ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের ব্রিফিং

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১২:১৩:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ নভেম্বর ২০১৮
  • / ৩০৮ বার পড়া হয়েছে

সহিংসতা ঠেকাতে কঠোর হওয়ার নির্দেশ ইসির
ডেস্ক রিপোর্ট: দায়িত্ব পালনকালে বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়লে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদেরকে সহনশীল থেকে ‘জেনে-বুঝে অ্যাকশনে’ যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। কোনো অবস্থাতেই পরিস্থিতি যেন নিয়ন্ত্রণের বাইরে না যায় সে ব্যাপারে সতর্ক করে তিনি বলেছেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনো সংঘাত-প্রাণহানি অথবা রক্তপাত চাই না। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা সংক্রান্ত ব্রিফিংয়ে তিনি এসব পরামর্শ দেন। গতকাল সোমবার নির্বাচন ভবনের অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এ ব্রিফিংয়ে রংপুর, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা উপস্থিত ছিলেন। এ নিয়ে গত তিনদিনে মোট ৬৯১ জন ম্যাজিস্ট্রেটকে ব্রিফিং দেওয়া হয়। সিইসি বলেন, আমরা চাই সুষ্ঠু নির্বাচন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনো সংঘাত হোক এবং সেখানে কোনো রকম রক্তপাত হোক অথবা প্রাণহানি হোক তা চাই না। এগুলোকে সামলানো ও দেখভাল করা আপনাদের দায়িত্ব। নির্বাচনের দিন, নির্বাচনের আগে ও পরে এই সময় আপনাদের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে থাকতে হবে। তাদের পরিচালনার দায়িত্বে থাকতে হবে।
রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে আস্থায় নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে সিইসি বলেন, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা আপনাদের কখনো বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতিতে ফেলবেন না। তাদের ওপর আস্থা রাখবেন এবং তাদের কথা শুনতে হবে। কখনো ধৈর্যচ্যুত হলে চলবে না। কোনো বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়লে সহনশীল থাকতে হবে এবং বুঝে, জেনে, শুনে অ্যাকশনে যেতে হবে। চরম অ্যাকশন যেটা বলা হয়, সেটাকে যতদূর পারেন আপনারা নিজেদের বিবেচনায় নিয়ন্ত্রণ যদি করতে পারেন তাহলে পরিবেশ পরিস্থিতি শান্ত হবে। তিনি বলেন, এবারের নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করবে। আমরা সেটাকে বিবেচনায় রেখে প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। নিরপেক্ষতা নিয়ে ধৈর্য সহকারে সমস্যাগুলো সমাধান করতে হবে। সিইসি আরো বলেন, নির্বাচনের দিনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেদিন অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অনেক সময় আপনাদের বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়। অনেক সময় নানা কারণে উস্কানিমূলক পরিস্থিতিতে ফেলে দেওয়া হয়। আপনাদের মিসগাইডের মধ্যে ফেলা হয়। সেসব অবস্থায় আপনাদের বুদ্ধিমত্তা, দক্ষতার মাধ্যমে আসলে অবস্থা বুঝতে হবে।
ব্রিফিং অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনার মাহবুবু তালুকদার বলেন, ‘আমরা কোনো প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন করে কলঙ্কিত হতে চাই না। নির্বাচনে যে কেউ জয় বা পরাজয় বরণ করতে পারেন; কিন্তু দেশবাসী যেন পরাজিত না হয়।’ তিনি বলেন, ‘আপনারা (নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট) জাতির এক ক্রান্তিলগ্নে মহান দায়িত্ব পালন করছেন। এবারের নির্বাচন আমাদের আত্মমর্যাদা সমুন্নত রাখার নির্বাচন। আপনারা সাহসিকতা ও সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন। নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালউদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (ইটিআই) মহাপরিচালক মোস্তফা ফারুক।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের ব্রিফিং

আপলোড টাইম : ১২:১৩:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ নভেম্বর ২০১৮

সহিংসতা ঠেকাতে কঠোর হওয়ার নির্দেশ ইসির
ডেস্ক রিপোর্ট: দায়িত্ব পালনকালে বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়লে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদেরকে সহনশীল থেকে ‘জেনে-বুঝে অ্যাকশনে’ যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। কোনো অবস্থাতেই পরিস্থিতি যেন নিয়ন্ত্রণের বাইরে না যায় সে ব্যাপারে সতর্ক করে তিনি বলেছেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনো সংঘাত-প্রাণহানি অথবা রক্তপাত চাই না। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা সংক্রান্ত ব্রিফিংয়ে তিনি এসব পরামর্শ দেন। গতকাল সোমবার নির্বাচন ভবনের অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এ ব্রিফিংয়ে রংপুর, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা উপস্থিত ছিলেন। এ নিয়ে গত তিনদিনে মোট ৬৯১ জন ম্যাজিস্ট্রেটকে ব্রিফিং দেওয়া হয়। সিইসি বলেন, আমরা চাই সুষ্ঠু নির্বাচন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনো সংঘাত হোক এবং সেখানে কোনো রকম রক্তপাত হোক অথবা প্রাণহানি হোক তা চাই না। এগুলোকে সামলানো ও দেখভাল করা আপনাদের দায়িত্ব। নির্বাচনের দিন, নির্বাচনের আগে ও পরে এই সময় আপনাদের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে থাকতে হবে। তাদের পরিচালনার দায়িত্বে থাকতে হবে।
রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে আস্থায় নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে সিইসি বলেন, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা আপনাদের কখনো বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতিতে ফেলবেন না। তাদের ওপর আস্থা রাখবেন এবং তাদের কথা শুনতে হবে। কখনো ধৈর্যচ্যুত হলে চলবে না। কোনো বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়লে সহনশীল থাকতে হবে এবং বুঝে, জেনে, শুনে অ্যাকশনে যেতে হবে। চরম অ্যাকশন যেটা বলা হয়, সেটাকে যতদূর পারেন আপনারা নিজেদের বিবেচনায় নিয়ন্ত্রণ যদি করতে পারেন তাহলে পরিবেশ পরিস্থিতি শান্ত হবে। তিনি বলেন, এবারের নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করবে। আমরা সেটাকে বিবেচনায় রেখে প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। নিরপেক্ষতা নিয়ে ধৈর্য সহকারে সমস্যাগুলো সমাধান করতে হবে। সিইসি আরো বলেন, নির্বাচনের দিনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেদিন অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অনেক সময় আপনাদের বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়। অনেক সময় নানা কারণে উস্কানিমূলক পরিস্থিতিতে ফেলে দেওয়া হয়। আপনাদের মিসগাইডের মধ্যে ফেলা হয়। সেসব অবস্থায় আপনাদের বুদ্ধিমত্তা, দক্ষতার মাধ্যমে আসলে অবস্থা বুঝতে হবে।
ব্রিফিং অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনার মাহবুবু তালুকদার বলেন, ‘আমরা কোনো প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন করে কলঙ্কিত হতে চাই না। নির্বাচনে যে কেউ জয় বা পরাজয় বরণ করতে পারেন; কিন্তু দেশবাসী যেন পরাজিত না হয়।’ তিনি বলেন, ‘আপনারা (নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট) জাতির এক ক্রান্তিলগ্নে মহান দায়িত্ব পালন করছেন। এবারের নির্বাচন আমাদের আত্মমর্যাদা সমুন্নত রাখার নির্বাচন। আপনারা সাহসিকতা ও সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন। নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালউদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (ইটিআই) মহাপরিচালক মোস্তফা ফারুক।