ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

দেশ ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় মোনাজাত

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৫:০৫:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ জুন ২০১৭
  • / ৪৪১ বার পড়া হয়েছে

যথাযোগ্য মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভির্যের মধ্য দিয়ে সারাদেশে পবিত্র ঈদুল ফিতর পালিত
দেশ ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় মোনাজাত
19420643_486583228348482_6784231104361573648_nসমীকরণ ডেস্ক: যথাযোগ্য মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভির্যের মধ্য দিয়ে চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুরসহ সারাদেশে পালিত হয়েছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর আসে আনন্দের এ দিন। সকালে ঈদগাহ ও মসজিদে ঈদুল ফিতরের দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায়ের মধ্য দিয়ে শুরু হয় পবিত্র দিনটি। এবছর চুয়াডাঙ্গায় মোট ৭১১টি স্থানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। তারমধ্যে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকায় ৩৩টি, সদর উপজেলায় ২১৩টি, আলমডাঙ্গা উপজেলায় ২৩৯টি, দামুড়হুদা উপজেলায় ১২৯টি এবং জীবননগর উপজেলায় ৯৭টি। সকল ঈদগাহে ঈদের নামাজ আদায় শেষে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। দেশ ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় মোনাজাত করেন মুসল্লিরা।
চুয়াডাঙ্গা পৌর ঈদগাহ ময়দানে পৌরসভার আয়োজনে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৮টায়। সেখানে ঈদের নামাজ আদায় করেন চুয়াডাঙ্গা- ১ আসনের সাংসদ জাতীয় সংসদের হুইপ সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন, পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপুসহ স্থানীয় মুসল্লীরা। একই সময় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্ত্বরের টেনিস মাঠে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দিন আহমেদ এবং প্রশাসনের বিভিন্ন শ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারী ও স্থানীয় মুসল্লীরা নামাজ আদায় করেন। চীফ জুডিসিয়াল 19430075_289887211472707_2223352572839315523_nম্যাজিস্ট্রেট ড. এবিএম মাহমুদুল হক টেনিস মাঠে নামাজ আদায় করেন।
নামাজ শেষে জাতীয় সংসদের হুইপ সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন তার স্বজনদের কবর জিয়ারত করতে যান চুয়াডাঙ্গার জান্নাতুল মওলা কবরস্থানে। শারীরিকভাবে অসুস্থ্য থাকায় কবর জিয়ারত শেষে তিনি নিজ বাড়িতে ফিরে সেখানেই নেতাকর্মীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। পৌর ঈদগাহ ময়দানে ঈদের নামাজ আদায় শেষে শহরের সিঅ্যান্ডবিপাড়ায় গোরস্তানে যান পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপু। সেখানে তার পিতার কবর জিয়ারত শেষে নেতাকর্মীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। চুয়াডাঙ্গা শিশু পরিবার, হাসপাতালে গিয়ে রোগী ও স্বজনদের সাথে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় ও রোগিদের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন মেয়র জিপু। এদিকে, জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দিন আহমেদ সরকারি শিশু পরিবার পরিদর্শন করেন এবং শিশুদের সাথে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। পরে পৌর এলাকা ও শঙ্করচন্দ্র এবং আলুকদিয়া ইউনিয়নের পূনর্বাসিত ভিক্ষুকদের সাথে চুয়াডাঙ্গা সার্কিট হাউজে দুপুরের খাবারে অংশ নেন তিনি।
চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার নিজাম উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) তরিকুল ইসলাম পুলিশ সদস্যদের সাথে পুলিশ লাইন্স মাঠে ঈদের নামাজ আদায় করেন। এরপর তাদের সাথেই ঈদ উপলক্ষে সেখানে বড় খানায় অংশ নেন। চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি’র অধিনায়ক লে.কর্ণেল রাশিদুল আলম জাফরপুরস্থ বিজিবি’র ব্যাটালিয়ান সদর দপ্তর ঈদগাহ ময়দানে সৈনিকদের সাথে নামাজ আদায় ও কূশল বিনিময় করেন। নামাজ শেষে বিভিন্ন ক্যাম্পে কর্তব্যরত বিজিবি’র ক্যাম্প কমান্ডার ও সৈনিকদের সাথে দেখা করবেন এবং শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। দুপুরে ব্যাটালিয়ান সদরের সকল সৈনিকদের নিয়ে মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন।
19576203_1893691347540393_107428911_n  কেন্দ্রীয় বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু নিজ এলাকা চুয়াডাঙ্গার বড় বাজার জামে মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় শেষে প্রয়াত মা-বাবা ও আত্মীয় স্বজনদের কবর জিয়ারত করেন। পরে সারাদিন শেখপাড়াস্থ নিজ বাসভবনে দলীয় নেতাকর্মী ও শুভাকাঙ্খিদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেন। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আ.লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি আসাদুল হক বিশ্বাস নিজগ্রামে আলুকদিয়া মনিরামপুরে ঈদগাহে নামাজ আদায় করেন। জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি খুস্তার জামিল পৌর কেন্দ্রীয় ঈদগাহে জাতীয় সংসদের হুইপ ছেলুন জোয়ার্দ্দারের সাথে ঈদের নামাজ আদায় করেন। চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজাদুল ইসলাম আজাদ তার নিজ গ্রাম ঈশ্বরচন্দ্রপুরে ঈদের নামাজ আদায় করেন। জেলা আ.লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন তাঁর মেজো ভাই জাতীয় সংসদের হুইপ ছেলুন জোয়ার্দ্দারের সাথে পৌর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে নামাজ আদায় করেন। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অহিদুল ইসলাম বিশ্বাস চুয়াডাঙ্গা বুজরুকগড়গড়ি মাদ্রাসায় অনুষ্ঠিত জামাতে ঈদের নামাজ পড়েন। পরে নেতাকর্মী ও শুভাকাঙ্খিদের সাথে কূশল বিনিময় করেন। জেলা বিএনপির অন্যতম সদস্য মো. শরীফুজ্জামান শরীফ সৌদী আরবের মদিনায় মসজিদে নববীতে ঈদের নামাজ আদায় করেন। পবিত্র ওমরাহ হজ পালনে তিনি মক্কা ও মদিনায় অবস্থান করছেন। নামাজ শেষে জান্নাতুল বাকীতে কবর জিয়ারত করেন। আজ সন্ধ্যায় তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চুয়াডাঙ্গা জেলা আমির আনোয়ারুল হক মালিক নিজগ্রাম মোমিনপুর ইউনিয়নের আমিরপুর গ্রামের ঈদগাহে নামাজ শেষে কবর জিয়ারত করেন। সেক্রেটারী মো. রুহুল আমিন নিজগ্রাম জীবননগর উপজেলার ধোপাখালী ঈদগাহ ময়দানে ঈদের নামাজ আদায় করেন।
চুয়াডাঙ্গা জেলার কৃতি সন্তান, সাহিদ গ্রুপের চেয়ারম্যান, সিঙ্গাপুর-বাংলাদেশ সোসাইটি’র উপদেষ্টা আলহাজ্ব সাহেদুজ্জামান টরিক পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সিঙ্গাপুরে ঈদ-উল-ফিতর উদযাপন করবেন। সিঙ্গাপুরের মালাবরমর মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিতব্য জামাতে নামাজ পড়েন। সিঙ্গাপুরস্থ বাংলাদেশ হাউজে হাইকমিশনারের সাথে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। সন্ধ্যায় তাঁর নিজ বাসভবনে ঈদ আয়োজনে অংশ নেবেন সিঙ্গাপুরের হাইকমিশনার ডেরী ক্লসহ সিঙ্গাপুরস্থ প্রবাসী বাঙালী ও বিশিষ্টজনেরা। চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি আজাদ মালিতা নামাজ স্বপন আলিয়া মাদ্রাসায়। দৈনিক সময়ের সমীকরণ’র প্রধান সম্পাদক নাজমুল হক স্বপন ডিসি অফিসের টেনিস মাঠে ঈদের নামাজ আদায় করেন। দৈনিক মাথাভাঙ্গা’র সম্পাদক-প্রকাশক সরদার আল আমিন নিজগ্রাম দৌলতদিয়াড় সরদারপাড়ায় ঈদের নামাজ আদায় করেন।
