ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

পাক-ভারত যুদ্ধ হলে কী করবে বাংলাদেশ?

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১২:৫৭:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬
  • / ১১১৭ বার পড়া হয়েছে

ভারত-পাকিস্তান

সমীকরণ ডেস্ক: ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে গত দুই মাসের উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যেই গত ১৮ সেপ্টেম্বর উরির সেনা ঘাঁটিতে সন্ত্রাসী হামলার পর দেশ দুটির মধ্যে যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে। আর এ ঘটনায় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে নিন্দা জানানো হয় এবং ভারতের পাশে থাকার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়। তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাংলাদেশ শুধু সন্ত্রাস ও উগ্রবাদ প্রতিরোধে ভারতের সঙ্গে সব ধরনের সহায়তা করবে। কিন্তু যুদ্ধ বাধলে কৌশলী অবস্থান নেবে। জানা গেছে, টানা দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে স্বাধীনতার দাবিতে কাশ্মিরজুড়ে চলছে সহিংস আন্দোলন। আর এ আন্দোলনে প্রথম থেকেই পাকিস্তানি মদদ রয়েছে বলে অভিযোগ করে আসছে ভারত। তবে পাকিস্তান তা অস্বীকার করে ভারতের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সরব হয়েছে। অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের মধ্যে গত ১৮ সেপ্টেম্বর কাশ্মিরের উরের সেনা ঘাঁটিতে হামলা ও তাতে ১৮ ভারতীয় সেনা নিহত হলে উত্তেজনা চরমে ওঠে। এ সময় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে পাঠানো এক বার্তায় এই সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা করেন এবং ভারতের এ দুঃসময়ে সে দেশের পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। ভারতের ভেতরে যুদ্ধের জন্য চাপ বাড়তে থাকার কারণে মোদির সরকার সে দেশে কূটনীতিক, রাজনীতিবিদ, সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। বুধবার থেকে ভারত পাকিস্তানের সীমান্তে ব্যাপক সৈন্য ও গোলাবারুদ মজুদ করতে শুরু করেছে বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের সূত্রে জানা যাচ্ছে। পাকিস্তানও বুধবার রাত থেকে ভারত সীমান্তবর্তী এলাকায় বিমান চলাচলের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে। দুই দেশের মধ্যে এ টানটান উত্তেজনার কারণে এ দেশের ভেতরেও আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে বাংলাদেশ কি তাহলে যুদ্ধের প্রতি সমর্থন জানাতে যাচ্ছে?
এ প্রেক্ষিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, যদি যুদ্ধ বেধে যায় তবে বাংলাদেশ সরাসরি যুদ্ধকে সমর্থন দেবে না। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশ কৌশলী অবস্থান নেবে। মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা যায়যায়দিনকে বলেন, বাংলাদেশ ভারতকে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সহায়তা ও পাশে থাকার আশ্বাস দিলেও যুদ্ধের মতো পরিস্থিতিতে নিরপেক্ষ থাকবে। এ দেশের পররাষ্ট্রনীতি যুদ্ধবিরোধী বলে উল্লেখ করেন। তিনি জানান, সাম্রাজ্যবাদ ও সহিংসতাবিরোধী বিশ্ব সংস্থা ন্যামের (নন