ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

পরবর্তিতে উপস্থিতির হার বাড়াতে বিশেষ পরিকল্পনা করা হবে- কেন্দ্র পরিদর্শনে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৫১:৪৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ নভেম্বর ২০১৭
  • / ৫০২ বার পড়া হয়েছে

শুরুর দিনে বাংলা ১ম পত্রে চুয়াডাঙ্গায় অনুপস্থিত ৫৩২ জন পরীক্ষার্থী : বাল্যবিয়ের ফলে ঝরে পড়েছে অধিকাংশ মেয়ে
সারাদেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) এবং জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষার প্রথম দিন অতিবাহিত হয়েছে। একই সাথে এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষার্থীরাও পরীক্ষা দিচ্ছে জেলার ৫টি কেন্দ্রে। এ বছর জেলার ৩৬টি কেন্দ্র/ভেন্যুতে একযোগে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। অংশ নিয়েছে জেলার ১৭ হাজার ৬৫১ জন শিক্ষার্থী। কিন্তু পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল ১৮ হাজার ১৮৩ জন পরীক্ষার্থীর। এরমধ্যে জেএসসি’র ১৪ হাজার ৩২৪ জন ১৭টি কেন্দ্রে ও জেডিসি’র ১ হাজার ৬৭৩ জন পরীক্ষার্থী ৫টি কেন্দ্রে এবং এসএসসি (ভোকেশনাল)-এসএসসি (দাখিল) নবম শ্রেণীর ১৬৪ জন ৭টি কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। প্রথম দিনের (জেএসসি) বাংলা ১ম পত্র এবং (জেডিসি) কুরআন মাজীদ ও তাজবিদ পরীক্ষায় ঝরে পড়েছে ৫৩২ জন শিক্ষার্থী; যাদের অধিকাংশই মেয়ে।
গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১১টায় চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও ভি.জে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শনে যান চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খন্দকার ফরহাদ আহমেদ। এ সময় জেলা প্রশাসক পরীক্ষা গ্রহণের দায়িত্বে থাকা হল সুপার ও শিক্ষকদের সাথে কথা বলেন এবং পরীক্ষার সার্বিক পরিবেশ পরিস্থিতি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন। কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘সুষ্ঠু, সুন্দর ও নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সব সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে।’ পরীক্ষার্থী অনুপস্থিতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কেন্দ্র পরিদর্শনকালে কিছু কিছু পরীক্ষার্থীর অনুপস্থিতি চোখে পড়েছে; যাদের অধিকাংশই মেয়ে। আশ্চর্য্যরে বিষয় হলো অষ্টম শ্রেণী পাশ না করার আগেই তাদের বিয়ে হয়ে গেছে। যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মেয়েরা বাল্য বিবাহের শিকার হয়ে ঝরে পড়েছে তাদেরকে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বাল্য বিবাহের চরম অবক্ষয়ের এ বিষয়টি বিবেচনায় রেখে পরবর্তীতে উপস্থিতির হার বাড়াতে বিশেষ পরিকল্পনা করা হবে।’ আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত টানা ৩ঘন্টা ( জেএসসি) বাংলা ২য় পত্র ও (জেডিসি) আকাইদ ও ফিকাহ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
আলমডাঙ্গা অফিস জানিয়েছে, আলমডাঙ্গায় জেএসসি ও জেডিসি ও নবম ভোকেশনাল পরীক্ষার প্রথম দিন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে নকল মুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ১০টা থেকে ১টা পর্যন্ত একটানা পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। আলমডাঙ্গা পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে জেএসসি পরীক্ষার্থীর সংখ্যা মোট ৯৪১ জন। উপস্থিত ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ৯১৮ জন। অনুপস্থিত ছিল ২৩ জন। আলমডাঙ্গা বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে জেএসসি পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ হাজার ৩৪১। এদের মধ্যে উপস্থিত ছিল ১ হাজার ৩৩৪ জন। অনুপস্থিত ছিল ২৭ জন। আলমডাঙ্গা আলিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্রে জেডিসি ও নবম ভোকেশনাল পরীক্ষায় জেডিসি পরীক্ষার্থী মোট ৪২৫। অনুপস্থিত ছিল ২৩ জন। নবম ভোকেশনাল পরীক্ষর্থী সংখ্যা মোট ৯৩। অনুপস্থিত ছিল ৪ জন।
