ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

‘পটলবাবু ফিল্মস্টার’ মঞ্চায়িত

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৫১:৪১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২০
  • / ৪০৬ বার পড়া হয়েছে

দর্শনায় চলছে অনির্বাণ-এর তিন যুগপূর্তি উৎসব
আওয়াল হোসেন:
‘গাহি সাম্যের গান-যেখানে আসিয়া এক হয়ে গেছে সব বাধা-ব্যবধান, যেখানে মিশেছে হিন্দু-বৌদ্ধ, মুসলিম-ক্রীশ্চান’ স্লোগানে অনির্বাণের তিন যুগপূর্তি উপলক্ষে দর্শনায় চলছে সপ্তাহব্যাপী একুশে মেলা ও নাট্য উৎসব। গতকাল সোমবার বিকেলে দর্শনা সরকারি কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের পরিবেশনায় কবিতা আবৃত্তি, দেশের গান, নৃত্য, একক অভিনয়সহ নানা অনুষ্ঠানমালা পরিবেশিত হয়। এ ছাড়া সন্ধ্যায় দর্শনা আনন্দধামের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়েছে। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আব্দুল ওদুদ শাহ কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক মিল্টন কুমার সাহা। এ সময় বাদ্যযন্ত্রে ছিলেন ইসরাইল হোসেন খান টিটো, মিল্টন কুমার সাহা, আব্দুর রহমান ও খাইরুল ইসলাম। এরপর রাত ৮টায় ভারতের কলকাতার পূর্ব-পশ্চিম থিয়েটারের পরিবেশনায় সত্যজিৎ রায়ের লেখা ও রমাপ্রসাদ বণিকের নির্দেশনায় নাটক ‘পটলবাবু ফিল্মস্টার’ পরিবেশিত হয়। নাটকের ভাষা ছিল-সর্ব প্রথমে যা গল্প, আবশেষে তা গল্প, কোনো জটিল তথ্য নয়। ছোট গল্পে খুঁজে নেওয়া হয়েছে মুক্তি ও বিস্ময়; সমালোচকদের ভাষায়, আমাদের খণ্ডিত অস্তিত্বের সমস্যা-সংকুল জগৎটা যেখানে মাথা চাড়া দেয় না, তার বদলে পায় মহাকাশের সংকেত, অতল সমুদ্রের ডাক, মরু বা মেরুর ইশারা অথবা মানুষের একান্তই ছাপোষ্য সাধারণ মানুষ, অবশেষে ঠিকানা। আবার পটলবাবু ফিল্মস্টার এমনই এক অন্য স্বাদের গল্প, যা জীবন্ত এবং মাটির কাছাকাছি। পঞ্চাশোর্ধ পটলবাবুর অভিনয়ের প্রতি আর্কষণ চিরদিনের। সেই আর্কষণ আর তাকে ঘিরে এক সামাজিক টানাপোড়ন, দুঃখ-যন্ত্রণা-সংগ্রামের অভিঘাতে এক জীবনের জলছবি। মঞ্চে অভিনয় করেছেন সজীব সরকার, ছন্দা চট্টোপধ্যায়, সৈামিত্র মিত্র, মলয় সাহা, রাজেশ্বরী নন্দী, স্বর্ণালী ঘোষ, তরুণ পাল, অরূপ রতন গাঙ্গুলী, প্রদীপ হাইত, অনির্বাণ চ্যাটাজি, দীপেন ভট্টাচার্য, দিবোন্দু নস্কর, সঞ্জয় চক্রবর্তী, সৌভিক বেরা, মনোজিত দাস, রাতুল মজুমদার, রাজ কুন্ড, সাইফুল ইসলাম, অরিজিত রায়, অমিত দেব, ঋষভ অধিকারী, প্রদীপ ঘোষ, ফারহিন সুলতানা ও অদিতি ব্যানার্জী। নেপথ্যে ছিলেন নির্দেশনা সহযোগী: ইলোরা রুদ্র, নামাস্কন, চন্ডি লাহিড়ী; আলো: বাদল দাস; মঞ্চ: বিলু দত্ত; আবহ : বিশ্বজিৎ দাস; পোশাক: মালবিকা মিত্র; প্রযোজনা সহযোগী: সুকান্ত দাস ও সঞ্জয় ভট্টার্চাজ; ওয়েভসাইট: রিন্তেশ রায় ও সৈার্পণ মিত্র এবং রূপসজ্জায়: বিধাতৃ দেব সরকার। নাটক শেষে ভারতের নাট্য শিল্পীদের হাতে দামুড়হুদা উপজেলা চেয়ারম্যান আলী মুনছুর বাবু ও দর্শনা পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান ফুলেল শুভেচ্ছা এবং অনির্বাণ থিয়েটারের ক্রেস্ট ও একুশে মেলার পোস্টার তুলে দেয়। অনির্বাণ-এর তিন যুগপূর্তি উৎসব পরিচালনা করছেন অনির্বাণ থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন।
উল্লেখ্য, এবারের উৎসবটি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে উৎসর্গ করা হয়েছে। উৎসবটিতে পৃষ্ঠপোষকতা করছে হিসাব লিমিটেড।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

