ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

নারীসহ রিসোর্টে অবরুদ্ধ, দ্বিতীয় স্ত্রী দাবী : প্রশাসনের হস্তক্ষেপে উদ্ধার

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৩৮:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ এপ্রিল ২০২১
  • / ১০৭ বার পড়া হয়েছে

নারায়ণগঞ্জে মাওলানা মামুনুল হককে নিয়ে তোলপাড়
সমীকরণ প্রতিবেদন:
নারায়ণগঞ্জে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে নিয়ে তোলপাড় হয়েছে। দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে সোনারগাঁয়ের একটি রিসোর্টে অবস্থানকালে গতকাল শনিবার বিকেলে তিনি স্থানীয়দের ঘেরাওয়ের শিকার হন। এ সময় মামুনুল হক দাবি করেন, সঙ্গে থাকা ওই নারী শরিয়তসম্মত তার দ্বিতীয় স্ত্রী আমিনা তৈয়বা। অন্যদিকে, স্থানীয় সংবাদকর্মীদের উপস্থিতিতে মাওলানা মামুনুল হককে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদকালে পরিস্থিতি ক্রমান্বয়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। স্থানীয় ছাত্রলীগ-যুবলীগ কর্মীরা মিছিল বের করেন এবং রিসোর্টটি ঘেরাও করে রাখেন। পরবর্তীতে স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে মাওলানা মামুনুল হক ও ওই নারীকে উদ্ধার করে নিয়ে যান হেফাজত নেতাকর্মীরা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম বলেন, ‘আমরা বিষয়টি পর্যবেক্ষণে রাখছি।’
সন্ধ্যার আগে সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তবিদুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘এখানে মাওলানা মামুনুল হক একজন নারীকে নিয়ে উঠেছেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই নারীকে তিনি তার দ্বিতীয় স্ত্রী বলে দাবি করেছেন। বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি। পরে বিস্তারিত জানানো হবে। এই খবর পেয়ে এলাকার লোকজন ও ছাত্রলীগ-যুবলীগের কিছু নেতা-কর্মী তার কক্ষটি ঘিরে রাখেন। খবর পেয়ে পুলিশও আসে। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এখানে রয়েছেন। পুলিশ সুপারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও এসেছেন।’
জানা গেছে, মাওলানা মামুনুল হককে ঘেরাওয়ের খবরে স্থানীয় সংবাদকর্মীরা ‘রয়েল রিসোর্ট’ নামে ওই অবকাশ যাপন কেন্দ্রটিতে ছুটে যান। সেখানে মামুনুল সংবাদকর্মীদের বলেন, ‘আমার বক্তব্য পরিষ্কার, আমরা এখানে একটু রিফ্রেশমেন্টের জন্য এসেছিলাম। এখানে অনেক উচ্ছৃঙ্খল লোক এসেছে। আপনারা দেখেছেন। আমি তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব। স্থানীয় আলেমদের কাউকে জানিয়ে তিনি এখানে এসেছেন কি না, জানতে চাইলে মামুনুল বলেন, না, আমি জানাইনি। যেখানে যাই মানুষজন ভিড় করে। এ জন্য আমি একটু আলাদা করে এসেছিলাম।’ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রিসোর্টে হামলা চালিয়ে তাকে ছাড়িয়ে নেন হেফাজত কর্মীরা। মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করা হয়েছে এ খবরে হেফাজতের হাজারো কর্মী মিছিল নিয়ে রিসোর্টে আসেন। এ সময় রিসোর্টে ব্যাপক ভাঙচুর চালান তারা। এরপর তাকে উদ্ধার করে পাশের একটি মসজিদে নিয়ে যাওয়া হয়।
এ সময় রিসোর্টের মধ্যে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আতিকুল ইসলাম, এসিল্যান্ড গোলাম মোস্তফা মুন্না, নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) টিএম মোশাররফ হোসেন, সোনারগাঁ থানার ওসি (তদন্ত) তবিদুর রহমানসহ স্থানীয় সাংবাদিকরা। পরে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মাওলানা মামুনুল হককে থানায় নেওয়ার পথে রিসোর্টে হামলা চালান হেফাজতের কর্মীরা। পরে মামুনুল হককে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়। সেখানে হামলা চালিয়ে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় হেফাজতের কর্মীরা।’
এদিকে ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গেছে, হেফাজত নেতা মামুনুল হক দাবি করছেন, আমি আল্লাহ পাকের শপথ করে বলছিÑএটা আমার বিবাহিতা স্ত্রী। এ ঘটনার পরপরই হেফাজতের লোকজন সন্ধ্যায় সোনারগাঁও রয়েল রিসোর্টে এসে বিক্ষোভ ও ভাঙচুর করে। তারা মামুনুল হককে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে এলাকায় বিক্ষোভ করে। মামুনুল হক বলেন, আমি আমার ২য় স্ত্রীকে নিয়ে সোনারগাঁওয়ে বেড়াতে আসি। সোনারগাঁও জাদুঘরে গিয়ে জাদুঘর বন্ধ থাকায় আমি বেলা ৩টায় সোনারগাঁও রয়েল রিসোর্টে এসে অবস্থান নেই। পরে এলাকার যুবলীগ ও ছাত্রলীগের লোকজন আমার সাথে খারাপ আচরণ করে। তারা আমাদেরকে হেনস্তা করে একপর্যায়ে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে স্থানীয় প্রশাসনের লোকজন ও পুলিশ এসে আমাদের উদ্ধার করে। সূত্র- বাংলাদেশ প্রতিদিন ও নয়া দিগন্ত