জীবননগর অফিস জানিয়েছে, সারাদেশের ন্যায় এক সাথে জীবননগর উপজেলার ৮টি পরীক্ষা কেন্দ্রে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ বছরে উপজেলার জীবননগর থানা পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়/পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ভেন্যুতে ৭৪৭ জন, আন্দুলবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়/আন্দুলবাড়িয়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ভেন্যুতে ৫০৮ জন, হাসাদহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়/হাসাদহ ফাজিল মাদ্রাসা ভেন্যুতে ৪২৫ জন, উথলী মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৩৬০ জন এবং মনোহারপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৩৩৬ জন এছাড়া জেডিসি জীবননগর উপজেলা আলিম মাদ্রাসা কেন্দ্রে ৩৩৮জন মোট ৮টি কেন্দ্রে ২ হাজার ৩৭৬ জন পরীক্ষার্থী জেএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে। এ ব্যাপারে জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সেলিম রেজা বলেন, জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা যাতে করে সুন্দর সুষ্ঠু ও মনোরম পরিবেশে শেষ হয়। সে জন্য জীবননগর উপজেলার প্রতিটি স্কুলে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। আমি প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করি, শিক্ষার্থীরা খুব সুন্দরভাবে পরীক্ষা দিয়েছে।
মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, সারা দেশের ন্যায় মেহেরপুরেও জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার প্রথম দিনে জেলার ১৫টি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ বছর জেলার তিন উপজেলার ১৩ হাজার ৩৮ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহন করছে। পরীক্ষা চলাকালে জেলা প্রশাসক পরিমল সিংহ বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।
মুজিবনগর অফিস জানিয়েছে, মুজিবনগরে এ বছরে জেএসসি পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ হাজার ৭৬৩ জন। যা গতবারের তুলনায় ১৫ শতাংশ বেশি। গতকালের পরীক্ষায় উপজেলার মোট ১৭ জন শিক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলো। মুজিবনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব ইজারুল ইসলাম জানান, উপজেলার ১৯টি প্রতিষ্ঠান থেকে মোট ১ হাজার ৭৬৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। তন্মধ্যে ১ হাজার ৭০৭ জন নিয়মিত, বাকিগুলো বিষয় ভিত্তিক অনিয়মিত। তিনি আরও জানান, গত বছরের তুলনায় এবার পরীক্ষার্থী শতাংশ বেশি। মূল কেন্দ্র মুজিবনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকেন্দ্র সচিব জয়পুর তারানগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজিজুল হক, গোপালনগর বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জহুরুল ইসলাম, হল সুপার এবং উপকেন্দ্রে বাগোয়ান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ারুল ইসলামসহ কেন্দ্র সচিব দারিয়াপুর বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনারুল ইসলাম হল সুপারের দায়িত্বে ছিলেন।
মহেশপুর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, মহেশপুরে জেএসসি পরিক্ষার প্রথম দিন বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সারাদেশের ন্যায় মহেশপুর শ্যামকুড় মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে জেএসসি পরীক্ষার বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষায় মোট ৯৯১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে অনুপস্থিত ছিলো ৩৬জন শিক্ষার্থী। গতকাল ৪৩৪ জন ছাত্র ও  ৫৩১ জন ছাত্রী অংশগ্রহন করেন। কেন্দ্র সচীবের দায়িত্ব পালন করেন শ্যামকুড় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম। কেন্দ্র সচীব রবিউল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে এবং প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্ররোজনীয় সব সহযোগীতা পেয়েছি। তার জন্য কোন অপত্তিকর ঘটনা ছাড়ায় শেষ হলো প্রথমদিনের পরীক্ষা।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

