ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

নিরাপদ সড়ক ও ঘাতক চালকের ফাঁসির দাবি!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৩২:০৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ অগাস্ট ২০২০
  • / ৩১৯ বার পড়া হয়েছে

সরোজগঞ্জে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ জন নিহতের ঘটনায় স্থানীয়দের সড়ক অবরোধ ও মানববন্ধন

সাধারণ মানুষের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করলেন ইউএনও সাদিকুর ও ওসি আবু জিহাদ
প্রতিবেদক, সরোজগঞ্জ:
চুয়াডাঙ্গা সদরের সরোজগঞ্জে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ জন নিহতের ঘটনায় নিরাপদ সড়ক ও রয়েল পরিবহনের ঘাতক চালকের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুর ১২টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত ঘণ্টাব্যাপী প্রধান সড়ক অবরোধ করে এলাকাবাসী মানববন্ধন করেন। মানববন্ধনে উপস্থিত হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সাদিকুর রহমান এবং চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ খান এলাকাবাসীর সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন। এ সময় এলাকাবাসী ইউএনও মো. সাদিকুর রহমানকে সাধুবাদ জানান।
মানববন্ধনে ‘নিরাপদ সড়ক চাই, ঘাতক চালকের ফাঁসি চাই’ স্লোগান দেওয়াসহ সড়কে জীবনের নিরাপত্তা, অভারটেকিং, অদক্ষ চালক দিয়ে গাড়ি পরিচালনা, ঘুম নিয়ে গাড়ি-চালনা বন্ধসহ নানা দাবি পেশ করা হয়।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সাদিকুর রহমান মানববন্ধনে সাধারণ মানুষের বৈধ সব দাবির সঙ্গে একাত্মতাা প্রকাশ করে সরোজগঞ্জ বাজারে একটি যাত্রী ছাউনি, দুটি স্থানে স্পিড-ব্রেকার এবং একটি ট্রাফিক মোড় ও মূল সড়কের পাশে রাখা সব গাছের গুড়ি, ইট, বালি দ্রুত সরিয়ে ফেলার আশ্বাস দেন। একই সঙ্গে গরীব-অসহায়দের জন্য একটি কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করা হবে বলেও জানান।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ খান বলেন, ‘ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ জন নিহতের ঘটনায় আমরা মর্মাহত। নিরাপদ সড়কসহ এলাকাবাসীর বৈধ সব দাবির সঙ্গে সদর থানাসহ চুয়াডাঙ্গা পুলিশ একাত্মতা প্রকাশ করছে। তবে এ ঘটনায় তৃতীয় কোনো পক্ষ অরাজকতা সৃষ্টির জন্য সুযোগ নিতে চাইলে সে সুযোগ পুলিশ দেবে না।’
মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন সরোজগঞ্জ বাজার কমিটির সভাপতি হাজি আব্দুল্লাহ শেখ, কুতুবপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলী আহাম্মেদ হাসানুজ্জামান মানিক ও সরোজগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আব্দুল আলিম। সরোজগঞ্জ বাজারের সব ব্যবসায়ী, কয়েক শ সাধারণ মানুষের সঙ্গে মানববন্ধনে এলাকার রাজনৈতিক, সামাজিক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং নিহতদের পরিবারের সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

নিরাপদ সড়ক ও ঘাতক চালকের ফাঁসির দাবি!

আপলোড টাইম : ০৯:৩২:০৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ অগাস্ট ২০২০

সরোজগঞ্জে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ জন নিহতের ঘটনায় স্থানীয়দের সড়ক অবরোধ ও মানববন্ধন

সাধারণ মানুষের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করলেন ইউএনও সাদিকুর ও ওসি আবু জিহাদ
প্রতিবেদক, সরোজগঞ্জ:
চুয়াডাঙ্গা সদরের সরোজগঞ্জে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ জন নিহতের ঘটনায় নিরাপদ সড়ক ও রয়েল পরিবহনের ঘাতক চালকের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুর ১২টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত ঘণ্টাব্যাপী প্রধান সড়ক অবরোধ করে এলাকাবাসী মানববন্ধন করেন। মানববন্ধনে উপস্থিত হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সাদিকুর রহমান এবং চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ খান এলাকাবাসীর সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন। এ সময় এলাকাবাসী ইউএনও মো. সাদিকুর রহমানকে সাধুবাদ জানান।
মানববন্ধনে ‘নিরাপদ সড়ক চাই, ঘাতক চালকের ফাঁসি চাই’ স্লোগান দেওয়াসহ সড়কে জীবনের নিরাপত্তা, অভারটেকিং, অদক্ষ চালক দিয়ে গাড়ি পরিচালনা, ঘুম নিয়ে গাড়ি-চালনা বন্ধসহ নানা দাবি পেশ করা হয়।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সাদিকুর রহমান মানববন্ধনে সাধারণ মানুষের বৈধ সব দাবির সঙ্গে একাত্মতাা প্রকাশ করে সরোজগঞ্জ বাজারে একটি যাত্রী ছাউনি, দুটি স্থানে স্পিড-ব্রেকার এবং একটি ট্রাফিক মোড় ও মূল সড়কের পাশে রাখা সব গাছের গুড়ি, ইট, বালি দ্রুত সরিয়ে ফেলার আশ্বাস দেন। একই সঙ্গে গরীব-অসহায়দের জন্য একটি কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করা হবে বলেও জানান।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ খান বলেন, ‘ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ জন নিহতের ঘটনায় আমরা মর্মাহত। নিরাপদ সড়কসহ এলাকাবাসীর বৈধ সব দাবির সঙ্গে সদর থানাসহ চুয়াডাঙ্গা পুলিশ একাত্মতা প্রকাশ করছে। তবে এ ঘটনায় তৃতীয় কোনো পক্ষ অরাজকতা সৃষ্টির জন্য সুযোগ নিতে চাইলে সে সুযোগ পুলিশ দেবে না।’
মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন সরোজগঞ্জ বাজার কমিটির সভাপতি হাজি আব্দুল্লাহ শেখ, কুতুবপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলী আহাম্মেদ হাসানুজ্জামান মানিক ও সরোজগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আব্দুল আলিম। সরোজগঞ্জ বাজারের সব ব্যবসায়ী, কয়েক শ সাধারণ মানুষের সঙ্গে মানববন্ধনে এলাকার রাজনৈতিক, সামাজিক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং নিহতদের পরিবারের সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন।