ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ন্যায় বিচারের স্বার্থে রাষ্ট্রকে তৎপর হতে হবে

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:২০:১০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০১৯
  • / ২৮৯ বার পড়া হয়েছে

রমনা বটমূলের বোমা হামলা দেশের ইতিহাসের ভয়াবহতম সন্ত্রাসী কর্মকা-ের একটি। রমনার বটমূলে বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে কাপুরুষোচিত বোমা হামলা জাতীয় জীবনের একটি কলঙ্কিত ঘটনা। বোমা হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলা ১৮ বছরেও চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া দুঃখজনক। হত্যা মামলায় রায় হলেও হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদ- নিশ্চিতকরণ) ও আসামিদের আপিলের শুনানি এখনো শুরু হয়নি। ২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে ভয়াবহ ও নজিরবিহীন বোমা হামলা চালানো হয়। বর্বরোচিত ওই হামলায় ঘটনাস্থলেই নয়জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। পরে হাসপাতালে মারা যান আরো একজন। এ ঘটনায় নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ির তৎকালীন সার্জেন্ট অমল চন্দ্র চন্দ রমনা থানায় হত্যা ও বিস্ফোরকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দুটি মামলা করেন। হত্যা মামলায় রায় ঘোষণা হলেও অন্য মামলাটি এখনো বিচারাধীন। ২০০৮ সালের ৩০ নভেম্বর দুই মামলায় ১৪ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) সিআইডির পরিদর্শক আবু হেনা মো. ইউসুফ ২০০৮ সালের ৩০ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দুটি মামলারই অভিযোগপত্র একসঙ্গে দাখিল করা হয়। পরে বিচারের জন্য মামলা দুটি ২০০৯ সালের ১ জানুয়ারি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে যায়। ওই আদালতে একই বছরের ১৬ এপ্রিল পৃথকভাবে মামলা দুটিতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ২০১৪ সালের ২৩ জুন বিচারিক আদালত হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন। এরপর ডেথ রেফারেন্স এবং আসামিদের জেল আপিল ও ফৌজদারি আপিলের শুনানির জন্য মামলাটি হাইকোর্টে আসে। এখন ডেথ রেফারেন্স এবং আপিল শুনানিও নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে। রমনা বোমা হামলা মামলার দীর্ঘসূত্রতা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। এ মামলার প্রধান আসামি মুফতি হান্নানের ফাঁসি হওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে গতকাল গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘ফৌজদারি মামলায় যত দ্রুত সম্ভব তদন্ত কাজ সম্পন্ন এবং বিচার পরিচালনার দাবি রাখে।’আমরা আশা করব এ মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করা হবে এবং সে ক্ষেত্রেও ন্যায় বিচার নিশ্চিত করার বিষয়টি গুরুত্ব পাবে। বোমা হামলা মামলায় রায় কার্যকর অপরাধীদের প্রতি হুঁশিয়ারি হিসেবে বিবেচিত হবে। যারা বোমা হামলায় আহত হয়ে দুঃস্বপ্নকে সঙ্গী করে বেঁচে আছেন, তাদের জন্যও স্বস্তির অনুভূতি এনে দেবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

ন্যায় বিচারের স্বার্থে রাষ্ট্রকে তৎপর হতে হবে

আপলোড টাইম : ০৯:২০:১০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০১৯

রমনা বটমূলের বোমা হামলা দেশের ইতিহাসের ভয়াবহতম সন্ত্রাসী কর্মকা-ের একটি। রমনার বটমূলে বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে কাপুরুষোচিত বোমা হামলা জাতীয় জীবনের একটি কলঙ্কিত ঘটনা। বোমা হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলা ১৮ বছরেও চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া দুঃখজনক। হত্যা মামলায় রায় হলেও হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদ- নিশ্চিতকরণ) ও আসামিদের আপিলের শুনানি এখনো শুরু হয়নি। ২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে ভয়াবহ ও নজিরবিহীন বোমা হামলা চালানো হয়। বর্বরোচিত ওই হামলায় ঘটনাস্থলেই নয়জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। পরে হাসপাতালে মারা যান আরো একজন। এ ঘটনায় নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ির তৎকালীন সার্জেন্ট অমল চন্দ্র চন্দ রমনা থানায় হত্যা ও বিস্ফোরকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দুটি মামলা করেন। হত্যা মামলায় রায় ঘোষণা হলেও অন্য মামলাটি এখনো বিচারাধীন। ২০০৮ সালের ৩০ নভেম্বর দুই মামলায় ১৪ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) সিআইডির পরিদর্শক আবু হেনা মো. ইউসুফ ২০০৮ সালের ৩০ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দুটি মামলারই অভিযোগপত্র একসঙ্গে দাখিল করা হয়। পরে বিচারের জন্য মামলা দুটি ২০০৯ সালের ১ জানুয়ারি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে যায়। ওই আদালতে একই বছরের ১৬ এপ্রিল পৃথকভাবে মামলা দুটিতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ২০১৪ সালের ২৩ জুন বিচারিক আদালত হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন। এরপর ডেথ রেফারেন্স এবং আসামিদের জেল আপিল ও ফৌজদারি আপিলের শুনানির জন্য মামলাটি হাইকোর্টে আসে। এখন ডেথ রেফারেন্স এবং আপিল শুনানিও নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে। রমনা বোমা হামলা মামলার দীর্ঘসূত্রতা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। এ মামলার প্রধান আসামি মুফতি হান্নানের ফাঁসি হওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে গতকাল গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘ফৌজদারি মামলায় যত দ্রুত সম্ভব তদন্ত কাজ সম্পন্ন এবং বিচার পরিচালনার দাবি রাখে।’আমরা আশা করব এ মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করা হবে এবং সে ক্ষেত্রেও ন্যায় বিচার নিশ্চিত করার বিষয়টি গুরুত্ব পাবে। বোমা হামলা মামলায় রায় কার্যকর অপরাধীদের প্রতি হুঁশিয়ারি হিসেবে বিবেচিত হবে। যারা বোমা হামলায় আহত হয়ে দুঃস্বপ্নকে সঙ্গী করে বেঁচে আছেন, তাদের জন্যও স্বস্তির অনুভূতি এনে দেবে।