ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন : বেতনের দোহায় দিয়ে ধার-দেনা করেই চলছে সংসার

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:২০:০৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩ নভেম্বর ২০১৭
  • / ৪৩০ বার পড়া হয়েছে

দর্শনা পৌরসভার কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন নেই দেড় বছর

আওয়াল হোসেন/ওয়াসিম রয়েল: চুয়াডাঙ্গা জেলার চারটি পৌরসভার মধ্যে অন্যতম পৌরসভা দামুড়হুদা উপজেলার অর্ন্তগত দর্শনা পৌরসভা। এই দর্শনাকে এই জেলার শিল্পনগরী বলা হয়। অথচ বেতন না পেয়ে দর্শনা পৌরসভার কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে। ছেলে-মেয়েদের পড়াশুনাসহ পরিবারের যাবতীয় দায়িত্ব পালনে এই সব কর্মকর্তা-কর্মচারিদের নিতে অন্যের সাহায্য। যখন ঋণের বোঝা দিনেদিনে এদের বাড়ছে পাচ্ছেন না বেতন। গত ১৮ মাস মানে দেড় বছর একটানা বেতন দিয়ে পাচ্ছে না দর্শনা পৌরসভা। এই পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারিদের জীবনযাপন করতে সবাইকে বেতন পাওয়ার দোহায় দিয়ে করতে হচ্ছে ধার-দেনা।
জানা যায়, ২০১৬ সালের ১ জুলাই থেকে বেতন বৃদ্ধি হলেও আজ অবধি তাদের পূর্নাঙ্গ বেতন পাচ্ছেন না এই পৌরসভার স্টাফরা।
বেতন না পাওয়ার কারণ সর্ম্পকে রুমি আলম পলাশ জানান, পৌরসভার আর্থিক সংকটের কারণে কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন দিতে পারচ্ছি না। এছাড়া পাঁচ বছর ধরে গ্রাচুইটি ও প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা বকেয়া রয়েছে। যার পরিমান প্রায় ৪০ লাখ টাকা। গত ১৬-১৭ অর্থ বছরে পৌরসভার আয় ধরা হয়  ১ কোটি ২৪ লাখ ৭৬ হাজার টাকা। এবং ব্যয় হয় ১ কোটি ১৮ লাখ ৬ হাজার টাকা। এসব ব্যয়ের মধ্যে বেতন দেওয়া হয়েছে। প্রতি মাসে নিয়মিত ২৬ জন, অনিয়মিত ২৩ জন ও ডেলী হাজিরা ২১ জন সর্বমোট ৭০ জন কর্মচারী ও কর্মকর্তাকে প্রায় ১০ লাখ টাকা পরিমান বেতন প্রদান করা হয়। সেই তুলনায় পৌরসভার আয় নেই। ফলে দর্শনা পৌরসভার কর্মচারী ও কর্মকর্তা অতিকষ্টে দিনপাত করছে।
এবিষয় কথা প্রসঙ্গে দর্শনা পৌর মেয়র মতিয়ার রহমানের নিকট পৌর কর্মচারী ও কর্মকর্তারা ঠিকমত বেতন না পাওয়া বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, দর্শনা পৌর এলাকার মানুষ সরকারী নিয়মানুযায়ী ১ লাখ টাকার বাড়ির মুল্যে হলে সেখানে ট্যাক্স  হয় ৭ হাজার টাকা। অথচ ট্যাক্স দেয় ২০০/৩০০ টাকা। দর্শনায় বেশ কিছু বাড়ি আছে যার মুল্যে অর্ধ কোটি টাকা, অথচ তারা কর দেয় বছরে ২৮০০ থেকে ৩ হাজোর টাকা। যারফলে এই অর্থ দিয়ে উন্নয়ন হবে কি করে। কর্মচারীদের বেতনই বা কি করে হয়। কর বৃদ্ধির ব্যপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন আবার ৫ বছর কর নির্ধারণ করা হবে। তখন দেখা যাবে কর বাড়ানো যায় কি করে। সর্বশেষ তিনি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের বেতন কিভাবে দ্রুত দেওয়া যায় সে বিষয়ে ভাবছেন বলে এই প্রতিবেদককে জানান।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন : বেতনের দোহায় দিয়ে ধার-দেনা করেই চলছে সংসার

