ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

নোয়াখালীতে লাখো মানুষের উপস্থিতিতে সংবর্ধনায় সেতুমন্ত্রী মানুষের ভালোবাসার চেয়ে বড় পাওয়া নেই

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০২:২৫:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ নভেম্বর ২০১৬
  • / ৩৭৮ বার পড়া হয়েছে

1479571348সমীকরণ ডেস্ক: আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ায় নোয়াখালীতে মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হলেন ওবায়দুল কাদের। প্রায় লাখো মানুষের উপস্থিতিতে গতকাল মাইজদী জিলা স্কুল মাঠে সংবর্ধনা দেয়া হয় তাকে। নোয়াখালীসহ আশেপাশের বেশ কয়েকটি জেলা থেকে নেতাকর্মীরা আসেন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে। মঞ্চে তাকে দেয়া হয় ফুলেল শুভেচ্ছা ও ক্রেস্ট। স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অনুষ্ঠানটিকে ঐতিহাসিক বলে মন্তব্য করেন। যুক্তি হিসেবে তারা বলেন, নিকট অতীতে নোয়াখালীতে এত মানুষের উপস্থিতিতে এতবড় সংবর্ধনা অনুষ্ঠান হয়নি। প্রায় ১০ কিলোমিটার দূর থেকে অনুষ্ঠান ঘিরে আয়োজন করা হয় ব্যানার, ফেস্টুন, তোরণ ও পোস্টার। এসব প্রচারণামূলক ব্যানারে ওবায়দুল কাদেরকে নোয়াখালীর সূর্যসন্তান হিসেবে আখ্যা দেয়া হয়। পাশাপাশি এশিয়ার সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও ধন্যবাদ জানানো হয়। দলের সাধারণ সম্পাদকের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে নোয়াখালীতে ছুটে যান একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা। এ তালিকায় ছিলেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমানসহ আরো অনেকে। স্থানীয়রা জানান, সত্তর দশকের পর সাবেক স্পিকার আবদুল মালেক উকিলের মৃত্যুর পর ওবায়দুল কাদের সফল মন্ত্রী, সফল নেতা। তার পক্ষেই সম্ভব হয়েছে একইসঙ্গে সরকারের দায়িত্বশীল মন্ত্রী ও দলের শীর্ষ পদে দায়িত্ব পালন করা। তারা জানান, দলের নতুন পদবি নিয়ে নোয়াখালীতে আসায় আমরা গর্বিত। নোয়াখালীর ৯টি উপজেলা, ৮টি পৌরসভা, ৯১টি ইউনিয়নসহ ওয়ার্ডের বিভিন্ন ইউনিটিতে দলীয় নেতাকর্মীরা দিন-রাত পরিশ্রম করেছেন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানকে সফল করতে। এদিকে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে দলের কেন্দ্রীয় নেতারা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের ভূয়সী প্রশংসা করেন। আবদুর রহমান বলেন, নোয়াখালীর এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসে রাজনৈতিক জীবনে মনে রাখার মতো অভিজ্ঞতা হলো। জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ওবায়দুল কাদেরের প্রতি নোয়াখালীবাসীর যে ভালোবাসা আর শ্রদ্ধা দেখলাম তা জীবনে ভুলবো না। নোয়াখালীর এমপি একরামুল করিম চৌধুরী বলেন, নোয়াখালীর এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তের মানুষের উপস্থিতির জন্য সারাজীবনের জন্য স্যালুট রইলো। তিনি বলেন, আজ নোয়াখালীতে শোনা যাচ্ছে সমুদ্রের গর্জন। এ গর্জন ভালোবাসার। এ গর্জন ওবায়দুল কাদেরের। অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের মঞ্চে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে স্লোগান দিতে থাকেন মাঠে উপস্থিত নেতাকর্মীরা। এতে বিরক্তি প্রকাশ করেন তিনি। মঞ্চে উপস্থিত কয়েক নেতা মাইক নিয়ে বেশ কয়েকবার স্লোগান বন্ধ করার অনুরোধ জানান। পরে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খায়রুল আলম চৌধুরীর বক্তব্য শেষে কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। শুরুতে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন তিনি। বলেন, আমার ৪০ বছরের রাজনৈতিক জীবনের সবচেয়ে বড় স্বীকৃতি পেয়েছি বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে। রাজনীতিতে কোনো ত্যাগ বৃথা যায় না। এটা লেগে থাকার বিষয়। হঠাৎ এসে হঠাৎ চলে যাওয়ার বিষয় নয়। এসময় তিনি নোয়াখালীর শিক্ষিত তরুণদের আওয়ামী লীগের পতাকাতলে আসার আহ্বান জানান। বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ দেশকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির দোরগোড়ায় নিয়ে যাবে। ওবায়দুল কাদের বলেন, একজন রাজনীতিবিদের জীবনে মানুষের ভালোবাসার চেয়ে বড় আর কিছুই নেই। রাজনীতি করতে গিয়ে এটা আমি শিখেছি। তিনি বলেন, এখানে আমি সংবর্ধনা নিতে আসিনি। অতীতে এমপি, মন্ত্রী হয়েছি। দলের একাধিক দায়িত্ব পালন করেছি। তারপরও কখনও সংবর্ধনা নেইনি। কারণ আমার সংবর্ধনার প্রয়োজন নেই। মানুষের যে ভালোবাসা পেয়েছি এর থেকে বড় সংবর্ধনা আর কি আছে। তিনি বলেন, দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে যদি আমি ব্যর্থ হই তাহলে কাগজ, পোস্টারের ছবি ছিঁড়ে যাবে। পাথরে লেখা নাম ক্ষয়ে যাবে। যদি আপনারা আমার নাম হৃদয়ে লেখেন তাহলে তা থেকে যাবে। বাগানের ফুল শুকিয়ে যাবে কিন্তু মানুষের ভালোবাসার ফুল কখনও শুকাবে না। এসময় ওবায়দুল কাদের নেতাকর্মীদের আচরণ ভালো করার তাগিদ দেন। বলেন, আমাকে খুশি করার দরকার নেই। মানুষকে ভালোবাসুন, তাদেরকে খুশি করুন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমার কোনো গ্রুপ নেই। আমি নেত্রীর গ্রুপ করি। তিনি যা বলবেন- তাই করবো। দুই বছর পর নির্বাচন। এসময়ের মধ্যে ঘর গোছাতে হবে। কোন্দল মেটাতে হবে। দলে বসন্তের কোকিল কিছু থাকবে তবে তাদের খবর আছে। তিনি বলেন, নীতি আর আদর্শের প্রশ্নে কোনো আপোস করবো না। মানুষের চোখের আর মনের ভাষা যদি নেতা না বোঝেন তাহলে তার রাজনীতি করার কোনো দরকার নেই। তাই এখন থেকে শুরু হবে শেখ হাসিনার অ্যাকশন। তবে এ অ্যাকশন মারামারির নয়। এ অ্যাকশন পজিটিভ অ্যাকশন। উন্নয়নের অ্যাকশন। এসময় তিনি স্থানীয় এমপি একরামুল করিম চৌধুরীকে পাশে ডেকে নিয়ে বলেন, আপনি নোয়াখালীর জন্য যেসব দাবি-দাওয়া তুলেছেন তা পূরণ করেছি কিনা সাক্ষ্য দেবেন। তিনি বর্ণনা দিয়ে বলেন, নোয়াখালীর জন্য একনেকে ৩২৪ কোটি টাকার প্রকল্প পাস করানো হয়েছে। এলজিইডির ৪শ’ কোটি টাকার কাজ চলছে। ১৮৩ কোটি টাকার আরেকটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। আঞ্চলিক ভাষায় নোয়াখালীর বিভিন্ন সেতু ও সড়কের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরেন। একইসঙ্গে এসবের কাজ দ্রুত শুরু ও শেষ হবে বলে জানান। বক্তব্যের শেষদিকে এসে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমার আর দেয়ার কিছুই নেই। আছে শুধু ভালোবাসা। এসময় নেতাকর্মীরা ওবায়দুল কাদেরের নাম ধরে স্লোগান দিতে থাকলে তিনি মাইক নিয়ে তাদের স্লোগান থামাতে বলেন। তিনি বলেন, আমাকে নিয়ে কোনো ধরনের স্লোগান দেয়া যাবে না। নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, দল করলে দলের নিয়মকানুন মানতে হবে তা না হলে খবর আছে। এসময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালীর সংসদ সদস্য আলহাজ মামুনুর রশদি কিরন, আলহাজ মোর্শেদ আলম, আলহাজ আয়শা ফেরদৌস আলী ও এইচ এম ইবরাহিম। বক্তব্য রাখেন-আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু, নোয়াখালীর পৌর মেয়র শহীদুল্লাহ খান সোহেল, আবদুল  মোমিন বিএসসি, ডা. এবিএম জাফরউল্লাহ প্রমুখ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

