ইপেপার । আজমঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

নারীসহ ৯ জনের আত্মহত্যার চেষ্টা : দু’জনের মৃত্যু!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:৩৪:২৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুলাই ২০১৮
  • / ৬৭৮ বার পড়া হয়েছে

জেলাজুড়ে বেড়েছে আত্মহত্যা প্রবণতা : চুয়াডাঙ্গায় পৃথকস্থানে একইদিনে
রুদ্র রাসেল: চুয়াডাঙ্গা জেলায় বেড়েছে আত্মহত্যা প্রবণতা। ইন্ডিয়ান সিরিয়ালের কল্যাণে ঠুনকো বিষয় নিয়েও প্রায় বয়সী নারী-পুরুষরা বিষপান ও গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালাচ্ছে। গতকাল জেলার বিভিন্নস্থানে একই দিনে নারীসহ ৯ জন আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়ে অসুস্থ হয়ে সদর হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ও তারই প্রমাণ বৈকি! গতকাল জেলার বিভিন্নস্থানে আত্মহত্যার চেষ্টাকারি ৯ জনের মধ্যে দুইজনের মৃত্যু হলেও ৭ জন এখনো পর্যন্ত সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধিন আছে।
জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে দামুড়হুদা হাউলী উনিয়নের পূর্বপাড়ার খোদা বক্সের ছেলে জসিম উদ্দীন (২৮)। এ সময় স্থানীয়রা বিষয়টি বুঝতে পারলে তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ৮টার দিকে ডা.আবু হাসান মো. ওয়াহেদ রানা তাকে মৃত ঘোষণা করে।অপরদিকে, চুয়াডাঙ্গার দৌলতদিয়াড়ে আশিক (১৯) নামের এক যুবক আত্মহত্যা করেছে। আত্মহত্যাকারী যুবক চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলুকদিয়া ইউনিয়নের দৌলতদিয়া দক্ষিণপাড়ার বশির রহমানের ছেলে। জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে আশিকের চাচী সর্বপ্রথম আশিককে আশিকের ঘরের টিনের চালের বাঁশের সাথে ওড়ঁনা দিয়ে গলায় ফাঁশ লাগানো অবস্থায় ঝুঁলে থাকতে দেখে। এ সময় পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা ও এলাকাবাশী ঘটনাটি জানতে পেরে পুলিশকে জানালে পুলিশ এসে ঘরের ভিতর থেকে ঝুলন্ত আশিকের মৃতদেহ নিচে নামায় ও মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ে আশিকের মৃতদেহের ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। ময়নাতদন্ত শেষে বিকাল সাড়ে ৫টার পর আশিকের লাশ তার পারিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এদিকে আশিকের পরিবারের সদস্য ও স্বজনদের কাছে তার আত্মহত্যার কারণ জানতে চাইলে তারা জানায়, কয়েকদিন পূর্বে আশিকের সাথে তার স্ত্রীর মনমালিন্যে করে বাপের বাড়িতে চলে গেছে। মূলত আশিকের স্ত্রী সুমি খাতুনের উপর অভিমান করে আশিক আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা করছে তারা।
এছাড়াও জেলার বিভিন্নস্থানে আত্মহত্যা চেষ্টাকারীরা হলো- দর্শনা পৌর এলাকার দক্ষিণ চাঁদপুরের জাহাঙ্গীরের ছেলে লিমন (১৮), দামুড়হুদা বাসস্ট্যান্ড পাড়ার রাজ্জাকের ছেলে হামিদ, পদ্মবিলা হায়দারপুড়ের ইউনুস আলীর মেয়ে ইভা (১৫), আলমডাঙ্গা মাদারহুদার দৌলতের স্ত্রী চাঁদনী (২২), আলমডাঙ্গা খাদিমপুরের শাহাবুল ইসলামের স্ত্রী তন্নী (২২), আলমডাঙ্গা পাাইকপাড়ার জাহিদুলের স্ত্রী শাহানাজ (৩০), ও চুয়াডাঙ্গা সদরের মোমিনপুর ইউনিয়নের কবিখালী গ্রামের মাঝপাড়ার তারেক এর স্ত্রী রোজিনা খাতুন (২৫)। আত্মহত্যা চেষ্টাকারিরা ঠিক কি কারণে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছে সে বিষয়ে নিশ্চিত তথ্য পাওয়া না গেলেও তাদের স্বজনদের সাথে কথা বলে জানা গেছে পারিবারিক কলহ, মনোমালিন্যসহ নানা কারণে নিজের জীবন শেষ করার চেষ্টা চালায় তারা। এ রিপোর্ট লেখাপর্যন্ত কোন মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। বরং আত্মহত্যা চেষ্টাকারী ১০জনের প্রত্যেকেই চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। প্রায় সবারই অবস্থা আশঙ্কামুক্ত।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

নারীসহ ৯ জনের আত্মহত্যার চেষ্টা : দু’জনের মৃত্যু!

