ইপেপার । আজমঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

নামাজ আদায়ের গুরুত্ব

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৪:২৯:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জুলাই ২০১৭
  • / ৫৫৬ বার পড়া হয়েছে

ধর্ম ডেস্ক: জামাতে নামাজ মুসলমানদের মধ্যে সাম্য, আনুগত্য, সততা এবং প্রকৃত ভ্রাতৃত্বের শিক্ষা দেয়। নামাজে ধনী-গরিব, রাজা-প্রজা, ছোট-বড় সবাইকে এক কাতারে দাঁড়ায় এবং এর দ্বারা আন্তরকিতা সৃষ্টি হয়। এর মধ্যে রয়েছে মুসলমানদের সংস্কার, ঈমানের পরিপক্কতা এবং অলসদের জন্য উৎসাহ প্রদানের উপকরণ। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, তোমরা নামাজ সুপ্রতিষ্ঠিত করো এবং রুকুকারীদের সঙ্গে রুকু করো (সূরা বাকারা: ৪৩)। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, জামাতে নামাজ পড়ার ফজিলত একা পড়ার চেয়ে সাতাশ গুণ বেশি (বুখারি ও মুসলিম)। তিনি আরো বলেছেন, নামাজের প্রথম সারি হলো ফেরেশতাদের সারির মতো। তোমরা যদি প্রথম সারির মর্যাদা সম্পর্কে জানতে তবে তা পাওয়ার জন্য ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়তে। মনে রেখ, একা নামাজ পড়ার চাইতে দুই ব্যক্তির একত্রে নামাজ পড়া উত্তম। আর দুই ব্যক্তির একত্রে নামাজ পড়ার চাইতে তিন ব্যক্তির একত্রে নামাজ পড়া উত্তম। এভাবে যত বেশি লোকের জামাত হবে তা আল্লাহর কাছে তত বেশি প্রিয় হবে। আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা) থেকে বর্ণিত, যে ব্যক্তি উত্তমভাবে পবিত্রতা অর্জন করে জামাতে নামাজ পড়ার জন্য কোনো একটি মসজিদের দিকে পা বাড়াবে, তার প্রতিটি কদমে আল্লাহ তায়ালা তার জন্য একটি করে পুণ্য লিখে দেবেন। তার একটি করে মর্যাদা বাড়িয়ে দেবেন এবং একটি করে পাপ মুছে দেবেন। তিনি বলেন, একবার এক অন্ধ ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে এসে জিজ্ঞাসা করল, ইয়া রাসুলাল্লাহ (সা.), আমার এমন কেউ নেই, যে আমাকে হাত ধরে মসজিদে আনবে। এরপর লোকটি মসজিদে উপস্থিত হওয়া থেকে অব্যাহতি চায় এবং ঘরে নামাজ পড়ার অনুমতি চায়। তিনি তাকে ঘরে নামাজ পড়ার অনুমতি দিয়ে দেন। অনুমতি পেয়ে লোকটি রওনা করে। কিন্তু রাসুলুল্লাহ (সা.) তাকে পুনরায় ডেকে পাঠান। সে ফিরে আসে। তিনি তাকে জিজ্ঞাসা করেন, তুমি কি আজান শুনতে পাও? সে বলল, জি, শুনতে পাই। তিনি বললেন, তাহলে তুমি মসজিদে উপস্থিত হবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ফজর ও ইশার নামাজ অন্যান্য নামাজের তুলনায় অধিকতর ভারী। তোমরা যদি জানতে এই দুইটি নামাজের মধ্যে কী পরিমাণ সওয়াব নিহিত আছে তবে হামাগুড়ি দিয়ে হলেও নামাজে উপস্থিত হতে। সাহাবায়ে কেরাম কখনো নামাজের জামাত ত্যাগ করতেন না।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

নামাজ আদায়ের গুরুত্ব

আপলোড টাইম : ০৪:২৯:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জুলাই ২০১৭

ধর্ম ডেস্ক: জামাতে নামাজ মুসলমানদের মধ্যে সাম্য, আনুগত্য, সততা এবং প্রকৃত ভ্রাতৃত্বের শিক্ষা দেয়। নামাজে ধনী-গরিব, রাজা-প্রজা, ছোট-বড় সবাইকে এক কাতারে দাঁড়ায় এবং এর দ্বারা আন্তরকিতা সৃষ্টি হয়। এর মধ্যে রয়েছে মুসলমানদের সংস্কার, ঈমানের পরিপক্কতা এবং অলসদের জন্য উৎসাহ প্রদানের উপকরণ। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, তোমরা নামাজ সুপ্রতিষ্ঠিত করো এবং রুকুকারীদের সঙ্গে রুকু করো (সূরা বাকারা: ৪৩)। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, জামাতে নামাজ পড়ার ফজিলত একা পড়ার চেয়ে সাতাশ গুণ বেশি (বুখারি ও মুসলিম)। তিনি আরো বলেছেন, নামাজের প্রথম সারি হলো ফেরেশতাদের সারির মতো। তোমরা যদি প্রথম সারির মর্যাদা সম্পর্কে জানতে তবে তা পাওয়ার জন্য ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়তে। মনে রেখ, একা নামাজ পড়ার চাইতে দুই ব্যক্তির একত্রে নামাজ পড়া উত্তম। আর দুই ব্যক্তির একত্রে নামাজ পড়ার চাইতে তিন ব্যক্তির একত্রে নামাজ পড়া উত্তম। এভাবে যত বেশি লোকের জামাত হবে তা আল্লাহর কাছে তত বেশি প্রিয় হবে। আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা) থেকে বর্ণিত, যে ব্যক্তি উত্তমভাবে পবিত্রতা অর্জন করে জামাতে নামাজ পড়ার জন্য কোনো একটি মসজিদের দিকে পা বাড়াবে, তার প্রতিটি কদমে আল্লাহ তায়ালা তার জন্য একটি করে পুণ্য লিখে দেবেন। তার একটি করে মর্যাদা বাড়িয়ে দেবেন এবং একটি করে পাপ মুছে দেবেন। তিনি বলেন, একবার এক অন্ধ ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে এসে জিজ্ঞাসা করল, ইয়া রাসুলাল্লাহ (সা.), আমার এমন কেউ নেই, যে আমাকে হাত ধরে মসজিদে আনবে। এরপর লোকটি মসজিদে উপস্থিত হওয়া থেকে অব্যাহতি চায় এবং ঘরে নামাজ পড়ার অনুমতি চায়। তিনি তাকে ঘরে নামাজ পড়ার অনুমতি দিয়ে দেন। অনুমতি পেয়ে লোকটি রওনা করে। কিন্তু রাসুলুল্লাহ (সা.) তাকে পুনরায় ডেকে পাঠান। সে ফিরে আসে। তিনি তাকে জিজ্ঞাসা করেন, তুমি কি আজান শুনতে পাও? সে বলল, জি, শুনতে পাই। তিনি বললেন, তাহলে তুমি মসজিদে উপস্থিত হবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ফজর ও ইশার নামাজ অন্যান্য নামাজের তুলনায় অধিকতর ভারী। তোমরা যদি জানতে এই দুইটি নামাজের মধ্যে কী পরিমাণ সওয়াব নিহিত আছে তবে হামাগুড়ি দিয়ে হলেও নামাজে উপস্থিত হতে। সাহাবায়ে কেরাম কখনো নামাজের জামাত ত্যাগ করতেন না।