পরবর্তিতে উপস্থিতির হার বাড়াতে বিশেষ পরিকল্পনা করা হবে- কেন্দ্র পরিদর্শনে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক

আপলোড টাইম : ১০:৫১:৪৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ নভেম্বর ২০১৭

শুরুর দিনে বাংলা ১ম পত্রে চুয়াডাঙ্গায় অনুপস্থিত ৫৩২ জন পরীক্ষার্থী : বাল্যবিয়ের ফলে ঝরে পড়েছে অধিকাংশ মেয়ে
সারাদেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) এবং জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষার প্রথম দিন অতিবাহিত হয়েছে। একই সাথে এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষার্থীরাও পরীক্ষা দিচ্ছে জেলার ৫টি কেন্দ্রে। এ বছর জেলার ৩৬টি কেন্দ্র/ভেন্যুতে একযোগে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। অংশ নিয়েছে জেলার ১৭ হাজার ৬৫১ জন শিক্ষার্থী। কিন্তু পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল ১৮ হাজার ১৮৩ জন পরীক্ষার্থীর। এরমধ্যে জেএসসি’র ১৪ হাজার ৩২৪ জন ১৭টি কেন্দ্রে ও জেডিসি’র ১ হাজার ৬৭৩ জন পরীক্ষার্থী ৫টি কেন্দ্রে এবং এসএসসি (ভোকেশনাল)-এসএসসি (দাখিল) নবম শ্রেণীর ১৬৪ জন ৭টি কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। প্রথম দিনের (জেএসসি) বাংলা ১ম পত্র এবং (জেডিসি) কুরআন মাজীদ ও তাজবিদ পরীক্ষায় ঝরে পড়েছে ৫৩২ জন শিক্ষার্থী; যাদের অধিকাংশই মেয়ে।
গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১১টায় চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও ভি.জে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শনে যান চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খন্দকার ফরহাদ আহমেদ। এ সময় জেলা প্রশাসক পরীক্ষা গ্রহণের দায়িত্বে থাকা হল সুপার ও শিক্ষকদের সাথে কথা বলেন এবং পরীক্ষার সার্বিক পরিবেশ পরিস্থিতি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন। কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘সুষ্ঠু, সুন্দর ও নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সব সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে।’ পরীক্ষার্থী অনুপস্থিতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কেন্দ্র পরিদর্শনকালে কিছু কিছু পরীক্ষার্থীর অনুপস্থিতি চোখে পড়েছে; যাদের অধিকাংশই মেয়ে। আশ্চর্য্যরে বিষয় হলো অষ্টম শ্রেণী পাশ না করার আগেই তাদের বিয়ে হয়ে গেছে। যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মেয়েরা বাল্য বিবাহের শিকার হয়ে ঝরে পড়েছে তাদেরকে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বাল্য বিবাহের চরম অবক্ষয়ের এ বিষয়টি বিবেচনায় রেখে পরবর্তীতে উপস্থিতির হার বাড়াতে বিশেষ পরিকল্পনা করা হবে।’ আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত টানা ৩ঘন্টা ( জেএসসি) বাংলা ২য় পত্র ও (জেডিসি) আকাইদ ও ফিকাহ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
আলমডাঙ্গা অফিস জানিয়েছে, আলমডাঙ্গায় জেএসসি ও জেডিসি ও নবম ভোকেশনাল পরীক্ষার প্রথম দিন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে নকল মুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ১০টা থেকে ১টা পর্যন্ত একটানা পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। আলমডাঙ্গা পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে জেএসসি পরীক্ষার্থীর সংখ্যা মোট ৯৪১ জন। উপস্থিত ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ৯১৮ জন। অনুপস্থিত ছিল ২৩ জন। আলমডাঙ্গা বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে জেএসসি পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ হাজার ৩৪১। এদের মধ্যে উপস্থিত ছিল ১ হাজার ৩৩৪ জন। অনুপস্থিত ছিল ২৭ জন। আলমডাঙ্গা আলিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্রে জেডিসি ও নবম ভোকেশনাল পরীক্ষায় জেডিসি পরীক্ষার্থী মোট ৪২৫। অনুপস্থিত ছিল ২৩ জন। নবম ভোকেশনাল পরীক্ষর্থী সংখ্যা মোট ৯৩। অনুপস্থিত ছিল ৪ জন।
