ট্র বলে বর্ণনা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার পার্লামেন্ট ‘জিউস নেশন স্টেট’ বিলটিকে অনুমোদন করে। এতে সরকারি ভাষা হিসেবে আরবিকে অবনমন করা হয়। এতে আরো বলা হয়, অগ্রগামী ইহুদি বসতি স্থাপন হলো জাতীয় স্বার্থ। শুধু তা-ই নয়, একই সঙ্গে পুরো জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে এই বিলে। এমন ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে ইসরাইলি আরব এমপিদের মধ্যে। তারা এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। কিন্তু তাদের মন্তব্যের কোনো তোয়াক্কাই করেন নি ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি এ সময়টিকে আত্মপরিচয়ের মুহূর্ত বলে অভিহিত করেছেন। এ বিলটিতে সমর্থন দিয়েছে দেশটির ডানপন্থি সরকার। এতে বলা হয়েছে, ইসরাইল হলো ইহুদিদের ঐতিহাসিক জন্মভূমি। এর ভিতরে তাদের আত্মপরিচয় নির্ধারণের বিশেষ অধিকার আছে। ইসরাইলের পার্লামেন্ট নেসেটে এ বিল নিয়ে ঝড়ো বিতর্ক হয়। আট ঘন্টারও বেশি সময় এ বিতর্ক হলেও বিরুদ্ধে যারা ছিলেন তারা বিলটিকে আটকাতে পারেন নি। বিলের পক্ষে ভোট দিয়েছেন ৬২ জন এমপি। আর বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন ৫৫ জন। ফলে বিলটি আইনে পরিণত হয়েছে। তবে ইসরাইলি প্রেসিডেন্ট এবং এটর্নি জেনারেলের আপত্তির কারণে ওই বিল থেকে কিছু অংশ বাদ দেয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, ইসরাইলে মোট জনসংখ্যা প্রায় ৯০ লাখ। এর মধ্যে শতকরা প্রায় ২০ ভাগ হলেন ইসরাইলি আরব। এই আইনের অধীনে তাদেরও আছে সম অধিকার। কিন্তু এ সম্প্রদায়টি দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করছেন যে, তাদের সঙ্গে দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিকের মতো আচরণ করা হয়। তারা বৈষম্যের শিকার। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও গৃহায়নের বেলায় তাদের জন্য সেবার সুযোগ খুবই নাজুক। এ বিলের মধ্যে গণতন্ত্রের মৃত্যু হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আরব এমপি আহমেদ তিবি। আরব অধিকার বিষয়ক বেসরকারি সংগঠন আদালাহ বলেছে, এই আইনের লক্ষ্য হলো বর্ণবাদী নীতিকে অনুমোদন দিয়ে জাতিগত প্রাধান্য বিস্তার। গত সপ্তাহে এ আইনের পক্ষে কথা বলেছেন বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেছেন, ইসরাইলের গণতন্ত্রে আমরা নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করবো।