আপলোড টাইম : ১১:৩৪:২৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুলাই ২০১৮

জেলাজুড়ে বেড়েছে আত্মহত্যা প্রবণতা : চুয়াডাঙ্গায় পৃথকস্থানে একইদিনে
রুদ্র রাসেল: চুয়াডাঙ্গা জেলায় বেড়েছে আত্মহত্যা প্রবণতা। ইন্ডিয়ান সিরিয়ালের কল্যাণে ঠুনকো বিষয় নিয়েও প্রায় বয়সী নারী-পুরুষরা বিষপান ও গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালাচ্ছে। গতকাল জেলার বিভিন্নস্থানে একই দিনে নারীসহ ৯ জন আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়ে অসুস্থ হয়ে সদর হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ও তারই প্রমাণ বৈকি! গতকাল জেলার বিভিন্নস্থানে আত্মহত্যার চেষ্টাকারি ৯ জনের মধ্যে দুইজনের মৃত্যু হলেও ৭ জন এখনো পর্যন্ত সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধিন আছে।
জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে দামুড়হুদা হাউলী উনিয়নের পূর্বপাড়ার খোদা বক্সের ছেলে জসিম উদ্দীন (২৮)। এ সময় স্থানীয়রা বিষয়টি বুঝতে পারলে তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ৮টার দিকে ডা.আবু হাসান মো. ওয়াহেদ রানা তাকে মৃত ঘোষণা করে।অপরদিকে, চুয়াডাঙ্গার দৌলতদিয়াড়ে আশিক (১৯) নামের এক যুবক আত্মহত্যা করেছে। আত্মহত্যাকারী যুবক চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলুকদিয়া ইউনিয়নের দৌলতদিয়া দক্ষিণপাড়ার বশির রহমানের ছেলে। জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে আশিকের চাচী সর্বপ্রথম আশিককে আশিকের ঘরের টিনের চালের বাঁশের সাথে ওড়ঁনা দিয়ে গলায় ফাঁশ লাগানো অবস্থায় ঝুঁলে থাকতে দেখে। এ সময় পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা ও এলাকাবাশী ঘটনাটি জানতে পেরে পুলিশকে জানালে পুলিশ এসে ঘরের ভিতর থেকে ঝুলন্ত আশিকের মৃতদেহ নিচে নামায় ও মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ে আশিকের মৃতদেহের ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। ময়নাতদন্ত শেষে বিকাল সাড়ে ৫টার পর আশিকের লাশ তার পারিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এদিকে আশিকের পরিবারের সদস্য ও স্বজনদের কাছে তার আত্মহত্যার কারণ জানতে চাইলে তারা জানায়, কয়েকদিন পূর্বে আশিকের সাথে তার স্ত্রীর মনমালিন্যে করে বাপের বাড়িতে চলে গেছে। মূলত আশিকের স্ত্রী সুমি খাতুনের উপর অভিমান করে আশিক আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা করছে তারা।
এছাড়াও জেলার বিভিন্নস্থানে আত্মহত্যা চেষ্টাকারীরা হলো- দর্শনা পৌর এলাকার দক্ষিণ চাঁদপুরের জাহাঙ্গীরের ছেলে লিমন (১৮), দামুড়হুদা বাসস্ট্যান্ড পাড়ার রাজ্জাকের ছেলে হামিদ, পদ্মবিলা হায়দারপুড়ের ইউনুস আলীর মেয়ে ইভা (১৫), আলমডাঙ্গা মাদারহুদার দৌলতের স্ত্রী চাঁদনী (২২), আলমডাঙ্গা খাদিমপুরের শাহাবুল ইসলামের স্ত্রী তন্নী (২২), আলমডাঙ্গা পাাইকপাড়ার জাহিদুলের স্ত্রী শাহানাজ (৩০), ও চুয়াডাঙ্গা সদরের মোমিনপুর ইউনিয়নের কবিখালী গ্রামের মাঝপাড়ার তারেক এর স্ত্রী রোজিনা খাতুন (২৫)। আত্মহত্যা চেষ্টাকারিরা ঠিক কি কারণে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছে সে বিষয়ে নিশ্চিত তথ্য পাওয়া না গেলেও তাদের স্বজনদের সাথে কথা বলে জানা গেছে পারিবারিক কলহ, মনোমালিন্যসহ নানা কারণে নিজের জীবন শেষ করার চেষ্টা চালায় তারা। এ রিপোর্ট লেখাপর্যন্ত কোন মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। বরং আত্মহত্যা চেষ্টাকারী ১০জনের প্রত্যেকেই চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। প্রায় সবারই অবস্থা আশঙ্কামুক্ত।