ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

দোয়ার তাওফিকের সাফল্য

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০১:৪১:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ নভেম্বর ২০১৬
  • / ৪০৪ বার পড়া হয়েছে

ধর্ম ডেস্ক: মুমিনের অনেক কার্যকরী একটি অস্ত্রের নাম দোয়া। এই দোয়ার মাধ্যমে মানুষ আল্লাহর সঙ্গে চুপিচুপি কথা বলে; নিজের চাহিদার কথা তাকে জানায়। আল্লাহর সঙ্গে একান্তে কথা বলার মাধ্যম এই দোয়া। এ জন্য দোয়াকে ‘ইবাদতের প্রাণ’ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। বিপদে-আপদে, সুখে-দুঃখে সর্বাবস্থায় দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহর সঙ্গে সংযুক্ত থাকাই প্রকৃত মুমিনের কাজ। তবে আমরা যখন কোনো বিপদে পড়ি তখনই আল্লাহর কাছে দোয়া করি; স্বাভাবিক অবস্থায় দোয়ার প্রতি ভ্রƒক্ষেপ করি না। এটা কোনো মুমিনের জন্য সমীচীন নয়। কারণ দোয়া করতে পারা এটা মুমিনের সাফল্যের একটি বড় লক্ষণ। আল্লাহর কাছে কিছু চাইতে পারা সৌভাগ্যের ব্যাপার। দুনিয়ার সবার চেয়ে ব্যতিক্রম হচ্ছে আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি। দুনিয়ার যে কেউ বারবার চাইলে বিরক্ত হয়, কিন্তু আল্লাহর কাছে যতবার চাইবেন তিনি ততবার দেবেন শুধু তাই নয়; এতে তিনি অনেক বেশি সন্তুষ্ট হন। যে বান্দা আল্লাহর কাছে চায় না সেই বান্দার প্রতি আল্লাহ সন্তুষ্ট নন। যখন মানুষ দোয়া করে তখন আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক আরো বেড়ে যায়। আর দীন ও দুনিয়ার সফলতার ভিত্তি হলো এটাই। যে কোনো বিষয়ে আল্লাহর কাছে চাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা চাই। রাসুল (সা.) শিখিয়েছেন, একজন মুমিন তুচ্ছ বিষয়েও আল্লাহর কাছে চাইবে। সামান্য বিপদাপদেও আল্লাহর শরণাপন্ন হবে। কারো স্যান্ডেলের ফিতা ছিঁড়ে গেছে, কারো বাতিটা নিভে গেছে এসব ক্ষেত্রেও আল্লাহর কাছে দোয়া করার কথা বলা হয়েছে হাদিসে। এর একমাত্র কারণ হলো আল্লাহর সঙ্গে সংযুক্ত থাকার চেষ্টা। কেউ যখন সর্বাবস্থায় দোয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারবে তখন এটাকে নিজের সৌভাগ্য হিসেবে গণ্য করতে হবে। কারণ অনেকের বছরের পর বছর চলে যায় কিন্তু আল্লাহর কাছে একান্তে মিলিত হওয়ার, তার দরবারে হাত তুলে কিছু চাওয়ার সুযোগ হয় না। একজন গোলামের আকাক্সক্ষা থাকা চাই সবসময় মনিবের মনোতুষ্টি। এ জন্য কারণে-অকারণে মনিবের সামনে যাওয়া, তার কাছে কিছু প্রার্থনা করা একটি বড় কৌশল। আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের পদ্ধতি তিনি নিজেই শিখিয়ে দিয়েছেন। বলেছেন, তোমরা আমার কাছে যত খুশি চাও, আমি দিতে প্রস্তুত। যে অমুখাপেক্ষী স্রষ্টা এতটা উদারভাবে দিতে প্রস্তুত আমরা মুখাপেক্ষী বান্দারা চাইতে কেন কার্পণ্যবোধ করব।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

দোয়ার তাওফিকের সাফল্য

আপলোড টাইম : ০১:৪১:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ নভেম্বর ২০১৬

ধর্ম ডেস্ক: মুমিনের অনেক কার্যকরী একটি অস্ত্রের নাম দোয়া। এই দোয়ার মাধ্যমে মানুষ আল্লাহর সঙ্গে চুপিচুপি কথা বলে; নিজের চাহিদার কথা তাকে জানায়। আল্লাহর সঙ্গে একান্তে কথা বলার মাধ্যম এই দোয়া। এ জন্য দোয়াকে ‘ইবাদতের প্রাণ’ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। বিপদে-আপদে, সুখে-দুঃখে সর্বাবস্থায় দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহর সঙ্গে সংযুক্ত থাকাই প্রকৃত মুমিনের কাজ। তবে আমরা যখন কোনো বিপদে পড়ি তখনই আল্লাহর কাছে দোয়া করি; স্বাভাবিক অবস্থায় দোয়ার প্রতি ভ্রƒক্ষেপ করি না। এটা কোনো মুমিনের জন্য সমীচীন নয়। কারণ দোয়া করতে পারা এটা মুমিনের সাফল্যের একটি বড় লক্ষণ। আল্লাহর কাছে কিছু চাইতে পারা সৌভাগ্যের ব্যাপার। দুনিয়ার সবার চেয়ে ব্যতিক্রম হচ্ছে আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি। দুনিয়ার যে কেউ বারবার চাইলে বিরক্ত হয়, কিন্তু আল্লাহর কাছে যতবার চাইবেন তিনি ততবার দেবেন শুধু তাই নয়; এতে তিনি অনেক বেশি সন্তুষ্ট হন। যে বান্দা আল্লাহর কাছে চায় না সেই বান্দার প্রতি আল্লাহ সন্তুষ্ট নন। যখন মানুষ দোয়া করে তখন আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক আরো বেড়ে যায়। আর দীন ও দুনিয়ার সফলতার ভিত্তি হলো এটাই। যে কোনো বিষয়ে আল্লাহর কাছে চাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা চাই। রাসুল (সা.) শিখিয়েছেন, একজন মুমিন তুচ্ছ বিষয়েও আল্লাহর কাছে চাইবে। সামান্য বিপদাপদেও আল্লাহর শরণাপন্ন হবে। কারো স্যান্ডেলের ফিতা ছিঁড়ে গেছে, কারো বাতিটা নিভে গেছে এসব ক্ষেত্রেও আল্লাহর কাছে দোয়া করার কথা বলা হয়েছে হাদিসে। এর একমাত্র কারণ হলো আল্লাহর সঙ্গে সংযুক্ত থাকার চেষ্টা। কেউ যখন সর্বাবস্থায় দোয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারবে তখন এটাকে নিজের সৌভাগ্য হিসেবে গণ্য করতে হবে। কারণ অনেকের বছরের পর বছর চলে যায় কিন্তু আল্লাহর কাছে একান্তে মিলিত হওয়ার, তার দরবারে হাত তুলে কিছু চাওয়ার সুযোগ হয় না। একজন গোলামের আকাক্সক্ষা থাকা চাই সবসময় মনিবের মনোতুষ্টি। এ জন্য কারণে-অকারণে মনিবের সামনে যাওয়া, তার কাছে কিছু প্রার্থনা করা একটি বড় কৌশল। আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের পদ্ধতি তিনি নিজেই শিখিয়ে দিয়েছেন। বলেছেন, তোমরা আমার কাছে যত খুশি চাও, আমি দিতে প্রস্তুত। যে অমুখাপেক্ষী স্রষ্টা এতটা উদারভাবে দিতে প্রস্তুত আমরা মুখাপেক্ষী বান্দারা চাইতে কেন কার্পণ্যবোধ করব।