ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

দেশে ২৯ জনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ১৭৮৮

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:১০:০৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ নভেম্বর ২০২০
  • / ১৩৮ বার পড়া হয়েছে

গত ২৪ ঘণ্টায় চুয়াডাঙ্গায় আরও ৩ জন করোনা আক্রান্ত
সমীকরণ প্রতিবেদন:
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় সংক্রমিত আরও ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে নতুন করে ১ হাজার ৭৮৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। দেশে এখন পর্যন্ত ৪ লাখ ৬২ হাজার ৪০৭ জনের দেহে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৬ হাজার ৬০৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। সুস্থ হয়েছেন ৩ লাখ ৭৮ হাজার ১৭২ জন। গতকাল রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের ১১৮ পরীক্ষাগারে করোনার নমুনা পরীক্ষা হয়। এ সময়ে সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ২৮৭ জন। যে ২৯ জন মারা গেছেন, তাঁদের মধ্যে পুরুষ ২৩ জন, নারী ৬ জন। করোনা শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০২ শতাংশ। গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগী শনাক্তের কথা জানায় সরকার। শুরুর দিকে রোগী শনাক্তের হার কম ছিল। গত মে মাসের মাঝামাঝি থেকে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। ওই মাসের শেষের দিক থেকে রোগী শনাক্তের হার ২০ শতাংশের ওপরে চলে যায়। আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত সেটি ২০ শতাংশের ওপরে ছিল। এরপর থেকে নতুন রোগীর পাশাপাশি শনাক্তের হারও কমতে শুরু করেছিল। একপর্যায়ে দৈনিক রোগী শনাক্তের হার ১০ শতাংশ পর্যন্ত নেমেছিল। তবে চলতি নভেম্বরের শুরুর দিক থেকে শনাক্তের হারে আবার ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা দেয়।
জনস্বাস্থ্যবিদেরা বলছেন, টিকা আসার আগপর্যন্ত নতুন এই ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধের মূল উপায় হলো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা মাস্ক পরা, কিছু সময় পরপর সাবান-পানি দিয়ে হাত ধোয়া, জনসমাগম এড়িয়ে চলা এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা। কিন্তু এই স্বাস্থ্যবিধিগুলো মেনে চলার ক্ষেত্রে ঢিলেঢালাভাব দেখা যাচ্ছে। এতে সংক্রমণ আবার বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে।
চুয়াডাঙ্গা:
চুয়াডাঙ্গায় নতুন করে আরও তিনজনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৫৮৯ জন। গতকাল রোববার রাত ৮টায় জেলা সিভিল সার্জন অফিস এ তথ্য নিশ্চিত করেন। গতকাল সদর উপজেলা থেকে নতুন ৪ জন সুস্থ হয়ছে। এ নিয়ে জেলায় মোট সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৪৭৩ জন। গতকাল নতুন আক্রান্ত তিন জনের মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ২ জন ও আলমডাঙ্গার ১ জন। তিনজনের মধ্যে পুরুষ ২জন ও নারী ১জন। তাঁদের বয়স ৩৫ থেকে ৬০ বছর পর্যন্ত।
জানা যায়, গত শনিবার জেলা স্বাস্থ্যবিভাগ করোনা আক্রান্ত সন্দেহে নতুন ১২টি নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করে। গতকাল ১২টি নমুনার ফলাফল সিভিল সার্জন অফিসে এসে পৌঁছায়। এর মধ্যে ৩টি নমুনার ফলাফল পজিটিভ ও বাকি ৯টি নমুনার ফলাফল নেগেটিভ আসে। গতকাল জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ করোনা পরীক্ষার জন্য সদর উপজেলা থেকে ১৫টি, আলমডাঙ্গা থেকে ৪টি ও জীবননগর থেকে ২টি নমুনাসহ ২১টি নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করেছে।
চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন অফিসের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী জেলা থেকে এ পর্যন্ত মোট নমুনা সংগ্রহ ৬ হাজার ৮৫৭টি, প্রাপ্ত ফলাফল ৬ হাজার ৬৬৩টি, পজিটিভ ১ হাজার ৫৮৯টি, নেগেটিভ ৫ হাজার ২৮৭টি। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জেলায় গতকাল হোম আইসোলেশনে ছিলেন ৫৬ জন ও প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে ছিলেন ৭ জন। চুয়াডাঙ্গা জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৪১ জন, এর মধ্যে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে জেলার বাইরে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

