ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

দৈনন্দিন জীবনে দোয়ার গুরুত্ব

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৫৩:২৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০১৯
  • / ২৪০ বার পড়া হয়েছে

ধর্ম ডেস্ক: মানব জাতির পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান হিসেবে আল্লাহ তায়ালা সর্বশেষ আসমানি গ্রন্থরূপে পবিত্র কোরান নাজিল করেছেন। মানব জীবনের ইহকালীন ও পরকালীন যাবতীয় কল্যাণ এতে তুলে ধরা হয়েছে। দৈনন্দিন আমলের মধ্যে দোয়ার গুরুত্ব অপরিসীম। পবিত্র কোরানে আল্লাহ তায়ালা ঘোষণা করেন, তোমাদের প্রতিপালক বলেন, তোমরা আমাকে ডাক, আমি তোমাদের ডাকে সারা দেব। যারা অহঙ্কারে আমার উপাসনা বিমুখ, তারা লাঞ্ছিত হয়ে জাহান্নামে প্রবেশ করবে -সূরা মুমিন: ৬০। এই আয়াতের ব্যাখ্যায় তাফসিরে মা আরে ফুল কোরানে বলা হয়েছে, দোয়ার শাব্দিক অর্থ ডাকা, অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিশেষ কোনো প্রয়োজনে ডাকার অর্থে ব্যবহৃত হয়। কখনো জিকিরকেও দোয়া বলা হয়। উম্মতে মুহাম্মদিয়ার বিশেষ সম্মানের কারণে এই আয়াতে তাদের দোয়া করার আদেশ করা হয়েছে এবং তা কবুল করার ওয়াদা করা হয়েছে। যারা দোয়া করে না, তাদের জন্য শাস্তির কথা বলা হয়েছে। কা’বে আহবার (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, পূর্ব যুগে কেবল নবীগণকেই বলা হতো, ‘দোয়া করুন, আমি কবুল করব’। এখন এই আদেশ সবার জন্য ব্যাপক করে দেয়া হয়েছে এবং এটা উম্মতে মুহাম্মদিরই বৈশিষ্ট্য। হাদিস অনুযায়ী দোয়া হচ্ছে বরকত লাভের অন্যতম কারণ। -সংক্ষিপ্ত তাফসিরে মা আরে ফুল কোরআন, পৃষ্ঠা ১১৯৩। মূলত প্রত্যেক দোয়াই ইবাদত এবং প্রত্যেক ইবাদতই দোয়া। কারণ হলো, দোয়া বলা হয় কারো সামনে চূড়ান্ত দীনতা অবলম্বন করাকে। বলা বাহুল্য, নিজেকে কারো মুখাপেক্ষী মনে করে তার সামনে কামনা-বাসনার হাত প্রসারিত করা বড় দীনতা, যা ইবাদতের অর্থ। এমনিভাবে প্রত্যেক ইবাদতের সারমর্মও আল্লাহর কাছে গোনাহ মাফ চাওয়া, জান্নাতের আশা করা এবং ইহকাল ও পরকালের নিরাপত্তা কামনা করা। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, আল্লাহর কাছে দোয়া থেকে অধিক সম্মানিত আর কোনো কিছুই নেই। তিনি আরো বলেন, দোয়া ইবাদতের মগজ। যে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে চায় না (দোয়া করে না) আল্লাহ তায়ালা তার ওপর রাগান্বিত হন। যে ব্যক্তি চায় যে, বিপদের সময় তার দোয়া কবুল হোক, তাহলে সে যেন সুখে দুখে সর্বাবস্থায় বেশি বেশি দোয়া করে -তিরমিজি শরিফ। অতএব, আসুন আমরা সব সময় মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করার মাধ্যমে দুনিয়া ও আখেরাতে অফুরন্ত কল্যাণ অর্জন করি। লেখক: ধর্মীয় গবেষক

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

দৈনন্দিন জীবনে দোয়ার গুরুত্ব

আপলোড টাইম : ০৯:৫৩:২৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০১৯

ধর্ম ডেস্ক: মানব জাতির পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান হিসেবে আল্লাহ তায়ালা সর্বশেষ আসমানি গ্রন্থরূপে পবিত্র কোরান নাজিল করেছেন। মানব জীবনের ইহকালীন ও পরকালীন যাবতীয় কল্যাণ এতে তুলে ধরা হয়েছে। দৈনন্দিন আমলের মধ্যে দোয়ার গুরুত্ব অপরিসীম। পবিত্র কোরানে আল্লাহ তায়ালা ঘোষণা করেন, তোমাদের প্রতিপালক বলেন, তোমরা আমাকে ডাক, আমি তোমাদের ডাকে সারা দেব। যারা অহঙ্কারে আমার উপাসনা বিমুখ, তারা লাঞ্ছিত হয়ে জাহান্নামে প্রবেশ করবে -সূরা মুমিন: ৬০। এই আয়াতের ব্যাখ্যায় তাফসিরে মা আরে ফুল কোরানে বলা হয়েছে, দোয়ার শাব্দিক অর্থ ডাকা, অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিশেষ কোনো প্রয়োজনে ডাকার অর্থে ব্যবহৃত হয়। কখনো জিকিরকেও দোয়া বলা হয়। উম্মতে মুহাম্মদিয়ার বিশেষ সম্মানের কারণে এই আয়াতে তাদের দোয়া করার আদেশ করা হয়েছে এবং তা কবুল করার ওয়াদা করা হয়েছে। যারা দোয়া করে না, তাদের জন্য শাস্তির কথা বলা হয়েছে। কা’বে আহবার (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, পূর্ব যুগে কেবল নবীগণকেই বলা হতো, ‘দোয়া করুন, আমি কবুল করব’। এখন এই আদেশ সবার জন্য ব্যাপক করে দেয়া হয়েছে এবং এটা উম্মতে মুহাম্মদিরই বৈশিষ্ট্য। হাদিস অনুযায়ী দোয়া হচ্ছে বরকত লাভের অন্যতম কারণ। -সংক্ষিপ্ত তাফসিরে মা আরে ফুল কোরআন, পৃষ্ঠা ১১৯৩। মূলত প্রত্যেক দোয়াই ইবাদত এবং প্রত্যেক ইবাদতই দোয়া। কারণ হলো, দোয়া বলা হয় কারো সামনে চূড়ান্ত দীনতা অবলম্বন করাকে। বলা বাহুল্য, নিজেকে কারো মুখাপেক্ষী মনে করে তার সামনে কামনা-বাসনার হাত প্রসারিত করা বড় দীনতা, যা ইবাদতের অর্থ। এমনিভাবে প্রত্যেক ইবাদতের সারমর্মও আল্লাহর কাছে গোনাহ মাফ চাওয়া, জান্নাতের আশা করা এবং ইহকাল ও পরকালের নিরাপত্তা কামনা করা। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, আল্লাহর কাছে দোয়া থেকে অধিক সম্মানিত আর কোনো কিছুই নেই। তিনি আরো বলেন, দোয়া ইবাদতের মগজ। যে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে চায় না (দোয়া করে না) আল্লাহ তায়ালা তার ওপর রাগান্বিত হন। যে ব্যক্তি চায় যে, বিপদের সময় তার দোয়া কবুল হোক, তাহলে সে যেন সুখে দুখে সর্বাবস্থায় বেশি বেশি দোয়া করে -তিরমিজি শরিফ। অতএব, আসুন আমরা সব সময় মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করার মাধ্যমে দুনিয়া ও আখেরাতে অফুরন্ত কল্যাণ অর্জন করি। লেখক: ধর্মীয় গবেষক