ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

নির্বাচন ৬ মাস স্থগিত : কারণ দর্শানোর নোটিশ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:৫১:৪৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০১৮
  • / ৩২৩ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গা চেম্বার নির্বাচনে ১৫ জনের প্রার্থীতা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট
নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাষ্ট্রির আসন্ন দ্বিবার্ষিক নির্বাচন আগামী ৬ মাসের জন্য স্থগিত করেছে হাইকোর্ট। চুয়াডাঙ্গা চেম্বারের সদস্য ও ভোটার মফিজুর রহমান মনা’র দায়েরকৃত এক রিটপিটিশনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি নাইমা হায়দার এবং বিচারপতি জাফর আহমেদের আদালতের দ্বৈত বেঞ্চ গত ১৪ জানুয়ারি এই স্থগিতাদেশ প্রদান করেন। একইসাথে আইনগত ভাবে প্রতিদ্বন্দ্বী ১৫ জন পরিচালকের প্রার্থীতা কেন বাতিল হবেনা তা জানতে চেয়ে এক মাসের মধ্যে তার কারণ দর্শাণোর নির্দেশ দিয়েছেন।
রিট আবেদনের বিবরণে জানা যায়, গত ৫ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত গেজেট বিধি-২১ বিলুপ্ত ঘোষণা করে বিধি- ক এর খ’তে কোন ব্যক্তি একাধিক্রমে দুই মেয়াদের অধিক নির্বাচিত হতে পারবেন না এবং বিধি ক এর গ’তে উল্লেখিত বিধি অনুসারে কার্যনির্বাহী কমিটির কোন সদস্য একাধিক্রমে চার বছর বা তদুর্ধ্ব সময় পর্যন্ত সদস্য পদে আসিন থাকলেও তিনি উক্ত সংগঠনের পরবর্তী নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করতে পারবেন না। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এই বিধি লঙ্ঘন করে ১। মো. ইয়াকুব হোসেন মালিক, ২। মো. শাহারীন হক মালিক, ৩। মো. মঞ্জুরুল আলম লার্জ, ৪। সালাউদ্দিন মো. মর্তুজা, ৫। মো. আরিফ হোসেন জোঃ, ৬। এ.কে.এম সালাউদ্দিন মিঠু, ৭। হারুন অর রশিদ, ৮। নীল রতন শাহা, ৯। কিশোর কুমার কুন্ডু, ১০। এস.এম তসলিম আরিফ, ১১। মো. তাজুল ইসলাম, ১২। এ.এন.এম আরিফ, ১৩। সুরেশ কুমার আগরওয়ালা, ১৪। মো. কামরুল ইসলাম ও ১৫। মো. নাসির আহাদ জোয়ার্দ্দার নির্বাচনে পুনঃরায় প্রার্থী হলে এর বিরুদ্ধে নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের নিকট আপত্তি জানায় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। কিন্তু নির্বাচন পরিচালনা বোর্ড এই অভিযোগ শুনানী শেষে সকল প্রার্থীর প্রার্থীতা বৈধ ঘোষণা করলে এই আদেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিটপিটিশন দাখিল করেন সাধারণ ভোটার মফিজুর রহমান মণা।
এই রায়ের প্রতিক্রিয়ায় হেলা-দুলু-সালাউদ্দীন পরিষদের প্রার্থীরা সন্তোষ প্রকাশ করে বলেছেন, চুয়াডাঙ্গা চেম্বার নির্বাচন পরিচালনা বোর্ড আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল না হলেও মহামাণ্য হাইকোর্ট আইনের সুশাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন।
এদিকে ইয়াকুব-শাহারিন পরিষদের পক্ষ থেকে রায়ের প্রতিক্রিয়ায় বলেছে, আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল তবে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত যে বিধি উল্লেখ করেছেন তা জারির আগেই চুয়াডাঙ্গা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির তফসিল ঘোষণা করা হয়। তাই আসন্ন নির্বাচনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত বিধি আদৌ প্রায়গিক কি না তা আইনি প্রশ্ন। সুতরাং আইনগত ভাবে এর ফয়সালা হবে।
অপরদিকে নির্বাচন পরিচালনা বোর্ড তাঁর প্রতিক্রিয়ায় জানায়, মহামাণ্য হাইকোর্টের আদেশ আন-অফিসিয়ালি পেয়েছি। আদালতের আদেশ অফিসিয়ালি হাতে পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