আলমডাঙ্গা অফিস জানিয়েছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সেখ সামসুল আবেদিন খোকন আলমডাঙ্গা দারুস সালাম ঈদগাহ ময়দানে নামাজ আদায় করেন। পরে তিনি পরিবারের সদস্যদের সাথে স্বজনদের কবর জিয়ারত শেষে নিজ বাড়িতে ফিরে নেতাকর্মীদের সাথেই শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। আলমডাঙ্গা পৌর মেয়র হাসান কাদির গনু নিজ গ্রাম এরশাদপুরস্থ ঈদগাহে নামাজ আদায় করেন। আলমডাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা হেলাল উদ্দিন ঈদ উদযাপন করেন নিজ উপজেলাধীন কুমারী গ্রামে। সিভিল সার্জন ডা.রওশন আরা বেগম চুয়াডাঙ্গার সন্তান এবং তাঁর কর্মস্থল এ জেলায়। সেইসূত্রে তিনি জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলাধীন গ্রামের বাড়িতে ঈদ উদযাপন করেন।
দর্শনা অফিস জানিয়েছে, রমযানের এক মাস অতিবাহিত হওয়ার পর বৈরী আবহাওয়ার কারনে দর্শনায় পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ বিভিন্ন মসজিতে মসজিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। যদিও ঈদের দিন কোন বৃষ্টি হয়নি, তারপরও ঈদের দিন সকাল থেকে আকাশ মেঘলা থাকায় দর্শনার ধর্মপ্রান মুসল্লীরা  ঈদুল ফিতরের নামাজ পরিপূর্ণভাবে আদায় করার লক্ষে মসজিদে মসজিদে আদায় করেন। বিভিন্ন এলাকা থেকে পাওয়া তথ্যমতে, চুয়াডাঙ্গা জেলার সর্ববৃহত ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয় কেরু’জ বাজার মাঠে কিন্তু এবার ঈদের আগে বৃষ্টি হওয়ায় মাঠে কিছুটা পানি জমে থাকায় ও বৈরি আবহাওয়ায় দর্শনা রেলবাজার জামে মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করেছে। এছাড়া দর্শনা পৌর এলাকাধীন বালিকা বিদ্যালয়ের মাঠের জামাত আদায় হয়েছে রেল ইয়ার্ড সংলগ্ন মসজিদে। শ্যামপুরের একটি নামাজের জামাত মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরানপুরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে পরানপুর জামে মসজিদে। দর্শনা বাসস্টান্ডে একটি নামাজের জামাত মসজিদে বাসস্টান্ডের জামে অনুষ্ঠিত হয়েছে। মোবারক পাড়ার নামাজের একটি জামাত আদায় হয়েছে। সর্বশেষ দক্ষিন চাঁদপুর গ্রামের ঈদের নামাজের জামাত আদায় হয়েছে দক্ষিন চাদপুর গ্রমের ঈদগা মাঠে।
দামুড়হুদা উপজেলা চেয়ারম্যান মাওলানা আজিজুর রহমান জয়রামপুর পুরাতন কাউন্সিল পাড়াস্থ তাঁর নিজ গ্রামের ঈদগা ময়দানে ঈদের নামাজ আদায় করেন। সেখানে তিনি নামাজের ইমামতিও করেন। এরপর দলীয় নেতাকর্মী, শুভাকাঙ্খি, সাধারণ জনগণের সাথে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়ে ব্যস্ত সময় পার করেন তিনি।
জীবননগর অফিস জানিয়েছে, জীবননগর উপজেলার একটি পৌর এলাকায় এবং ৮টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে শান্তিপুর্ণভাবে ঈদুল ফিতরের নামাজ সম্পন্ন হয়। এ বছর সব চেয়ে বড় ঈদের জামায়াত হয় জীবননগর পৌর কেন্দ্রীয় ঈদগা মাঠে। সেখানে ঈদের নামাজ আদায় করেন জীবননগর উপজেলা চেয়ারম্যান আবু মো. আ. লতিফ অমল, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সেলিম রেজা, পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, বিশিষ্ঠ ব্যবসায়ী নজরুল মল্লিকসহ বিভিন্ন দলের নেতাকর্মি সুধী ও স্থানীয় ব্যাক্তিবর্গগন উপস্থিত ছিলেন পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ ও দোয়া এবং মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা আব্দুল খালেক।
মেহেরপুর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, মেহেরপুরে ধর্মীয় ভাবগাম্ভির্যের মধ্যে দিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে ঈদ উল ফিতর পালিত হয়েছে। সোমবার সকালে ঈদের নামায আদায়ের মধ্যে দিয়ে উৎসব উদযাপন শুরু হয়। মোনাজাত, কুসল বিনিময় ও বিকালে বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয় স্বজনের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়ের মধ্যে দিয়ে ঈদ উৎসব পালন করা হয়েছে। নামায শেষে একে আপরের সাথে কোলাকুলি করে নিজেদের সৌহার্দপূর্ণ ভাতৃত্বকে ঝালিয়ে নিলেন সবাই। এ যেন এক মহামিলন। আসুন জেনে নিই মেহেরপুরের রাজনৈতিক, প্রশাসনিক ও বিশিষ্ট নাগরিক কারা কে কোথায় আদায় করলেন ঈদের নামায?
