ইপেপার । আজমঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

পশু মোটাতাজাকরণে ব্যস্ত খামারিরা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:৫৩:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ মে ২০২৩
  • / ৫ বার পড়া হয়েছে

মিঠুন মাহমুদ, জীবননগর:
আসন্ন কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে জীবননগর উপজেলায় ব্যস্ত সময় পার করছেন গবাদিপশুর খামারি ও ব্যবসায়ীরা। পশু মোটাতাজাকরণে করছেন অতিরিক্ত পরিচর্যা। গত বছরের তুলনায় এ বছর গো-খাদ্যের দাম দ্বিগুণ বাড়ায় লোকসানের আশঙ্কায় আছেন খামারিরা। তাঁরা বলছেন, অবৈধভাবে ভারতীয় গরু ঢুকলে আরও লোকসান হবে। তাই প্রশাসনকে দেশে অবৈধভাবে ভারতীয় গরু আনা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান তারা। জানা গেছে, এ অঞ্চলের খামারিরা রোজার ঈদের পর থেকে গবাদিপশুর বাড়তি পরিচর্যা শুরু করেন। এছাড়া বছরজুড়ে ভুসি, খৈল, ঘাস ও খড় গবাদিপশুকে খেতে দেয়।

জীবননগর উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে কোরবানির জন্য জীবননগর উপজেলায় ১৬ হাজার ২৫১টি গরু, ৫৪টি মহিষ, ২৪ হাজার ২৫০টি ছাগল এবং ৩ হাজার ১০০টি ভেড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। গত বছর জীবননগরে প্রায় ২৬ হাজার ৫০০টি পশু কোরবানি করা হয়। এ বছর উপজেলায় চাহিদা রয়েছে ৩২ হাজার ৮৬৮টি পশুর। মজুত আছে ৪৩ হাজার ৮২৪টি পশু। তাই চাহিদা মিটিয়েও জীবননগরের পশু দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করা যাবে।

জীবননগর উপজেলার তেতুলিয়া গ্রামের খামারি নাহিদ হোসেন জানান, তার খামারে ছোট-বড় মিলে ১৬টি গরু আছে। প্রতিটি গরুর দাম ১ থেকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। গত বছরের তুলনায় এ বছর গো-খাদ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কারণে এবার পশুর দাম বেশি হবে বলে জানান তিনি।

সীমান্ত ইউনিয়নের গঙ্গাদাশপুর গ্রামের খামারি আব্দুল গফুর বলেন, ‘এক বছর ধরে গরুর যত্ন করছি, ভালো দাম পাওয়ার জন্য। বর্তমানে গরুর খাবারের যে দাম, তাতে গরু পালন কষ্টদায়ক হয়ে যাচ্ছে। এবার যদি ভারত থেকে বাংলাদেশে অবৈধভাবে গরু আসে, তাহলে আমাদের গরুর সঠিক দাম পাবো না। আমাদের অনেক টাকা লোকসান গুনতে হবে। প্রশাসন যদি একটু তৎপর হয়, তাহলে আমাদের মতো খামারিরা একটু লাভবান হবে।’

জীবননগর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. তানভীর হাসান বলেন, জীবননগর উপজেলার প্রতিটি খামারিদের দেশীয় পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজাকরণের বিষয় পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এবং তাদের সহযোগিতা করা হয়েছে। যদি কোনো খামারি অসৎ উপায়ে গরু মোটাতাজা করেন, এমন প্রমাণ পেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

পশু মোটাতাজাকরণে ব্যস্ত খামারিরা

আপলোড টাইম : ১১:৫৩:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ মে ২০২৩

মিঠুন মাহমুদ, জীবননগর:
আসন্ন কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে জীবননগর উপজেলায় ব্যস্ত সময় পার করছেন গবাদিপশুর খামারি ও ব্যবসায়ীরা। পশু মোটাতাজাকরণে করছেন অতিরিক্ত পরিচর্যা। গত বছরের তুলনায় এ বছর গো-খাদ্যের দাম দ্বিগুণ বাড়ায় লোকসানের আশঙ্কায় আছেন খামারিরা। তাঁরা বলছেন, অবৈধভাবে ভারতীয় গরু ঢুকলে আরও লোকসান হবে। তাই প্রশাসনকে দেশে অবৈধভাবে ভারতীয় গরু আনা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান তারা। জানা গেছে, এ অঞ্চলের খামারিরা রোজার ঈদের পর থেকে গবাদিপশুর বাড়তি পরিচর্যা শুরু করেন। এছাড়া বছরজুড়ে ভুসি, খৈল, ঘাস ও খড় গবাদিপশুকে খেতে দেয়।

জীবননগর উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে কোরবানির জন্য জীবননগর উপজেলায় ১৬ হাজার ২৫১টি গরু, ৫৪টি মহিষ, ২৪ হাজার ২৫০টি ছাগল এবং ৩ হাজার ১০০টি ভেড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। গত বছর জীবননগরে প্রায় ২৬ হাজার ৫০০টি পশু কোরবানি করা হয়। এ বছর উপজেলায় চাহিদা রয়েছে ৩২ হাজার ৮৬৮টি পশুর। মজুত আছে ৪৩ হাজার ৮২৪টি পশু। তাই চাহিদা মিটিয়েও জীবননগরের পশু দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করা যাবে।

জীবননগর উপজেলার তেতুলিয়া গ্রামের খামারি নাহিদ হোসেন জানান, তার খামারে ছোট-বড় মিলে ১৬টি গরু আছে। প্রতিটি গরুর দাম ১ থেকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। গত বছরের তুলনায় এ বছর গো-খাদ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কারণে এবার পশুর দাম বেশি হবে বলে জানান তিনি।

সীমান্ত ইউনিয়নের গঙ্গাদাশপুর গ্রামের খামারি আব্দুল গফুর বলেন, ‘এক বছর ধরে গরুর যত্ন করছি, ভালো দাম পাওয়ার জন্য। বর্তমানে গরুর খাবারের যে দাম, তাতে গরু পালন কষ্টদায়ক হয়ে যাচ্ছে। এবার যদি ভারত থেকে বাংলাদেশে অবৈধভাবে গরু আসে, তাহলে আমাদের গরুর সঠিক দাম পাবো না। আমাদের অনেক টাকা লোকসান গুনতে হবে। প্রশাসন যদি একটু তৎপর হয়, তাহলে আমাদের মতো খামারিরা একটু লাভবান হবে।’

জীবননগর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. তানভীর হাসান বলেন, জীবননগর উপজেলার প্রতিটি খামারিদের দেশীয় পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজাকরণের বিষয় পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এবং তাদের সহযোগিতা করা হয়েছে। যদি কোনো খামারি অসৎ উপায়ে গরু মোটাতাজা করেন, এমন প্রমাণ পেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।