ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ধানের শীষ প্রতিকের প্রার্থী কামরুজ্জামানের সংবাদ সম্মেলন

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:০২:৩৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭
  • / ৩২৩ বার পড়া হয়েছে
জীবননগর মনোহরপুর ইউপি নির্বাচনে ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলে
জীবননগর অফিস: জীবননগর মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদের গত ২৮শে ডিসেম্বর নির্বাচনে কৌশলে সুক্ষ কারচুপির মাধ্যমে ধানের শীষের বিজয় ছিনিয়ে নিয়ে নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করার প্রতিবাদ, উপজেলা রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক ঘোষিত ফলাফল প্রত্যাখান এবং ভোট পুনরায় গণনার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী কামরুজ্জামান।
গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার সময় জীবননগর প্রেসক্লাবে উপস্থিত হয়ে কামরুজ্জামান তার লিখিত বক্তব্য বলেন, গত ২৮শে ডিসেম্বর জীবননগর উপজেলার মনোহরপুর ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে সুক্ষ কারচুপির মাধ্যমে কয়েকটি ভোট কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতিকের প্রার্থী সোহরাব হোসেন খানের ছেলে নয়ন ছাত্রলীগ নামধারী কিছু ক্যাডার বাহিনী নিয়ে ভোটারদের হুমকি ধামকী দিয়ে ধানের শীষ প্রতীকের সমর্থকদের জোর করে ধরে নিয়ে যায়। এবং তাদের হাতে নগদ টাকা ধরিয়ে দিয়ে নৌকা প্রতীকে ভোট দিতে বাধ্য করেন। এসব ঘঁটনায় সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে থাকা আমার নির্বাচনী পোলিং এজেন্টরা প্রতিবাদ করলে নৌকা প্রতিকের প্রার্থীর ছেলে তাদেরকে জোর করে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়। ৬নং ভোট কেন্দ্রে নৌকার পোলিং এজেন্ট দুইটি বই (ব্যালট পেপার) নিয়ে ছাঁদের ওপর উঠে গিয়ে সিল মেরে তা বাক্স ভর্তি করে দেয়। অন্যদিকে এক নম্বর ভোট কেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসার কর্তৃক ফলাফল ঘোষণার সময় প্রথমে ধানের শীষ প্রতীক ১৯২ ভোটে এগিয়ে থাকার ঘোষণা দিলেও পরক্ষনে তা পরিবর্তন করে নৌকা প্রতীকের পক্ষে ফলাফল ঘোষনা করেন। ২নং ভোট কেন্দ্রে নৌকা প্রতীকের স্ত্রী নিজে পোলিং এজেন্ট হিসাবে দায়িত্ব পাওয়ায় তিনি ভোটারদের সরাসরি নৌকা প্রতীকে ভোট দিতে প্রভাবিত করেন। অনেক সময় তিনি নিজেই ব্যালট পেপারে সিল মারেন। এসব ব্যাপারে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দ্রুত মৌখিকভাবে অভিযোগ করেও কোন কাজ হয়নি। বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে আমার পক্ষের নির্বাচনী পোলিং এজেন্টদের ভোট গণনা শেষে তাদেরকে ফলাফল শীটে স্বাক্ষর ও ফলাফল শীট না দিয়ে তাদেরকে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। এদিকে নির্বাচন পরবর্তী নৌকা প্রতীকের নেতাকর্মি ও সমর্থকেরা আমার ধানের শীষ প্রতীকের নেতাকর্মি সমর্থকদের ওপর একের পর এক হামলা চালিয়ে তাদের বাড়ি ঘর ভাংচুর করে আতঙ্কগ্রস্থ করে তুলছে। আমার নেতাকর্মি ও সমর্থকদের তাদের ভয়ে স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারছেন না। নির্বাচন সুষ্ঠ ও অবাধ হয়েছে দাবী করা হলেও মুলত নির্বাচন শেষে ভোট গণনার সময় বিশেষ কৌশলের মাধ্যমে নৌকা প্রতীককে বিজয়ী ঘোষনা করা হয়েছে। তাই আমি উপজেলা রিটানিং অফিসার কর্তৃক ঘোষিত ফলাফল প্রত্যাখান করছি এবং ১নং থেকে ৯নং পর্যন্ত প্রত্যেকটি ওর্য়াডে পুনরায় ভোট গণনার দাবি জানাচ্ছি।

