ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

নিজের পরকিয়ার কারণে স্ত্রীর শরীরে আগুন দিয়েছে পাষ- স্বামী নাজমুল :একমাস পর চুয়াডাঙ্গার বোয়ালিয়ার গৃহবধূ লিমার মৃত্যু

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৩:৫২:২০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ এপ্রিল ২০১৭
  • / ৩৬২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গার বোয়ালিয়া গ্রামে স্বামীর লাগিয়ে দেয়া আগুনে পুড়ে অবশেষে মারা গেছে স্ত্রী লিমা ওরফে অন্তরা। গতকাল রাত ১২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। নিজের পরকীয়া ঢাকতে গত ১৩ মার্চ স্ত্রী লিমা ওরফে অন্তরার শরীরে আগুন লাগিয়ে দেয় স্বামী নাজমুল। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে নেয়া হয়। গত ৪/৫ দিন আগে ঢাকা থেকে ফিরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয় লিমা ওরফে অন্তরা। জানা গেছে, গত ১৩ মার্চ পরকীয়ার কারণে স্ত্রীর শরীরে আগুন লাগিয়ে দেয় পাষ- স্বামী নাজমুল। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামে নাজমুল তার স্ত্রী লিমা ওরফে অন্তরার শরীরে আগুন লাগিয়ে চলে যায়। পরে লিমাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে নেয়া হয়। এ বিষয়ে একটি মামলাও করে লিমার পরিবার। গত ১৩ মার্চ চুয়াডাঙ্গা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় লিমা ওরফে অন্তরা জানিয়েছিলেন, প্রায় ছয় বছর আগে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের ছানোয়ার হোসেনের ছেলে নাজমুলের সাথে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে বেশ ভালোই চলছিলো তাদের সংসার। কিছুদিন আগে থেকে একই এলাকার জিয়ার মল্লিকের স্ত্রী সোনালীর সাথে পরকিয়ার জড়িয়ে পড়ে নাজমুল। মাসছয়েক তাদের সম্পর্ক গাঢ় হওয়ায় সংসারে নেমে আসে অশান্তি। প্রায় মারধর করে। ওই দিন নাজমুলকে পরকীয়ার সম্পর্ক থেকে বেড়িয়ে আসতে কিছু কথা বলে লিমা। এসময় নাজমুল রেগে গিয়ে লিমা ওরফে অন্তরার পড়নের শাড়ির আঁচলে আগুন লাগিয়ে চলে যায়। এসময় লিমার চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে। পরে লিমাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার শরীরের ৪৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। লিমাকে ঢাকা মেডিকেলে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। ওই দিনই চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ইন্সপেক্টর (অপারেশন) আমির আব্বাস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন লিমার সাথে কথা বলে ঘটনার বর্ণনা শোনেন। পরে একটি মামলা দায়ের করা হয়। লিমার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নেয়া হয়। গত ৪/৫ দিন আগে ঢাকা থেকে ফিরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয় সে। গতরাত ১২টার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। গতরাতে লিমা ওরফে অন্তরার লাশ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে রাখা ছিলো।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

নিজের পরকিয়ার কারণে স্ত্রীর শরীরে আগুন দিয়েছে পাষ- স্বামী নাজমুল :একমাস পর চুয়াডাঙ্গার বোয়ালিয়ার গৃহবধূ লিমার মৃত্যু

আপলোড টাইম : ০৩:৫২:২০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ এপ্রিল ২০১৭

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গার বোয়ালিয়া গ্রামে স্বামীর লাগিয়ে দেয়া আগুনে পুড়ে অবশেষে মারা গেছে স্ত্রী লিমা ওরফে অন্তরা। গতকাল রাত ১২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। নিজের পরকীয়া ঢাকতে গত ১৩ মার্চ স্ত্রী লিমা ওরফে অন্তরার শরীরে আগুন লাগিয়ে দেয় স্বামী নাজমুল। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে নেয়া হয়। গত ৪/৫ দিন আগে ঢাকা থেকে ফিরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয় লিমা ওরফে অন্তরা। জানা গেছে, গত ১৩ মার্চ পরকীয়ার কারণে স্ত্রীর শরীরে আগুন লাগিয়ে দেয় পাষ- স্বামী নাজমুল। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামে নাজমুল তার স্ত্রী লিমা ওরফে অন্তরার শরীরে আগুন লাগিয়ে চলে যায়। পরে লিমাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে নেয়া হয়। এ বিষয়ে একটি মামলাও করে লিমার পরিবার। গত ১৩ মার্চ চুয়াডাঙ্গা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় লিমা ওরফে অন্তরা জানিয়েছিলেন, প্রায় ছয় বছর আগে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের ছানোয়ার হোসেনের ছেলে নাজমুলের সাথে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে বেশ ভালোই চলছিলো তাদের সংসার। কিছুদিন আগে থেকে একই এলাকার জিয়ার মল্লিকের স্ত্রী সোনালীর সাথে পরকিয়ার জড়িয়ে পড়ে নাজমুল। মাসছয়েক তাদের সম্পর্ক গাঢ় হওয়ায় সংসারে নেমে আসে অশান্তি। প্রায় মারধর করে। ওই দিন নাজমুলকে পরকীয়ার সম্পর্ক থেকে বেড়িয়ে আসতে কিছু কথা বলে লিমা। এসময় নাজমুল রেগে গিয়ে লিমা ওরফে অন্তরার পড়নের শাড়ির আঁচলে আগুন লাগিয়ে চলে যায়। এসময় লিমার চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে। পরে লিমাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার শরীরের ৪৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। লিমাকে ঢাকা মেডিকেলে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। ওই দিনই চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ইন্সপেক্টর (অপারেশন) আমির আব্বাস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন লিমার সাথে কথা বলে ঘটনার বর্ণনা শোনেন। পরে একটি মামলা দায়ের করা হয়। লিমার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নেয়া হয়। গত ৪/৫ দিন আগে ঢাকা থেকে ফিরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয় সে। গতরাত ১২টার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। গতরাতে লিমা ওরফে অন্তরার লাশ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে রাখা ছিলো।