মামুনুল হকের ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে যা দেখা গেল..
সমীকরণ ডেস্ক:
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, একটি কক্ষের ভেতরে বেশ কয়েকজন ব্যক্তি মামুনুল হককে নানা প্রশ্ন করছে। এসময় এক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করেন, ‘এই মহিলা কী হয় আপনার?’ জবাবে মামুনুল হক বলেন, ‘আমার সেকেন্ড ওয়াইফ। আমি তাকে শরিয়তসম্মত ভাবে বিয়ে করছি।’ তখন আরেক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করেন, ‘আপনি কবে বিয়ে করছেন?’ জবাবে মামুনুল হক বলেন, ‘দুই বছর।’ মামুনুল হক বলেন, তিনি বেড়াতে সে রিসোর্টে গিয়েছেন। ভিডিওতে মামুনুল হককে বলতে দেখা যায়, ‘আপনারা সবাই আমার সাথে দুর্ব্যবহার করছেন।’ ভিডিওতে দেখা যায়, কিছু ব্যক্তি নিজেকে সাংবাদিক হিসেবে পরিচয় দিয়ে মামুনুল হককে নানা প্রশ্ন করছেন এবং কেউ কেউ নিজেকে ছাত্রলীগ বা যুবলীগ হিসেব পরিচয় দিচ্ছিল। এদিকে, মামুনুল হককে লাঞ্ছিত করার ভিডিওটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে সন্ধ্যে সাতটার পরে হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মী ও মাদ্রাসার ছাত্ররা রয়েল রিসোর্টে এসে ভাঙচুর চালিয়ে মামুনুল হককে নিয়ে যায়। তবে পুলিশ অবশ্য দাবি করেছে, হেফাজতে ইসলামের নেতাদের হাতে মামুনুল হককে তুলে দেয়া হয়েছে। হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় সহকারী প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ ফয়সাল রাত নয়টার দিকে মামুনুল হককে আনতে নারায়ণগঞ্জে যান। সেখান থেকে তিনি বিবিসি বাংলাকে বলেন, মামুনুল হককে যারা লাঞ্ছিত করেছে তাদের গ্রেফতার এবং শাস্তির জন্য প্রশাসনের কাছে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম।
অন্যদিকে, হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় সহকারী প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ ফয়সাল রাত নয়টার দিকে মামুনুল হককে আনতে নারায়ণগঞ্জে যান। সেখান থেকে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘মামুনুল হককে যারা লাঞ্ছিত করেছে তাদের গ্রেপ্তার এবং শাস্তির জন্য প্রশাসনের কাছে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম।’ এবিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে প্রশাসন তাকে আশ্বস্ত করেছে বলেও জানান মোহাম্মদ ফয়সাল। এসময় হেফাজতের সমর্থক এবং মাদ্রাসার ছাত্ররা রিসোর্টে হামলা চালায়নি বলে দাবি করেন মোহাম্মদ ফয়সাল। তিনি বলেন, ‘মাওলানা মামুনুল হক একজন জনপ্রিয় আলেম। ওনাকে আটকে রেখে লাঞ্ছিত করার খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় মানুষজন হয়তো সেখানে গিয়েছে।’
এদিকে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম সাংবাদিকদের জানান, ‘পুলিশ মামুনুল হককে হেফাজতের নেতাদের হাতে তুলে দেয়নি। ওনার দ্বিতীয় বিয়ে সস্পর্কে আমরা যাচাই-বাছাই করছিলাম। এ সময় তার লোকজন সেখানে এসে উপস্থিত হলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। এসময় তিনি চলে যান।’ সূত্র- বিবিসি

