ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

নেই ১০০ শয্যার অনুমতি, ১৫০ শয্যার নতুন ভবন উদ্বোধন

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:১৬:১৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ জুন ২০১৯
  • / ৩০৯ বার পড়া হয়েছে

স্পট : চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ৫০ শয্যার জনবল নিয়ে ২৫০ শয্যার কার্যক্রম শুরুর স্বপ্ন
রুদ্র রাসেল:
৫০ শয্যাবিশিষ্ট চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের যাত্রা শুরু হয় ১৯৭০ সালে। সে সময় এ অঞ্চলের জনসংখ্যা কম থাকায় চিকিৎসা সেবা দিতে বেগ পেতে হয়নি এ হাসপাতালটির। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জনসংখ্যা যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে, পাল্লা দিয়ে বেড়েছে রোগীর সংখ্যাও। আর বাড়তি এ সব রোগীর সেবা দিতে ২০০৩ সালে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালকে ৫০ শয্যা থেকে ১০০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। তবে ডাক্তার ও নার্সসহ প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়নি। তাই ১০০ শয্যার হাসপাতালটি আজও ৫০ শয্যার জনবলেই চলছে যেন গরুর গাড়ির মতো। তাই বর্তমানে হাসপাতালটি রোগীদের পূর্ণ চিকিৎসা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে।
এই সমস্যার সমাধানে চুয়াডাঙ্গা ১০০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালকে ২৫০ শয্যা হাসপাতালে উন্নীতকরণের জন্য ১৫০ শয্যাবিশিষ্ট নতুন ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয় ২০১০ সালের দিকে। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ২০১৮ সালের অক্টোবরে চিকিৎসক, নার্স ও প্রয়োজনীয় জনবল সঙ্কট নিয়েই নতুন ভবনসহ ২৫০ শয্যার চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। আট বছর আগে নতুন ভবনের নির্মাণের কাজ শুরু হলেও স্বাস্থ্য বিভাগ ২৫০ শয্যার হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু করতে পারিনি আজও।
বর্তমানে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল চিকিৎসাসেবা ও পরিচ্ছন্নতার দিক দিয়ে খুলনা বিভাগের ১০ জেলার সরকারি হাসপাতালের মধ্যে প্রথম এবং সারা দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোর মধ্যে অর্জন করেছে তৃতীয় স্থান। যে কারণে হাসপাতালে প্রতিনিয়তই বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। বহির্বিভাগে প্রতিদিন চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর সংখ্যা ৮ শ-এর অধিক এবং সার্বক্ষণিক হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৩ শ-এর অধিক। ৫০ শয্যার ডাক্তার দিয়ে এত বেশি রোগীর সুচিকিৎসা প্রদান করতে ডাক্তাররা যেন হিমশিম খাচ্ছেন।
হাসপাতালে একাধিক রোগী ও তার স্বজনেরা জানান, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। বেড না থাকায় হাসপাতালের মেঝে, সিড়ির কোণ ও টয়লেটের পাশে বিছানা পেতে থাকতে হচ্ছে রোগীদের। রোগীর ভিড়ে রোগীরাই যেন অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে। হাসপাতালের বারান্দাতেও গায়ের সঙ্গে গা ঘেষে থাকতে হচ্ছে তাদের। হাসপাতালে নেই পর্যাপ্ত নার্স, নেই রোগী সেবা দেওয়ার মতো পর্যাপ্ত ডাক্তার। তাই রোগীরা পাচ্ছে না তাদের পরিপূর্ণ সেবা।