নির্বাচন ৬ মাস স্থগিত : কারণ দর্শানোর নোটিশ

আপলোড টাইম : ১১:৫১:৪৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০১৮

চুয়াডাঙ্গা চেম্বার নির্বাচনে ১৫ জনের প্রার্থীতা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট
নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাষ্ট্রির আসন্ন দ্বিবার্ষিক নির্বাচন আগামী ৬ মাসের জন্য স্থগিত করেছে হাইকোর্ট। চুয়াডাঙ্গা চেম্বারের সদস্য ও ভোটার মফিজুর রহমান মনা’র দায়েরকৃত এক রিটপিটিশনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি নাইমা হায়দার এবং বিচারপতি জাফর আহমেদের আদালতের দ্বৈত বেঞ্চ গত ১৪ জানুয়ারি এই স্থগিতাদেশ প্রদান করেন। একইসাথে আইনগত ভাবে প্রতিদ্বন্দ্বী ১৫ জন পরিচালকের প্রার্থীতা কেন বাতিল হবেনা তা জানতে চেয়ে এক মাসের মধ্যে তার কারণ দর্শাণোর নির্দেশ দিয়েছেন।
রিট আবেদনের বিবরণে জানা যায়, গত ৫ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত গেজেট বিধি-২১ বিলুপ্ত ঘোষণা করে বিধি- ক এর খ’তে কোন ব্যক্তি একাধিক্রমে দুই মেয়াদের অধিক নির্বাচিত হতে পারবেন না এবং বিধি ক এর গ’তে উল্লেখিত বিধি অনুসারে কার্যনির্বাহী কমিটির কোন সদস্য একাধিক্রমে চার বছর বা তদুর্ধ্ব সময় পর্যন্ত সদস্য পদে আসিন থাকলেও তিনি উক্ত সংগঠনের পরবর্তী নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করতে পারবেন না। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এই বিধি লঙ্ঘন করে ১। মো. ইয়াকুব হোসেন মালিক, ২। মো. শাহারীন হক মালিক, ৩। মো. মঞ্জুরুল আলম লার্জ, ৪। সালাউদ্দিন মো. মর্তুজা, ৫। মো. আরিফ হোসেন জোঃ, ৬। এ.কে.এম সালাউদ্দিন মিঠু, ৭। হারুন অর রশিদ, ৮। নীল রতন শাহা, ৯। কিশোর কুমার কুন্ডু, ১০। এস.এম তসলিম আরিফ, ১১। মো. তাজুল ইসলাম, ১২। এ.এন.এম আরিফ, ১৩। সুরেশ কুমার আগরওয়ালা, ১৪। মো. কামরুল ইসলাম ও ১৫। মো. নাসির আহাদ জোয়ার্দ্দার নির্বাচনে পুনঃরায় প্রার্থী হলে এর বিরুদ্ধে নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের নিকট আপত্তি জানায় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। কিন্তু নির্বাচন পরিচালনা বোর্ড এই অভিযোগ শুনানী শেষে সকল প্রার্থীর প্রার্থীতা বৈধ ঘোষণা করলে এই আদেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিটপিটিশন দাখিল করেন সাধারণ ভোটার মফিজুর রহমান মণা।
এই রায়ের প্রতিক্রিয়ায় হেলা-দুলু-সালাউদ্দীন পরিষদের প্রার্থীরা সন্তোষ প্রকাশ করে বলেছেন, চুয়াডাঙ্গা চেম্বার নির্বাচন পরিচালনা বোর্ড আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল না হলেও মহামাণ্য হাইকোর্ট আইনের সুশাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন।
এদিকে ইয়াকুব-শাহারিন পরিষদের পক্ষ থেকে রায়ের প্রতিক্রিয়ায় বলেছে, আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল তবে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত যে বিধি উল্লেখ করেছেন তা জারির আগেই চুয়াডাঙ্গা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির তফসিল ঘোষণা করা হয়। তাই আসন্ন নির্বাচনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত বিধি আদৌ প্রায়গিক কি না তা আইনি প্রশ্ন। সুতরাং আইনগত ভাবে এর ফয়সালা হবে।
অপরদিকে নির্বাচন পরিচালনা বোর্ড তাঁর প্রতিক্রিয়ায় জানায়, মহামাণ্য হাইকোর্টের আদেশ আন-অফিসিয়ালি পেয়েছি। আদালতের আদেশ অফিসিয়ালি হাতে পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।