 

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

ধানের শীষ প্রতিকের প্রার্থী কামরুজ্জামানের সংবাদ সম্মেলন

আপলোড টাইম : ১১:০২:৩৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭
জীবননগর মনোহরপুর ইউপি নির্বাচনে ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলে
জীবননগর অফিস: জীবননগর মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদের গত ২৮শে ডিসেম্বর নির্বাচনে কৌশলে সুক্ষ কারচুপির মাধ্যমে ধানের শীষের বিজয় ছিনিয়ে নিয়ে নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করার প্রতিবাদ, উপজেলা রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক ঘোষিত ফলাফল প্রত্যাখান এবং ভোট পুনরায় গণনার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী কামরুজ্জামান।
গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার সময় জীবননগর প্রেসক্লাবে উপস্থিত হয়ে কামরুজ্জামান তার লিখিত বক্তব্য বলেন, গত ২৮শে ডিসেম্বর জীবননগর উপজেলার মনোহরপুর ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে সুক্ষ কারচুপির মাধ্যমে কয়েকটি ভোট কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতিকের প্রার্থী সোহরাব হোসেন খানের ছেলে নয়ন ছাত্রলীগ নামধারী কিছু ক্যাডার বাহিনী নিয়ে ভোটারদের হুমকি ধামকী দিয়ে ধানের শীষ প্রতীকের সমর্থকদের জোর করে ধরে নিয়ে যায়। এবং তাদের হাতে নগদ টাকা ধরিয়ে দিয়ে নৌকা প্রতীকে ভোট দিতে বাধ্য করেন। এসব ঘঁটনায় সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে থাকা আমার নির্বাচনী পোলিং এজেন্টরা প্রতিবাদ করলে নৌকা প্রতিকের প্রার্থীর ছেলে তাদেরকে জোর করে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়। ৬নং ভোট কেন্দ্রে নৌকার পোলিং এজেন্ট দুইটি বই (ব্যালট পেপার) নিয়ে ছাঁদের ওপর উঠে গিয়ে সিল মেরে তা বাক্স ভর্তি করে দেয়। অন্যদিকে এক নম্বর ভোট কেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসার কর্তৃক ফলাফল ঘোষণার সময় প্রথমে ধানের শীষ প্রতীক ১৯২ ভোটে এগিয়ে থাকার ঘোষণা দিলেও পরক্ষনে তা পরিবর্তন করে নৌকা প্রতীকের পক্ষে ফলাফল ঘোষনা করেন। ২নং ভোট কেন্দ্রে নৌকা প্রতীকের স্ত্রী নিজে পোলিং এজেন্ট হিসাবে দায়িত্ব পাওয়ায় তিনি ভোটারদের সরাসরি নৌকা প্রতীকে ভোট দিতে প্রভাবিত করেন। অনেক সময় তিনি নিজেই ব্যালট পেপারে সিল মারেন। এসব ব্যাপারে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দ্রুত মৌখিকভাবে অভিযোগ করেও কোন কাজ হয়নি। বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে আমার পক্ষের নির্বাচনী পোলিং এজেন্টদের ভোট গণনা শেষে তাদেরকে ফলাফল শীটে স্বাক্ষর ও ফলাফল শীট না দিয়ে তাদেরকে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। এদিকে নির্বাচন পরবর্তী নৌকা প্রতীকের নেতাকর্মি ও সমর্থকেরা আমার ধানের শীষ প্রতীকের নেতাকর্মি সমর্থকদের ওপর একের পর এক হামলা চালিয়ে তাদের বাড়ি ঘর ভাংচুর করে আতঙ্কগ্রস্থ করে তুলছে। আমার নেতাকর্মি ও সমর্থকদের তাদের ভয়ে স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারছেন না। নির্বাচন সুষ্ঠ ও অবাধ হয়েছে দাবী করা হলেও মুলত নির্বাচন শেষে ভোট গণনার সময় বিশেষ কৌশলের মাধ্যমে নৌকা প্রতীককে বিজয়ী ঘোষনা করা হয়েছে। তাই আমি উপজেলা রিটানিং অফিসার কর্তৃক ঘোষিত ফলাফল প্রত্যাখান করছি এবং ১নং থেকে ৯নং পর্যন্ত প্রত্যেকটি ওর্য়াডে পুনরায় ভোট গণনার দাবি জানাচ্ছি।