নোয়াখালীতে লাখো মানুষের উপস্থিতিতে সংবর্ধনায় সেতুমন্ত্রী মানুষের ভালোবাসার চেয়ে বড় পাওয়া নেই

আপলোড টাইম : ০২:২৫:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ নভেম্বর ২০১৬

1479571348সমীকরণ ডেস্ক: আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ায় নোয়াখালীতে মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হলেন ওবায়দুল কাদের। প্রায় লাখো মানুষের উপস্থিতিতে গতকাল মাইজদী জিলা স্কুল মাঠে সংবর্ধনা দেয়া হয় তাকে। নোয়াখালীসহ আশেপাশের বেশ কয়েকটি জেলা থেকে নেতাকর্মীরা আসেন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে। মঞ্চে তাকে দেয়া হয় ফুলেল শুভেচ্ছা ও ক্রেস্ট। স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অনুষ্ঠানটিকে ঐতিহাসিক বলে মন্তব্য করেন। যুক্তি হিসেবে তারা বলেন, নিকট অতীতে নোয়াখালীতে এত মানুষের উপস্থিতিতে এতবড় সংবর্ধনা অনুষ্ঠান হয়নি। প্রায় ১০ কিলোমিটার দূর থেকে অনুষ্ঠান ঘিরে আয়োজন করা হয় ব্যানার, ফেস্টুন, তোরণ ও পোস্টার। এসব প্রচারণামূলক ব্যানারে ওবায়দুল কাদেরকে নোয়াখালীর সূর্যসন্তান হিসেবে আখ্যা দেয়া হয়। পাশাপাশি এশিয়ার সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও ধন্যবাদ জানানো হয়। দলের সাধারণ সম্পাদকের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে নোয়াখালীতে ছুটে যান একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা। এ তালিকায় ছিলেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমানসহ আরো অনেকে। স্থানীয়রা জানান, সত্তর দশকের পর সাবেক স্পিকার আবদুল মালেক উকিলের মৃত্যুর পর ওবায়দুল কাদের সফল মন্ত্রী, সফল নেতা। তার পক্ষেই সম্ভব হয়েছে একইসঙ্গে সরকারের দায়িত্বশীল মন্ত্রী ও দলের শীর্ষ পদে দায়িত্ব পালন করা। তারা জানান, দলের নতুন পদবি নিয়ে নোয়াখালীতে আসায় আমরা গর্বিত। নোয়াখালীর ৯টি উপজেলা, ৮টি পৌরসভা, ৯১টি ইউনিয়নসহ ওয়ার্ডের বিভিন্ন ইউনিটিতে দলীয় নেতাকর্মীরা দিন-রাত পরিশ্রম করেছেন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানকে সফল করতে। এদিকে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে দলের কেন্দ্রীয় নেতারা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের ভূয়সী প্রশংসা করেন। আবদুর রহমান বলেন, নোয়াখালীর এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসে রাজনৈতিক জীবনে মনে রাখার মতো অভিজ্ঞতা হলো। জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ওবায়দুল কাদেরের প্রতি নোয়াখালীবাসীর যে ভালোবাসা আর শ্রদ্ধা দেখলাম তা জীবনে ভুলবো না। নোয়াখালীর এমপি একরামুল করিম চৌধুরী বলেন, নোয়াখালীর এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তের মানুষের উপস্থিতির জন্য সারাজীবনের জন্য স্যালুট রইলো। তিনি বলেন, আজ নোয়াখালীতে শোনা যাচ্ছে সমুদ্রের গর্জন। এ গর্জন ভালোবাসার। এ গর্জন ওবায়দুল কাদেরের। অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের মঞ্চে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে স্লোগান দিতে থাকেন মাঠে উপস্থিত নেতাকর্মীরা। এতে বিরক্তি প্রকাশ করেন তিনি। মঞ্চে উপস্থিত কয়েক নেতা মাইক নিয়ে বেশ কয়েকবার স্লোগান বন্ধ করার অনুরোধ জানান। পরে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খায়রুল আলম চৌধুরীর বক্তব্য শেষে কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। শুরুতে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন তিনি। বলেন, আমার ৪০ বছরের রাজনৈতিক জীবনের সবচেয়ে বড় স্বীকৃতি পেয়েছি বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে। রাজনীতিতে কোনো ত্যাগ বৃথা যায় না। এটা লেগে থাকার বিষয়। হঠাৎ এসে হঠাৎ চলে যাওয়ার বিষয় নয়। এসময় তিনি নোয়াখালীর শিক্ষিত তরুণদের আওয়ামী লীগের পতাকাতলে আসার আহ্বান জানান। বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ দেশকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির দোরগোড়ায় নিয়ে যাবে। ওবায়দুল কাদের বলেন, একজন রাজনীতিবিদের জীবনে মানুষের ভালোবাসার চেয়ে বড় আর কিছুই নেই। রাজনীতি করতে গিয়ে এটা আমি শিখেছি। তিনি বলেন, এখানে আমি সংবর্ধনা নিতে আসিনি। অতীতে এমপি, মন্ত্রী হয়েছি। দলের একাধিক দায়িত্ব পালন করেছি। তারপরও কখনও সংবর্ধনা নেইনি। কারণ আমার সংবর্ধনার প্রয়োজন নেই। মানুষের যে ভালোবাসা পেয়েছি এর থেকে বড় সংবর্ধনা আর কি আছে। তিনি বলেন, দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে যদি আমি ব্যর্থ হই তাহলে কাগজ, পোস্টারের ছবি ছিঁড়ে যাবে। পাথরে লেখা নাম ক্ষয়ে যাবে। যদি আপনারা আমার নাম হৃদয়ে লেখেন তাহলে তা থেকে যাবে। বাগানের ফুল শুকিয়ে যাবে কিন্তু মানুষের ভালোবাসার ফুল কখনও শুকাবে না। এসময় ওবায়দুল কাদের নেতাকর্মীদের আচরণ ভালো করার তাগিদ দেন। বলেন, আমাকে খুশি করার দরকার নেই। মানুষকে ভালোবাসুন, তাদেরকে খুশি করুন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমার কোনো গ্রুপ নেই। আমি নেত্রীর গ্রুপ করি। তিনি যা বলবেন- তাই করবো। দুই বছর পর নির্বাচন। এসময়ের মধ্যে ঘর গোছাতে হবে। কোন্দল মেটাতে হবে। দলে বসন্তের কোকিল কিছু থাকবে তবে তাদের খবর আছে। তিনি বলেন, নীতি আর আদর্শের প্রশ্নে কোনো আপোস করবো না। মানুষের চোখের আর মনের ভাষা যদি নেতা না বোঝেন তাহলে তার রাজনীতি করার কোনো দরকার নেই। তাই এখন থেকে শুরু হবে শেখ হাসিনার অ্যাকশন। তবে এ অ্যাকশন মারামারির নয়। এ অ্যাকশন পজিটিভ অ্যাকশন। উন্নয়নের অ্যাকশন। এসময় তিনি স্থানীয় এমপি একরামুল করিম চৌধুরীকে পাশে ডেকে নিয়ে বলেন, আপনি নোয়াখালীর জন্য যেসব দাবি-দাওয়া তুলেছেন তা পূরণ করেছি কিনা সাক্ষ্য দেবেন। তিনি বর্ণনা দিয়ে বলেন, নোয়াখালীর জন্য একনেকে ৩২৪ কোটি টাকার প্রকল্প পাস করানো হয়েছে। এলজিইডির ৪শ’ কোটি টাকার কাজ চলছে। ১৮৩ কোটি টাকার আরেকটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। আঞ্চলিক ভাষায় নোয়াখালীর বিভিন্ন সেতু ও সড়কের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরেন। একইসঙ্গে এসবের কাজ দ্রুত শুরু ও শেষ হবে বলে জানান। বক্তব্যের শেষদিকে এসে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমার আর দেয়ার কিছুই নেই। আছে শুধু ভালোবাসা। এসময় নেতাকর্মীরা ওবায়দুল কাদেরের নাম ধরে স্লোগান দিতে থাকলে তিনি মাইক নিয়ে তাদের স্লোগান থামাতে বলেন। তিনি বলেন, আমাকে নিয়ে কোনো ধরনের স্লোগান দেয়া যাবে না। নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, দল করলে দলের নিয়মকানুন মানতে হবে তা না হলে খবর আছে। এসময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালীর সংসদ সদস্য আলহাজ মামুনুর রশদি কিরন, আলহাজ মোর্শেদ আলম, আলহাজ আয়শা ফেরদৌস আলী ও এইচ এম ইবরাহিম। বক্তব্য রাখেন-আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু, নোয়াখালীর পৌর মেয়র শহীদুল্লাহ খান সোহেল, আবদুল  মোমিন বিএসসি, ডা. এবিএম জাফরউল্লাহ প্রমুখ।