ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

নিখোঁজের ৮ দিন পর গৃহবধূর গলিত লাশ উদ্ধার

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:০০:৩১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ জুলাই ২০২০
  • / ২১৩ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস:
ঝিনাইদহে নিখোঁজের ৮দিন পর মৌসুমি খাতুন (২৪) নামের এক সন্তানের জননীর গলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত মৌসুমি ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের সমশের উদ্দীনের মেয়ে। গতকাল শনিবার বিকেল পাঁচটার দিকে দক্ষিণ রামনগরের পাশে তেঁতুল বিল থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। গত ২ জুলাই রাতে তাঁর বাবার বাড়ি থেকে তিনি নিখোঁজ হন। পাঁচ বছর আগে কালীগঞ্জ পৌরসভাধীন খয়েরতলা গ্রামে রোকন উদ্দীনের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল মৌসুমির। নিহত মৌসুমির চার বছরের ছেলে সন্তান রয়েছে। তবে স্বামীর সংসারে বনিবনা না হওয়া দীর্ঘদিন ধরে বাবার বাড়িতেই বসবাস করছিলেন মৌসুমি। মাঝে মধ্যে তাঁর স্বামী সেখানে এসে থাকতেন।
নিহতের ভাই সুজন হোসেন জানান, ‘গত ২ জুলাই আমাদের এক আত্মীয় অসুস্থ থাকায় আমার মা চার বছরের ভাগ্নেকে নিয়ে সেখানে ছিলেন। এছাড়া বাবাও ব্যবসায়ীক কাজে নওয়াপাড়া ছিলেন। বাড়িতে শুধু আমার বোন ও ভগ্নিপতি ছিলেন। ৩ জুলাই আমার ভগ্নিপতি সকালে প্রতিবেশীদের জানায় রাত তিনটার পর থেকে মৌসুমিকে পাওয়া যাচ্ছে না। আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। ঘুম থেকে উঠে দেখি সে কোথায় চলে গেছে। এরপর ওই দিন ভগ্নিপতি রোকন নিজেই ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে। আমরা সবাই বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করি। এই সুযোগে আমার ভগ্নিপতি বাড়ির একটি ছাগল বিক্রি করে টাকা নিয়ে চলে যায়। এরপর থেকে তাকেও আর পাওয়া যাচ্ছে না। শনিবার বিকেলে মাঠে কাজ করতে যাওয়া কৃষকেরা বিলের পটের নিচে মৌসুমির মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়।’
ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, ঘটনা জানতে পেরে সেখানে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ পাঠিয়েছি। বিস্তারিত তথ্য তদন্ত সাপেক্ষে জানা যাবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

নিখোঁজের ৮ দিন পর গৃহবধূর গলিত লাশ উদ্ধার

আপলোড টাইম : ০৯:০০:৩১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ জুলাই ২০২০

ঝিনাইদহ অফিস:
ঝিনাইদহে নিখোঁজের ৮দিন পর মৌসুমি খাতুন (২৪) নামের এক সন্তানের জননীর গলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত মৌসুমি ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের সমশের উদ্দীনের মেয়ে। গতকাল শনিবার বিকেল পাঁচটার দিকে দক্ষিণ রামনগরের পাশে তেঁতুল বিল থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। গত ২ জুলাই রাতে তাঁর বাবার বাড়ি থেকে তিনি নিখোঁজ হন। পাঁচ বছর আগে কালীগঞ্জ পৌরসভাধীন খয়েরতলা গ্রামে রোকন উদ্দীনের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল মৌসুমির। নিহত মৌসুমির চার বছরের ছেলে সন্তান রয়েছে। তবে স্বামীর সংসারে বনিবনা না হওয়া দীর্ঘদিন ধরে বাবার বাড়িতেই বসবাস করছিলেন মৌসুমি। মাঝে মধ্যে তাঁর স্বামী সেখানে এসে থাকতেন।
নিহতের ভাই সুজন হোসেন জানান, ‘গত ২ জুলাই আমাদের এক আত্মীয় অসুস্থ থাকায় আমার মা চার বছরের ভাগ্নেকে নিয়ে সেখানে ছিলেন। এছাড়া বাবাও ব্যবসায়ীক কাজে নওয়াপাড়া ছিলেন। বাড়িতে শুধু আমার বোন ও ভগ্নিপতি ছিলেন। ৩ জুলাই আমার ভগ্নিপতি সকালে প্রতিবেশীদের জানায় রাত তিনটার পর থেকে মৌসুমিকে পাওয়া যাচ্ছে না। আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। ঘুম থেকে উঠে দেখি সে কোথায় চলে গেছে। এরপর ওই দিন ভগ্নিপতি রোকন নিজেই ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে। আমরা সবাই বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করি। এই সুযোগে আমার ভগ্নিপতি বাড়ির একটি ছাগল বিক্রি করে টাকা নিয়ে চলে যায়। এরপর থেকে তাকেও আর পাওয়া যাচ্ছে না। শনিবার বিকেলে মাঠে কাজ করতে যাওয়া কৃষকেরা বিলের পটের নিচে মৌসুমির মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়।’
ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, ঘটনা জানতে পেরে সেখানে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ পাঠিয়েছি। বিস্তারিত তথ্য তদন্ত সাপেক্ষে জানা যাবে।