ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

পাম ফল চাষীরা বিপাকে, জীবননগরে ক্রেতা সংকট

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:৫৬:০৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮
  • / ৫০৮ বার পড়া হয়েছে

জাহিদ বাবু/মিঠুন মাহমুদ: জীবননগর উপজেলায় পাম ফল চাষীরা চরম বিপাকে পড়েছে। সময়মত ক্রেতা না পাওয়ায় পাম ফল চাষে লাখ লাখ টাকার ক্ষতির আশঙ্কায় হতাশ চাষীরা। সরেজমিনে দেখা গেছে, জীবননগর উপজেলায় ৬-৭ বছর আগে লাগানো পাম ফল গাছগুলো ইতোমধ্যেই ফল আসতে শুরু করেছে এবং কিছু কিছু পাম ফল চাষীদের গাছে ফল পেঁকে গেছে। অনেক গাছের ফল নষ্ট হয়ে গাছের নিচে পড়ে আছে। কিন্তু চাষীরা কোন উপায় পাচ্ছে না কোথায় এই পাম ফল বিক্রি করবে অথবা কোথায় বা এই পাম ফল দ্বারা তৈল তৈরি করবে, নেই তাদের কাছে কোন সঠিক তথ্য। ইতোমধ্যেই সখের পাম ফল গাছ অনেক চাষীরা কাটতে শুরু করেছে। আবার অনেক চাষীরা অপেক্ষায় আছে এলাকায় তৈল মিল স্থাপনের আশায়। উপজেলায় প্রায় ১৫ বিঘা জমিতে পাম ফল চাষ হয়েছিল। তার মধ্যে অনেক চাষীরা অভিমানে লোকসানের বোঝা মাথায় নিয়ে পাম ফল গাছগুলো কেটে দিচ্ছে।
জীবননগর পৌরসভার নারায়নপুর গ্রামের পাম ফল চাষী মুন্সী শহিদুল ইসলাম জানান, ২০১১ সালের দিকে ১৫ কাঠা জমিতে ২৫০টি পাম ফল চারা রোপন করে। যার আনুমানিক মূল্য ৬০ হাজার টাকা। গত তিন বছর যাবৎ পাম ফল গাছে ফল আসতে শুরু করেছে। কিন্তু কোথায় এ ফল বিক্রি করবে আর কোথায় বা এর তৈল মিল আছে এর কোন খোঁজ না পেয়ে অবশেষে সমস্ত ফল গাছের নিচেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। একই কথা বলেন উপজেলার পাথিলা গ্রামের মসলেম উদ্দিন। তিনি বলেন, ২০০৫ সালে ২ বিঘা জমিতে দেড় লাখ টাকার পাম ফল গাছ লাগিয়ে ছিলাম। কিন্তু ফল বিক্রি করতে না পারায় সমস্ত ফল নষ্ট হয়ে গাছের নিচে পড়ে থাকে। এ কারণে ক্ষোভে রাগে সমস্ত গাছ কেটে ফেলেছি।
এদিকে, পাম ফল চাষীরা অভিযোগ করে বলেন, প্রথম যখন পাম ফল গাছের চারা রোপণ করা হয়েছিল তখন বিভিন্ন কোম্পানির প্রতিনিধিদের দেখা গিয়েছিল। কিন্তু যখন পাম গাছে ফল ধরা শুরু হয়েছে আর কারও দেখা যায় না। সে কারণে পাম ফল নিয়ে এলাকার চাষীরা চরম বিপাকে পড়েছে।
এ ব্যাপারে জীবননগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ জানান, গত কয়েক বছর আগে এ উপজেলায় বেশ কয়েকটি গ্রামে পাম ফলের বাগান ছিল। কিন্তু এ ফলগুলো সংরক্ষণ বা বাজারজাত করণের কোন ব্যবস্থা না থাকায় অনেক চাষীরা লোকসানের বোঝা মাথায় নিয়ে গাছ কেটে ফেলেছে। তবে এখন কয়েকটি গ্রামে এখন এ বাগান আছে। তবে এ চাষটি আমাদের কৃষি অফিসের আওতাধীন নয় এবং এটি এ উপজেলায় নতুন সে কারণে এই পাম ফল থেকে যে তৈল তৈরি করা হবে তেমন কোন মেশিনও নেই। যার কারণে এ চাষে কৃষকরা চরম ক্ষতির মুখে পড়েছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