প্রধান জামায়াত: সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে মেহেরপুর নতুন পৌর ঈদগাহ ময়দানে ঈদের নামায অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে নামায আদায় করেণ মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ফরহাদ হোসেন, পৌর মেয়র মাহাফুজুর রহমান রিটন, স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক খাইরুল হাসান, সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সভাপতি মাসুদ অরুণ, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাড. মারুফ আহমেদ বিজনসহ এলাকার হাজার হাজার মুসল্লীরা।
২য় জামায়াত: ঈদের ২য় জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হয় চুয়াডাঙ্গা সড়কের পুরাতন ঈদগাহ ময়দানে। যেখানে নামায আদায় করেণ সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম রসুল, সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি জয়নাল আবেদীন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকশানা উপ-কমিটির সদস্য এম এ এস ইমন, আওয়ামীলীগ নেতা অ্যাড. ইয়ারুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আক্কাস আলী, সাপ্তাহিক মুক্তিবানী পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক মুহাম্মদ রবীউল আলমসহ এলাকার মুসল্লীরা। ঈদের ৩য় জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে মেহেরপুর কোর্ট জামে মসজিদ ঈদগাহ ময়দানে। যেখানে নামায আদায় করেণ জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার বৃন্দও এলাকার মুসল্লীরা নামায আদায় করেণ।
আহলে হাদিস জামায়াত: সকাল ৭টায় মেহেরপুর শহীদ ড. সামসুজ্জোহা পার্কে আহলে হাদিস জামায়াতের নামায অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে নামায আদায় করেণ হোটেল বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আরিফুল এনাম বকুল, জেলা আইনজীবি সমিতির সভাপতি অ্যাড. আনোয়ার হোসেন, মেহেরপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আশরাফুল ইসলাম, বিশিষ্ট সাংবাদিক তোজাম্মেল আযম, মেহেরপুর নিউজের বার্তা সম্পাদক ও কালেরকন্ঠ প্রতিনিধি ইয়াদুল মোমিনসহ আহলে হাদিস জামায়াতের অনুসারীরা সেখানে নামায আদায় করেন। এছাড়া মহিলারা এখানে জামায়াতে পবিত্র ঈদ উল ফিতরের নামায আদায় করেণ।
খন্দকার পাড়া ঈদগাহে ময়দানে সকাল ৮টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। মেহেরপুর জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক অ্যাড. মিয়াজান আলী, সাবেক পিপি ও বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির গভর্ণিং বডির মে¤॥^ার অ্যাড. খন্দকার একরামুল হক হীরা, মেহেরপুর নিউজের চেয়ারম্যান ও প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক পলাশ খন্দকারসহ এলাকার মুসল্লীরা সেখানে নামায আদায় করেণ। রাজনগর ঈদগাহে ময়দানে জামায়াত: রাজনগর ঈদগাহ ময়দানে সকাল ৮ টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। অবসর প্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডাঃ সাহাদত, এআরবি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান, ইউপি সদস্য আরমান আলী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সৌদি প্রবাসী আমিনুল ইসলাম রহমানসহ এলাকার মুসল্লীরা সেখানে নামায আদায় করেণ। আমঝুপি কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে সকাল ৮টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন আহেমদ চুন্নু, সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, সদর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক মোল্লা, মেহেরপুর শিল্পকলা একাডেমীর সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমানসহ এলাকার মুসল্লীরা সেখানে নামায আদায় করেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