অ্যালায়েন্স মুভমেন্ট) সদস্য হিসেবে যুদ্ধ ও আগ্রাসীমূলক যেকোনো কর্মকাণ্ড থেকে দূরে থাকাই বাংলাদেশের নীতি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, ইরান ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন মুসলিম দেশের কাছ থেকে পাকিস্তানে হামলার জন্য সমর্থন পাওয়ার চেষ্টা করছে ভারত। বাংলাদেশ এ ধরনের কোনো যুদ্ধে সমর্থন দেয়ার ক্ষেত্রে আগ্রহী নয়। তবে বাংলাদেশ সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স প্রয়োগে এবং সমর্থন দিতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
দেশের রাজনীতিবিদ ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরাও মনে করেন, যুদ্ধের মতো কোনো পরিস্থিতিতে সমর্থন দেয়া হবে বড় ধরনের ভুল সিদ্ধান্ত। তবে সন্ত্রাসবাদের মতো বিষয়ে সহযোগিতাকে তারাও সমর্থন করছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের ড. ফাজরিন হুদা যায়যায়দিনকে বলেন, যুদ্ধ সে হোক পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বা অন্য যেকোনো দেশের বিরুদ্ধে তা অবশ্যই বর্জনীয়। তবে বাংলাদেশ ভারতের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে এ পরিস্থিতিতে যুদ্ধ বন্ধে কূটনৈতিক উপায়ে সমাধান খোঁজার জন্য উভয়পক্ষকে চাপ প্রয়োগ করতে পারে। এতে মধ্যস্থতা করে বাংলাদেশ বিশ্বশান্তি অর্জনের পথে ভূমিকা রাখতে পারে। তিনি আরও বলেন, কাশ্মির প্রশ্নে বাংলাদেশ বরাবরই নিরপেক্ষ থাকে। কারণ বাংলাদেশের একটি বিরাট অংশের মানুষের সমর্থন আছে কাশ্মিরের জনগণের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতি। এবারও বাংলাদেশ কাশ্মির ইস্যুতে সরাসরি কোনো কথা বলেনি। শুধু সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ভারতের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। বাংলাদেশের পক্ষে যেমন ভারতের বিপক্ষে যাওয়া কঠিন তেমনি কাশ্মির বা পাকিস্তানের পক্ষ নেওয়াটাও সহজ নয়। তাই বাংলাদেশকে অবশ্যই পাক-ভারত ইস্যুতে মধ্যবর্তী অবস্থান নিতে হবে। তবে নিরপেক্ষ থাকাই অধিকতর যুক্তিযুক্ত বলে মনে করেন এ বিশেষজ্ঞ। তার মতে, আগামী মাসে যেহেতু চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিং পিংয়ের আসার কথা এবং সে সফরে চীনের কাছ থেকে বাংলাদেশের প্রত্যাশাও অনেক বেশি, তাই এ সময়ে কাকে সমর্থন দিতে হবে আর কাকে সমর্থন না দিয়ে নিরপেক্ষ থাকতে হবে তা খুবই বিচক্ষণতার সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে। কারণ চীন এরই মধ্যে পাকিস্তানের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেয়ার পাশাপাশি ভারতের বিরুদ্ধেও কাশ্মির ইস্যুতে সরব হয়েছে। এখন বাংলাদেশ যদি ভারতের পাশে শক্ত অবস্থান নেয় তবে তা চীনের অখুশির কারণ হবে কি না তাও ভেবে দেখতে হবে। বাংলাদেশ তার বরাবরের নীতি অনুযায়ী যুদ্ধের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে এবং সব দেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়থএ নীতিতে অটুট থাকবে বলেই প্রত্যাশা করছেন বিশ্লেষকেরা। সরকারও এ বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্কভাবে অগ্রসর হবে বলেই মত তাদের।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

