ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

নির্যাতনের অভিযোগ : দু’পক্ষের মামলা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৫:৫৬:২৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ মে ২০১৮
  • / ৪২০ বার পড়া হয়েছে

গাংনীতে গাছে বেধে নির্মাণ শ্রমিক ও প্রবাসীর স্ত্রীকে
মেহেরপুর প্রতিনিধি: মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার সাহারাবাটি ইউনিয়নের কলোনিপাড়ায় অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ তুলে প্রবাসীর স্ত্রী ও স¤্রাট নামের এক নির্মাণ শ্রমিককে গাছে বেঁধে নির্যাতনে অভিযোগ উঠেছে। গত শনিবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে রবিবার সকাল পর্যন্ত তাদের গাছে বেধে রাখা হয় বলে খবর পাওয়া গেছে। গতকাল সকালে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে নির্যাতিতদের উদ্ধার করে থানায় নিয়েছে। নির্যাতিত সম্রাট গোপালগঞ্জ জেলার মকসুদপুর গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে। তিনি ওই এলাকার মসজিদ নির্মানের জন্য এলাকায় বসবাস করছিলেন। নির্যাতিত একই এলাকার মালদ্বিপ প্রবাসীর স্ত্রী। অভিযুক্তরা হলেন- একই এলাকার ফয়জুদ্দীনের ছেলে গোলাম মোস্তফা, মনিরুল ইসলাম ও তাঁর দু’ছেলে রুবেল হোসেন ও মিলন হোসেন।
তবে নির্যাতিতা প্রবাসীর স্ত্রী জানান, কিছুদিন যাবত এলাকার কালু নামের একজন তাকে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিলো। তার সেই প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় রাতের আধারে এক (নির্মাণ শ্রমিককে) রাজমিস্ত্রিকে আমার ঘরে তুলে দেয়। এর পরপরেই ফয়জুদ্দীনের ছেলে গোলাম মোস্তফা, মনিরুল ইসলাম ও তার দু’জন ছেলে রুবেল হোসেন ও মিলন আমাদের দু’জনকে গাছের সাথে বেধে বেধড়ক মারধর করে।
নির্মাণ শ্রমিক স¤্রাট জানান, গত কয়েক মাস যাবত কলোনীপাড়ার একটি মসজিদ নির্মাণের কাজে নিয়োজিত ছিলেন তিনি। ঘটনার রাতে আনারুল ইসলামের ছেলে কালু, মসলেমের ছেলে গোলাম হোসেন ও তাসের আলীর ছেলে জাব্বারুল ইসলাম তাকে ভয় দেখিয়ে জোর করে জানালা দিয়ে প্রবাসীর স্ত্রীর ঘরে ঢুকিয়ে দেয়। পরে গ্রামের লোকজনকে ডেকে নিয়ে তাদের দু’জনকে গাছের সাথে বেঁধে মারধর শুরু করে। সাহারবাটি ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য তহসিন আলী জানান, আসলে এ ঘটনার সাথে কারা জড়িত। তার স্পষ্ট নয়। তবে তাদের মধ্য অনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে কিনা সেইটা না জেনে এভাবে গাছের সঙ্গে বেঁধে তাদের নির্যাতন করা ঠিক হয়নি।
এদিকে, অভিযুক্তদের মধ্যে জাব্বারুলের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে মোবাইল বন্ধ থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি। গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হরেন্দ্র নাথ সরকার বলেন, পাল্টাপাল্টি অভিযোগের ভিত্তিতে উভয় পক্ষের মামলায় গ্রহণ করা হয়েছে। পুলিশের হেফাজতে থাকা নির্মাণ শ্রমিক ও প্রবাসির স্ত্রীকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। নির্যাতনকারীদের আটকের চেষ্টা চলছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

নির্যাতনের অভিযোগ : দু’পক্ষের মামলা

আপলোড টাইম : ০৫:৫৬:২৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ মে ২০১৮

গাংনীতে গাছে বেধে নির্মাণ শ্রমিক ও প্রবাসীর স্ত্রীকে
মেহেরপুর প্রতিনিধি: মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার সাহারাবাটি ইউনিয়নের কলোনিপাড়ায় অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ তুলে প্রবাসীর স্ত্রী ও স¤্রাট নামের এক নির্মাণ শ্রমিককে গাছে বেঁধে নির্যাতনে অভিযোগ উঠেছে। গত শনিবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে রবিবার সকাল পর্যন্ত তাদের গাছে বেধে রাখা হয় বলে খবর পাওয়া গেছে। গতকাল সকালে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে নির্যাতিতদের উদ্ধার করে থানায় নিয়েছে। নির্যাতিত সম্রাট গোপালগঞ্জ জেলার মকসুদপুর গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে। তিনি ওই এলাকার মসজিদ নির্মানের জন্য এলাকায় বসবাস করছিলেন। নির্যাতিত একই এলাকার মালদ্বিপ প্রবাসীর স্ত্রী। অভিযুক্তরা হলেন- একই এলাকার ফয়জুদ্দীনের ছেলে গোলাম মোস্তফা, মনিরুল ইসলাম ও তাঁর দু’ছেলে রুবেল হোসেন ও মিলন হোসেন।
তবে নির্যাতিতা প্রবাসীর স্ত্রী জানান, কিছুদিন যাবত এলাকার কালু নামের একজন তাকে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিলো। তার সেই প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় রাতের আধারে এক (নির্মাণ শ্রমিককে) রাজমিস্ত্রিকে আমার ঘরে তুলে দেয়। এর পরপরেই ফয়জুদ্দীনের ছেলে গোলাম মোস্তফা, মনিরুল ইসলাম ও তার দু’জন ছেলে রুবেল হোসেন ও মিলন আমাদের দু’জনকে গাছের সাথে বেধে বেধড়ক মারধর করে।
নির্মাণ শ্রমিক স¤্রাট জানান, গত কয়েক মাস যাবত কলোনীপাড়ার একটি মসজিদ নির্মাণের কাজে নিয়োজিত ছিলেন তিনি। ঘটনার রাতে আনারুল ইসলামের ছেলে কালু, মসলেমের ছেলে গোলাম হোসেন ও তাসের আলীর ছেলে জাব্বারুল ইসলাম তাকে ভয় দেখিয়ে জোর করে জানালা দিয়ে প্রবাসীর স্ত্রীর ঘরে ঢুকিয়ে দেয়। পরে গ্রামের লোকজনকে ডেকে নিয়ে তাদের দু’জনকে গাছের সাথে বেঁধে মারধর শুরু করে। সাহারবাটি ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য তহসিন আলী জানান, আসলে এ ঘটনার সাথে কারা জড়িত। তার স্পষ্ট নয়। তবে তাদের মধ্য অনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে কিনা সেইটা না জেনে এভাবে গাছের সঙ্গে বেঁধে তাদের নির্যাতন করা ঠিক হয়নি।
এদিকে, অভিযুক্তদের মধ্যে জাব্বারুলের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে মোবাইল বন্ধ থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি। গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হরেন্দ্র নাথ সরকার বলেন, পাল্টাপাল্টি অভিযোগের ভিত্তিতে উভয় পক্ষের মামলায় গ্রহণ করা হয়েছে। পুলিশের হেফাজতে থাকা নির্মাণ শ্রমিক ও প্রবাসির স্ত্রীকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। নির্যাতনকারীদের আটকের চেষ্টা চলছে।