ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

নিজের বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে তরুণরা এগিয়ে যাচ্ছে

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:০৪:৫০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / ৬৫ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গায় হোটেল সাহিদ প্যালেসে উদ্যোক্তা মেলার সমাপনীতে এসপি জাহিদ
নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, ‘নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বারবার উদ্যোক্তা হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন। আমাদের নিজেদেরকে এমনভাবে তৈরি করতে হবে, যেন অন্যের প্রতিষ্ঠানে কাজ না করে, অন্যকে চাকরি দেওয়ার সক্ষমতা হবে। আসলে নিজের বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে আমাদের তরুণরা এখন এগিয়ে যাচ্ছে। যা প্রশংসার দাবি রাখে।’ গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ‘চুয়াডাঙ্গা উদ্যোক্তা মেলা ২০২১’ এর শেষ দিনে সমাপনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। উদ্যোক্তাদের পণ্য পদর্শনী নিয়ে প্রথমবারের মতো চুয়াডাঙ্গায় এ মেলা হয়েছিলো। তিন দিনব্যাপী এ মেলা সমাপনী হয়েছে গতকাল (২৩ ফেব্রুয়ারি) মঙ্গলবার। চুয়াডাঙ্গার তিন তারকা হোটেল সাহিদ প্যালেসের র‌্যাফেল কনভেনশন হল অ্যান্ড কমিউনিটি সেন্টারে এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এ মেলায় মিডিয়া পার্টনার হিসেবে ছিল ‘দৈনিক সময়ের সমীকরণ’।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম আরও বলেন, ‘নিজের বাসায় কিছু তৈরি করে মেলায় আনা মানে, সে নিজের তৈরি জিনিসটিকে ভালো মানের ভাবছে। যেটা সে মানুষের সামনে উপস্থাপন করতে চাচ্ছে। আসলে, এটা সাহসিকতার বিষয়। নিজের তৈরি জিনিস কেমন হয়েছে, সেটা নিয়ে অনেকেই দ্বিধা-দ্বন্দ্বে থাকেন। তাই এখানে আসা প্রত্যেকটি উদ্যোক্তার এই সাহসিকতার প্রতি আমার ভালোবাসা। এই উদ্যোক্তা মেলায় এসে আমি অভিভূত হয়েছি। আমার সত্যিই খুব ভালো লেগেছে। তরুণ উদ্যোক্তা বিশেষত নারীদের অংশগ্রহণ প্রমাণ করে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। আমার কাছে মনে হয়েছে, এই মেলা আরও যদি সাত দিন বাড়ানো হতো, তাহলেও চলত।’
এদিকে, মেলার শেষ দিনে দর্শনার্থীদের উপচে পড়ার ভিড় ছিল। প্রত্যেকটি স্টলেরই বিক্রি বেশ ভালো বলেই জানা গেছে। এই মেলায় অধিকাংশ নারী উদ্যোক্তার অংশগ্রহণে ৩২টি স্টল ছিল। প্রতিদিন সকাল ১০টায় শুরু হয়ে বিরতিহীনভাবে রাত ১০টা পর্যন্ত চলে এ মেলা। মেলায় বুটিক বাটিক, হ্যান্ডি ক্রাফট, শাড়ি, তৈরি পোশাক, কেক, চকলেট, চুড়ি, প্রসাধনী, বই, আসবাবপত্র, খেলানাসহ বিভিন্ন পণ্য-সামগ্রী বিক্রি হচ্ছিল। নারীদের গহনা, থ্রি-পিচ, বিভিন্ন বয়সীদের পোশাক, শিশুদের খেলনাসহ বিভিন্ন-সামগ্রী সাশ্রয়ী মূল্যে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া পিঠাসহ বিভিন্ন ধরণের খাবার ও নারী উদ্যোক্তাদের হাতের তৈরি পণ্যও বিক্রি হয়েছিল। মেলার প্রথম দিনে সকাল থেকেই ভিড় জমাচ্ছেন নারী ও শিশুসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। মেলায় সকল পণ্যের ওপর ৫-২০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়েছিল। পণ্য কিনলেই লাকি কুপন দেওয়া হয়েছিল। শেষ দিন লটারির মাধ্যমে ওই লাকি কুপনের ড্র অনুষ্ঠিত হয়। ৫ জন বিজয়ীকে আকর্ষণীয় পুরস্কার প্রদান করা হয়। স্টলের ওপর বিক্রির ওপর ভিত্তি করে তিনটি স্টলকে পুরস্কার প্রদান করা হয়। এতে প্রথম হয় ঝিলিক গ্লামার ওয়ার্ল্ড, দ্বিতীয় ক্লথিং র‌্যাক ও তৃতীয় হয় বেস্ট কালেকশন। এছাড়াও মেলায় আসা অতিথি ও স্টল হোল্ডারদের এসএসসি ব্যাচ-৯৬ পরিচালিত ফ্রেন্ডস এগ্রো প্ল্যানেটের পক্ষ থেকে পেয়ারা চারা উপহার দেওয়া হয়।
উদ্যোক্তা মেলার প্রধান আয়োজক মেরিনা জামান মমি জানান, ‘করোনাকালে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা খুব খারাপ সময় পার করেছে। এই মেলার মাধ্যমে তারা নিজেদের হারানো বাজার ধরতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। চুয়াডাঙ্গা জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে থাকা ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের একটা প্লাটফর্মে নিয়ে আসাই আমার মূল উদ্দেশ্য ছিল। সেটা অনেকটাই বাস্তবায়ন হয়েছে।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

