ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

দেড়কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিনাধীন নলকূপ থেকে ঘন্টায় ৮০ হাজার লিটারেরও বেশি পানি সরবরাহ করা যাবে

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:২৪:১০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০১৭
  • / ৩২৬ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের হাজরাহাটি মহল্লায় জাইকার অর্থায়নে অত্যাধুনিক পাম্প দিয়ে
গভীর উৎপাদক নলকূপ স্থাপন প্রকল্প উদ্বোধন করলেন জেলা প্রশাসক

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের হাজরাহাটি এলাকায় জাইকার অনুদানে অত্যাধুনিক পাম্প দ্বারা গভীর উৎপাদক নলকূপ স্থাপনের মাধ্যমে পানি উত্তোলন নির্মাণকাজ শুরু করা হয়েছে। গতকাল শনিবার বেলা ১১টায় গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করে আনুষ্ঠানিক ভাবে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ ও পৌর মেয়র ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপু। এটি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে জাইকার (জাপান) অর্থায়নে নির্মাণ করা হচ্ছে। চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের হাজরাহাটি মহল্লায় ‘গ্রাউন্ড ওয়াটার ইনভেষ্টিগেশন এন্ড ডেভেলপমেন্ট অব ডিপ গ্রাউন্ড ওয়াটার সোর্স ইন আরবান এন্ড রুরাল এরিয়ার্স এন বাংলাদেশ’ নামের এ প্রকল্পের আওতায় ০১টি গভীর উৎপাদক নলকূপ স্থাপনের কাজ উদ্বোধনকালে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রকল্প সংশ্লিষ্ট নির্বাহী প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ (ঢাকা), বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলী মিঃ জামনিয়ান (থাইল্যান্ড), মিঃ ফাই স্কাই (থাইল্যান্ড), জাইকা’র হাইড্রোলোজিষ্ট সাদ্দাম হোসেন, পৌরসভার প্যানেল মেয়র একরামুল হক মুক্তা, ওয়ার্ড কাউন্সিলর রাসেদুল হাসান মানু, মুন্সি মোঃ রেজাউল করিম খোকন, জাহাঙ্গীর আলম, আবুল হোসেন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর সুলতান আরা রতœা, মোছাঃ শাহিনা আক্তার রুবি, মোছাঃ শেফালী খাতুন, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জানিফ, পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী (পানি) এ, এইচ, এম সাহীদুর রশীদ, হাজরাহাটি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মধ্যে হাজী ইউনুছ আলী, সমীর হোসেনসহ মহল্লার আরও অন্যান্য ব্যাক্তিগণ এবং ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ। উদ্বোধন শেষে প্রকল্পের সাফল্য কামনায় মহান আল্লাহর দরবারে মোনাজাত পরিচালনা করেন স্থানীয় মসজিদের ইমাম মো. একরামুল হক।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, জাপান ও থাইল্যান্ডের বিশেষজ্ঞ/প্রকৌশলী সরাসরি তত্ত্বাবধানে নির্মিত নলকূপটির গভীরতা- ১ হাজার ৩২০ ফুট (৪০০ মিটার)। যার প্রাক্কলিত মূল্য ১ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা। পরীক্ষামূলক এ কাজ শেষ করতে আনুমানিক ২ মাস সময় লাগবে বলে জানা গেছে। গভীর এ নলকূপটি পুরোপুরি চালু হলে প্রতি ঘন্টায় ৮০ হাজার লিটারেরও বেশি পানি সরবরাহ করা যাবে।
উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপ চারিতায় জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘চুয়াডাঙ্গা জেলায় পানি সংকট রয়েছে। একই সাথে আর্সেনিক পানি সমস্যাও রয়েছে। পানির স্তর কমে যাওয়ায় এ সমস্যা দেখা দিয়েছে। এই অত্যাধুনিক পাম্পের মাধ্যমে আমরা দেখবো পানির ৫০০ মিটারেরও নিচে কতটা মানসম্মত পানি রয়েছে এবং তার সরবরাহ নিশ্চিত করা যায় কীভাবে। এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে পর্যাপ্ত পানি সরবরাহের দুয়ার খুলে যাবে পৌরবাসীর জন্য।’
পৌর মেয়র ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপু বলেন, ‘প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে অত্র পৌরসভার জনসাধারনের নিকট নিরাপদ বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ উন্নত হবে, সেই সাথে বর্তমান সরকারের ভিশন-২০২১ অনেকাংশে বাস্তবায়িত হবে। জাইকার অর্থায়নে বাংলাদেশে মোট ০২টি এধরনের উৎপাদক নলকূপ স্থাপিত হচ্ছে; যার একটি স্থাপন করা হচ্ছে চুয়াডাঙ্গায়।’
উল্লেখ্য, গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর রংপুরে জাপানি নাগরিক কুনিও হোশি হত্যার পর এই প্রকল্পে কর্মরত জাপানি দু’নাগরিক নিরাপত্তার অভাব দেখিয়ে চুয়াডাঙ্গা ছেড়ে ঢাকা চলে যান। এরই দীর্ঘ সময় পর অচিরেই আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করলো প্রকল্পটি।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

