নির্যাতনের অভিযোগ : গৃহবধূর আত্মহত্যার চেষ্টা
- আপলোড টাইম : ০২:৪৪:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৭
- / ৬৩০ বার পড়া হয়েছে
দামুড়হুদার উজিরপুরে শ্বাশুড়ী ও ননদের বিরুদ্ধে
নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার উজিরপুর গ্রামের লিমা খাতুন (২২) নামের এক গৃহবধু শাশুড়ী ও ননদের নির্যাতনের শিকার হয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। লিমা খাতুন ওই গ্রামের কাশেদ আলীর স্ত্রী। জানা গেছে, দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর গ্রামের স্টেশনপাড়ার শেরেগুলের মেয়ে লিমা খাতুনের সাথে একই উপজেলার উজিরপুর গ্রামের আফসার আলীর ছেলে কাশেদের ৯ বছর আগে বিবাহ হয়। বিয়ের পর থেকেই তার শাশুরী সুফিয়া খাতুন ও তার ননদ রহিমা খাতুন ও ববিতা খাতুন ছোটখাট কারনে মারধর করতো। গতকাল সকালে তার শাশুড়ি কোন এক কারনে লিমা খাতুনের সাথে বাকবন্ডিতা হয়। রাতে দ্বিতীয় দফার আবারো ঝগড়া হলে একপর্যায়ে তাকে মারধর করে শ্বাশুড়ি। পরে লিমা খাতুন সহ্য করতে না পরে নিজ ঘরে ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরে পরিবারের সদস্যরা উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
লিমার বাবা শেরেগুল বলেন, বিয়ের পর থেকে তার শাশুড়ির চাপে পড়ে নগদ ৫০ হাজার টাকা আমার কাছ থেকে নিয়ে দিয়েছে। মাঝেমধ্যে এক দুই হাজার টাকা বাড়ি থেকে নিয়ে শাশুড়িকে দেয়। শুধু এটাই না। আমার মেয়েকে বিয়ের পর থেকে কারনে অকারনে শারীরিক নির্যাতন করে আসছিল। এর আগেও একবার আমার মেয়ে নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে গলাই দড়ি দিয়েছিল। এরপর থেকেই আমার মেয়েকে আমি ওই পরিবারে দিতে চাইনি। পরে মন্ডল মাতব্বরের উপস্থিতিতে আমি মেয়ে দিয়। এরপরও আমার মেয়েকে মারে ওরা। এদিকে, লিমার শাশুড়ির সাথে কথা বললে তিনি বলেন, পরিবারে সবাই একসাথে থাকলে হলে এমন একটু হবেই। তবে তিনি মারধর করেননি বলে জানান। লিমা খাতুনের স্বামী ট্রাকের হেলপারি করার সুবাদে বাইরে থাকায় তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। লিমা খাতুন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন। তিনি কোন কথা বলতে না পারায় তার বক্তব্য নেয়া যায়নি।