ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

নুসরাত হত্যার দায় স্বীকার করে শাকিলের জবানবন্দি

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৫২:১৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ মে ২০১৯
  • / ২৩০ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদন:
ফেনীর সোনাগাজীতে আগুনে পুড়িয়ে মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে হত্যার মামলার আসামি মহিউদ্দিন শাকিল দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ফেনীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসাইনের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয় সে। জবানবন্দির পর এ নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) চট্টগ্রাম বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার মো. ইকবাল। তিনি বলেন, ‘শাকিল আদালতকে বলেছে, ঘটনার দিন সে সাইক্লোন শেল্টারের সিঁড়ি পাহারার দায়িত্বে ছিল। এ ছাড়া নুসরাত হত্যাকা-ের ঘটনায় সব পরিকল্পনার ব্যাপারে সে জানতো।’ এর আগে গত ২ মে শাকিলকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. শাহ আলম। আদালত শাকিলের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গত ২৫ এপ্রিল বিকেলে ফেনীর উকিলপাড়া এলাকা থেকে শাকিলকে গ্রেফতার করা হয়। শাকিল সোনাগাজীর চর চান্দিয়া গ্রামের রহুল আমীনের ছেলে। সে নুসরাত জাহান রাফির সহপাঠী। আসামি শাহাদাত হোসেন শামীম ও নুর উদ্দিনের স্বীকারোত্তিমূলক জবানবন্দিতে শাকিলের নাম উঠে আসে।
উল্লেখ্য, নিহত নুসরাত সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার আলিম পরীক্ষার্থী ছিলেন। ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ্দৌলার বিরুদ্ধে তিনি যৌন নিপীড়নের অভিযোগ করেন। নুসরাতের মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে ২৭ মার্চ সোনাগাজী থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর অধ্যক্ষকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে মামলা তুলে নিতে বিভিন্নভাবে নুসরাতের পরিবারকে হুমকি দেওয়া হয়। ৬ এপ্রিল সকাল ৯টার দিকে আলিম পর্যায়ের আরবি প্রথমপত্রের পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে যান নুসরাত। এসময় তাকে কৌশলে পাশের বহুতল ভবনের ছাদে ডেকে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। সেখানে তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেওয়া হয়। ১০ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টায় ঢাকা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নুসরাত মারা যান। এ ঘটনায় নুসরাতের ভাইয়ের দায়ের করা মামলাটি তদন্ত করছে পিবিআই। নুসরাতের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান বাদী হয়ে গত ৮ এপ্রিল ৮ জনের নাম উল্লেখ করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। ১০ এপ্রিল মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআইতে হস্তান্তর করা হয়। পিবিআই ২৩ জন আসামিকে গ্রেফতার করে। এরমধ্যে ১২ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

নুসরাত হত্যার দায় স্বীকার করে শাকিলের জবানবন্দি

আপলোড টাইম : ০৯:৫২:১৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ মে ২০১৯

সমীকরণ প্রতিবেদন:
ফেনীর সোনাগাজীতে আগুনে পুড়িয়ে মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে হত্যার মামলার আসামি মহিউদ্দিন শাকিল দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ফেনীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসাইনের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয় সে। জবানবন্দির পর এ নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) চট্টগ্রাম বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার মো. ইকবাল। তিনি বলেন, ‘শাকিল আদালতকে বলেছে, ঘটনার দিন সে সাইক্লোন শেল্টারের সিঁড়ি পাহারার দায়িত্বে ছিল। এ ছাড়া নুসরাত হত্যাকা-ের ঘটনায় সব পরিকল্পনার ব্যাপারে সে জানতো।’ এর আগে গত ২ মে শাকিলকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. শাহ আলম। আদালত শাকিলের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গত ২৫ এপ্রিল বিকেলে ফেনীর উকিলপাড়া এলাকা থেকে শাকিলকে গ্রেফতার করা হয়। শাকিল সোনাগাজীর চর চান্দিয়া গ্রামের রহুল আমীনের ছেলে। সে নুসরাত জাহান রাফির সহপাঠী। আসামি শাহাদাত হোসেন শামীম ও নুর উদ্দিনের স্বীকারোত্তিমূলক জবানবন্দিতে শাকিলের নাম উঠে আসে।
উল্লেখ্য, নিহত নুসরাত সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার আলিম পরীক্ষার্থী ছিলেন। ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ্দৌলার বিরুদ্ধে তিনি যৌন নিপীড়নের অভিযোগ করেন। নুসরাতের মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে ২৭ মার্চ সোনাগাজী থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর অধ্যক্ষকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে মামলা তুলে নিতে বিভিন্নভাবে নুসরাতের পরিবারকে হুমকি দেওয়া হয়। ৬ এপ্রিল সকাল ৯টার দিকে আলিম পর্যায়ের আরবি প্রথমপত্রের পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে যান নুসরাত। এসময় তাকে কৌশলে পাশের বহুতল ভবনের ছাদে ডেকে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। সেখানে তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেওয়া হয়। ১০ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টায় ঢাকা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নুসরাত মারা যান। এ ঘটনায় নুসরাতের ভাইয়ের দায়ের করা মামলাটি তদন্ত করছে পিবিআই। নুসরাতের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান বাদী হয়ে গত ৮ এপ্রিল ৮ জনের নাম উল্লেখ করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। ১০ এপ্রিল মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআইতে হস্তান্তর করা হয়। পিবিআই ২৩ জন আসামিকে গ্রেফতার করে। এরমধ্যে ১২ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।