পাম ফল চাষীরা বিপাকে, জীবননগরে ক্রেতা সংকট

আপলোড টাইম : ০৮:৫৬:০৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮

জাহিদ বাবু/মিঠুন মাহমুদ: জীবননগর উপজেলায় পাম ফল চাষীরা চরম বিপাকে পড়েছে। সময়মত ক্রেতা না পাওয়ায় পাম ফল চাষে লাখ লাখ টাকার ক্ষতির আশঙ্কায় হতাশ চাষীরা। সরেজমিনে দেখা গেছে, জীবননগর উপজেলায় ৬-৭ বছর আগে লাগানো পাম ফল গাছগুলো ইতোমধ্যেই ফল আসতে শুরু করেছে এবং কিছু কিছু পাম ফল চাষীদের গাছে ফল পেঁকে গেছে। অনেক গাছের ফল নষ্ট হয়ে গাছের নিচে পড়ে আছে। কিন্তু চাষীরা কোন উপায় পাচ্ছে না কোথায় এই পাম ফল বিক্রি করবে অথবা কোথায় বা এই পাম ফল দ্বারা তৈল তৈরি করবে, নেই তাদের কাছে কোন সঠিক তথ্য। ইতোমধ্যেই সখের পাম ফল গাছ অনেক চাষীরা কাটতে শুরু করেছে। আবার অনেক চাষীরা অপেক্ষায় আছে এলাকায় তৈল মিল স্থাপনের আশায়। উপজেলায় প্রায় ১৫ বিঘা জমিতে পাম ফল চাষ হয়েছিল। তার মধ্যে অনেক চাষীরা অভিমানে লোকসানের বোঝা মাথায় নিয়ে পাম ফল গাছগুলো কেটে দিচ্ছে।
জীবননগর পৌরসভার নারায়নপুর গ্রামের পাম ফল চাষী মুন্সী শহিদুল ইসলাম জানান, ২০১১ সালের দিকে ১৫ কাঠা জমিতে ২৫০টি পাম ফল চারা রোপন করে। যার আনুমানিক মূল্য ৬০ হাজার টাকা। গত তিন বছর যাবৎ পাম ফল গাছে ফল আসতে শুরু করেছে। কিন্তু কোথায় এ ফল বিক্রি করবে আর কোথায় বা এর তৈল মিল আছে এর কোন খোঁজ না পেয়ে অবশেষে সমস্ত ফল গাছের নিচেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। একই কথা বলেন উপজেলার পাথিলা গ্রামের মসলেম উদ্দিন। তিনি বলেন, ২০০৫ সালে ২ বিঘা জমিতে দেড় লাখ টাকার পাম ফল গাছ লাগিয়ে ছিলাম। কিন্তু ফল বিক্রি করতে না পারায় সমস্ত ফল নষ্ট হয়ে গাছের নিচে পড়ে থাকে। এ কারণে ক্ষোভে রাগে সমস্ত গাছ কেটে ফেলেছি।
এদিকে, পাম ফল চাষীরা অভিযোগ করে বলেন, প্রথম যখন পাম ফল গাছের চারা রোপণ করা হয়েছিল তখন বিভিন্ন কোম্পানির প্রতিনিধিদের দেখা গিয়েছিল। কিন্তু যখন পাম গাছে ফল ধরা শুরু হয়েছে আর কারও দেখা যায় না। সে কারণে পাম ফল নিয়ে এলাকার চাষীরা চরম বিপাকে পড়েছে।
এ ব্যাপারে জীবননগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ জানান, গত কয়েক বছর আগে এ উপজেলায় বেশ কয়েকটি গ্রামে পাম ফলের বাগান ছিল। কিন্তু এ ফলগুলো সংরক্ষণ বা বাজারজাত করণের কোন ব্যবস্থা না থাকায় অনেক চাষীরা লোকসানের বোঝা মাথায় নিয়ে গাছ কেটে ফেলেছে। তবে এখন কয়েকটি গ্রামে এখন এ বাগান আছে। তবে এ চাষটি আমাদের কৃষি অফিসের আওতাধীন নয় এবং এটি এ উপজেলায় নতুন সে কারণে এই পাম ফল থেকে যে তৈল তৈরি করা হবে তেমন কোন মেশিনও নেই। যার কারণে এ চাষে কৃষকরা চরম ক্ষতির মুখে পড়েছে।