দেশ ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় মোনাজাত

আপলোড টাইম : ০৫:০৫:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ জুন ২০১৭

যথাযোগ্য মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভির্যের মধ্য দিয়ে সারাদেশে পবিত্র ঈদুল ফিতর পালিত
দেশ ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় মোনাজাত
19420643_486583228348482_6784231104361573648_nসমীকরণ ডেস্ক: যথাযোগ্য মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভির্যের মধ্য দিয়ে চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুরসহ সারাদেশে পালিত হয়েছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর আসে আনন্দের এ দিন। সকালে ঈদগাহ ও মসজিদে ঈদুল ফিতরের দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায়ের মধ্য দিয়ে শুরু হয় পবিত্র দিনটি। এবছর চুয়াডাঙ্গায় মোট ৭১১টি স্থানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। তারমধ্যে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকায় ৩৩টি, সদর উপজেলায় ২১৩টি, আলমডাঙ্গা উপজেলায় ২৩৯টি, দামুড়হুদা উপজেলায় ১২৯টি এবং জীবননগর উপজেলায় ৯৭টি। সকল ঈদগাহে ঈদের নামাজ আদায় শেষে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। দেশ ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় মোনাজাত করেন মুসল্লিরা।
চুয়াডাঙ্গা পৌর ঈদগাহ ময়দানে পৌরসভার আয়োজনে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৮টায়। সেখানে ঈদের নামাজ আদায় করেন চুয়াডাঙ্গা- ১ আসনের সাংসদ জাতীয় সংসদের হুইপ সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন, পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপুসহ স্থানীয় মুসল্লীরা। একই সময় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্ত্বরের টেনিস মাঠে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দিন আহমেদ এবং প্রশাসনের বিভিন্ন শ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারী ও স্থানীয় মুসল্লীরা নামাজ আদায় করেন। চীফ জুডিসিয়াল 19430075_289887211472707_2223352572839315523_nম্যাজিস্ট্রেট ড. এবিএম মাহমুদুল হক টেনিস মাঠে নামাজ আদায় করেন।
নামাজ শেষে জাতীয় সংসদের হুইপ সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন তার স্বজনদের কবর জিয়ারত করতে যান চুয়াডাঙ্গার জান্নাতুল মওলা কবরস্থানে। শারীরিকভাবে অসুস্থ্য থাকায় কবর জিয়ারত শেষে তিনি নিজ বাড়িতে ফিরে সেখানেই নেতাকর্মীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। পৌর ঈদগাহ ময়দানে ঈদের নামাজ আদায় শেষে শহরের সিঅ্যান্ডবিপাড়ায় গোরস্তানে যান পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপু। সেখানে তার পিতার কবর জিয়ারত শেষে নেতাকর্মীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। চুয়াডাঙ্গা শিশু পরিবার, হাসপাতালে গিয়ে রোগী ও স্বজনদের সাথে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় ও রোগিদের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন মেয়র জিপু। এদিকে, জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দিন আহমেদ সরকারি শিশু পরিবার পরিদর্শন করেন এবং শিশুদের সাথে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। পরে পৌর এলাকা ও শঙ্করচন্দ্র এবং আলুকদিয়া ইউনিয়নের পূনর্বাসিত ভিক্ষুকদের সাথে চুয়াডাঙ্গা সার্কিট হাউজে দুপুরের খাবারে অংশ নেন তিনি।
চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার নিজাম উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) তরিকুল ইসলাম পুলিশ সদস্যদের সাথে পুলিশ লাইন্স মাঠে ঈদের নামাজ আদায় করেন। এরপর তাদের সাথেই ঈদ উপলক্ষে সেখানে বড় খানায় অংশ নেন। চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি’র অধিনায়ক লে.কর্ণেল রাশিদুল আলম জাফরপুরস্থ বিজিবি’র ব্যাটালিয়ান সদর দপ্তর ঈদগাহ ময়দানে সৈনিকদের সাথে নামাজ আদায় ও কূশল বিনিময় করেন। নামাজ শেষে বিভিন্ন ক্যাম্পে কর্তব্যরত বিজিবি’র ক্যাম্প কমান্ডার ও সৈনিকদের সাথে দেখা করবেন এবং শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। দুপুরে ব্যাটালিয়ান সদরের সকল সৈনিকদের নিয়ে মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন।
19576203_1893691347540393_107428911_n  কেন্দ্রীয় বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু নিজ এলাকা চুয়াডাঙ্গার বড় বাজার জামে মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় শেষে প্রয়াত মা-বাবা ও আত্মীয় স্বজনদের কবর জিয়ারত করেন। পরে সারাদিন শেখপাড়াস্থ নিজ বাসভবনে দলীয় নেতাকর্মী ও শুভাকাঙ্খিদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেন। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আ.লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি আসাদুল হক বিশ্বাস নিজগ্রামে আলুকদিয়া মনিরামপুরে ঈদগাহে নামাজ আদায় করেন। জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি খুস্তার জামিল পৌর কেন্দ্রীয় ঈদগাহে জাতীয় সংসদের হুইপ ছেলুন জোয়ার্দ্দারের সাথে ঈদের নামাজ আদায় করেন। চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজাদুল ইসলাম আজাদ তার নিজ গ্রাম ঈশ্বরচন্দ্রপুরে ঈদের নামাজ আদায় করেন। জেলা আ.লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন তাঁর মেজো ভাই জাতীয় সংসদের হুইপ ছেলুন জোয়ার্দ্দারের সাথে পৌর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে নামাজ আদায় করেন। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অহিদুল ইসলাম বিশ্বাস চুয়াডাঙ্গা বুজরুকগড়গড়ি মাদ্রাসায় অনুষ্ঠিত জামাতে ঈদের নামাজ পড়েন। পরে নেতাকর্মী ও শুভাকাঙ্খিদের সাথে কূশল বিনিময় করেন। জেলা বিএনপির অন্যতম সদস্য মো. শরীফুজ্জামান শরীফ সৌদী আরবের মদিনায় মসজিদে নববীতে ঈদের নামাজ আদায় করেন। পবিত্র ওমরাহ হজ পালনে তিনি মক্কা ও মদিনায় অবস্থান করছেন। নামাজ শেষে জান্নাতুল বাকীতে কবর জিয়ারত করেন। আজ সন্ধ্যায় তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চুয়াডাঙ্গা জেলা আমির আনোয়ারুল হক মালিক নিজগ্রাম মোমিনপুর ইউনিয়নের আমিরপুর গ্রামের ঈদগাহে নামাজ শেষে কবর জিয়ারত করেন। সেক্রেটারী মো. রুহুল আমিন নিজগ্রাম জীবননগর উপজেলার ধোপাখালী ঈদগাহ ময়দানে ঈদের নামাজ আদায় করেন।
চুয়াডাঙ্গা জেলার কৃতি সন্তান, সাহিদ গ্রুপের চেয়ারম্যান, সিঙ্গাপুর-বাংলাদেশ সোসাইটি’র উপদেষ্টা আলহাজ্ব সাহেদুজ্জামান টরিক পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সিঙ্গাপুরে ঈদ-উল-ফিতর উদযাপন করবেন। সিঙ্গাপুরের মালাবরমর মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিতব্য জামাতে নামাজ পড়েন। সিঙ্গাপুরস্থ বাংলাদেশ হাউজে হাইকমিশনারের সাথে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। সন্ধ্যায় তাঁর নিজ বাসভবনে ঈদ আয়োজনে অংশ নেবেন সিঙ্গাপুরের হাইকমিশনার ডেরী ক্লসহ সিঙ্গাপুরস্থ প্রবাসী বাঙালী ও বিশিষ্টজনেরা। চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি আজাদ মালিতা নামাজ স্বপন আলিয়া মাদ্রাসায়। দৈনিক সময়ের সমীকরণ’র প্রধান সম্পাদক নাজমুল হক স্বপন ডিসি অফিসের টেনিস মাঠে ঈদের নামাজ আদায় করেন। দৈনিক মাথাভাঙ্গা’র সম্পাদক-প্রকাশক সরদার আল আমিন নিজগ্রাম দৌলতদিয়াড় সরদারপাড়ায় ঈদের নামাজ আদায় করেন।
