ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

নির্বাচনের আগে এ সহিংসতা কী বার্তা দিচ্ছে?

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:১১:৪১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ নভেম্বর ২০১৮
  • / ৩৫১ বার পড়া হয়েছে

নির্বাচন ঘিরে গত কয়েকদিন ধরে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে দেখা গিয়েছিল উৎসবের আমেজ। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও তাদের ১৪ দলীয় জোট, বিএনপি ও তাদের জোট ঐক্যফ্রন্ট মনোনয়ন ফরম বিক্রি করেছে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার সঙ্গে। একই সঙ্গে ঐক্যফ্রন্টের দাবি অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনও নির্বাচনের তারিখ সাতদিন পিছিয়েছে। এতে করে দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বস্তি নেমে এসেছিল। সবাই আশা করছে, একটি উৎসবমুখর পরিবেশে দেশের মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে। মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী নির্বাচনী পরিবেশ সেভাবেই একটি উৎসবের আমেজের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু বুধবার ভিন্ন ঘটনা ঘটেছে। দুপুর ১২টার দিকে পুলিশ বিএনপির মিছিলে বাধা দেয় বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। কথা কাটাকাটি থেকে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। বিএনপি নেতাকর্মীদের অভিযোগ, নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ওপর প্রথমে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। মির্জা আব্বাসের মিছিল নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসার পর এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শী জানায়। তবে পুলিশ বলেছে, বুধবার সকালে মনোনোয়ন ফরম নেওয়ার সময় বিএনপি নেতাকর্মীরা রাস্তা বন্ধ করে রাখলে তাদেরকে রাস্তা ছেড়ে দিতে বলে পুলিশ। এ নিয়ে তাদের সঙ্গে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। উৎসবের আমেজে এমন ঘটনা কোনভাবেই কাম্য হতে পারে না। যে পক্ষেরই দোষ থাকুক এই বিষয়ে সতর্ক হওয়ার অত্যন্ত জরুরী। আমরা আশা করি, জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চলমান প্রক্রিয়ায় এর আর কোন প্রভাব পড়বে না। এ ধরণের বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে অতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে এনে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে প্রশ্নহীন রাখতে হবে। এর সঙ্গে আইশৃঙ্খলা বাহিনীকেও সতর্ক থাকতে হবে যাতে নির্বাচনী কোন ঘটনাকে কেন্দ্র করে এরকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়। এক্ষেত্রে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে কোন ধরণের উস্কানিতে পা দিলে চলবে না। তাদের আরও সহনশীল ও সতর্ক থেকে নির্বাচনের সকল দায়িত্ব পালন করতে হবে। সামনের নির্বাচন ঘিরে যে উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে সারা দেশজুড়ে, তাতে যেন এসব অনাকাঙ্খিত ঘটনা কোন নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে না পারে সে ব্যাপারে এক্ষুণি জরুরিভিত্তিতে অধিকতর সতর্কতার জন্য আমরা সকল পক্ষকে আহ্বান জানাই।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

নির্বাচনের আগে এ সহিংসতা কী বার্তা দিচ্ছে?

আপলোড টাইম : ০৯:১১:৪১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ নভেম্বর ২০১৮

নির্বাচন ঘিরে গত কয়েকদিন ধরে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে দেখা গিয়েছিল উৎসবের আমেজ। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও তাদের ১৪ দলীয় জোট, বিএনপি ও তাদের জোট ঐক্যফ্রন্ট মনোনয়ন ফরম বিক্রি করেছে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার সঙ্গে। একই সঙ্গে ঐক্যফ্রন্টের দাবি অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনও নির্বাচনের তারিখ সাতদিন পিছিয়েছে। এতে করে দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বস্তি নেমে এসেছিল। সবাই আশা করছে, একটি উৎসবমুখর পরিবেশে দেশের মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে। মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী নির্বাচনী পরিবেশ সেভাবেই একটি উৎসবের আমেজের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু বুধবার ভিন্ন ঘটনা ঘটেছে। দুপুর ১২টার দিকে পুলিশ বিএনপির মিছিলে বাধা দেয় বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। কথা কাটাকাটি থেকে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। বিএনপি নেতাকর্মীদের অভিযোগ, নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ওপর প্রথমে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। মির্জা আব্বাসের মিছিল নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসার পর এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শী জানায়। তবে পুলিশ বলেছে, বুধবার সকালে মনোনোয়ন ফরম নেওয়ার সময় বিএনপি নেতাকর্মীরা রাস্তা বন্ধ করে রাখলে তাদেরকে রাস্তা ছেড়ে দিতে বলে পুলিশ। এ নিয়ে তাদের সঙ্গে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। উৎসবের আমেজে এমন ঘটনা কোনভাবেই কাম্য হতে পারে না। যে পক্ষেরই দোষ থাকুক এই বিষয়ে সতর্ক হওয়ার অত্যন্ত জরুরী। আমরা আশা করি, জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চলমান প্রক্রিয়ায় এর আর কোন প্রভাব পড়বে না। এ ধরণের বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে অতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে এনে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে প্রশ্নহীন রাখতে হবে। এর সঙ্গে আইশৃঙ্খলা বাহিনীকেও সতর্ক থাকতে হবে যাতে নির্বাচনী কোন ঘটনাকে কেন্দ্র করে এরকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়। এক্ষেত্রে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে কোন ধরণের উস্কানিতে পা দিলে চলবে না। তাদের আরও সহনশীল ও সতর্ক থেকে নির্বাচনের সকল দায়িত্ব পালন করতে হবে। সামনের নির্বাচন ঘিরে যে উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে সারা দেশজুড়ে, তাতে যেন এসব অনাকাঙ্খিত ঘটনা কোন নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে না পারে সে ব্যাপারে এক্ষুণি জরুরিভিত্তিতে অধিকতর সতর্কতার জন্য আমরা সকল পক্ষকে আহ্বান জানাই।