ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

নিশ্চয়তা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:৩৩:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • / ১২৯ বার পড়া হয়েছে

ধর্ম প্রতিবেদন
অস্থায়ী এ পৃথিবীতে কেউ স্থায়ী নয়। আজ জীবিত থাকলে কাল থাকবে কিনা নিশ্চয়তা নেই। শরীর থেকে আত্মা বেরিয়ে গেলেই মানুষ মৃত বলে বিবেচিত হয়। মৃত্যু সম্পর্কে আল্লাহ কোরআনে ইরশাদ করেন, ‘প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। আর কিয়ামতের দিন তোমাদের পরিপূর্ণ প্রতিদান দেওয়া হবে। তারপর যাকে জাহান্নাম থেকে দূরে রাখা হবে এবং জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে, সে-ই সফলকাম। আর পার্থিব জীবন ধোঁকার বস্তু ছাড়া কিছুই নয়।’ সুরা আলে ইমরান, আয়াত ১৮৫। মৃত্যু থেকে কেউ রেহাই পাবে না। সবাইকে একদিন মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। এ সম্পর্কে কোরআনে আল্লাহ আরও ইরশাদ করেন, ‘প্রত্যেককে মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করতে হবে। আমি তোমাদের মন্দ ও ভালো দ্বারা পরীক্ষা করি এবং তোমরা আমার কাছেই প্রত্যাবর্তিত হবে।’ সুরা আম্বিয়া, আয়াত ৩৫। পৃথিবী ছেড়ে কেউ চলে গেলে তার জন্য জীবিতরা কিছু করবে কিনা এ সম্পর্কে ইসলামী শরিয়ত কিছু নির্দেশনা দিয়েছে; যা মেনে চলা মৃত ব্যক্তির কল্যাণকামীদের জন্য জরুরি। তার সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরা হলো- এক. সর্বত্র মৃত ব্যক্তির ভালো কাজের আলোচনা ছড়িয়ে দেওয়া। এ সম্পর্কে হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বর্ণনা করেছেন, রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা তোমাদের মৃতদের ভালো কাজগুলোর আলোচনা কর এবং মন্দ কাজের আলোচনা থেকে বিরত থাকো।’ আবু দাউদ। দুই. মৃত ব্যক্তির জন্য বেশি বেশি দোয়া করা। তার রুহের মাগফিরাত কামনা করা। তার ভুলত্রুটির জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা। এ সম্পর্কে কোরআনে হজরত নুহ (আ.)-এর দোয়া বর্ণিত হয়েছে। তিনি বলেছেন, ‘হে আমার প্রতিপালক! আমাকে ক্ষমা করে দিন এবং আমার পিতা-মাতাকেও এবং যে ইমান অবস্থায় আমার ঘরে প্রবেশ করেছে আর সমস্ত মোমিন পুরুষ ও মোমিন নারীকেও।’ সুরা নুহ, আয়াত ২৮। তিন. মৃত ব্যক্তির সওয়াবের উদ্দেশ্যে দান-সদকা করা। এ সম্পর্কে হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘সাদ ইবনে উবাদা (রা.)-এর অনুপস্থিতিতে তাঁর মা ইন্তেকাল করেন। তিনি রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞেস করেন, আমার অনুপস্থিতিতে আমার মা মারা গেছেন। আমি যদি তাঁর পক্ষ থেকে সদকা করি তবে কি তাঁর কোনো উপকারে আসবে? তিনি বলেন, হ্যাঁ। সাদ (রা.) বললেন, আমি আপনাকে সাক্ষী রেখে বলছি যে, আমার ‘মিখরাফ’ নামক বাগানটি আমার মায়ের জন্য সদকা করে দিলাম।’ বুখারি। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘এক ব্যক্তি রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞেস করে, আমার পিতা ইন্তেকাল করেছেন এবং ধন-সম্পদ রেখে গেছেন কিন্তু অসিয়ত করে যাননি। এখন আমি যদি তাঁর পক্ষ থেকে সদকা করি, তবে কি তাঁর (গুনাহের) কাফফারা হবে? তিনি বললেন, হ্যাঁ।’ মুসলিম।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