আলমডাঙ্গা অফিস জানিয়েছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সেখ সামসুল আবেদিন খোকন আলমডাঙ্গা দারুস সালাম ঈদগাহ ময়দানে নামাজ আদায় করেন। পরে তিনি পরিবারের সদস্যদের সাথে স্বজনদের কবর জিয়ারত শেষে নিজ বাড়িতে ফিরে নেতাকর্মীদের সাথেই শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। আলমডাঙ্গা পৌর মেয়র হাসান কাদির গনু নিজ গ্রাম এরশাদপুরস্থ ঈদগাহে নামাজ আদায় করেন। আলমডাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা হেলাল উদ্দিন ঈদ উদযাপন করেন নিজ উপজেলাধীন কুমারী গ্রামে। সিভিল সার্জন ডা.রওশন আরা বেগম চুয়াডাঙ্গার সন্তান এবং তাঁর কর্মস্থল এ জেলায়। সেইসূত্রে তিনি জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলাধীন গ্রামের বাড়িতে ঈদ উদযাপন করেন।
দর্শনা অফিস জানিয়েছে, রমযানের এক মাস অতিবাহিত হওয়ার পর বৈরী আবহাওয়ার কারনে দর্শনায় পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ বিভিন্ন মসজিতে মসজিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। যদিও ঈদের দিন কোন বৃষ্টি হয়নি, তারপরও ঈদের দিন সকাল থেকে আকাশ মেঘলা থাকায় দর্শনার ধর্মপ্রান মুসল্লীরা  ঈদুল ফিতরের নামাজ পরিপূর্ণভাবে আদায় করার লক্ষে মসজিদে মসজিদে আদায় করেন। বিভিন্ন এলাকা থেকে পাওয়া তথ্যমতে, চুয়াডাঙ্গা জেলার সর্ববৃহত ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয় কেরু’জ বাজার মাঠে কিন্তু এবার ঈদের আগে বৃষ্টি হওয়ায় মাঠে কিছুটা পানি জমে থাকায় ও বৈরি আবহাওয়ায় দর্শনা রেলবাজার জামে মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করেছে। এছাড়া দর্শনা পৌর এলাকাধীন বালিকা বিদ্যালয়ের মাঠের জামাত আদায় হয়েছে রেল ইয়ার্ড সংলগ্ন মসজিদে। শ্যামপুরের একটি নামাজের জামাত মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরানপুরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে পরানপুর জামে মসজিদে। দর্শনা বাসস্টান্ডে একটি নামাজের জামাত মসজিদে বাসস্টান্ডের জামে অনুষ্ঠিত হয়েছে। মোবারক পাড়ার নামাজের একটি জামাত আদায় হয়েছে। সর্বশেষ দক্ষিন চাঁদপুর গ্রামের ঈদের নামাজের জামাত আদায় হয়েছে দক্ষিন চাদপুর গ্রমের ঈদগা মাঠে।
দামুড়হুদা উপজেলা চেয়ারম্যান মাওলানা আজিজুর রহমান জয়রামপুর পুরাতন কাউন্সিল পাড়াস্থ তাঁর নিজ গ্রামের ঈদগা ময়দানে ঈদের নামাজ আদায় করেন। সেখানে তিনি নামাজের ইমামতিও করেন। এরপর দলীয় নেতাকর্মী, শুভাকাঙ্খি, সাধারণ জনগণের সাথে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়ে ব্যস্ত সময় পার করেন তিনি।
জীবননগর অফিস জানিয়েছে, জীবননগর উপজেলার একটি পৌর এলাকায় এবং ৮টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে শান্তিপুর্ণভাবে ঈদুল ফিতরের নামাজ সম্পন্ন হয়। এ বছর সব চেয়ে বড় ঈদের জামায়াত হয় জীবননগর পৌর কেন্দ্রীয় ঈদগা মাঠে। সেখানে ঈদের নামাজ আদায় করেন জীবননগর উপজেলা চেয়ারম্যান আবু মো. আ. লতিফ অমল, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সেলিম রেজা, পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, বিশিষ্ঠ ব্যবসায়ী নজরুল মল্লিকসহ বিভিন্ন দলের নেতাকর্মি সুধী ও স্থানীয় ব্যাক্তিবর্গগন উপস্থিত ছিলেন পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ ও দোয়া এবং মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা আব্দুল খালেক।
মেহেরপুর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, মেহেরপুরে ধর্মীয় ভাবগাম্ভির্যের মধ্যে দিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে ঈদ উল ফিতর পালিত হয়েছে। সোমবার সকালে ঈদের নামায আদায়ের মধ্যে দিয়ে উৎসব উদযাপন শুরু হয়। মোনাজাত, কুসল বিনিময় ও বিকালে বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয় স্বজনের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়ের মধ্যে দিয়ে ঈদ উৎসব পালন করা হয়েছে। নামায শেষে একে আপরের সাথে কোলাকুলি করে নিজেদের সৌহার্দপূর্ণ ভাতৃত্বকে ঝালিয়ে নিলেন সবাই। এ যেন এক মহামিলন। আসুন জেনে নিই মেহেরপুরের রাজনৈতিক, প্রশাসনিক ও বিশিষ্ট নাগরিক কারা কে কোথায় আদায় করলেন ঈদের নামায?
