ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

পলাতক দুই আসামির যাবজ্জীবন কারাদন্ড

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:০৩:৫৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অগাস্ট ২০১৯
  • / ২০৪ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গায় আলোচিত সোনা চোরাচালান মামলার রায় ঘোষণা
নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গায় সোনা চোরাচালান মামলায় দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদ- প্রদান করেছেন আদালত। গতকাল সোমবার বিকেলে চুয়াডাঙ্গার স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক মোহা. রবিউল ইসলাম এ রায় প্রদান করেন। যাবজ্জীবন কারাদ-প্রাপ্ত আসামিরা হলেন ঢাকা কেরানিগঞ্জের রামেরকান্দা গ্রামের মহিউদ্দিন খানের ছেলে নুরুল ইসলাম (৪৫) ও মুন্সিগঞ্জ জেলার লৌহজং উপজেলার কালুরগা গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে মাসুদ রানা (৪০)। তবে রায় ঘোষণার সময় দুই আসামি পলাতক ছিলেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ৭ জুন সকালে ভারতে সোনা পাচারের সময় দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা জয়নগর আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট থেকে নুরুল ইসলাম ও মাসুদ রানাকে আটক করেন শুল্ক স্টেশনের কর্মকর্তারা। এ সময় তাঁদের কাছে থাকা ব্যাগ তল্লাশি করে ১৯টি সোনার বার ও ১০টি খ-িত সোনার টুকরো জব্দ করা হয়। যার আনুমানিক ওজন ২ কেজি ২৭৮ গ্রাম। জব্দ হওয়া সোনার বাজারমূল্য প্রায় ১ কোটি ১৪ লাখ টাকা। এ ঘটনায় বেনাপোল শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত সার্কেলের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা সাজিবুল ইসলাম বাদী হয়ে আটক দুজনকে আসামি করে দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি মামলা করেন।
আলোচিত এ সোনা চোরাচালান মামলার তদন্ত শেষে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের তৎকালীন উপপরিদর্শক আশরাফুল ইসলাম ২০১৮ সালের ৩১ জুলাই নুরুল ইসলাম ও মাসুদ রানাকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। আদালত এ মামলায় ৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪-এর ২৫ বি (১) (এ) ধারায় তাঁদের দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদ- প্রদান করেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

পলাতক দুই আসামির যাবজ্জীবন কারাদন্ড

আপলোড টাইম : ০৯:০৩:৫৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অগাস্ট ২০১৯

চুয়াডাঙ্গায় আলোচিত সোনা চোরাচালান মামলার রায় ঘোষণা
নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গায় সোনা চোরাচালান মামলায় দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদ- প্রদান করেছেন আদালত। গতকাল সোমবার বিকেলে চুয়াডাঙ্গার স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক মোহা. রবিউল ইসলাম এ রায় প্রদান করেন। যাবজ্জীবন কারাদ-প্রাপ্ত আসামিরা হলেন ঢাকা কেরানিগঞ্জের রামেরকান্দা গ্রামের মহিউদ্দিন খানের ছেলে নুরুল ইসলাম (৪৫) ও মুন্সিগঞ্জ জেলার লৌহজং উপজেলার কালুরগা গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে মাসুদ রানা (৪০)। তবে রায় ঘোষণার সময় দুই আসামি পলাতক ছিলেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ৭ জুন সকালে ভারতে সোনা পাচারের সময় দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা জয়নগর আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট থেকে নুরুল ইসলাম ও মাসুদ রানাকে আটক করেন শুল্ক স্টেশনের কর্মকর্তারা। এ সময় তাঁদের কাছে থাকা ব্যাগ তল্লাশি করে ১৯টি সোনার বার ও ১০টি খ-িত সোনার টুকরো জব্দ করা হয়। যার আনুমানিক ওজন ২ কেজি ২৭৮ গ্রাম। জব্দ হওয়া সোনার বাজারমূল্য প্রায় ১ কোটি ১৪ লাখ টাকা। এ ঘটনায় বেনাপোল শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত সার্কেলের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা সাজিবুল ইসলাম বাদী হয়ে আটক দুজনকে আসামি করে দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি মামলা করেন।
আলোচিত এ সোনা চোরাচালান মামলার তদন্ত শেষে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের তৎকালীন উপপরিদর্শক আশরাফুল ইসলাম ২০১৮ সালের ৩১ জুলাই নুরুল ইসলাম ও মাসুদ রানাকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। আদালত এ মামলায় ৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪-এর ২৫ বি (১) (এ) ধারায় তাঁদের দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদ- প্রদান করেন।