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

নারীসহ রিসোর্টে অবরুদ্ধ, দ্বিতীয় স্ত্রী দাবী : প্রশাসনের হস্তক্ষেপে উদ্ধার

আপলোড টাইম : ০৯:৩৮:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ এপ্রিল ২০২১

নারায়ণগঞ্জে মাওলানা মামুনুল হককে নিয়ে তোলপাড়
সমীকরণ প্রতিবেদন:
নারায়ণগঞ্জে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে নিয়ে তোলপাড় হয়েছে। দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে সোনারগাঁয়ের একটি রিসোর্টে অবস্থানকালে গতকাল শনিবার বিকেলে তিনি স্থানীয়দের ঘেরাওয়ের শিকার হন। এ সময় মামুনুল হক দাবি করেন, সঙ্গে থাকা ওই নারী শরিয়তসম্মত তার দ্বিতীয় স্ত্রী আমিনা তৈয়বা। অন্যদিকে, স্থানীয় সংবাদকর্মীদের উপস্থিতিতে মাওলানা মামুনুল হককে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদকালে পরিস্থিতি ক্রমান্বয়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। স্থানীয় ছাত্রলীগ-যুবলীগ কর্মীরা মিছিল বের করেন এবং রিসোর্টটি ঘেরাও করে রাখেন। পরবর্তীতে স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে মাওলানা মামুনুল হক ও ওই নারীকে উদ্ধার করে নিয়ে যান হেফাজত নেতাকর্মীরা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম বলেন, ‘আমরা বিষয়টি পর্যবেক্ষণে রাখছি।’
সন্ধ্যার আগে সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তবিদুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘এখানে মাওলানা মামুনুল হক একজন নারীকে নিয়ে উঠেছেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই নারীকে তিনি তার দ্বিতীয় স্ত্রী বলে দাবি করেছেন। বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি। পরে বিস্তারিত জানানো হবে। এই খবর পেয়ে এলাকার লোকজন ও ছাত্রলীগ-যুবলীগের কিছু নেতা-কর্মী তার কক্ষটি ঘিরে রাখেন। খবর পেয়ে পুলিশও আসে। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এখানে রয়েছেন। পুলিশ সুপারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও এসেছেন।’
জানা গেছে, মাওলানা মামুনুল হককে ঘেরাওয়ের খবরে স্থানীয় সংবাদকর্মীরা ‘রয়েল রিসোর্ট’ নামে ওই অবকাশ যাপন কেন্দ্রটিতে ছুটে যান। সেখানে মামুনুল সংবাদকর্মীদের বলেন, ‘আমার বক্তব্য পরিষ্কার, আমরা এখানে একটু রিফ্রেশমেন্টের জন্য এসেছিলাম। এখানে অনেক উচ্ছৃঙ্খল লোক এসেছে। আপনারা দেখেছেন। আমি তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব। স্থানীয় আলেমদের কাউকে জানিয়ে তিনি এখানে এসেছেন কি না, জানতে চাইলে মামুনুল বলেন, না, আমি জানাইনি। যেখানে যাই মানুষজন ভিড় করে। এ জন্য আমি একটু আলাদা করে এসেছিলাম।’ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রিসোর্টে হামলা চালিয়ে তাকে ছাড়িয়ে নেন হেফাজত কর্মীরা। মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করা হয়েছে এ খবরে হেফাজতের হাজারো কর্মী মিছিল নিয়ে রিসোর্টে আসেন। এ সময় রিসোর্টে ব্যাপক ভাঙচুর চালান তারা। এরপর তাকে উদ্ধার করে পাশের একটি মসজিদে নিয়ে যাওয়া হয়।
এ সময় রিসোর্টের মধ্যে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আতিকুল ইসলাম, এসিল্যান্ড গোলাম মোস্তফা মুন্না, নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) টিএম মোশাররফ হোসেন, সোনারগাঁ থানার ওসি (তদন্ত) তবিদুর রহমানসহ স্থানীয় সাংবাদিকরা। পরে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মাওলানা মামুনুল হককে থানায় নেওয়ার পথে রিসোর্টে হামলা চালান হেফাজতের কর্মীরা। পরে মামুনুল হককে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়। সেখানে হামলা চালিয়ে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় হেফাজতের কর্মীরা।’
এদিকে ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গেছে, হেফাজত নেতা মামুনুল হক দাবি করছেন, আমি আল্লাহ পাকের শপথ করে বলছিÑএটা আমার বিবাহিতা স্ত্রী। এ ঘটনার পরপরই হেফাজতের লোকজন সন্ধ্যায় সোনারগাঁও রয়েল রিসোর্টে এসে বিক্ষোভ ও ভাঙচুর করে। তারা মামুনুল হককে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে এলাকায় বিক্ষোভ করে। মামুনুল হক বলেন, আমি আমার ২য় স্ত্রীকে নিয়ে সোনারগাঁওয়ে বেড়াতে আসি। সোনারগাঁও জাদুঘরে গিয়ে জাদুঘর বন্ধ থাকায় আমি বেলা ৩টায় সোনারগাঁও রয়েল রিসোর্টে এসে অবস্থান নেই। পরে এলাকার যুবলীগ ও ছাত্রলীগের লোকজন আমার সাথে খারাপ আচরণ করে। তারা আমাদেরকে হেনস্তা করে একপর্যায়ে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে স্থানীয় প্রশাসনের লোকজন ও পুলিশ এসে আমাদের উদ্ধার করে। সূত্র- বাংলাদেশ প্রতিদিন ও নয়া দিগন্ত