প্রধান জামায়াত: সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে মেহেরপুর নতুন পৌর ঈদগাহ ময়দানে ঈদের নামায অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে নামায আদায় করেণ মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ফরহাদ হোসেন, পৌর মেয়র মাহাফুজুর রহমান রিটন, স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক খাইরুল হাসান, সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সভাপতি মাসুদ অরুণ, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাড. মারুফ আহমেদ বিজনসহ এলাকার হাজার হাজার মুসল্লীরা।
২য় জামায়াত: ঈদের ২য় জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হয় চুয়াডাঙ্গা সড়কের পুরাতন ঈদগাহ ময়দানে। যেখানে নামায আদায় করেণ সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম রসুল, সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি জয়নাল আবেদীন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকশানা উপ-কমিটির সদস্য এম এ এস ইমন, আওয়ামীলীগ নেতা অ্যাড. ইয়ারুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আক্কাস আলী, সাপ্তাহিক মুক্তিবানী পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক মুহাম্মদ রবীউল আলমসহ এলাকার মুসল্লীরা। ঈদের ৩য় জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে মেহেরপুর কোর্ট জামে মসজিদ ঈদগাহ ময়দানে। যেখানে নামায আদায় করেণ জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার বৃন্দও এলাকার মুসল্লীরা নামায আদায় করেণ।
আহলে হাদিস জামায়াত: সকাল ৭টায় মেহেরপুর শহীদ ড. সামসুজ্জোহা পার্কে আহলে হাদিস জামায়াতের নামায অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে নামায আদায় করেণ হোটেল বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আরিফুল এনাম বকুল, জেলা আইনজীবি সমিতির সভাপতি অ্যাড. আনোয়ার হোসেন, মেহেরপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আশরাফুল ইসলাম, বিশিষ্ট সাংবাদিক তোজাম্মেল আযম, মেহেরপুর নিউজের বার্তা সম্পাদক ও কালেরকন্ঠ প্রতিনিধি ইয়াদুল মোমিনসহ আহলে হাদিস জামায়াতের অনুসারীরা সেখানে নামায আদায় করেন। এছাড়া মহিলারা এখানে জামায়াতে পবিত্র ঈদ উল ফিতরের নামায আদায় করেণ।
খন্দকার পাড়া ঈদগাহে ময়দানে সকাল ৮টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। মেহেরপুর জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক অ্যাড. মিয়াজান আলী, সাবেক পিপি ও বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির গভর্ণিং বডির মে¤॥^ার অ্যাড. খন্দকার একরামুল হক হীরা, মেহেরপুর নিউজের চেয়ারম্যান ও প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক পলাশ খন্দকারসহ এলাকার মুসল্লীরা সেখানে নামায আদায় করেণ। রাজনগর ঈদগাহে ময়দানে জামায়াত: রাজনগর ঈদগাহ ময়দানে সকাল ৮ টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। অবসর প্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডাঃ সাহাদত, এআরবি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান, ইউপি সদস্য আরমান আলী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সৌদি প্রবাসী আমিনুল ইসলাম রহমানসহ এলাকার মুসল্লীরা সেখানে নামায আদায় করেণ। আমঝুপি কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে সকাল ৮টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন আহেমদ চুন্নু, সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, সদর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক মোল্লা, মেহেরপুর শিল্পকলা একাডেমীর সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমানসহ এলাকার মুসল্লীরা সেখানে নামায আদায় করেন।