ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

পরোপকার : আল্লাহকে পাওয়ার সিঁড়ি

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১২:১৬:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৭
  • / ৩১৭ বার পড়া হয়েছে

অন্যের জন্য কিছু করা এই গুণটি ইসলামে বিশেষভাবে প্রশংসনীয়। নিজের জন্য ত্যাগ স্বীকার করতে পারে সবাই, কিন্তু পরের জন্য কিছু করার মতো উদারতা ও মহত্ত্ব কয়জনের আছে। যারা অন্যের উপকার করে তারা আল্লাহর প্রিয়। আল্লাহ যেমন উদার ও মহামহিম তেমনি এই গুণ যার মধ্যে আছে তাকে পছন্দ করেন। কোরানে বলা হয়েছে, ‘নিশ্চয় আল্লাহ তায়ালা ন্যায়পরায়ণতা, সদাচরণ এবং আত্মীয়স্বজনকে দান করার আদেশ দেন এবং তিনি অশ্লীলতা, অসঙ্গত কাজ এবং অবাধ্যতা করতে নিষেধ করেন।’ পরোপকার দ্বারা সহজেই আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করা যায়। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি মানুষের সঙ্গে সদয় ব্যবহার ও দয়া করে না, আল্লাহ তায়ালাও তার সঙ্গে সদয় ব্যবহার এবং দয়া দেখাবেন না।’ অন্য হাদিসে আছে, ‘আমার উম্মতের বহু লোক নামাজ ও রোজার আধিক্যের কারণে জান্নাতে যাবে না বরং আল্লাহ তায়ালা তাদের অন্তরের পরিশুদ্ধতা, আন্তরিকতা, দানশীলতা ও সব মুসলমানের প্রতি দর্য়ার্দ্র হওয়ার কারণে তাদের প্রতি করুণা করবেন। ফলে তারা জান্নাতে যাবে।’ পরোপকারের মূর্ত প্রতীক ছিলেন আমাদের প্রিয়নবী (সা.)। মানুষের উপকার করতে পারলে তিনি খুব আনন্দিত হতেন। অপরের দুঃখে তিনি দুঃখিত হতেন। কারো চোখে পানি দেখলে তিনি কেঁদে দিতেন। নিজে না খেয়ে, না পরে অন্যকে খাওয়াতেন, পরাতেন। তেমনি এই শিক্ষা গ্রহণ করেছিলেন সাহাবায়ে কেরাম (রা.)। সাহাবায়ে কেরাম যখন মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত করলেন তখন মদিনার আনসারেরা তাদের অর্থসম্পদ, জায়গা-জমি, বাড়িঘরসহ সবধরনের উপকরণ দিয়ে সাহায্য করে পরোপকারের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন। হাদিসে আছে, ‘মুসলমান মুসলমানের ভাই, সে তার ওপর জুলুম করবে না এবং তাকে ধ্বংসের দিকে ফেলে দেবে না। যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের অভাবে সাহায্য করবে, আল্লাহ তায়ালা তার অভাবে সাহায্য করবেন। যে ব্যক্তি কোনো মুসলমানের দুঃখ-কষ্ট দূর করবে, আল্লাহ তায়ালা কিয়ামতের দিন তার বিপদগুলোর কোনো একটি বিপদ দূর করে দেবেন। আর যে ব্যক্তি কোনো মুসলমানের দোষ-ত্রুটি গোপন রাখবে, আল্লাহ তায়ালা কিয়ামতের দিন তার দোষ-ত্রুটি গোপন রাখবেন।’ এ জন্য এই মহৎ গুণটি প্রত্যেক মুসলমানের মধ্যে থাকা চাই।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

পরোপকার : আল্লাহকে পাওয়ার সিঁড়ি

আপলোড টাইম : ১২:১৬:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৭

অন্যের জন্য কিছু করা এই গুণটি ইসলামে বিশেষভাবে প্রশংসনীয়। নিজের জন্য ত্যাগ স্বীকার করতে পারে সবাই, কিন্তু পরের জন্য কিছু করার মতো উদারতা ও মহত্ত্ব কয়জনের আছে। যারা অন্যের উপকার করে তারা আল্লাহর প্রিয়। আল্লাহ যেমন উদার ও মহামহিম তেমনি এই গুণ যার মধ্যে আছে তাকে পছন্দ করেন। কোরানে বলা হয়েছে, ‘নিশ্চয় আল্লাহ তায়ালা ন্যায়পরায়ণতা, সদাচরণ এবং আত্মীয়স্বজনকে দান করার আদেশ দেন এবং তিনি অশ্লীলতা, অসঙ্গত কাজ এবং অবাধ্যতা করতে নিষেধ করেন।’ পরোপকার দ্বারা সহজেই আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করা যায়। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি মানুষের সঙ্গে সদয় ব্যবহার ও দয়া করে না, আল্লাহ তায়ালাও তার সঙ্গে সদয় ব্যবহার এবং দয়া দেখাবেন না।’ অন্য হাদিসে আছে, ‘আমার উম্মতের বহু লোক নামাজ ও রোজার আধিক্যের কারণে জান্নাতে যাবে না বরং আল্লাহ তায়ালা তাদের অন্তরের পরিশুদ্ধতা, আন্তরিকতা, দানশীলতা ও সব মুসলমানের প্রতি দর্য়ার্দ্র হওয়ার কারণে তাদের প্রতি করুণা করবেন। ফলে তারা জান্নাতে যাবে।’ পরোপকারের মূর্ত প্রতীক ছিলেন আমাদের প্রিয়নবী (সা.)। মানুষের উপকার করতে পারলে তিনি খুব আনন্দিত হতেন। অপরের দুঃখে তিনি দুঃখিত হতেন। কারো চোখে পানি দেখলে তিনি কেঁদে দিতেন। নিজে না খেয়ে, না পরে অন্যকে খাওয়াতেন, পরাতেন। তেমনি এই শিক্ষা গ্রহণ করেছিলেন সাহাবায়ে কেরাম (রা.)। সাহাবায়ে কেরাম যখন মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত করলেন তখন মদিনার আনসারেরা তাদের অর্থসম্পদ, জায়গা-জমি, বাড়িঘরসহ সবধরনের উপকরণ দিয়ে সাহায্য করে পরোপকারের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন। হাদিসে আছে, ‘মুসলমান মুসলমানের ভাই, সে তার ওপর জুলুম করবে না এবং তাকে ধ্বংসের দিকে ফেলে দেবে না। যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের অভাবে সাহায্য করবে, আল্লাহ তায়ালা তার অভাবে সাহায্য করবেন। যে ব্যক্তি কোনো মুসলমানের দুঃখ-কষ্ট দূর করবে, আল্লাহ তায়ালা কিয়ামতের দিন তার বিপদগুলোর কোনো একটি বিপদ দূর করে দেবেন। আর যে ব্যক্তি কোনো মুসলমানের দোষ-ত্রুটি গোপন রাখবে, আল্লাহ তায়ালা কিয়ামতের দিন তার দোষ-ত্রুটি গোপন রাখবেন।’ এ জন্য এই মহৎ গুণটি প্রত্যেক মুসলমানের মধ্যে থাকা চাই।