ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

পাপ থেকে দূরে থাকা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৬:২২:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ এপ্রিল ২০১৭
  • / ৩৮৭ বার পড়া হয়েছে

ধর্ম ডেস্ক: অনেক ইসলামি বিজ্ঞজন বলেন, মানুষের জন্য সবচেয়ে বড় আমল হলো পাপ থেকে দূরে থাকা। পাপ থেকে দূরে থাকতে পারাটা এক অসাধারণ সাফল্য। আমরা জানি, পাপের বড় কারণ হলো অজ্ঞতা। তাই অজ্ঞতা দূর করার জন্য জ্ঞান অর্জন জরুরি। গোনাহের নানা ধরন, পথ ও পদ্ধতি রয়েছে। ব্যক্তিগত পাপের চেয়ে সামাজিক, রাষ্ট্রীয় ও পারিবারিক পর্যায়ের পাপ বেশি মারাত্মক। সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে পাপ ও কুপ্রথা চালু করা হলে তার প্রভাব হয় অনেক সুদূরপ্রসারী। কোনো কোনো পাপ এমন, যার প্রভাব হাজার হাজার বছর ধরে অব্যাহত থাকে। যেমন ধর্মীয়, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে যোগ্য নেতা নির্বাচন করতে ব্যর্থ হলে জনগণকে সেই পাপের দায় ও কুফল বহন করতে হয় যুগ যুগ ধরে কিংবা শত শত ও এমনকি হাজার হাজার বছর ধরে। তাই যোগ্য নেতা ও সৎ আর ধার্মিক বন্ধু নির্বাচন পাপ থেকে মুক্ত থাকার ও আত্ম-উন্নয়নের এক মোক্ষম উপায়। বলা হয় সৎ-সঙ্গে স্বর্গবাস, অসৎসঙ্গে সর্বনাশ। শয়তান সরলমনা মানুষকে অনেক সময় কুমন্ত্রণা দেয় এই বলে যে, সমাজের সঙ্গে কিছুটা হলেও তো তাল মিলিয়ে চলতে হবে! অত বেশি ভালো মানুষ হতে গেলে তো এ যুগে টিকে থাকা সম্ভব নয়! তাই এক-আধটু মিথ্যাচার, স্বার্থপরতা ও সুবিধাবাদের আশ্রয় নেয়া তেমন দোষের কিছু নয়, পরে তওবা করে নিলেই হবে! এমন ধারণা পাপ। আসলে মহান আল্লাহ দেখবেন, আমরা পাপ থেকে মুক্ত থাকার জন্য যথাসাধ্য ও আন্তরিক চেষ্টা করছি কি-না। যথাসাধ্য ও আন্তরিক চেষ্টার পরও যদি কিছু অনিচ্ছাকৃত ত্রুটি বা ভুল হয়ে থাকে আল্লাহ তা ক্ষমা করবেন। আর সে জন্য নবী-রাসুলদের আদর্শকে যথাসাধ্য অনুসরণের চেষ্টা করতে হবে। আমরা যদি সর্বোত্তম আদর্শ বা পরিপূর্ণ মানবদের অনুসরণের চেষ্টা করি তাহলে পরকালে তাদের সঙ্গেই আমাদের থাকতে দেয়া হবে। তা ছাড়া মৃত্যু কখন যে আমাদের গ্রাস করবে তা তো আমরা কেউ জানি না। তাই পরে তওবা করার তো কোনো গ্যারান্টি নেই যে যার ভিত্তিতে এখন ইচ্ছা করেই পাপ করব! মহান আল্লাহ পবিত্র কোরানে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, যারা বা যে আল্লাহর পথে চলার জন্য (যথাসাধ্য) কঠোর চেষ্টা-সাধনা করে আল্লাহ তাকে অবশ্যই পথ দেখান। আমাদের উচিত সেই পথে চলা।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

পাপ থেকে দূরে থাকা

আপলোড টাইম : ০৬:২২:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ এপ্রিল ২০১৭

ধর্ম ডেস্ক: অনেক ইসলামি বিজ্ঞজন বলেন, মানুষের জন্য সবচেয়ে বড় আমল হলো পাপ থেকে দূরে থাকা। পাপ থেকে দূরে থাকতে পারাটা এক অসাধারণ সাফল্য। আমরা জানি, পাপের বড় কারণ হলো অজ্ঞতা। তাই অজ্ঞতা দূর করার জন্য জ্ঞান অর্জন জরুরি। গোনাহের নানা ধরন, পথ ও পদ্ধতি রয়েছে। ব্যক্তিগত পাপের চেয়ে সামাজিক, রাষ্ট্রীয় ও পারিবারিক পর্যায়ের পাপ বেশি মারাত্মক। সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে পাপ ও কুপ্রথা চালু করা হলে তার প্রভাব হয় অনেক সুদূরপ্রসারী। কোনো কোনো পাপ এমন, যার প্রভাব হাজার হাজার বছর ধরে অব্যাহত থাকে। যেমন ধর্মীয়, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে যোগ্য নেতা নির্বাচন করতে ব্যর্থ হলে জনগণকে সেই পাপের দায় ও কুফল বহন করতে হয় যুগ যুগ ধরে কিংবা শত শত ও এমনকি হাজার হাজার বছর ধরে। তাই যোগ্য নেতা ও সৎ আর ধার্মিক বন্ধু নির্বাচন পাপ থেকে মুক্ত থাকার ও আত্ম-উন্নয়নের এক মোক্ষম উপায়। বলা হয় সৎ-সঙ্গে স্বর্গবাস, অসৎসঙ্গে সর্বনাশ। শয়তান সরলমনা মানুষকে অনেক সময় কুমন্ত্রণা দেয় এই বলে যে, সমাজের সঙ্গে কিছুটা হলেও তো তাল মিলিয়ে চলতে হবে! অত বেশি ভালো মানুষ হতে গেলে তো এ যুগে টিকে থাকা সম্ভব নয়! তাই এক-আধটু মিথ্যাচার, স্বার্থপরতা ও সুবিধাবাদের আশ্রয় নেয়া তেমন দোষের কিছু নয়, পরে তওবা করে নিলেই হবে! এমন ধারণা পাপ। আসলে মহান আল্লাহ দেখবেন, আমরা পাপ থেকে মুক্ত থাকার জন্য যথাসাধ্য ও আন্তরিক চেষ্টা করছি কি-না। যথাসাধ্য ও আন্তরিক চেষ্টার পরও যদি কিছু অনিচ্ছাকৃত ত্রুটি বা ভুল হয়ে থাকে আল্লাহ তা ক্ষমা করবেন। আর সে জন্য নবী-রাসুলদের আদর্শকে যথাসাধ্য অনুসরণের চেষ্টা করতে হবে। আমরা যদি সর্বোত্তম আদর্শ বা পরিপূর্ণ মানবদের অনুসরণের চেষ্টা করি তাহলে পরকালে তাদের সঙ্গেই আমাদের থাকতে দেয়া হবে। তা ছাড়া মৃত্যু কখন যে আমাদের গ্রাস করবে তা তো আমরা কেউ জানি না। তাই পরে তওবা করার তো কোনো গ্যারান্টি নেই যে যার ভিত্তিতে এখন ইচ্ছা করেই পাপ করব! মহান আল্লাহ পবিত্র কোরানে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, যারা বা যে আল্লাহর পথে চলার জন্য (যথাসাধ্য) কঠোর চেষ্টা-সাধনা করে আল্লাহ তাকে অবশ্যই পথ দেখান। আমাদের উচিত সেই পথে চলা।