ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

পরকিয়ার কারণে স্ত্রীর শরীরে আগুন দিলো পাষ- স্বামী নাজমুল : চুয়াডাঙ্গার বোয়ালিয়া গ্রামের গৃহবধূ লিমা মৃত্যশয্যায় : ঢাকায় বার্ন ইউনিটে নেয়ার পরামর্শ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৫:১৯:৫৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মার্চ ২০১৭
  • / ৪৪৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গার বোয়ালিয়া গ্রামে স্বামীর পরকিয়ার কারণে স্ত্রীর শরীরে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে পাষ- স্বামী নাজমুল। গতকাল সোমবার বোয়ালিয়া গ্রামে নাজমুল তার স্ত্রী লিমা ওরফে অন্তরার শরীরে আগুন লাগিয়ে চলে যায়। পরে লিমাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। পরিবারের সাথে আলোচনার মাধ্যমে এ বিষয়ে মামলা করা হবে বলে জানিয়েছে লিমার স্বজনরা। লিমা ওরফে অন্তরা জানান, প্রায় ছয় বছর আগে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের ছানোয়ার হোসেনের ছেলে নাজমুলের সাথে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে বেশ ভালোই চলছিলো তাদের সংসার। কিছুদিন আগে থেকে একই এলাকার জিয়ার মল্লিকের স্ত্রী সোনালীর সাথে পরকিয়ার জড়িয়ে পড়ে নাজমুল। মাসছয়েক তাদের সম্পর্ক গাঢ় হওয়ায় সংসারে নেমে আসে অশান্তি। প্রায় মারধর করে। গতকাল সোমবার নাজমুলকে বোঝানোর জন্য পরকিয়ার বিষয়ে কথা বলে। এসময় নাজমুল রেগে গিয়ে লিমা ওরফে অন্তরার পড়নের শাড়ির আঁচলে আগুন লাগিয়ে চলে যায়। এসময় লিমার চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে। পরে লিমাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার শরীরের ৪৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। লিমাকে ঢাকা মেডিকেলে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। এদিকে, চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ইন্সপেক্টর (অপারেশন) আমির আব্বাস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন লিমার সাথে কথা বলে বর্ণনা শোনেন। আজ মঙ্গলবার মামলা হতে পারে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

পরকিয়ার কারণে স্ত্রীর শরীরে আগুন দিলো পাষ- স্বামী নাজমুল : চুয়াডাঙ্গার বোয়ালিয়া গ্রামের গৃহবধূ লিমা মৃত্যশয্যায় : ঢাকায় বার্ন ইউনিটে নেয়ার পরামর্শ

আপলোড টাইম : ০৫:১৯:৫৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মার্চ ২০১৭

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গার বোয়ালিয়া গ্রামে স্বামীর পরকিয়ার কারণে স্ত্রীর শরীরে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে পাষ- স্বামী নাজমুল। গতকাল সোমবার বোয়ালিয়া গ্রামে নাজমুল তার স্ত্রী লিমা ওরফে অন্তরার শরীরে আগুন লাগিয়ে চলে যায়। পরে লিমাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। পরিবারের সাথে আলোচনার মাধ্যমে এ বিষয়ে মামলা করা হবে বলে জানিয়েছে লিমার স্বজনরা। লিমা ওরফে অন্তরা জানান, প্রায় ছয় বছর আগে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের ছানোয়ার হোসেনের ছেলে নাজমুলের সাথে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে বেশ ভালোই চলছিলো তাদের সংসার। কিছুদিন আগে থেকে একই এলাকার জিয়ার মল্লিকের স্ত্রী সোনালীর সাথে পরকিয়ার জড়িয়ে পড়ে নাজমুল। মাসছয়েক তাদের সম্পর্ক গাঢ় হওয়ায় সংসারে নেমে আসে অশান্তি। প্রায় মারধর করে। গতকাল সোমবার নাজমুলকে বোঝানোর জন্য পরকিয়ার বিষয়ে কথা বলে। এসময় নাজমুল রেগে গিয়ে লিমা ওরফে অন্তরার পড়নের শাড়ির আঁচলে আগুন লাগিয়ে চলে যায়। এসময় লিমার চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে। পরে লিমাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার শরীরের ৪৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। লিমাকে ঢাকা মেডিকেলে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। এদিকে, চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ইন্সপেক্টর (অপারেশন) আমির আব্বাস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন লিমার সাথে কথা বলে বর্ণনা শোনেন। আজ মঙ্গলবার মামলা হতে পারে।