মামুনুল হকের ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে যা দেখা গেল..
সমীকরণ ডেস্ক:
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, একটি কক্ষের ভেতরে বেশ কয়েকজন ব্যক্তি মামুনুল হককে নানা প্রশ্ন করছে। এসময় এক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করেন, ‘এই মহিলা কী হয় আপনার?’ জবাবে মামুনুল হক বলেন, ‘আমার সেকেন্ড ওয়াইফ। আমি তাকে শরিয়তসম্মত ভাবে বিয়ে করছি।’ তখন আরেক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করেন, ‘আপনি কবে বিয়ে করছেন?’ জবাবে মামুনুল হক বলেন, ‘দুই বছর।’ মামুনুল হক বলেন, তিনি বেড়াতে সে রিসোর্টে গিয়েছেন। ভিডিওতে মামুনুল হককে বলতে দেখা যায়, ‘আপনারা সবাই আমার সাথে দুর্ব্যবহার করছেন।’ ভিডিওতে দেখা যায়, কিছু ব্যক্তি নিজেকে সাংবাদিক হিসেবে পরিচয় দিয়ে মামুনুল হককে নানা প্রশ্ন করছেন এবং কেউ কেউ নিজেকে ছাত্রলীগ বা যুবলীগ হিসেব পরিচয় দিচ্ছিল। এদিকে, মামুনুল হককে লাঞ্ছিত করার ভিডিওটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে সন্ধ্যে সাতটার পরে হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মী ও মাদ্রাসার ছাত্ররা রয়েল রিসোর্টে এসে ভাঙচুর চালিয়ে মামুনুল হককে নিয়ে যায়। তবে পুলিশ অবশ্য দাবি করেছে, হেফাজতে ইসলামের নেতাদের হাতে মামুনুল হককে তুলে দেয়া হয়েছে। হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় সহকারী প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ ফয়সাল রাত নয়টার দিকে মামুনুল হককে আনতে নারায়ণগঞ্জে যান। সেখান থেকে তিনি বিবিসি বাংলাকে বলেন, মামুনুল হককে যারা লাঞ্ছিত করেছে তাদের গ্রেফতার এবং শাস্তির জন্য প্রশাসনের কাছে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম।
অন্যদিকে, হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় সহকারী প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ ফয়সাল রাত নয়টার দিকে মামুনুল হককে আনতে নারায়ণগঞ্জে যান। সেখান থেকে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘মামুনুল হককে যারা লাঞ্ছিত করেছে তাদের গ্রেপ্তার এবং শাস্তির জন্য প্রশাসনের কাছে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম।’ এবিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে প্রশাসন তাকে আশ্বস্ত করেছে বলেও জানান মোহাম্মদ ফয়সাল। এসময় হেফাজতের সমর্থক এবং মাদ্রাসার ছাত্ররা রিসোর্টে হামলা চালায়নি বলে দাবি করেন মোহাম্মদ ফয়সাল। তিনি বলেন, ‘মাওলানা মামুনুল হক একজন জনপ্রিয় আলেম। ওনাকে আটকে রেখে লাঞ্ছিত করার খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় মানুষজন হয়তো সেখানে গিয়েছে।’
এদিকে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম সাংবাদিকদের জানান, ‘পুলিশ মামুনুল হককে হেফাজতের নেতাদের হাতে তুলে দেয়নি। ওনার দ্বিতীয় বিয়ে সস্পর্কে আমরা যাচাই-বাছাই করছিলাম। এ সময় তার লোকজন সেখানে এসে উপস্থিত হলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। এসময় তিনি চলে যান।’ সূত্র- বিবিসি