তিন দিন যাবৎ জ্বরে আক্রান্ত মেয়ে সুরভীকে নিয়ে হাসপাতালের মহিলা ওয়ার্ডের মেঝেতে অবস্থানকারী শওকত আলী বলেন, ‘তিন দিন পূর্বে মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে এসেছিলাম। হাসপাতালে অতিরিক্ত রোগীর কারণে বেড না পেয়ে মেঝেতে বিছানা করে মেয়েকে রেখেছিলাম, দুই দিন পর বেড পেয়েছি। শুনেছি চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের নতুন ভবনের কাজ শেষ হয়েছে। তবে কেন সেখানে রোগীদের সেবা দেওয়া হচ্ছে না, তা জানি না। নতুন ভবনটি চালু হলে রোগীদের কষ্ট কমবে।’
ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের দাবি, ‘চুয়াডাঙ্গা জেলাসহ পার্শ্ববর্তী মেহেরপুর ও ঝিনাইদহের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা পেতে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের প্রতি সবার আগ্রহ। কিন্তু আমাদের চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে জনবল, ডাক্তার ও শয্যা-সঙ্কটের কারণে উপযুক্ত স্বাস্থ্যসেবা মিলছে না। ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল চালু হলে ও প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ দিলে ডাক্তার ও শয্যা-সঙ্কট থাকবে না। এ জন্য দ্রুত হাসপাতালটি চালু ও জনবল নিয়োগ দিয়ে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার দাবি জানান তাঁরা।’
হাসপাতালের মহিলা ওয়ার্ডে কর্তব্যরত সিনিয়র স্টাফ নার্স রোমানা সুলতানা ও তহমিনা খাতুন বলেন, ‘ওয়ার্ডে যত রোগী থাকার কথা, তার থেকে চার-পাঁচ গুণ রোগী বেশি থাকাই আমরা চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছি। ওয়ার্ডের মেঝেতেও রোগীতে পূর্ণ। এক রোগীকে সেবা দিয়ে অন্য রোগীর নিকট পৌঁছাতে বেগ পেতে হয়।’
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. শামীম কবির বলেন, ‘চুয়াডাঙ্গার জেলাবাসীর উন্নত চিকিৎসার একমাত্র ভরসা এই চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল। প্রতিদিন বহির্বিভাগে ৮ শ-এর বেশি রোগী চিকিৎসা নিতে আসে এবং ১৫০ থেকে ২০০ রোগী এ হাসপাতালে ভর্তি হয়। যার কারণে এ বিপুলসংখ্যক রোগীর চিকিৎসাসেবা প্রদান এবং জায়গা দেওয়া ১০০ শয্যার ভবনে আর সম্ভব হচ্ছে না। তা ছাড়া ৫০ শয্যার ডাক্তার দিয়ে এত বেশি রোগীর সুচিকিৎসা প্রদান করতে ডাক্তারদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। তাই বর্তমান স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করছি, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চুয়াডাঙ্গা ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু করে জেলার মানুষের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য।’
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক সিভিল সার্জন ডা. খায়রুল আলম বলেন, ‘চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল এখনও ৫০ শয্যা হাসপাতাল হিসেবেই ব্যবহার করা হচ্ছে। ১০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল রূপে সেবা প্রদান করা হলেও এটি এখনও ১০০ শয্যায় উন্নীত হয়নি। চেষ্টা করছি, হয়তো অচিরেই ১০০ শয্যার অনুমতি পাব। ১০০ শয্যার অনুমতি না পেলে ২৫০ শয্যার অনুমতিও পাওয়া যাবে না।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