নিশ্চয়তা

আপলোড টাইম : ০৮:৩৩:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০

ধর্ম প্রতিবেদন
অস্থায়ী এ পৃথিবীতে কেউ স্থায়ী নয়। আজ জীবিত থাকলে কাল থাকবে কিনা নিশ্চয়তা নেই। শরীর থেকে আত্মা বেরিয়ে গেলেই মানুষ মৃত বলে বিবেচিত হয়। মৃত্যু সম্পর্কে আল্লাহ কোরআনে ইরশাদ করেন, ‘প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। আর কিয়ামতের দিন তোমাদের পরিপূর্ণ প্রতিদান দেওয়া হবে। তারপর যাকে জাহান্নাম থেকে দূরে রাখা হবে এবং জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে, সে-ই সফলকাম। আর পার্থিব জীবন ধোঁকার বস্তু ছাড়া কিছুই নয়।’ সুরা আলে ইমরান, আয়াত ১৮৫। মৃত্যু থেকে কেউ রেহাই পাবে না। সবাইকে একদিন মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। এ সম্পর্কে কোরআনে আল্লাহ আরও ইরশাদ করেন, ‘প্রত্যেককে মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করতে হবে। আমি তোমাদের মন্দ ও ভালো দ্বারা পরীক্ষা করি এবং তোমরা আমার কাছেই প্রত্যাবর্তিত হবে।’ সুরা আম্বিয়া, আয়াত ৩৫। পৃথিবী ছেড়ে কেউ চলে গেলে তার জন্য জীবিতরা কিছু করবে কিনা এ সম্পর্কে ইসলামী শরিয়ত কিছু নির্দেশনা দিয়েছে; যা মেনে চলা মৃত ব্যক্তির কল্যাণকামীদের জন্য জরুরি। তার সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরা হলো- এক. সর্বত্র মৃত ব্যক্তির ভালো কাজের আলোচনা ছড়িয়ে দেওয়া। এ সম্পর্কে হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বর্ণনা করেছেন, রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা তোমাদের মৃতদের ভালো কাজগুলোর আলোচনা কর এবং মন্দ কাজের আলোচনা থেকে বিরত থাকো।’ আবু দাউদ। দুই. মৃত ব্যক্তির জন্য বেশি বেশি দোয়া করা। তার রুহের মাগফিরাত কামনা করা। তার ভুলত্রুটির জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা। এ সম্পর্কে কোরআনে হজরত নুহ (আ.)-এর দোয়া বর্ণিত হয়েছে। তিনি বলেছেন, ‘হে আমার প্রতিপালক! আমাকে ক্ষমা করে দিন এবং আমার পিতা-মাতাকেও এবং যে ইমান অবস্থায় আমার ঘরে প্রবেশ করেছে আর সমস্ত মোমিন পুরুষ ও মোমিন নারীকেও।’ সুরা নুহ, আয়াত ২৮। তিন. মৃত ব্যক্তির সওয়াবের উদ্দেশ্যে দান-সদকা করা। এ সম্পর্কে হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘সাদ ইবনে উবাদা (রা.)-এর অনুপস্থিতিতে তাঁর মা ইন্তেকাল করেন। তিনি রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞেস করেন, আমার অনুপস্থিতিতে আমার মা মারা গেছেন। আমি যদি তাঁর পক্ষ থেকে সদকা করি তবে কি তাঁর কোনো উপকারে আসবে? তিনি বলেন, হ্যাঁ। সাদ (রা.) বললেন, আমি আপনাকে সাক্ষী রেখে বলছি যে, আমার ‘মিখরাফ’ নামক বাগানটি আমার মায়ের জন্য সদকা করে দিলাম।’ বুখারি। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘এক ব্যক্তি রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞেস করে, আমার পিতা ইন্তেকাল করেছেন এবং ধন-সম্পদ রেখে গেছেন কিন্তু অসিয়ত করে যাননি। এখন আমি যদি তাঁর পক্ষ থেকে সদকা করি, তবে কি তাঁর (গুনাহের) কাফফারা হবে? তিনি বললেন, হ্যাঁ।’ মুসলিম।