ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

নিরাশ হওয়া কবিরা গুনাহ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:১৮:০৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / ৬৪ বার পড়া হয়েছে

ধর্ম প্রতিবেদন:
পবিত্র কোরআনুল কারিমের প্রতিটি সুরার শুরুতে আমরা ‘বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম’ পাঠ করি। যার অর্থ, দয়াময় আল্লাহর নামে শুরু করছি। সুরা ফাতিহার দ্বিতীয় নং আয়াতে আল্লাহ নিজে সব প্রশংসার উপযুক্ততা দাবি করে তার কারণ উল্লেখ করে বলেছেন, তিনি ‘দয়াময় অতিশয় দয়ালু’ এই নাম আল্লাহর কাছে পছন্দনীয়। তাই তিনি ‘আর রহমান’ সুরা নাজিল করেছেন। আল্লাহর রহমত ব্যতীত পৃথিবীর কোনো মাখলুকাতের পক্ষে একটি সেকেন্ডও তার অস্তিত্ব বা পৃথিবীতে টিকে থাকা সম্ভব নয়। বরং পৃথিবীর সব মুমিন, কাফের সবাই আল্লাহপাকের রহমতেই বেঁচে আছে। প্রকাশ্যে ও গোপনে তার নাফরমানিতে লিপ্ত থাকা সত্ত্বেও আল্লাহ তার নাফরমান বান্দাকে শাস্তি দেন না বা প্রতিশোধ গ্রহণ করেন না। কারণ তিনি তো রহমানে রাহিম, দয়াময় অতি দয়ালু। তিনি তার প্রিয় বান্দাকে শাস্তি না দিয়ে, ক্ষমা করতেই বেশি পছন্দ করেন। আল্লাহর রহমত, তার ক্রোধ ও গোস্সার চেয়েও অনেক বেশি। আল্লাহ বলেন, তোমরা তোমাদের রবের কাছে ক্ষমা চাও, তিনি ক্ষমা করে দিবেন। আল্লাহ বলেন, বলুন, হে আমার বান্দাগণ, যারা নিজেদের জীবনকে হেলায় নষ্ট করেছ, তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হইও না। আল্লাহ তোমাদের সব গুনাহ মাফ করে দিবেন, তিনি ক্ষমাশীল ও দয়ালু। (সুরা যুমার) আল্লাহ বলেন, কাফিররা ব্যতীত কেউ আল্লাহর রহমত থেকে হতাশ হয় না। (সুরা ইউসুফ)। আল্লাহ বলবেন, হে আমার বান্দা, তুমি কি শোননি? আমার অবাধ্য বান্দাকে আমি কঠিন শাস্তি দিয়ে থাকি? সে বলবে হ্যাঁ আমার মনিব, শুনেছি। আল্লাহ বলবেন, আমার অনুগত বান্দার জন্য আমার কত পুরস্কার রয়েছে তা কি শোননি? সে বলবে হ্যাঁ, শুনেছি। আল্লাহ বলবেন হে আমার বান্দা, তুমি কি আমার নাফরমানি করেছ? সে বলবে, হ্যাঁ কখনো কখনো করেছি। আল্লাহ বলবেন আজ আমার সম্পর্কে তোমার ধারণা কী? সে বলবে হে আমার প্রভু, দয়াময় রব। আমার ধারণা এই যে আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিবেন। আল্লাহ বলবেন, হে আমার বান্দা, তুমি কি নিশ্চিত ছিলে যে, আমি তোমাকে ক্ষমা করে দেব? সে বলবে, হ্যাঁ, কেননা আপনি আমাকে গুনাহের কাজ করতে দেখেছেন, কিন্তু আপনি তা সবার কাছ থেকে লুকিয়ে রেখেছিলেন। অতঃপর আল্লাহ বলবেন, হে আমার বান্দা! যাও, আমি তোমাকে আজকেও গোপন রেখে ক্ষমা করে দিলাম এবং তোমার ধারণা সত্য প্রমাণিত করলাম। আমার প্রতি তোমার আস্থা ও বিশ্বাস অক্ষুণ্ণ রাখলাম। নবীজি বললেন তোমরা কি মনে কর, এই মহিলা তার সন্তানকে আগুনে নিক্ষেপ করতে পারে? সাহাবিগণ বললেন না, তখন রসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, এই মহিলা তার সন্তানের প্রতি যতটা দয়ালু, আল্লাহ তাঁর বান্দার প্রতি তার চেয়েও কোটি গুণ বেশি মেহেরবান ও দয়ালু।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

নিরাশ হওয়া কবিরা গুনাহ

আপলোড টাইম : ০৯:১৮:০৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২১

ধর্ম প্রতিবেদন:
পবিত্র কোরআনুল কারিমের প্রতিটি সুরার শুরুতে আমরা ‘বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম’ পাঠ করি। যার অর্থ, দয়াময় আল্লাহর নামে শুরু করছি। সুরা ফাতিহার দ্বিতীয় নং আয়াতে আল্লাহ নিজে সব প্রশংসার উপযুক্ততা দাবি করে তার কারণ উল্লেখ করে বলেছেন, তিনি ‘দয়াময় অতিশয় দয়ালু’ এই নাম আল্লাহর কাছে পছন্দনীয়। তাই তিনি ‘আর রহমান’ সুরা নাজিল করেছেন। আল্লাহর রহমত ব্যতীত পৃথিবীর কোনো মাখলুকাতের পক্ষে একটি সেকেন্ডও তার অস্তিত্ব বা পৃথিবীতে টিকে থাকা সম্ভব নয়। বরং পৃথিবীর সব মুমিন, কাফের সবাই আল্লাহপাকের রহমতেই বেঁচে আছে। প্রকাশ্যে ও গোপনে তার নাফরমানিতে লিপ্ত থাকা সত্ত্বেও আল্লাহ তার নাফরমান বান্দাকে শাস্তি দেন না বা প্রতিশোধ গ্রহণ করেন না। কারণ তিনি তো রহমানে রাহিম, দয়াময় অতি দয়ালু। তিনি তার প্রিয় বান্দাকে শাস্তি না দিয়ে, ক্ষমা করতেই বেশি পছন্দ করেন। আল্লাহর রহমত, তার ক্রোধ ও গোস্সার চেয়েও অনেক বেশি। আল্লাহ বলেন, তোমরা তোমাদের রবের কাছে ক্ষমা চাও, তিনি ক্ষমা করে দিবেন। আল্লাহ বলেন, বলুন, হে আমার বান্দাগণ, যারা নিজেদের জীবনকে হেলায় নষ্ট করেছ, তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হইও না। আল্লাহ তোমাদের সব গুনাহ মাফ করে দিবেন, তিনি ক্ষমাশীল ও দয়ালু। (সুরা যুমার) আল্লাহ বলেন, কাফিররা ব্যতীত কেউ আল্লাহর রহমত থেকে হতাশ হয় না। (সুরা ইউসুফ)। আল্লাহ বলবেন, হে আমার বান্দা, তুমি কি শোননি? আমার অবাধ্য বান্দাকে আমি কঠিন শাস্তি দিয়ে থাকি? সে বলবে হ্যাঁ আমার মনিব, শুনেছি। আল্লাহ বলবেন, আমার অনুগত বান্দার জন্য আমার কত পুরস্কার রয়েছে তা কি শোননি? সে বলবে হ্যাঁ, শুনেছি। আল্লাহ বলবেন হে আমার বান্দা, তুমি কি আমার নাফরমানি করেছ? সে বলবে, হ্যাঁ কখনো কখনো করেছি। আল্লাহ বলবেন আজ আমার সম্পর্কে তোমার ধারণা কী? সে বলবে হে আমার প্রভু, দয়াময় রব। আমার ধারণা এই যে আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিবেন। আল্লাহ বলবেন, হে আমার বান্দা, তুমি কি নিশ্চিত ছিলে যে, আমি তোমাকে ক্ষমা করে দেব? সে বলবে, হ্যাঁ, কেননা আপনি আমাকে গুনাহের কাজ করতে দেখেছেন, কিন্তু আপনি তা সবার কাছ থেকে লুকিয়ে রেখেছিলেন। অতঃপর আল্লাহ বলবেন, হে আমার বান্দা! যাও, আমি তোমাকে আজকেও গোপন রেখে ক্ষমা করে দিলাম এবং তোমার ধারণা সত্য প্রমাণিত করলাম। আমার প্রতি তোমার আস্থা ও বিশ্বাস অক্ষুণ্ণ রাখলাম। নবীজি বললেন তোমরা কি মনে কর, এই মহিলা তার সন্তানকে আগুনে নিক্ষেপ করতে পারে? সাহাবিগণ বললেন না, তখন রসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, এই মহিলা তার সন্তানের প্রতি যতটা দয়ালু, আল্লাহ তাঁর বান্দার প্রতি তার চেয়েও কোটি গুণ বেশি মেহেরবান ও দয়ালু।