নেই ১০০ শয্যার অনুমতি, ১৫০ শয্যার নতুন ভবন উদ্বোধন

আপলোড টাইম : ১০:১৬:১৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ জুন ২০১৯

স্পট : চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ৫০ শয্যার জনবল নিয়ে ২৫০ শয্যার কার্যক্রম শুরুর স্বপ্ন
রুদ্র রাসেল:
৫০ শয্যাবিশিষ্ট চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের যাত্রা শুরু হয় ১৯৭০ সালে। সে সময় এ অঞ্চলের জনসংখ্যা কম থাকায় চিকিৎসা সেবা দিতে বেগ পেতে হয়নি এ হাসপাতালটির। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জনসংখ্যা যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে, পাল্লা দিয়ে বেড়েছে রোগীর সংখ্যাও। আর বাড়তি এ সব রোগীর সেবা দিতে ২০০৩ সালে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালকে ৫০ শয্যা থেকে ১০০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। তবে ডাক্তার ও নার্সসহ প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়নি। তাই ১০০ শয্যার হাসপাতালটি আজও ৫০ শয্যার জনবলেই চলছে যেন গরুর গাড়ির মতো। তাই বর্তমানে হাসপাতালটি রোগীদের পূর্ণ চিকিৎসা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে।
এই সমস্যার সমাধানে চুয়াডাঙ্গা ১০০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালকে ২৫০ শয্যা হাসপাতালে উন্নীতকরণের জন্য ১৫০ শয্যাবিশিষ্ট নতুন ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয় ২০১০ সালের দিকে। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ২০১৮ সালের অক্টোবরে চিকিৎসক, নার্স ও প্রয়োজনীয় জনবল সঙ্কট নিয়েই নতুন ভবনসহ ২৫০ শয্যার চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। আট বছর আগে নতুন ভবনের নির্মাণের কাজ শুরু হলেও স্বাস্থ্য বিভাগ ২৫০ শয্যার হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু করতে পারিনি আজও।
বর্তমানে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল চিকিৎসাসেবা ও পরিচ্ছন্নতার দিক দিয়ে খুলনা বিভাগের ১০ জেলার সরকারি হাসপাতালের মধ্যে প্রথম এবং সারা দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোর মধ্যে অর্জন করেছে তৃতীয় স্থান। যে কারণে হাসপাতালে প্রতিনিয়তই বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। বহির্বিভাগে প্রতিদিন চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর সংখ্যা ৮ শ-এর অধিক এবং সার্বক্ষণিক হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৩ শ-এর অধিক। ৫০ শয্যার ডাক্তার দিয়ে এত বেশি রোগীর সুচিকিৎসা প্রদান করতে ডাক্তাররা যেন হিমশিম খাচ্ছেন।
হাসপাতালে একাধিক রোগী ও তার স্বজনেরা জানান, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। বেড না থাকায় হাসপাতালের মেঝে, সিড়ির কোণ ও টয়লেটের পাশে বিছানা পেতে থাকতে হচ্ছে রোগীদের। রোগীর ভিড়ে রোগীরাই যেন অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে। হাসপাতালের বারান্দাতেও গায়ের সঙ্গে গা ঘেষে থাকতে হচ্ছে তাদের। হাসপাতালে নেই পর্যাপ্ত নার্স, নেই রোগী সেবা দেওয়ার মতো পর্যাপ্ত ডাক্তার। তাই রোগীরা পাচ্ছে না তাদের পরিপূর্ণ সেবা।
তিন দিন যাবৎ জ্বরে আক্রান্ত মেয়ে সুরভীকে নিয়ে হাসপাতালের মহিলা ওয়ার্ডের মেঝেতে অবস্থানকারী শওকত আলী বলেন, ‘তিন দিন পূর্বে মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে এসেছিলাম। হাসপাতালে অতিরিক্ত রোগীর কারণে বেড না পেয়ে মেঝেতে বিছানা করে মেয়েকে রেখেছিলাম, দুই দিন পর বেড পেয়েছি। শুনেছি চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের নতুন ভবনের কাজ শেষ হয়েছে। তবে কেন সেখানে রোগীদের সেবা দেওয়া হচ্ছে না, তা জানি না। নতুন ভবনটি চালু হলে রোগীদের কষ্ট কমবে।’
ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের দাবি, ‘চুয়াডাঙ্গা জেলাসহ পার্শ্ববর্তী মেহেরপুর ও ঝিনাইদহের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা পেতে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের প্রতি সবার আগ্রহ। কিন্তু আমাদের চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে জনবল, ডাক্তার ও শয্যা-সঙ্কটের কারণে উপযুক্ত স্বাস্থ্যসেবা মিলছে না। ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল চালু হলে ও প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ দিলে ডাক্তার ও শয্যা-সঙ্কট থাকবে না। এ জন্য দ্রুত হাসপাতালটি চালু ও জনবল নিয়োগ দিয়ে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার দাবি জানান তাঁরা।’
হাসপাতালের মহিলা ওয়ার্ডে কর্তব্যরত সিনিয়র স্টাফ নার্স রোমানা সুলতানা ও তহমিনা খাতুন বলেন, ‘ওয়ার্ডে যত রোগী থাকার কথা, তার থেকে চার-পাঁচ গুণ রোগী বেশি থাকাই আমরা চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছি। ওয়ার্ডের মেঝেতেও রোগীতে পূর্ণ। এক রোগীকে সেবা দিয়ে অন্য রোগীর নিকট পৌঁছাতে বেগ পেতে হয়।’
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. শামীম কবির বলেন, ‘চুয়াডাঙ্গার জেলাবাসীর উন্নত চিকিৎসার একমাত্র ভরসা এই চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল। প্রতিদিন বহির্বিভাগে ৮ শ-এর বেশি রোগী চিকিৎসা নিতে আসে এবং ১৫০ থেকে ২০০ রোগী এ হাসপাতালে ভর্তি হয়। যার কারণে এ বিপুলসংখ্যক রোগীর চিকিৎসাসেবা প্রদান এবং জায়গা দেওয়া ১০০ শয্যার ভবনে আর সম্ভব হচ্ছে না। তা ছাড়া ৫০ শয্যার ডাক্তার দিয়ে এত বেশি রোগীর সুচিকিৎসা প্রদান করতে ডাক্তারদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। তাই বর্তমান স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করছি, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চুয়াডাঙ্গা ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু করে জেলার মানুষের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য।’
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক সিভিল সার্জন ডা. খায়রুল আলম বলেন, ‘চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল এখনও ৫০ শয্যা হাসপাতাল হিসেবেই ব্যবহার করা হচ্ছে। ১০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল রূপে সেবা প্রদান করা হলেও এটি এখনও ১০০ শয্যায় উন্নীত হয়নি। চেষ্টা করছি, হয়তো অচিরেই ১০০ শয্যার অনুমতি পাব। ১০০ শয্যার অনুমতি না পেলে ২৫০ শয্যার অনুমতিও পাওয়া যাবে না।’