ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ধান ক্রয়ে কোন হের-ফের বরদাস্ত করা হবেনা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৩০:২৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ মে ২০১৯
  • / ২৫৮ বার পড়া হয়েছে

দামুড়হুদায় ধান ক্রয়ের লটারী অনুষ্ঠানে ইউএনও দীপ্তিময়ী জামান
প্রতিবেদন, দামুড়হুদা:
দামুড়হুদায় চাষিদের কাছ থেকে ন্যায্য মূল্যে সরাসরি ধান ক্রয়ের লক্ষে লটারী অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে এলাকার ধানচাষী ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে লটারী অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীপ্তিময়ী জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত লটারী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সৈয়দা নাফিস সুলতানা, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক রেজাউল ইসলাম, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন, উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক এম. নুরুন্নবী, দামুড়হুদা সদর ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাষক শরিফুল আলম মিল্টন, দামুড়হুদা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বখতিয়ার হোসেন বকুল, দামুড়হুদা উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক পলাশ আহম্মেদ, উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা কায়জার আলী পল্টু, চাতাল মালিক এসএম জাহিদ হাসান জনি, সহকারী উপ-খাদ্য পরিদর্শক শামসুল আলম চপলসহ সকল ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাগন।
ধান ক্রয় কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীপ্তিময়ী জামান জানান, উৎপাদন অনুযায়ী উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা থেকে মোট ৩৫২ জন চাষীর কাছ থেকে সরাসরি ধান ক্রয় করা হবে। আজ বৃহস্পতিবার থেকেই দর্শনা ফুড গোডাউনে ধান ক্রয় শুরু করা হবে। ছুটির দিনেও ধান ক্রয় কার্যক্রম চলবে। একজন চাষি সর্বোচ্চ ২৫ মন (১ টন) ধান বিক্রি করতে পারবেন। প্রতিমন ধানের মূল্য দেয়া হবে ১ হাজার ৪০ টাকা। তবে ধান হতে হবে শুকনা ও চিটামুক্ত। ধান ক্রয়ে কোন হের-ফের বরদাস্ত করা হবেনা। টাকা একাউন্ট-পে চেকের মাধ্যমে পরিশোধ করা হবে। সোনালী, রূপালী, অগ্রণী, কৃষি ও জনতা ব্যাংকে একাউন্ট থাকা লাগবে। যে সমস্ত চাষিদের একাউন্ট নেই তাদের ওই ৫ টি ব্যাংকের যে কোন শাখায় নতুনভাবে একাউন্ট খুলতে হবে।
উপজেলা কৃষি অফিসের মাধ্যমে ইউনিয়ন ভিত্তিক ধান চাষীদের তালিকা করার পর লটারী করা হয়। জুড়ানপুর ইউনিয়নে মোট ৬৯ জন ধানচাষীর তালিকা করা হয়। এরমধ্যে লটারীর মাধ্যমে ২৯ জনকে সিলেকশন করা হয়। একইভাবে নতিপোতা ইউনিয়নে ৪২৩ জনের মধ্যে লটারীর মাধ্যমে ২৪ জন, নাটুদহ ইউনিয়নে ৭৫ জনের মধ্যে ৩৩ জন, কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নে ১৩৬ জনের মধ্যে ৫৬ জন, কুড়–লগাছি ইউনিয়নে ৭৩ জনের মধ্যে ৫২ জন, পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নে ২২৫ জনের মধ্যে ৩৫ জন, হাউলী ইউনিয়নে ১৯৭ জনের মধ্যে ৫৭ জন, দামুড়হুদা সদর ইউনিয়নে ২২৭ জনের মধ্যে ৩৫ জন এবং দর্শনা পৌরসভায় ৪৮ জনের মধ্যে ১৬ জন ধানচাষিকে লটারীর মাধ্যমে সিলেকশন করা হয়েছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

ধান ক্রয়ে কোন হের-ফের বরদাস্ত করা হবেনা

আপলোড টাইম : ০৯:৩০:২৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ মে ২০১৯

দামুড়হুদায় ধান ক্রয়ের লটারী অনুষ্ঠানে ইউএনও দীপ্তিময়ী জামান
প্রতিবেদন, দামুড়হুদা:
দামুড়হুদায় চাষিদের কাছ থেকে ন্যায্য মূল্যে সরাসরি ধান ক্রয়ের লক্ষে লটারী অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে এলাকার ধানচাষী ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে লটারী অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীপ্তিময়ী জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত লটারী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সৈয়দা নাফিস সুলতানা, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক রেজাউল ইসলাম, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন, উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক এম. নুরুন্নবী, দামুড়হুদা সদর ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাষক শরিফুল আলম মিল্টন, দামুড়হুদা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বখতিয়ার হোসেন বকুল, দামুড়হুদা উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক পলাশ আহম্মেদ, উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা কায়জার আলী পল্টু, চাতাল মালিক এসএম জাহিদ হাসান জনি, সহকারী উপ-খাদ্য পরিদর্শক শামসুল আলম চপলসহ সকল ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাগন।
ধান ক্রয় কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীপ্তিময়ী জামান জানান, উৎপাদন অনুযায়ী উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা থেকে মোট ৩৫২ জন চাষীর কাছ থেকে সরাসরি ধান ক্রয় করা হবে। আজ বৃহস্পতিবার থেকেই দর্শনা ফুড গোডাউনে ধান ক্রয় শুরু করা হবে। ছুটির দিনেও ধান ক্রয় কার্যক্রম চলবে। একজন চাষি সর্বোচ্চ ২৫ মন (১ টন) ধান বিক্রি করতে পারবেন। প্রতিমন ধানের মূল্য দেয়া হবে ১ হাজার ৪০ টাকা। তবে ধান হতে হবে শুকনা ও চিটামুক্ত। ধান ক্রয়ে কোন হের-ফের বরদাস্ত করা হবেনা। টাকা একাউন্ট-পে চেকের মাধ্যমে পরিশোধ করা হবে। সোনালী, রূপালী, অগ্রণী, কৃষি ও জনতা ব্যাংকে একাউন্ট থাকা লাগবে। যে সমস্ত চাষিদের একাউন্ট নেই তাদের ওই ৫ টি ব্যাংকের যে কোন শাখায় নতুনভাবে একাউন্ট খুলতে হবে।
উপজেলা কৃষি অফিসের মাধ্যমে ইউনিয়ন ভিত্তিক ধান চাষীদের তালিকা করার পর লটারী করা হয়। জুড়ানপুর ইউনিয়নে মোট ৬৯ জন ধানচাষীর তালিকা করা হয়। এরমধ্যে লটারীর মাধ্যমে ২৯ জনকে সিলেকশন করা হয়। একইভাবে নতিপোতা ইউনিয়নে ৪২৩ জনের মধ্যে লটারীর মাধ্যমে ২৪ জন, নাটুদহ ইউনিয়নে ৭৫ জনের মধ্যে ৩৩ জন, কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নে ১৩৬ জনের মধ্যে ৫৬ জন, কুড়–লগাছি ইউনিয়নে ৭৩ জনের মধ্যে ৫২ জন, পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নে ২২৫ জনের মধ্যে ৩৫ জন, হাউলী ইউনিয়নে ১৯৭ জনের মধ্যে ৫৭ জন, দামুড়হুদা সদর ইউনিয়নে ২২৭ জনের মধ্যে ৩৫ জন এবং দর্শনা পৌরসভায় ৪৮ জনের মধ্যে ১৬ জন ধানচাষিকে লটারীর মাধ্যমে সিলেকশন করা হয়েছে।