দেশে ২৯ জনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ১৭৮৮

আপলোড টাইম : ১০:১০:০৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ নভেম্বর ২০২০

গত ২৪ ঘণ্টায় চুয়াডাঙ্গায় আরও ৩ জন করোনা আক্রান্ত
সমীকরণ প্রতিবেদন:
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় সংক্রমিত আরও ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে নতুন করে ১ হাজার ৭৮৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। দেশে এখন পর্যন্ত ৪ লাখ ৬২ হাজার ৪০৭ জনের দেহে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৬ হাজার ৬০৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। সুস্থ হয়েছেন ৩ লাখ ৭৮ হাজার ১৭২ জন। গতকাল রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের ১১৮ পরীক্ষাগারে করোনার নমুনা পরীক্ষা হয়। এ সময়ে সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ২৮৭ জন। যে ২৯ জন মারা গেছেন, তাঁদের মধ্যে পুরুষ ২৩ জন, নারী ৬ জন। করোনা শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০২ শতাংশ। গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগী শনাক্তের কথা জানায় সরকার। শুরুর দিকে রোগী শনাক্তের হার কম ছিল। গত মে মাসের মাঝামাঝি থেকে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। ওই মাসের শেষের দিক থেকে রোগী শনাক্তের হার ২০ শতাংশের ওপরে চলে যায়। আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত সেটি ২০ শতাংশের ওপরে ছিল। এরপর থেকে নতুন রোগীর পাশাপাশি শনাক্তের হারও কমতে শুরু করেছিল। একপর্যায়ে দৈনিক রোগী শনাক্তের হার ১০ শতাংশ পর্যন্ত নেমেছিল। তবে চলতি নভেম্বরের শুরুর দিক থেকে শনাক্তের হারে আবার ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা দেয়।
জনস্বাস্থ্যবিদেরা বলছেন, টিকা আসার আগপর্যন্ত নতুন এই ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধের মূল উপায় হলো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা মাস্ক পরা, কিছু সময় পরপর সাবান-পানি দিয়ে হাত ধোয়া, জনসমাগম এড়িয়ে চলা এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা। কিন্তু এই স্বাস্থ্যবিধিগুলো মেনে চলার ক্ষেত্রে ঢিলেঢালাভাব দেখা যাচ্ছে। এতে সংক্রমণ আবার বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে।
চুয়াডাঙ্গা:
চুয়াডাঙ্গায় নতুন করে আরও তিনজনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৫৮৯ জন। গতকাল রোববার রাত ৮টায় জেলা সিভিল সার্জন অফিস এ তথ্য নিশ্চিত করেন। গতকাল সদর উপজেলা থেকে নতুন ৪ জন সুস্থ হয়ছে। এ নিয়ে জেলায় মোট সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৪৭৩ জন। গতকাল নতুন আক্রান্ত তিন জনের মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ২ জন ও আলমডাঙ্গার ১ জন। তিনজনের মধ্যে পুরুষ ২জন ও নারী ১জন। তাঁদের বয়স ৩৫ থেকে ৬০ বছর পর্যন্ত।
জানা যায়, গত শনিবার জেলা স্বাস্থ্যবিভাগ করোনা আক্রান্ত সন্দেহে নতুন ১২টি নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করে। গতকাল ১২টি নমুনার ফলাফল সিভিল সার্জন অফিসে এসে পৌঁছায়। এর মধ্যে ৩টি নমুনার ফলাফল পজিটিভ ও বাকি ৯টি নমুনার ফলাফল নেগেটিভ আসে। গতকাল জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ করোনা পরীক্ষার জন্য সদর উপজেলা থেকে ১৫টি, আলমডাঙ্গা থেকে ৪টি ও জীবননগর থেকে ২টি নমুনাসহ ২১টি নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করেছে।
চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন অফিসের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী জেলা থেকে এ পর্যন্ত মোট নমুনা সংগ্রহ ৬ হাজার ৮৫৭টি, প্রাপ্ত ফলাফল ৬ হাজার ৬৬৩টি, পজিটিভ ১ হাজার ৫৮৯টি, নেগেটিভ ৫ হাজার ২৮৭টি। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জেলায় গতকাল হোম আইসোলেশনে ছিলেন ৫৬ জন ও প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে ছিলেন ৭ জন। চুয়াডাঙ্গা জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৪১ জন, এর মধ্যে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে জেলার বাইরে।