জীবননগর অফিস জানিয়েছে, সারাদেশের ন্যায় এক সাথে জীবননগর উপজেলার ৮টি পরীক্ষা কেন্দ্রে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ বছরে উপজেলার জীবননগর থানা পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়/পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ভেন্যুতে ৭৪৭ জন, আন্দুলবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়/আন্দুলবাড়িয়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ভেন্যুতে ৫০৮ জন, হাসাদহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়/হাসাদহ ফাজিল মাদ্রাসা ভেন্যুতে ৪২৫ জন, উথলী মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৩৬০ জন এবং মনোহারপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৩৩৬ জন এছাড়া জেডিসি জীবননগর উপজেলা আলিম মাদ্রাসা কেন্দ্রে ৩৩৮জন মোট ৮টি কেন্দ্রে ২ হাজার ৩৭৬ জন পরীক্ষার্থী জেএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে। এ ব্যাপারে জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সেলিম রেজা বলেন, জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা যাতে করে সুন্দর সুষ্ঠু ও মনোরম পরিবেশে শেষ হয়। সে জন্য জীবননগর উপজেলার প্রতিটি স্কুলে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। আমি প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করি, শিক্ষার্থীরা খুব সুন্দরভাবে পরীক্ষা দিয়েছে।
মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, সারা দেশের ন্যায় মেহেরপুরেও জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার প্রথম দিনে জেলার ১৫টি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ বছর জেলার তিন উপজেলার ১৩ হাজার ৩৮ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহন করছে। পরীক্ষা চলাকালে জেলা প্রশাসক পরিমল সিংহ বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।
মুজিবনগর অফিস জানিয়েছে, মুজিবনগরে এ বছরে জেএসসি পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ হাজার ৭৬৩ জন। যা গতবারের তুলনায় ১৫ শতাংশ বেশি। গতকালের পরীক্ষায় উপজেলার মোট ১৭ জন শিক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলো। মুজিবনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব ইজারুল ইসলাম জানান, উপজেলার ১৯টি প্রতিষ্ঠান থেকে মোট ১ হাজার ৭৬৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। তন্মধ্যে ১ হাজার ৭০৭ জন নিয়মিত, বাকিগুলো বিষয় ভিত্তিক অনিয়মিত। তিনি আরও জানান, গত বছরের তুলনায় এবার পরীক্ষার্থী শতাংশ বেশি। মূল কেন্দ্র মুজিবনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকেন্দ্র সচিব জয়পুর তারানগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজিজুল হক, গোপালনগর বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জহুরুল ইসলাম, হল সুপার এবং উপকেন্দ্রে বাগোয়ান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ারুল ইসলামসহ কেন্দ্র সচিব দারিয়াপুর বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনারুল ইসলাম হল সুপারের দায়িত্বে ছিলেন।
মহেশপুর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, মহেশপুরে জেএসসি পরিক্ষার প্রথম দিন বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সারাদেশের ন্যায় মহেশপুর শ্যামকুড় মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে জেএসসি পরীক্ষার বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষায় মোট ৯৯১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে অনুপস্থিত ছিলো ৩৬জন শিক্ষার্থী। গতকাল ৪৩৪ জন ছাত্র ও  ৫৩১ জন ছাত্রী অংশগ্রহন করেন। কেন্দ্র সচীবের দায়িত্ব পালন করেন শ্যামকুড় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম। কেন্দ্র সচীব রবিউল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে এবং প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্ররোজনীয় সব সহযোগীতা পেয়েছি। তার জন্য কোন অপত্তিকর ঘটনা ছাড়ায় শেষ হলো প্রথমদিনের পরীক্ষা।