ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

পাওনা টাকা চাওয়ায় প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:৪৬:৪৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০১৯
  • / ২৬২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:
গরুর চামড়া বিক্রয়ের টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে প্রাণনাশের হুমকি প্রদানের অভিযোগে আলমডাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে কুমারী গ্রামের নাসির উদ্দীনের স্ত্রী সাহেদা খাতুন আলমডাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার হারদী গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে সাহেদ আলী দীর্ঘদিন যাবৎ গরুর চামড়ার ব্যবসা করে আসছিলো। ইতোমধ্যে ব্যবসায়ীক সূত্রে গত কোরবানীর ঈদে সাহেদ আলী পৌরসভা এলাকার বাবুপাড়ার রাজ্জাকের নিকট ২ লাখ ৭২ হাজার টাকার গরুর চামড়া বাকিতে বিক্রয় করে। এক সপ্তাহের মধ্যে রাজ্জাক টাকা দেওয়ার কথা থাকলেও প্রায় ৭ মাস পার হলেও রাজ্জাক ক্ষমতার জোরে সাহেদ আলীর টাকা ফেরৎ দিবে অপরাগতা স্বীকার করে। এরই কারণে সাহেদ আলমডাঙ্গা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন রাজ্জাকের বিরুদ্ধে। থানা পুলিশ রাজ্জাকে আটক করে পুলিশ হেফাজতে রাখে। পরে সাহেদের ২ লাখ ৭২ হাজার টাকা ফেরৎ দেওয়ার মর্মে মুচলেকার মাধ্যমে খালাস পায়।
রাজ্জাক দুই ধাপে সাহেদের নিকট ৯০ হাজার টাকা পরিশোধ করে। পরে টাকা দিতে আবারো অপরাগতা স্বীকার করলে আলমডাঙ্গা থানার এসআই সুফল কুমার বিশ্বাস রাজ্জাককে থানায় তলব করে। রাজ্জাক তার ব্যবসায়ীক সাহেদের নিকট থেকে বাকি ১ লাখ ৮২ হাজার টাকা পাওনা হিসেবে স্বীকার করে। এই পাওনা টাকা উদ্ধারে আলমডাঙ্গা উপজেলার বেলগাছী ইউনিয়নের ডামোশ গ্রামের আবু বক্করের ছেলে চঞ্চল মধ্যস্ততার দায়ভার নেয়। গত ১০ জানুয়ারি রাজ্জাকের নিকট সাহেদের বোন সাহেদা খাতুন টাকা চাইতে গেলে রাজ্জাক তার উপরে চড়াও হয়ে গালাগালিসহ হুমকি প্রদান করে পরে মধ্যস্ততাকারী চঞ্চলের নিকট গেলে সে একই ধরণের গালিগালাজ ও প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় সাহেদা আলমডাঙ্গা থানায় রাজ্জাক ও চঞ্চলের বিরুদ্ধে প্রাণনাশের হুমকি প্রদানের ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করেছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

পাওনা টাকা চাওয়ায় প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ

আপলোড টাইম : ১১:৪৬:৪৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক:
গরুর চামড়া বিক্রয়ের টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে প্রাণনাশের হুমকি প্রদানের অভিযোগে আলমডাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে কুমারী গ্রামের নাসির উদ্দীনের স্ত্রী সাহেদা খাতুন আলমডাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার হারদী গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে সাহেদ আলী দীর্ঘদিন যাবৎ গরুর চামড়ার ব্যবসা করে আসছিলো। ইতোমধ্যে ব্যবসায়ীক সূত্রে গত কোরবানীর ঈদে সাহেদ আলী পৌরসভা এলাকার বাবুপাড়ার রাজ্জাকের নিকট ২ লাখ ৭২ হাজার টাকার গরুর চামড়া বাকিতে বিক্রয় করে। এক সপ্তাহের মধ্যে রাজ্জাক টাকা দেওয়ার কথা থাকলেও প্রায় ৭ মাস পার হলেও রাজ্জাক ক্ষমতার জোরে সাহেদ আলীর টাকা ফেরৎ দিবে অপরাগতা স্বীকার করে। এরই কারণে সাহেদ আলমডাঙ্গা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন রাজ্জাকের বিরুদ্ধে। থানা পুলিশ রাজ্জাকে আটক করে পুলিশ হেফাজতে রাখে। পরে সাহেদের ২ লাখ ৭২ হাজার টাকা ফেরৎ দেওয়ার মর্মে মুচলেকার মাধ্যমে খালাস পায়।
রাজ্জাক দুই ধাপে সাহেদের নিকট ৯০ হাজার টাকা পরিশোধ করে। পরে টাকা দিতে আবারো অপরাগতা স্বীকার করলে আলমডাঙ্গা থানার এসআই সুফল কুমার বিশ্বাস রাজ্জাককে থানায় তলব করে। রাজ্জাক তার ব্যবসায়ীক সাহেদের নিকট থেকে বাকি ১ লাখ ৮২ হাজার টাকা পাওনা হিসেবে স্বীকার করে। এই পাওনা টাকা উদ্ধারে আলমডাঙ্গা উপজেলার বেলগাছী ইউনিয়নের ডামোশ গ্রামের আবু বক্করের ছেলে চঞ্চল মধ্যস্ততার দায়ভার নেয়। গত ১০ জানুয়ারি রাজ্জাকের নিকট সাহেদের বোন সাহেদা খাতুন টাকা চাইতে গেলে রাজ্জাক তার উপরে চড়াও হয়ে গালাগালিসহ হুমকি প্রদান করে পরে মধ্যস্ততাকারী চঞ্চলের নিকট গেলে সে একই ধরণের গালিগালাজ ও প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় সাহেদা আলমডাঙ্গা থানায় রাজ্জাক ও চঞ্চলের বিরুদ্ধে প্রাণনাশের হুমকি প্রদানের ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করেছে।