নিজের বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে তরুণরা এগিয়ে যাচ্ছে

আপলোড টাইম : ০৯:০৪:৫০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২১

চুয়াডাঙ্গায় হোটেল সাহিদ প্যালেসে উদ্যোক্তা মেলার সমাপনীতে এসপি জাহিদ
নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, ‘নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বারবার উদ্যোক্তা হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন। আমাদের নিজেদেরকে এমনভাবে তৈরি করতে হবে, যেন অন্যের প্রতিষ্ঠানে কাজ না করে, অন্যকে চাকরি দেওয়ার সক্ষমতা হবে। আসলে নিজের বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে আমাদের তরুণরা এখন এগিয়ে যাচ্ছে। যা প্রশংসার দাবি রাখে।’ গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ‘চুয়াডাঙ্গা উদ্যোক্তা মেলা ২০২১’ এর শেষ দিনে সমাপনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। উদ্যোক্তাদের পণ্য পদর্শনী নিয়ে প্রথমবারের মতো চুয়াডাঙ্গায় এ মেলা হয়েছিলো। তিন দিনব্যাপী এ মেলা সমাপনী হয়েছে গতকাল (২৩ ফেব্রুয়ারি) মঙ্গলবার। চুয়াডাঙ্গার তিন তারকা হোটেল সাহিদ প্যালেসের র‌্যাফেল কনভেনশন হল অ্যান্ড কমিউনিটি সেন্টারে এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এ মেলায় মিডিয়া পার্টনার হিসেবে ছিল ‘দৈনিক সময়ের সমীকরণ’।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম আরও বলেন, ‘নিজের বাসায় কিছু তৈরি করে মেলায় আনা মানে, সে নিজের তৈরি জিনিসটিকে ভালো মানের ভাবছে। যেটা সে মানুষের সামনে উপস্থাপন করতে চাচ্ছে। আসলে, এটা সাহসিকতার বিষয়। নিজের তৈরি জিনিস কেমন হয়েছে, সেটা নিয়ে অনেকেই দ্বিধা-দ্বন্দ্বে থাকেন। তাই এখানে আসা প্রত্যেকটি উদ্যোক্তার এই সাহসিকতার প্রতি আমার ভালোবাসা। এই উদ্যোক্তা মেলায় এসে আমি অভিভূত হয়েছি। আমার সত্যিই খুব ভালো লেগেছে। তরুণ উদ্যোক্তা বিশেষত নারীদের অংশগ্রহণ প্রমাণ করে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। আমার কাছে মনে হয়েছে, এই মেলা আরও যদি সাত দিন বাড়ানো হতো, তাহলেও চলত।’
এদিকে, মেলার শেষ দিনে দর্শনার্থীদের উপচে পড়ার ভিড় ছিল। প্রত্যেকটি স্টলেরই বিক্রি বেশ ভালো বলেই জানা গেছে। এই মেলায় অধিকাংশ নারী উদ্যোক্তার অংশগ্রহণে ৩২টি স্টল ছিল। প্রতিদিন সকাল ১০টায় শুরু হয়ে বিরতিহীনভাবে রাত ১০টা পর্যন্ত চলে এ মেলা। মেলায় বুটিক বাটিক, হ্যান্ডি ক্রাফট, শাড়ি, তৈরি পোশাক, কেক, চকলেট, চুড়ি, প্রসাধনী, বই, আসবাবপত্র, খেলানাসহ বিভিন্ন পণ্য-সামগ্রী বিক্রি হচ্ছিল। নারীদের গহনা, থ্রি-পিচ, বিভিন্ন বয়সীদের পোশাক, শিশুদের খেলনাসহ বিভিন্ন-সামগ্রী সাশ্রয়ী মূল্যে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া পিঠাসহ বিভিন্ন ধরণের খাবার ও নারী উদ্যোক্তাদের হাতের তৈরি পণ্যও বিক্রি হয়েছিল। মেলার প্রথম দিনে সকাল থেকেই ভিড় জমাচ্ছেন নারী ও শিশুসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। মেলায় সকল পণ্যের ওপর ৫-২০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়েছিল। পণ্য কিনলেই লাকি কুপন দেওয়া হয়েছিল। শেষ দিন লটারির মাধ্যমে ওই লাকি কুপনের ড্র অনুষ্ঠিত হয়। ৫ জন বিজয়ীকে আকর্ষণীয় পুরস্কার প্রদান করা হয়। স্টলের ওপর বিক্রির ওপর ভিত্তি করে তিনটি স্টলকে পুরস্কার প্রদান করা হয়। এতে প্রথম হয় ঝিলিক গ্লামার ওয়ার্ল্ড, দ্বিতীয় ক্লথিং র‌্যাক ও তৃতীয় হয় বেস্ট কালেকশন। এছাড়াও মেলায় আসা অতিথি ও স্টল হোল্ডারদের এসএসসি ব্যাচ-৯৬ পরিচালিত ফ্রেন্ডস এগ্রো প্ল্যানেটের পক্ষ থেকে পেয়ারা চারা উপহার দেওয়া হয়।
উদ্যোক্তা মেলার প্রধান আয়োজক মেরিনা জামান মমি জানান, ‘করোনাকালে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা খুব খারাপ সময় পার করেছে। এই মেলার মাধ্যমে তারা নিজেদের হারানো বাজার ধরতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। চুয়াডাঙ্গা জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে থাকা ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের একটা প্লাটফর্মে নিয়ে আসাই আমার মূল উদ্দেশ্য ছিল। সেটা অনেকটাই বাস্তবায়ন হয়েছে।’