‘পটলবাবু ফিল্মস্টার’ মঞ্চায়িত

আপলোড টাইম : ০৯:৫১:৪১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২০

দর্শনায় চলছে অনির্বাণ-এর তিন যুগপূর্তি উৎসব
আওয়াল হোসেন:
‘গাহি সাম্যের গান-যেখানে আসিয়া এক হয়ে গেছে সব বাধা-ব্যবধান, যেখানে মিশেছে হিন্দু-বৌদ্ধ, মুসলিম-ক্রীশ্চান’ স্লোগানে অনির্বাণের তিন যুগপূর্তি উপলক্ষে দর্শনায় চলছে সপ্তাহব্যাপী একুশে মেলা ও নাট্য উৎসব। গতকাল সোমবার বিকেলে দর্শনা সরকারি কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের পরিবেশনায় কবিতা আবৃত্তি, দেশের গান, নৃত্য, একক অভিনয়সহ নানা অনুষ্ঠানমালা পরিবেশিত হয়। এ ছাড়া সন্ধ্যায় দর্শনা আনন্দধামের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়েছে। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আব্দুল ওদুদ শাহ কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক মিল্টন কুমার সাহা। এ সময় বাদ্যযন্ত্রে ছিলেন ইসরাইল হোসেন খান টিটো, মিল্টন কুমার সাহা, আব্দুর রহমান ও খাইরুল ইসলাম। এরপর রাত ৮টায় ভারতের কলকাতার পূর্ব-পশ্চিম থিয়েটারের পরিবেশনায় সত্যজিৎ রায়ের লেখা ও রমাপ্রসাদ বণিকের নির্দেশনায় নাটক ‘পটলবাবু ফিল্মস্টার’ পরিবেশিত হয়। নাটকের ভাষা ছিল-সর্ব প্রথমে যা গল্প, আবশেষে তা গল্প, কোনো জটিল তথ্য নয়। ছোট গল্পে খুঁজে নেওয়া হয়েছে মুক্তি ও বিস্ময়; সমালোচকদের ভাষায়, আমাদের খণ্ডিত অস্তিত্বের সমস্যা-সংকুল জগৎটা যেখানে মাথা চাড়া দেয় না, তার বদলে পায় মহাকাশের সংকেত, অতল সমুদ্রের ডাক, মরু বা মেরুর ইশারা অথবা মানুষের একান্তই ছাপোষ্য সাধারণ মানুষ, অবশেষে ঠিকানা। আবার পটলবাবু ফিল্মস্টার এমনই এক অন্য স্বাদের গল্প, যা জীবন্ত এবং মাটির কাছাকাছি। পঞ্চাশোর্ধ পটলবাবুর অভিনয়ের প্রতি আর্কষণ চিরদিনের। সেই আর্কষণ আর তাকে ঘিরে এক সামাজিক টানাপোড়ন, দুঃখ-যন্ত্রণা-সংগ্রামের অভিঘাতে এক জীবনের জলছবি। মঞ্চে অভিনয় করেছেন সজীব সরকার, ছন্দা চট্টোপধ্যায়, সৈামিত্র মিত্র, মলয় সাহা, রাজেশ্বরী নন্দী, স্বর্ণালী ঘোষ, তরুণ পাল, অরূপ রতন গাঙ্গুলী, প্রদীপ হাইত, অনির্বাণ চ্যাটাজি, দীপেন ভট্টাচার্য, দিবোন্দু নস্কর, সঞ্জয় চক্রবর্তী, সৌভিক বেরা, মনোজিত দাস, রাতুল মজুমদার, রাজ কুন্ড, সাইফুল ইসলাম, অরিজিত রায়, অমিত দেব, ঋষভ অধিকারী, প্রদীপ ঘোষ, ফারহিন সুলতানা ও অদিতি ব্যানার্জী। নেপথ্যে ছিলেন নির্দেশনা সহযোগী: ইলোরা রুদ্র, নামাস্কন, চন্ডি লাহিড়ী; আলো: বাদল দাস; মঞ্চ: বিলু দত্ত; আবহ : বিশ্বজিৎ দাস; পোশাক: মালবিকা মিত্র; প্রযোজনা সহযোগী: সুকান্ত দাস ও সঞ্জয় ভট্টার্চাজ; ওয়েভসাইট: রিন্তেশ রায় ও সৈার্পণ মিত্র এবং রূপসজ্জায়: বিধাতৃ দেব সরকার। নাটক শেষে ভারতের নাট্য শিল্পীদের হাতে দামুড়হুদা উপজেলা চেয়ারম্যান আলী মুনছুর বাবু ও দর্শনা পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান ফুলেল শুভেচ্ছা এবং অনির্বাণ থিয়েটারের ক্রেস্ট ও একুশে মেলার পোস্টার তুলে দেয়। অনির্বাণ-এর তিন যুগপূর্তি উৎসব পরিচালনা করছেন অনির্বাণ থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন।
উল্লেখ্য, এবারের উৎসবটি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে উৎসর্গ করা হয়েছে। উৎসবটিতে পৃষ্ঠপোষকতা করছে হিসাব লিমিটেড।