ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

পুকুরে মাছ চাষে বাধাঁ দেয়ার অভিযোগ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:১৩:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ নভেম্বর ২০১৮
  • / ৩৭২ বার পড়া হয়েছে

তিতুদহ খাড়াগোদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মালিকানাধীন
নিজস্ব প্রতিবেদক: রাস্তাকে কেন্দ্র করে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের খাড়াগোদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মালিকানাধীন নিজস্ব পুকুরে মাছ দিতে বাঁধা প্রদানের অভিযোগি উঠেছে খাড়াগোদা বাজরের কসমেটিক্স ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন, তার ভাই নাজিম উদ্দিনসহ আরো ২-৩ জন পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে। এ সময় তারা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মারধরের চেষ্টায় লাঠিসোটা দিয়ে হুমকি ধামকি ও ধাওয়া করে এবং প্রধান শিক্ষকসহ কয়েকজনকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার তিতুদহের খাড়াগোদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নামে ১৯৯৩ সালে খাড়াগোদা চিত্রা নদী সংলগ্ন একটি পুকুর খনন করা হয়। যার পশ্চিম পাশে একটি রাস্তা ছিল। ওই পুকুরটি বিদ্যালয়ের অন্যতম একটি আয়ের উৎস যা থেকে বিদ্যালয়ের উন্নয়নমূলক নানা ধরনের কাজ হয়ে থাকে। গতকাল শনিবার দুপুর ১২টার দিকে বিদ্যালয়ের সভাপতি শফিকুর রহমান রাজু, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম, বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাসহ শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিদ্যালয়ের নিজস্ব পুকুরে মাছ ছাড়তে যায় তারা। এ সময় খাড়াগোদা গ্রামের ইসলাম হোসেনের ছেলে নাসির উদ্দিন ও নাজিম উদ্দিনসহ ২/৩ টি পরিবারের লোকজন এতে বাঁধা দেয়। পুকুরের পাশ দিয়ে সরকারি রাস্তা নির্মাণ করার জন্য তারা এই বাঁধা প্রদান করে। এ সময় শিক্ষকদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের লাটিসোটা নিয়ে হুমকি-ধামকি দিয়ে মারধরের চেষ্টায় তাদের ধাওয়া করে এবং মহিলাদের দিয়ে পুকুর কেটে মাছ নদীতে ছেড়ে দেয়। নাসিরের অবস্থা বেগতিক দেখে স্কুল কর্তৃপক্ষ তিতুদহ ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই সোলাইমান হককে জানালে তিনি দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং সবকিছু নিয়ন্ত্রনে আনে। এদিকে বিদ্যালয়ের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, পূর্বে ভেঙে যাওয়া রাস্তাটি এবং কয়েকটি পরিবারের ক্ষতির বিষয় সম্পর্কে আমাদের অবগত করলে, আমরা রেজুলেশন করে স্থানীয় সাংসদ ও জেলা পরিষদে বরাবর প্রদান করা হয়েছে। বাজেট এলে রাস্তার কাজ করা হবে। স্থানীয়রা জানান, মাছ দিতে বাঁধা দেয়া সরকার বিরোধী কাজ। মাছ না দিতে দেয়ার সাথে রাস্তার কোন সম্পর্ক নেই। বাঁধা দিয়ে তো রাস্তা এমনিতেই হয়ে যাবে না। অহেতুক গায়ের জোরে তারা এই কাজ করছে। শিক্ষকদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ আর শিক্ষার্থীদের মারধরের চেষ্টা করার নিন্দাও জানায় তারা। বিষয়টি নিয়ে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আজ মিটিং’র মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

পুকুরে মাছ চাষে বাধাঁ দেয়ার অভিযোগ

আপলোড টাইম : ১০:১৩:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ নভেম্বর ২০১৮

তিতুদহ খাড়াগোদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মালিকানাধীন
নিজস্ব প্রতিবেদক: রাস্তাকে কেন্দ্র করে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের খাড়াগোদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মালিকানাধীন নিজস্ব পুকুরে মাছ দিতে বাঁধা প্রদানের অভিযোগি উঠেছে খাড়াগোদা বাজরের কসমেটিক্স ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন, তার ভাই নাজিম উদ্দিনসহ আরো ২-৩ জন পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে। এ সময় তারা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মারধরের চেষ্টায় লাঠিসোটা দিয়ে হুমকি ধামকি ও ধাওয়া করে এবং প্রধান শিক্ষকসহ কয়েকজনকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার তিতুদহের খাড়াগোদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নামে ১৯৯৩ সালে খাড়াগোদা চিত্রা নদী সংলগ্ন একটি পুকুর খনন করা হয়। যার পশ্চিম পাশে একটি রাস্তা ছিল। ওই পুকুরটি বিদ্যালয়ের অন্যতম একটি আয়ের উৎস যা থেকে বিদ্যালয়ের উন্নয়নমূলক নানা ধরনের কাজ হয়ে থাকে। গতকাল শনিবার দুপুর ১২টার দিকে বিদ্যালয়ের সভাপতি শফিকুর রহমান রাজু, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম, বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাসহ শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিদ্যালয়ের নিজস্ব পুকুরে মাছ ছাড়তে যায় তারা। এ সময় খাড়াগোদা গ্রামের ইসলাম হোসেনের ছেলে নাসির উদ্দিন ও নাজিম উদ্দিনসহ ২/৩ টি পরিবারের লোকজন এতে বাঁধা দেয়। পুকুরের পাশ দিয়ে সরকারি রাস্তা নির্মাণ করার জন্য তারা এই বাঁধা প্রদান করে। এ সময় শিক্ষকদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের লাটিসোটা নিয়ে হুমকি-ধামকি দিয়ে মারধরের চেষ্টায় তাদের ধাওয়া করে এবং মহিলাদের দিয়ে পুকুর কেটে মাছ নদীতে ছেড়ে দেয়। নাসিরের অবস্থা বেগতিক দেখে স্কুল কর্তৃপক্ষ তিতুদহ ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই সোলাইমান হককে জানালে তিনি দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং সবকিছু নিয়ন্ত্রনে আনে। এদিকে বিদ্যালয়ের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, পূর্বে ভেঙে যাওয়া রাস্তাটি এবং কয়েকটি পরিবারের ক্ষতির বিষয় সম্পর্কে আমাদের অবগত করলে, আমরা রেজুলেশন করে স্থানীয় সাংসদ ও জেলা পরিষদে বরাবর প্রদান করা হয়েছে। বাজেট এলে রাস্তার কাজ করা হবে। স্থানীয়রা জানান, মাছ দিতে বাঁধা দেয়া সরকার বিরোধী কাজ। মাছ না দিতে দেয়ার সাথে রাস্তার কোন সম্পর্ক নেই। বাঁধা দিয়ে তো রাস্তা এমনিতেই হয়ে যাবে না। অহেতুক গায়ের জোরে তারা এই কাজ করছে। শিক্ষকদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ আর শিক্ষার্থীদের মারধরের চেষ্টা করার নিন্দাও জানায় তারা। বিষয়টি নিয়ে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আজ মিটিং’র মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা।