ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

নিখোঁজের তিনদিন পর শিশু রুকাইয়ার লাশ উদ্ধার

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:১৪:৩৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ অক্টোবর ২০১৮
  • / ৪০৮ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস: শৈলকুপার রুকাইয়া (৪) মায়ের সাথে যাচ্ছিল ঢাকায়। ফেরিতে ওঠার সময় রুকাইয়া মায়ের চোক ফাঁকি দিয়ে পড়ে যায় পদ্মায়। তিন দিন ধরে নিখোঁজ থাকার পর অবশেষে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে তার লাশ ভেসে ওঠে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ার ৬ নম্বর ফেরিঘাটের সামনে। গোয়ালন্দ ঘাট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কামরুল ইসলাম এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, লাশ গ্রহনের জন্য শিশুটির পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। শিশুটির বাবার নাম সেলিম রেজা ও মায়ের নাম জেসমিন আক্তার। সেলিম রেজা পেশায় মৎস্য ব্যবসায়ী। বাড়ি ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলা শহরে। তাঁর দুই মেয়ের মধ্যে রুকাইয়া ছিল ছোট। বড় মেয়ের বয়স ছয় বছর। গত সোমবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে দৌলতদিয়া ৩ নম্বর ফেরিঘাট থেকে নিখোঁজ হয় শিশুটি। রাতে তার মা তাকে ফেরিতে শৌচাগারের দরজার বাইরে দাঁড় করিয়ে রেখে ভেতরে যান। বাইরে অপেক্ষায় থাকা সাড়ে চার বছরের শিশুটি হঠাৎ ফেরিতে থাকা বাসের ব্রেক করার শব্দে চমকে ভয়ে দৌড় দিয়ে ফেরি থেকে নদীতে পড়ে যায়। শিশুটিকে কেউ পড়ে যেতে না দেখলেও তার দৌড়ে যাওয়া ও পানিতে পড়ে যাওয়ার শব্দ শুনতে পেয়েছেন কয়েকজন। সুত্রমতে শিশুটির মা জেসমিন আক্তারের ছোট ভাইয়ের অসুস্থ স্ত্রীকে নিয়ে তারা কয়েকজন মাইক্রোবাসে করে ঢাকায় যাচ্ছিল। রাতে দৌলতদিয়ার ৩ নম্বর ফেরিঘাটে তাঁদের গাড়িটি রজনীগন্ধা নামক একটি ফেরিতে ওঠে। মা জেসমিন এ সময় রুকাইয়াকে নিয়ে শৌচাগারের দিকে যান। মেয়েকে বাইরে দাঁড় করিয়ে রেখে তিনি ভেতরে ঢোকেন। পরে বেরিয়ে এসে রুকাইয়াকে না দেখতে পেয়ে তিনি মেয়ের খোঁজে চিৎকার করতে থাকেন। শিশুটির বাবাও খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। অবশেষে রুকাইয়া মা বাবার কাছে ফিরলো তিন দিন পর, লাশ হয়ে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

নিখোঁজের তিনদিন পর শিশু রুকাইয়ার লাশ উদ্ধার

আপলোড টাইম : ১০:১৪:৩৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ অক্টোবর ২০১৮

ঝিনাইদহ অফিস: শৈলকুপার রুকাইয়া (৪) মায়ের সাথে যাচ্ছিল ঢাকায়। ফেরিতে ওঠার সময় রুকাইয়া মায়ের চোক ফাঁকি দিয়ে পড়ে যায় পদ্মায়। তিন দিন ধরে নিখোঁজ থাকার পর অবশেষে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে তার লাশ ভেসে ওঠে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ার ৬ নম্বর ফেরিঘাটের সামনে। গোয়ালন্দ ঘাট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কামরুল ইসলাম এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, লাশ গ্রহনের জন্য শিশুটির পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। শিশুটির বাবার নাম সেলিম রেজা ও মায়ের নাম জেসমিন আক্তার। সেলিম রেজা পেশায় মৎস্য ব্যবসায়ী। বাড়ি ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলা শহরে। তাঁর দুই মেয়ের মধ্যে রুকাইয়া ছিল ছোট। বড় মেয়ের বয়স ছয় বছর। গত সোমবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে দৌলতদিয়া ৩ নম্বর ফেরিঘাট থেকে নিখোঁজ হয় শিশুটি। রাতে তার মা তাকে ফেরিতে শৌচাগারের দরজার বাইরে দাঁড় করিয়ে রেখে ভেতরে যান। বাইরে অপেক্ষায় থাকা সাড়ে চার বছরের শিশুটি হঠাৎ ফেরিতে থাকা বাসের ব্রেক করার শব্দে চমকে ভয়ে দৌড় দিয়ে ফেরি থেকে নদীতে পড়ে যায়। শিশুটিকে কেউ পড়ে যেতে না দেখলেও তার দৌড়ে যাওয়া ও পানিতে পড়ে যাওয়ার শব্দ শুনতে পেয়েছেন কয়েকজন। সুত্রমতে শিশুটির মা জেসমিন আক্তারের ছোট ভাইয়ের অসুস্থ স্ত্রীকে নিয়ে তারা কয়েকজন মাইক্রোবাসে করে ঢাকায় যাচ্ছিল। রাতে দৌলতদিয়ার ৩ নম্বর ফেরিঘাটে তাঁদের গাড়িটি রজনীগন্ধা নামক একটি ফেরিতে ওঠে। মা জেসমিন এ সময় রুকাইয়াকে নিয়ে শৌচাগারের দিকে যান। মেয়েকে বাইরে দাঁড় করিয়ে রেখে তিনি ভেতরে ঢোকেন। পরে বেরিয়ে এসে রুকাইয়াকে না দেখতে পেয়ে তিনি মেয়ের খোঁজে চিৎকার করতে থাকেন। শিশুটির বাবাও খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। অবশেষে রুকাইয়া মা বাবার কাছে ফিরলো তিন দিন পর, লাশ হয়ে।