ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

পল্লী বদ্যিুতরে ভুতুড়ে বলি, নাকাল জীবননগরবাসী

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৭:৫৩:৩৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ জুলাই ২০২০
  • / ৪৫১ বার পড়া হয়েছে

জীবননগর অফিস:
জীবননগরে পল্লী বিদ্যুতের ভুতুড়ে বিলে নাকাল হয়ে পড়েছে উপজেলাবাসী। জীবননগর উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার প্রায় ৫১ হাজারের অধিক গ্রাহক ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিলের ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। কিন্তু পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের দাবি, সার্ভিস তারে যে বিদ্যুৎ ব্যবহার হয়, তা মিটার রিডিংয়ে দেখা যায় না। তাই মিটার রিডিং ও বিল কাগজের মধ্যে ব্যবধান থাকে। মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে গ্রাহকেরা বকেয়া বিল মাশুল ছাড়া তিন মাসের বিদ্যুৎ বিল একসঙ্গে দেওয়ার সুবিধা পেলেও এখন অনেক গ্রাহক বিল পরিশোধ করেনি।
এদিকে পল্লী বিদ্যুতের একাধিক গ্রাহক অভিযোগ করে বলেন, বিভিন্নভাবে পল্লী বিদ্যুত সমিতি এই সমস্যা-সেই সমস্যা বলে কাটিয়ে দেয়। আর অতিরিক্ত বিল তৈরি করে বাড়িতে দিয়ে যায়। অফিসে গেলেই বলে অতিরিক্ত টাকা পরবর্তী মাসের বিলের সঙ্গে সমন্বয় করা হবে। তা ছাড়া তিন মাস যাবৎ বাড়িতে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের কোনো কর্মকর্তা না এসে কীভাবে বিল তৈরি করল? তিন মাসের বিল আগের তুলনায় ছয় থেকে সাত গুন বেশি। এ বিল কীভাবে পরিশোধ করব।
পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক আশাদুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ‘এখন না হয় করোনাভাইরাসের জন্য কোনো কর্মকর্তা বাড়িতে যেয়ে বিদ্যুৎ বিল করতে পারছেন না। কিন্তু আমার তো করোনাভাইরাসের আগের বিল নিয়ে ঘুরে বেড়াতে হচ্ছে। সারা বছর বিল ওঠে ২৫০ টাকা থেকে ২৮০ টাকা। কিন্তু গত তিন মাসে ২ হাজার টাকার ওপরে বিদ্যুৎ বিল উঠেছে। একবার অফিসে গিয়ে সমস্ত বিল পরিশোধ করার পর আবার দুই মাসের বিল বাকি দেখাচ্ছে। যার টাকা জমা দেওয়ার কাগজটাও আমার কাছে আছে। পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তারা সব কাজে অনীহা প্রকাশ করে। আর দুর্ভোগের শিকার হতে হয় সাধারণ গ্রাহকের।’
এ বিষয়ে মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতাধীন জীবননগর সাব জোনাল অফিসের এজিএম মাইনুল ইসলামের সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, ‘জীবননগর উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার মধ্যে আমার অধীনে ৬টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার ৪০ হাজার গ্রাহক আছে। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের কারণে ব্যবহারের পরিমাণ বেশি হওয়ায় গ্রাহকদের কাছে বিদ্যুৎ বিল বেশি মনে হচ্ছে এবং মহামারি করোনার কারণে মিটার রিডার কোনো বাড়িতে ঢুকতে পারেননি, যে কারণে গ্রাহকেরা এসব অভিযোগ করছেন। আমরা বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। আশা করি খুব শিগগিরই বিল সমন্বয় করা হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

পল্লী বদ্যিুতরে ভুতুড়ে বলি, নাকাল জীবননগরবাসী

আপলোড টাইম : ০৭:৫৩:৩৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ জুলাই ২০২০

জীবননগর অফিস:
জীবননগরে পল্লী বিদ্যুতের ভুতুড়ে বিলে নাকাল হয়ে পড়েছে উপজেলাবাসী। জীবননগর উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার প্রায় ৫১ হাজারের অধিক গ্রাহক ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিলের ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। কিন্তু পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের দাবি, সার্ভিস তারে যে বিদ্যুৎ ব্যবহার হয়, তা মিটার রিডিংয়ে দেখা যায় না। তাই মিটার রিডিং ও বিল কাগজের মধ্যে ব্যবধান থাকে। মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে গ্রাহকেরা বকেয়া বিল মাশুল ছাড়া তিন মাসের বিদ্যুৎ বিল একসঙ্গে দেওয়ার সুবিধা পেলেও এখন অনেক গ্রাহক বিল পরিশোধ করেনি।
এদিকে পল্লী বিদ্যুতের একাধিক গ্রাহক অভিযোগ করে বলেন, বিভিন্নভাবে পল্লী বিদ্যুত সমিতি এই সমস্যা-সেই সমস্যা বলে কাটিয়ে দেয়। আর অতিরিক্ত বিল তৈরি করে বাড়িতে দিয়ে যায়। অফিসে গেলেই বলে অতিরিক্ত টাকা পরবর্তী মাসের বিলের সঙ্গে সমন্বয় করা হবে। তা ছাড়া তিন মাস যাবৎ বাড়িতে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের কোনো কর্মকর্তা না এসে কীভাবে বিল তৈরি করল? তিন মাসের বিল আগের তুলনায় ছয় থেকে সাত গুন বেশি। এ বিল কীভাবে পরিশোধ করব।
পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক আশাদুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ‘এখন না হয় করোনাভাইরাসের জন্য কোনো কর্মকর্তা বাড়িতে যেয়ে বিদ্যুৎ বিল করতে পারছেন না। কিন্তু আমার তো করোনাভাইরাসের আগের বিল নিয়ে ঘুরে বেড়াতে হচ্ছে। সারা বছর বিল ওঠে ২৫০ টাকা থেকে ২৮০ টাকা। কিন্তু গত তিন মাসে ২ হাজার টাকার ওপরে বিদ্যুৎ বিল উঠেছে। একবার অফিসে গিয়ে সমস্ত বিল পরিশোধ করার পর আবার দুই মাসের বিল বাকি দেখাচ্ছে। যার টাকা জমা দেওয়ার কাগজটাও আমার কাছে আছে। পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তারা সব কাজে অনীহা প্রকাশ করে। আর দুর্ভোগের শিকার হতে হয় সাধারণ গ্রাহকের।’
এ বিষয়ে মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতাধীন জীবননগর সাব জোনাল অফিসের এজিএম মাইনুল ইসলামের সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, ‘জীবননগর উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার মধ্যে আমার অধীনে ৬টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার ৪০ হাজার গ্রাহক আছে। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের কারণে ব্যবহারের পরিমাণ বেশি হওয়ায় গ্রাহকদের কাছে বিদ্যুৎ বিল বেশি মনে হচ্ছে এবং মহামারি করোনার কারণে মিটার রিডার কোনো বাড়িতে ঢুকতে পারেননি, যে কারণে গ্রাহকেরা এসব অভিযোগ করছেন। আমরা বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। আশা করি খুব শিগগিরই বিল সমন্বয় করা হবে।