দেড়কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিনাধীন নলকূপ থেকে ঘন্টায় ৮০ হাজার লিটারেরও বেশি পানি সরবরাহ করা যাবে

আপলোড টাইম : ১০:২৪:১০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০১৭

চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের হাজরাহাটি মহল্লায় জাইকার অর্থায়নে অত্যাধুনিক পাম্প দিয়ে
গভীর উৎপাদক নলকূপ স্থাপন প্রকল্প উদ্বোধন করলেন জেলা প্রশাসক

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের হাজরাহাটি এলাকায় জাইকার অনুদানে অত্যাধুনিক পাম্প দ্বারা গভীর উৎপাদক নলকূপ স্থাপনের মাধ্যমে পানি উত্তোলন নির্মাণকাজ শুরু করা হয়েছে। গতকাল শনিবার বেলা ১১টায় গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করে আনুষ্ঠানিক ভাবে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ ও পৌর মেয়র ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপু। এটি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে জাইকার (জাপান) অর্থায়নে নির্মাণ করা হচ্ছে। চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের হাজরাহাটি মহল্লায় ‘গ্রাউন্ড ওয়াটার ইনভেষ্টিগেশন এন্ড ডেভেলপমেন্ট অব ডিপ গ্রাউন্ড ওয়াটার সোর্স ইন আরবান এন্ড রুরাল এরিয়ার্স এন বাংলাদেশ’ নামের এ প্রকল্পের আওতায় ০১টি গভীর উৎপাদক নলকূপ স্থাপনের কাজ উদ্বোধনকালে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রকল্প সংশ্লিষ্ট নির্বাহী প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ (ঢাকা), বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলী মিঃ জামনিয়ান (থাইল্যান্ড), মিঃ ফাই স্কাই (থাইল্যান্ড), জাইকা’র হাইড্রোলোজিষ্ট সাদ্দাম হোসেন, পৌরসভার প্যানেল মেয়র একরামুল হক মুক্তা, ওয়ার্ড কাউন্সিলর রাসেদুল হাসান মানু, মুন্সি মোঃ রেজাউল করিম খোকন, জাহাঙ্গীর আলম, আবুল হোসেন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর সুলতান আরা রতœা, মোছাঃ শাহিনা আক্তার রুবি, মোছাঃ শেফালী খাতুন, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জানিফ, পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী (পানি) এ, এইচ, এম সাহীদুর রশীদ, হাজরাহাটি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মধ্যে হাজী ইউনুছ আলী, সমীর হোসেনসহ মহল্লার আরও অন্যান্য ব্যাক্তিগণ এবং ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ। উদ্বোধন শেষে প্রকল্পের সাফল্য কামনায় মহান আল্লাহর দরবারে মোনাজাত পরিচালনা করেন স্থানীয় মসজিদের ইমাম মো. একরামুল হক।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, জাপান ও থাইল্যান্ডের বিশেষজ্ঞ/প্রকৌশলী সরাসরি তত্ত্বাবধানে নির্মিত নলকূপটির গভীরতা- ১ হাজার ৩২০ ফুট (৪০০ মিটার)। যার প্রাক্কলিত মূল্য ১ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা। পরীক্ষামূলক এ কাজ শেষ করতে আনুমানিক ২ মাস সময় লাগবে বলে জানা গেছে। গভীর এ নলকূপটি পুরোপুরি চালু হলে প্রতি ঘন্টায় ৮০ হাজার লিটারেরও বেশি পানি সরবরাহ করা যাবে।
উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপ চারিতায় জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘চুয়াডাঙ্গা জেলায় পানি সংকট রয়েছে। একই সাথে আর্সেনিক পানি সমস্যাও রয়েছে। পানির স্তর কমে যাওয়ায় এ সমস্যা দেখা দিয়েছে। এই অত্যাধুনিক পাম্পের মাধ্যমে আমরা দেখবো পানির ৫০০ মিটারেরও নিচে কতটা মানসম্মত পানি রয়েছে এবং তার সরবরাহ নিশ্চিত করা যায় কীভাবে। এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে পর্যাপ্ত পানি সরবরাহের দুয়ার খুলে যাবে পৌরবাসীর জন্য।’
পৌর মেয়র ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপু বলেন, ‘প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে অত্র পৌরসভার জনসাধারনের নিকট নিরাপদ বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ উন্নত হবে, সেই সাথে বর্তমান সরকারের ভিশন-২০২১ অনেকাংশে বাস্তবায়িত হবে। জাইকার অর্থায়নে বাংলাদেশে মোট ০২টি এধরনের উৎপাদক নলকূপ স্থাপিত হচ্ছে; যার একটি স্থাপন করা হচ্ছে চুয়াডাঙ্গায়।’
উল্লেখ্য, গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর রংপুরে জাপানি নাগরিক কুনিও হোশি হত্যার পর এই প্রকল্পে কর্মরত জাপানি দু’নাগরিক নিরাপত্তার অভাব দেখিয়ে চুয়াডাঙ্গা ছেড়ে ঢাকা চলে যান। এরই দীর্ঘ সময় পর অচিরেই আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করলো প্রকল্পটি।