পাক-ভারত যুদ্ধ হলে কী করবে বাংলাদেশ?

আপলোড টাইম : ১২:৫৭:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬

ভারত-পাকিস্তান

সমীকরণ ডেস্ক: ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে গত দুই মাসের উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যেই গত ১৮ সেপ্টেম্বর উরির সেনা ঘাঁটিতে সন্ত্রাসী হামলার পর দেশ দুটির মধ্যে যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে। আর এ ঘটনায় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে নিন্দা জানানো হয় এবং ভারতের পাশে থাকার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়। তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাংলাদেশ শুধু সন্ত্রাস ও উগ্রবাদ প্রতিরোধে ভারতের সঙ্গে সব ধরনের সহায়তা করবে। কিন্তু যুদ্ধ বাধলে কৌশলী অবস্থান নেবে। জানা গেছে, টানা দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে স্বাধীনতার দাবিতে কাশ্মিরজুড়ে চলছে সহিংস আন্দোলন। আর এ আন্দোলনে প্রথম থেকেই পাকিস্তানি মদদ রয়েছে বলে অভিযোগ করে আসছে ভারত। তবে পাকিস্তান তা অস্বীকার করে ভারতের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সরব হয়েছে। অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের মধ্যে গত ১৮ সেপ্টেম্বর কাশ্মিরের উরের সেনা ঘাঁটিতে হামলা ও তাতে ১৮ ভারতীয় সেনা নিহত হলে উত্তেজনা চরমে ওঠে। এ সময় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে পাঠানো এক বার্তায় এই সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা করেন এবং ভারতের এ দুঃসময়ে সে দেশের পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। ভারতের ভেতরে যুদ্ধের জন্য চাপ বাড়তে থাকার কারণে মোদির সরকার সে দেশে কূটনীতিক, রাজনীতিবিদ, সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। বুধবার থেকে ভারত পাকিস্তানের সীমান্তে ব্যাপক সৈন্য ও গোলাবারুদ মজুদ করতে শুরু করেছে বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের সূত্রে জানা যাচ্ছে। পাকিস্তানও বুধবার রাত থেকে ভারত সীমান্তবর্তী এলাকায় বিমান চলাচলের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে। দুই দেশের মধ্যে এ টানটান উত্তেজনার কারণে এ দেশের ভেতরেও আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে বাংলাদেশ কি তাহলে যুদ্ধের প্রতি সমর্থন জানাতে যাচ্ছে?
এ প্রেক্ষিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, যদি যুদ্ধ বেধে যায় তবে বাংলাদেশ সরাসরি যুদ্ধকে সমর্থন দেবে না। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশ কৌশলী অবস্থান নেবে। মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা যায়যায়দিনকে বলেন, বাংলাদেশ ভারতকে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সহায়তা ও পাশে থাকার আশ্বাস দিলেও যুদ্ধের মতো পরিস্থিতিতে নিরপেক্ষ থাকবে। এ দেশের পররাষ্ট্রনীতি যুদ্ধবিরোধী বলে উল্লেখ করেন। তিনি জানান, সাম্রাজ্যবাদ ও সহিংসতাবিরোধী বিশ্ব সংস্থা ন্যামের (নন অ্যালায়েন্স মুভমেন্ট) সদস্য হিসেবে যুদ্ধ ও আগ্রাসীমূলক যেকোনো কর্মকাণ্ড থেকে দূরে থাকাই বাংলাদেশের নীতি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, ইরান ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন মুসলিম দেশের কাছ থেকে পাকিস্তানে হামলার জন্য সমর্থন পাওয়ার চেষ্টা করছে ভারত। বাংলাদেশ এ ধরনের কোনো যুদ্ধে সমর্থন দেয়ার ক্ষেত্রে আগ্রহী নয়। তবে বাংলাদেশ সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স প্রয়োগে এবং সমর্থন দিতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
দেশের রাজনীতিবিদ ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরাও মনে করেন, যুদ্ধের মতো কোনো পরিস্থিতিতে সমর্থন দেয়া হবে বড় ধরনের ভুল সিদ্ধান্ত। তবে সন্ত্রাসবাদের মতো বিষয়ে সহযোগিতাকে তারাও সমর্থন করছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের ড. ফাজরিন হুদা যায়যায়দিনকে বলেন, যুদ্ধ সে হোক পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বা অন্য যেকোনো দেশের বিরুদ্ধে তা অবশ্যই বর্জনীয়। তবে বাংলাদেশ ভারতের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে এ পরিস্থিতিতে যুদ্ধ বন্ধে কূটনৈতিক উপায়ে সমাধান খোঁজার জন্য উভয়পক্ষকে চাপ প্রয়োগ করতে পারে। এতে মধ্যস্থতা করে বাংলাদেশ বিশ্বশান্তি অর্জনের পথে ভূমিকা রাখতে পারে। তিনি আরও বলেন, কাশ্মির প্রশ্নে বাংলাদেশ বরাবরই নিরপেক্ষ থাকে। কারণ বাংলাদেশের একটি বিরাট অংশের মানুষের সমর্থন আছে কাশ্মিরের জনগণের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতি। এবারও বাংলাদেশ কাশ্মির ইস্যুতে সরাসরি কোনো কথা বলেনি। শুধু সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ভারতের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। বাংলাদেশের পক্ষে যেমন ভারতের বিপক্ষে যাওয়া কঠিন তেমনি কাশ্মির বা পাকিস্তানের পক্ষ নেওয়াটাও সহজ নয়। তাই বাংলাদেশকে অবশ্যই পাক-ভারত ইস্যুতে মধ্যবর্তী অবস্থান নিতে হবে। তবে নিরপেক্ষ থাকাই অধিকতর যুক্তিযুক্ত বলে মনে করেন এ বিশেষজ্ঞ। তার মতে, আগামী মাসে যেহেতু চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিং পিংয়ের আসার কথা এবং সে সফরে চীনের কাছ থেকে বাংলাদেশের প্রত্যাশাও অনেক বেশি, তাই এ সময়ে কাকে সমর্থন দিতে হবে আর কাকে সমর্থন না দিয়ে নিরপেক্ষ থাকতে হবে তা খুবই বিচক্ষণতার সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে। কারণ চীন এরই মধ্যে পাকিস্তানের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেয়ার পাশাপাশি ভারতের বিরুদ্ধেও কাশ্মির ইস্যুতে সরব হয়েছে। এখন বাংলাদেশ যদি ভারতের পাশে শক্ত অবস্থান নেয় তবে তা চীনের অখুশির কারণ হবে কি না তাও ভেবে দেখতে হবে। বাংলাদেশ তার বরাবরের নীতি অনুযায়ী যুদ্ধের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে এবং সব দেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়থএ নীতিতে অটুট থাকবে বলেই প্রত্যাশা করছেন বিশ্লেষকেরা। সরকারও এ বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্কভাবে অগ্রসর হবে বলেই মত তাদের।