ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

পাতার ফাঁকে ঝুলছে টসটসে লিচু

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:২৮:১৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ মে ২০২২
  • / ১১ বার পড়া হয়েছে

মিঠুন মাহমুদ: প্রতিটি মানুষের কাছেই ফল প্রিয়। বিশেষ করে জৈষ্ঠ মাসে গরমে অন্য সব ফলের তুলনায় লিচুর কদর একটু বেশি। জীবননগর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের বাগানগুলোতে সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে ঝুলছে টসটসে লিচু। বাম্পার ফলনে খুশি চাষিরাও।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মতে, জীবননগর উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার মধ্যে সবচেয়ে বেশি সীমান্ত ইউনিয়নে লিচু চাষ হয়। পরিবহন ও বাজার ব্যবস্থাপনা ভালো হওয়ায় দিনেদিনে এ উপজেলায় লিচু চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। চলতি মৌসুমে ১০ হেক্টর জমিতে লিচুর চাষ হয়েছে। আবহাওয়া ভালো থাকায় ফলনও ভালো।

সীমান্ত ইউনিয়নের কয়েকটি বাগানে ঘুরে দেখা গেছে, সবুজ লিচু লালচে বরণ ধারণ করেছে। মৌমাছি গুণগুণ করে এক লিচু থেকে আরেক লিচুতে বসছে। জীবননগরে মুম্বাই, দেশি, মোজাফফর ও চায়না-থ্রি জাতের লিচুর চাষ হয়েছে বেশি। এরমধ্যে পাকতে শুরু করেছে দেশিগুলো। আবার কেউ কেউ (পুষ্ট) হওয়া লিচুকে অনিষ্টের হাত থেকে বাঁচাতে এরই মধ্যে জাল দিয়ে গাছগুলো ঢেকে দিচ্ছেন।

নতুনপাড়া গ্রামের চাষি আতিয়ার রহমান বলেন, ‘চলতি মৌসুমে এক লাখ টাকা দিয়ে একটি বাগান লিজ নিয়েছি। বাগানে দেশী, চায়না ও চায়না-থ্রি লিচুর ফলন ভালো হয়েছে। এক সপ্তাহ পরেই পরিপূর্ণ পাকতে শুরু করবে লিচু। একই এলাকার কৃষক মসলেম উদ্দিন বলেন, ভালো ফলন পেতে নিয়মিত গাছের পরিচর্যা করেছি। কিন্তু লিচুর দাম নিয়ে সংশয়ে রয়েছি। যে ভাবে বৃষ্টি হচ্ছে পাইকার না আসায় লিচুর সঠিক দাম পাওয়া নিয়ে চিন্তিত। আক্কাচ আলী নামের এক বাগান মালিক অভিযোগ করে বলেন, সব চাষের জন্য কৃষি অফিসের প্রশিক্ষণ আছে কিন্তু লিচু চাষীদের জন্য কোনো প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা নেই। কিছু ওষুধ কোম্পানির লোক মাঝে মাঝে সেমিনার করেন। ফলে নিজেদের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়েই চাষ করতে হয়।

এদিকে জীবননগর উপজেলার ছোট বড় বাজারগুলোতে স্বল্প পরিসরে উঠতে শুরু করেছে লিচু। তবে দাম চড়া। বাজারে পাওয়া যাচ্ছে মুম্বাই ও চায়না লিচু। বাজারে একশ’ লিচু বিক্রি হচ্ছে ২শ’ থেকে ২শ ৫০টাকায়।

জীবননগর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আতিকুর রহমান জানান, আবহাওয়া ভালো থাকায় এবার লিচুর ফলন ভালো হয়েছে। লিচুর স্বাদ ও মানরক্ষার জন্য চাষিদের হরমন প্রয়োগ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হচ্ছে।

 

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

পাতার ফাঁকে ঝুলছে টসটসে লিচু

আপলোড টাইম : ০৮:২৮:১৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ মে ২০২২

মিঠুন মাহমুদ: প্রতিটি মানুষের কাছেই ফল প্রিয়। বিশেষ করে জৈষ্ঠ মাসে গরমে অন্য সব ফলের তুলনায় লিচুর কদর একটু বেশি। জীবননগর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের বাগানগুলোতে সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে ঝুলছে টসটসে লিচু। বাম্পার ফলনে খুশি চাষিরাও।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মতে, জীবননগর উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার মধ্যে সবচেয়ে বেশি সীমান্ত ইউনিয়নে লিচু চাষ হয়। পরিবহন ও বাজার ব্যবস্থাপনা ভালো হওয়ায় দিনেদিনে এ উপজেলায় লিচু চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। চলতি মৌসুমে ১০ হেক্টর জমিতে লিচুর চাষ হয়েছে। আবহাওয়া ভালো থাকায় ফলনও ভালো।

সীমান্ত ইউনিয়নের কয়েকটি বাগানে ঘুরে দেখা গেছে, সবুজ লিচু লালচে বরণ ধারণ করেছে। মৌমাছি গুণগুণ করে এক লিচু থেকে আরেক লিচুতে বসছে। জীবননগরে মুম্বাই, দেশি, মোজাফফর ও চায়না-থ্রি জাতের লিচুর চাষ হয়েছে বেশি। এরমধ্যে পাকতে শুরু করেছে দেশিগুলো। আবার কেউ কেউ (পুষ্ট) হওয়া লিচুকে অনিষ্টের হাত থেকে বাঁচাতে এরই মধ্যে জাল দিয়ে গাছগুলো ঢেকে দিচ্ছেন।

নতুনপাড়া গ্রামের চাষি আতিয়ার রহমান বলেন, ‘চলতি মৌসুমে এক লাখ টাকা দিয়ে একটি বাগান লিজ নিয়েছি। বাগানে দেশী, চায়না ও চায়না-থ্রি লিচুর ফলন ভালো হয়েছে। এক সপ্তাহ পরেই পরিপূর্ণ পাকতে শুরু করবে লিচু। একই এলাকার কৃষক মসলেম উদ্দিন বলেন, ভালো ফলন পেতে নিয়মিত গাছের পরিচর্যা করেছি। কিন্তু লিচুর দাম নিয়ে সংশয়ে রয়েছি। যে ভাবে বৃষ্টি হচ্ছে পাইকার না আসায় লিচুর সঠিক দাম পাওয়া নিয়ে চিন্তিত। আক্কাচ আলী নামের এক বাগান মালিক অভিযোগ করে বলেন, সব চাষের জন্য কৃষি অফিসের প্রশিক্ষণ আছে কিন্তু লিচু চাষীদের জন্য কোনো প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা নেই। কিছু ওষুধ কোম্পানির লোক মাঝে মাঝে সেমিনার করেন। ফলে নিজেদের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়েই চাষ করতে হয়।

এদিকে জীবননগর উপজেলার ছোট বড় বাজারগুলোতে স্বল্প পরিসরে উঠতে শুরু করেছে লিচু। তবে দাম চড়া। বাজারে পাওয়া যাচ্ছে মুম্বাই ও চায়না লিচু। বাজারে একশ’ লিচু বিক্রি হচ্ছে ২শ’ থেকে ২শ ৫০টাকায়।

জীবননগর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আতিকুর রহমান জানান, আবহাওয়া ভালো থাকায় এবার লিচুর ফলন ভালো হয়েছে। লিচুর স্বাদ ও মানরক্ষার জন্য চাষিদের হরমন প্রয়োগ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হচ্ছে।