ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

পাট পচানো নিয়ে চরম বিপাকে কৃষক

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:২২:৪৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ অগাস্ট ২০১৯
  • / ২৪১ বার পড়া হয়েছে

আওয়াল হোসেন, দর্শনা:
দামুড়হুদা উপজেলায় চলতি বর্ষা মৌসুমে প্রয়োজনীয় বৃষ্টিপাত না হওয়ায় পাট পচানো নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন এলাকার কৃষকেরা। খালে-বিলে-গর্তে পানি না থাকায় কৃষকেরা পাট কাটতে পারছেন না। এর ফলে পাট নিয়ে চরম অনিশ্চয়তায় দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা। এ বিষয়ে দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, চলতি বছর ৫ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও পাট চাষ হয়েছে ৬ হাজার ২৮৫ হেক্টর জমিতে। বিগত বছর পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৭ হাজার ২৫০ হেক্টর জমি, সেখানে চাষ হয় ৫ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে। গত বছরের তুলনায় এ বছর ১ হাজার ৩৫ হেক্টর জমিতে বেশি পাট চাষ হয়েছে। ফলে এত পাট কোথায় জাগ দেবেন, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন এ অঞ্চলের কৃষকেরা। বর্ষা মৌসুমের শেষপ্রান্তে এসেও কৃষকেরা ভারী বর্ষণের জন্য অপেক্ষা করছেন। এ ছাড়া কিছু কিছু কৃষক শ্যালো মেশিন দিয়ে পুকুরে পানি জমিয়ে পাট পচাচ্ছেন। এতে খরচ পড়ছে বিঘাপ্রতি ৮০০-৯০০ টাকা। আবার কেউ কেউ পাটের আঁটিপ্রতি ৩ টাকা দরে পাট পচাচ্ছেন। সেখানেও জায়গা-সংকট থাকায় তাঁরা পাট কাটতে সাহস পাচ্ছেন না। বর্ষা মৌসুমের শেষে দিকেও মাঠের প্রায় শতকরা ৮০ শতাংশ পাট কাটা হয়নি। এ বিষয়ে কৃষক মজিবর রহমান, লালু মিয়া ও রবিউল ইসলাম জানান, ‘বর্তমানে বাজরে পাটের দাম যা আছে, তা নিয়ে আমরা খুশি। তবে পাট পচানো নিয়ে আমরা বিপদে আছি। শেষ পর্যন্ত কী হয়, তা নিয়ে আমরা দুশ্চিন্তায় পড়েছি।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

পাট পচানো নিয়ে চরম বিপাকে কৃষক

আপলোড টাইম : ০৯:২২:৪৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ অগাস্ট ২০১৯

আওয়াল হোসেন, দর্শনা:
দামুড়হুদা উপজেলায় চলতি বর্ষা মৌসুমে প্রয়োজনীয় বৃষ্টিপাত না হওয়ায় পাট পচানো নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন এলাকার কৃষকেরা। খালে-বিলে-গর্তে পানি না থাকায় কৃষকেরা পাট কাটতে পারছেন না। এর ফলে পাট নিয়ে চরম অনিশ্চয়তায় দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা। এ বিষয়ে দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, চলতি বছর ৫ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও পাট চাষ হয়েছে ৬ হাজার ২৮৫ হেক্টর জমিতে। বিগত বছর পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৭ হাজার ২৫০ হেক্টর জমি, সেখানে চাষ হয় ৫ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে। গত বছরের তুলনায় এ বছর ১ হাজার ৩৫ হেক্টর জমিতে বেশি পাট চাষ হয়েছে। ফলে এত পাট কোথায় জাগ দেবেন, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন এ অঞ্চলের কৃষকেরা। বর্ষা মৌসুমের শেষপ্রান্তে এসেও কৃষকেরা ভারী বর্ষণের জন্য অপেক্ষা করছেন। এ ছাড়া কিছু কিছু কৃষক শ্যালো মেশিন দিয়ে পুকুরে পানি জমিয়ে পাট পচাচ্ছেন। এতে খরচ পড়ছে বিঘাপ্রতি ৮০০-৯০০ টাকা। আবার কেউ কেউ পাটের আঁটিপ্রতি ৩ টাকা দরে পাট পচাচ্ছেন। সেখানেও জায়গা-সংকট থাকায় তাঁরা পাট কাটতে সাহস পাচ্ছেন না। বর্ষা মৌসুমের শেষে দিকেও মাঠের প্রায় শতকরা ৮০ শতাংশ পাট কাটা হয়নি। এ বিষয়ে কৃষক মজিবর রহমান, লালু মিয়া ও রবিউল ইসলাম জানান, ‘বর্তমানে বাজরে পাটের দাম যা আছে, তা নিয়ে আমরা খুশি। তবে পাট পচানো নিয়ে আমরা বিপদে আছি। শেষ পর্যন্ত কী হয়, তা নিয়ে আমরা দুশ্চিন্তায় পড়েছি।’