আপলোড টাইম : ১১:২০:০৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩ নভেম্বর ২০১৭

দর্শনা পৌরসভার কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন নেই দেড় বছর

আওয়াল হোসেন/ওয়াসিম রয়েল: চুয়াডাঙ্গা জেলার চারটি পৌরসভার মধ্যে অন্যতম পৌরসভা দামুড়হুদা উপজেলার অর্ন্তগত দর্শনা পৌরসভা। এই দর্শনাকে এই জেলার শিল্পনগরী বলা হয়। অথচ বেতন না পেয়ে দর্শনা পৌরসভার কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে। ছেলে-মেয়েদের পড়াশুনাসহ পরিবারের যাবতীয় দায়িত্ব পালনে এই সব কর্মকর্তা-কর্মচারিদের নিতে অন্যের সাহায্য। যখন ঋণের বোঝা দিনেদিনে এদের বাড়ছে পাচ্ছেন না বেতন। গত ১৮ মাস মানে দেড় বছর একটানা বেতন দিয়ে পাচ্ছে না দর্শনা পৌরসভা। এই পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারিদের জীবনযাপন করতে সবাইকে বেতন পাওয়ার দোহায় দিয়ে করতে হচ্ছে ধার-দেনা।
জানা যায়, ২০১৬ সালের ১ জুলাই থেকে বেতন বৃদ্ধি হলেও আজ অবধি তাদের পূর্নাঙ্গ বেতন পাচ্ছেন না এই পৌরসভার স্টাফরা।
বেতন না পাওয়ার কারণ সর্ম্পকে রুমি আলম পলাশ জানান, পৌরসভার আর্থিক সংকটের কারণে কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন দিতে পারচ্ছি না। এছাড়া পাঁচ বছর ধরে গ্রাচুইটি ও প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা বকেয়া রয়েছে। যার পরিমান প্রায় ৪০ লাখ টাকা। গত ১৬-১৭ অর্থ বছরে পৌরসভার আয় ধরা হয়  ১ কোটি ২৪ লাখ ৭৬ হাজার টাকা। এবং ব্যয় হয় ১ কোটি ১৮ লাখ ৬ হাজার টাকা। এসব ব্যয়ের মধ্যে বেতন দেওয়া হয়েছে। প্রতি মাসে নিয়মিত ২৬ জন, অনিয়মিত ২৩ জন ও ডেলী হাজিরা ২১ জন সর্বমোট ৭০ জন কর্মচারী ও কর্মকর্তাকে প্রায় ১০ লাখ টাকা পরিমান বেতন প্রদান করা হয়। সেই তুলনায় পৌরসভার আয় নেই। ফলে দর্শনা পৌরসভার কর্মচারী ও কর্মকর্তা অতিকষ্টে দিনপাত করছে।
এবিষয় কথা প্রসঙ্গে দর্শনা পৌর মেয়র মতিয়ার রহমানের নিকট পৌর কর্মচারী ও কর্মকর্তারা ঠিকমত বেতন না পাওয়া বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, দর্শনা পৌর এলাকার মানুষ সরকারী নিয়মানুযায়ী ১ লাখ টাকার বাড়ির মুল্যে হলে সেখানে ট্যাক্স  হয় ৭ হাজার টাকা। অথচ ট্যাক্স দেয় ২০০/৩০০ টাকা। দর্শনায় বেশ কিছু বাড়ি আছে যার মুল্যে অর্ধ কোটি টাকা, অথচ তারা কর দেয় বছরে ২৮০০ থেকে ৩ হাজোর টাকা। যারফলে এই অর্থ দিয়ে উন্নয়ন হবে কি করে। কর্মচারীদের বেতনই বা কি করে হয়। কর বৃদ্ধির ব্যপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন আবার ৫ বছর কর নির্ধারণ করা হবে। তখন দেখা যাবে কর বাড়ানো যায় কি করে। সর্বশেষ তিনি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের বেতন কিভাবে দ্রুত দেওয়া যায় সে বিষয়ে ভাবছেন বলে এই প্রতিবেদককে জানান।